প্রথম অধ্যায়
জীবন ও তার বৈচিত্র্য
(১) অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ-
১.১ পৃথিবী সৃষ্টির সময় পৃথিবীর তাপমাত্রা কত ছিল?
উত্তরঃ- ৫০০০-৬০০০ ডিগ্রী
১.২ গরম তরল স্যুপ নামকরণটি কি করেছিলেন?
উত্তরঃ- হ্যালডেন
১.৩ উত্তেজনায় সাড়া দেবার ধর্মকে কি বলা হয়?
উত্তরঃ- উত্তেজিতা
১.৪ কোয়াসারভেট কি গঠন করতে সাহায্য করে?
উত্তরঃ- কোলয়েড
১.৫ জীবনের একটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর।
উত্তরঃ- বৃদ্ধি ও ক্ষতিপূরণ
১.৬ কোষের গঠনগত উপাদানকে কি বলা হয়?
উত্তরঃ- প্রোটোপ্লাজম
১.৭ বিসদৃশ শব্দটি নিরূপণ করঃ-
কোয়াসারভেট, প্রোটোসেল, নগ্ন ডি.এন.এ, চলন গমন
উত্তরঃ- চলন গমন
১.৮ সত্য মিথ্যা নিরূপণ করঃ-
ইউক্যারিওটিক হলো পৃথিবীর প্রথম আগত জীব।
উত্তরঃ- মিথ্যা
১.৯ বায়োলজি শব্দের প্রবক্তা কে ছিলেন?
উত্তরঃ- ল্যামার্ক
১.১০ বিপাকীয় কাজ ও শারীরিক প্রক্রিয়া সম্বন্ধে জানা যায় কোন্ জীববিদ্যার শাখা?
উত্তরঃ- শারীরবিদ্যা
১.১১ জীবদেহের গঠন সম্পর্কে আলোচনা করা হয় যে শাখায় তাকে কি বলে?
উত্তরঃ- এমব্রায়োলজি
১.১২ জীব বৈচিত্রের একটি কারণ লেখ।
উত্তরঃ- প্রকরন
১.১৩ নিচের সম্পর্ক যুক্ত শব্দ জোড় দেওয়া আছে। প্রথম জোড় দেখে দ্বিতীয় জোড়টির শূন্যস্থানে উপযুক্ত শব্দ বসাওঃ-
এপিকালচার : মধু :: সেরিকালচার ______।
উত্তরঃ- রেশম
১.১৪ নিচের চারটি বিষয়ের মধ্যে তিনটি একটি বিষয়ের অন্তর্গত। সে বিষয়টি খুঁজে বার করে নাম লেখঃ-
জীব বিদ্যার প্রয়োগ, বিজহীন ফল তৈরি করা, চিকিৎসা বিদ্যা, জনবিস্ফোরণ রোধ
উত্তরঃ- জীববিদ্যার প্রয়োগ
১.১৫ দ্বিপদ নামকরনের প্রবক্তা কে?
উত্তরঃ- লিনিয়াস
১.১৬ বিজ্ঞানী সিম্পসন প্রবর্তিত হায়ারার্কতে মোট ধাপের সংখ্যা কটি?
উত্তরঃ- ২১ টি
১.১৭ একটি ট্যাক্সোনমিক বিভাগ বা র্যাংকের নাম লেখ।
উত্তরঃ- বর্গ
১.১৮ আমের বৈজ্ঞানিক নাম কি?
উত্তরঃ- ম্যাঙ্গিফেরা ইন্ডিকা
১.১৯ হায়ারার্কি শ্রেণীবিন্যাসের সর্বনিম্নর একক কি?
উত্তরঃ- প্রজাপতি
১.২০ ICBN এর পুরো নাম কি?
উত্তরঃ- International Code Of Botanical Nomenclature
১.২১ লিনিয়াস রচিত যেকোনো একটি গ্রন্থের নাম লেখ।
উত্তরঃ- সিস্টোমো ন্যাচুরি
১.২২ বিসদৃশ্ শব্দটি বেছে লেখঃ-
বর্গ, শ্রেণী, ক্যাটাগরি, ইন্ডিকা
উত্তরঃ- ইন্ডিকা
১.২৩ মানুষের দ্বিপদ নাম কি?
উত্তরঃ- হোমো স্যাপিয়েন্স
১.২৪ জীবের পাঁচ রাজ্য শ্রেণীবিন্যাস পদ্ধতি প্রবর্তক কে ছিলেন?
উত্তরঃ- হুইটেকার
১.২৫ প্রোক্যারিওটিক কোষ সংগঠন দেখা যায় কোন্ গোষ্ঠীতে?
উত্তরঃ- মোনেরা
১.২৬ স্বভোজী একটি গোষ্ঠীর নাম লেখ।
উত্তরঃ- প্ল্যান্টি
১.২৭ এককোষী দেহ সংগঠন দেখা যায় এই রকম একটি জীব গোষ্ঠীর নাম লেখ।
উত্তরঃ- প্রোটিস্টা/মোনেরা
১.২৮ একটি জীবগোষ্টির নাম লেখো যেটি বিয়োজকের কাজ করে।
উত্তরঃ- মোনেরা/ফাংজি
১.২৯ পাঁচ রাজ্য শ্রেণীবিন্যাসের পাঁচটি গোষ্ঠীর নাম লেখ।
উত্তরঃ- মোনেরা,প্রোটিস্টা, ফাংজি প্ল্যান্টি ও অ্যানিমালিয়া
১.৩০ নিচে সম্পর্ক যুক্ত শব্দ জোড় দেওয়া আছে। প্রথম জোড় দেখে দ্বিতীয় জোড়টির শূন্যস্থানে উপযুক্ত শব্দ বসাওঃ-
পাঁচ রাজ্য শ্রেণীবিন্যাস : হুইটেকার :: দুই রাজ্য শ্রেণীবিন্যাস :_______।
উত্তরঃ- লিনিয়াস
১.৩১ বেমানান শব্দটি বেঁচে লেখঃ-
মিউকর, ইস্ট, ব্যাঙের ছাতা, স্পাইরোগাইরা
উত্তরঃ- স্পাইরোগাইরা
১.৩২ প্ল্যান্টি না থাকলে বাস্তুতন্ত্রের কি পরিবর্তন হত?
উত্তরঃ- প্ল্যান্টিরা স্বভোজী তাই তারা না থাকলে খাদ্যের অভাবে পরিবেশের অন্য জীবেরা মারা যেত ও বাস্তুতন্ত্র বিনষ্ট হত।
১.৩৩ অপুষ্পক শিরাত্ম কলাযুক্ত একটি উদ্ভিদের নাম লেখ।
উত্তরঃ- টেরিডোফাইট
১.৩৪ ফল বিহীন বীজযুক্ত একটি উদ্ভিদের নাম লেখ।
উত্তরঃ- সাইকাস
১.৩৫ উভচর উদ্ভিদ গোষ্ঠীর একটি উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ- মস
১.৩৬ শূন্যস্থান পূরণ করঃ-
ভলভক্স হলো একটি এককোষী কলোনী গঠনকারী ________।
উত্তরঃ- শৈবাল
১.৩৭ বিসদৃশ শব্দটি বেছে লেখঃ-
শৈবাল, মস, ছত্রাক, ফার্ন
উত্তরঃ- ছত্রাক
১.৩৮ সত্য মিথ্যা নিরূপণ করঃ-
উদ্ভিদ শ্রেণীবিন্যাস ছত্রাক নিম্ন শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
উত্তরঃ- মিথ্যা
১.৩৯ কোম্ভপ্লেট কোন্ পর্বের বৈশিষ্ট্য?
উত্তরঃ- টিনোফোরা
১.৪০ নেফ্রিডিয়া নামক রেচন অঙ্গ কাদের দেখা যায়।
উত্তরঃ- অ্যানিলিডায়
১.৪১ স্টোমোকর্ড কোন্ প্রানীর দেহে দেখা যায়?
উত্তরঃ- ব্যালানোগ্লাসাস
১.৪২ শূন্যস্থান পূরণ করঃ-
ম্যান্টল পর্দা_________ নামক শ্রেণী পর্বে লক্ষ্য করা যায়।
উত্তরঃ- মোলাস্কা
১.৪৩ নিচে সম্পর্ক যুক্ত শব্দ জোড় দেয়া আছে। প্রথম জোড়টি দেখে দ্বিতীয় জোড়টির শূন্যস্থানে উপযুক্ত শব্দ বসাওঃ-
অ্যানিলিডা : সিলোম :: নিমাটোড :______।
উত্তরঃ- সিউডোসিলোম
১.৪৪ বিসদৃশ্ শব্দটি বেছে লেখঃ-
নোটাকর্ড, নার্ভকর্ড, গলবিলীয় ফুলকা ছিদ্র, ফ্লেম কোষ।
উত্তরঃ- ফ্লেম কোশ
(২) সংক্ষিপ্ত প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ-
২.১ জীবন চক্র বলতে কী বোঝো?
উত্তরঃ- জীবের জন্মের পর জীবদেহ বৃদ্ধিতে পরিণত হয় এবং প্রজননের মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি করে। এরপর বার্ধক্য আসে এবং অবশেষে জীবের মৃত্যু হয়। জীবের জন্ম, বৃদ্ধি, বংশবিস্তার, বার্ধক্য ও মৃত্যু - ইত্যাদি পর্যায়ক্রমিক ঘটনাগুলিকে জীবের জীবন চক্র বলে।
২.২ কোয়াসারভেট বলতে কী বোঝো?
উত্তরঃ- আদিম পৃথিবীতে সমুদ্রের জলে এমাইনো এসিড, শর্করা, লিপিড, প্রোটিন ইত্যাদি পর্যাপ্ত ছিল। প্রোটিনগুলি গরম তরল স্যুপ থেকে আলাদা হয়ে একসঙ্গে জড়ো হয়ে কলয়েড জাতীয় পদার্থ গঠন করে যাকে কোয়াসারভেট বলে।
২.৩ মাইক্রোস্ফিয়ার কি?
উত্তরঃ- প্রটিনয়েড অনুগুলির সংযুক্তির ফলে মাইক্রোস্ফিয়ার গঠিত হয়। এটি লিপিড, প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট দ্বারা গঠিত। এটি কোষ পর্দার মতো দ্বিস্তরী আবরণ থাকে। বিজ্ঞানী ফক্স এর নাম দেন মাইক্রোস্ফিয়ার।
২.৪ জীব-বৈচিত্র বলতে কী বোঝো?
উত্তরঃ- বিভিন্ন প্রকার বাস্তুতন্ত্রে অথবা পরিবেশে কিংবা বাসস্থানে জীবের যে বিভিন্নতা দেখা যায় তাকে এককথায় জীব-বৈচিত্র বলে।
২.৫ মহাকাশযানে এককোষী শৈবাল ক্লোরেল্লা রাখার কারণ কি?
উত্তরঃ- জীব বিজ্ঞানের জ্ঞান থেকে মহাকাশচারীরা মহাকাশযানে এককোষী শৈবাল রাখেন। এই শৈবাল সালোকসংশ্লেষ চালানোর সময় মহাকাশযান থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ করে এবং অক্সিজেন ত্যাগ করে। ফলে মহাকাশযানে অক্সিজেন সরবরাহ বজায় থাকে।
২.৬ ব্যক্তবীজী ও গুপ্তবীজী উদ্ভিদের তিনটি পার্থক্য লেখ।
উত্তরঃ- ব্যক্তবীজী ও গুপ্তবীজী উদ্ভিদের তিনটি প্রধান পার্থক্য নিচে আলোচনা করা হল -
প্রথমত, ব্যক্তবীজী উদ্ভিদ দীর্ঘ, কাষ্ঠল, বহুবর্ষজীবী, চিরহরিৎ বৃক্ষ জাতীয় হয় আর গুপ্তবীজী উদ্ভিদ বিরুৎ, গুল্ম ও বৃক্ষ জাতীয় হয়।
দ্বিতীয়ত, ব্যক্তবীজী উদ্ভিদের কোন ফল গঠিত হয় না, কিন্তু গুপ্তবীজী উদ্ভিদের ফল গঠিত হয়।
তৃতীয়ত, ব্যক্তবীজী উদ্ভিদের বীজ একাধিক বীজপত্র দিয়ে গঠিত, তবে গুল্মবীজী উদ্ভিদের বীজ একটি বা দুটি বীজপত্র দিয়ে গঠিত হয়।
২.৭ একবীজপত্রী ও দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের প্রধান তিনটি পার্থক্য লেখ।
উত্তরঃ- একবীজপত্রী ও দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের প্রধান তিনটি পার্থক্য নিচে আলোচনা করা হল -
প্রথমত, একবীজপত্রী উদ্ভিদ প্রধানত বিরুৎ জাতীয় ও একবর্ষজীবী হয়, কিন্তু দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদ সাধারণত বৃক্ষজাতীয় এবং বহুবর্ষজীবী হয়।
দ্বিতীয়ত, একবীজপত্রী উদ্ভিদের কান্ড গুলি শাখা-প্রশাখা হীন হয়, আর দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের কান্ড শাখা প্রশাখা যুক্ত হয়।
তৃতীয়ত, একবীজপত্রী উদ্ভিদের উদাহরণ হল ধান, গম, ভুট্টা আর দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের উদাহরণ হল আম, জাম।
২.৮ নিডারিয়া প্রাণী গোষ্টির দুটি বৈশিষ্ট্য ও একটি উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ-
বৈশিষ্ট্যঃ-
নিডারিয়া প্রাণীর দুটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো -
(এক) দেহ ত্বকে নিডোব্লাস্ট কোষ থাকে।
(দুই) মুখ ছিদ্র কষির্কা বেষ্টিত থাকে।
উদাহরণঃ- হাইড্রা
২.৯ সন্ধিপদ প্রাণীর গোষ্ঠীর দুটি বৈশিষ্ট্য ও একটি উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ-
বৈশিষ্ট্যঃ-
(এক) দেহ কাইটিন নির্মিত বহিঃকঙ্কাল দ্বারা আবৃত।
(দুই) সন্ধিল উপাঙ্গ অবস্থিত।
উদাহরণঃ- আরশোলা
২.১০ আম্ফিবিয়া বা উভচর প্রাণী গোষ্ঠীর দুটি বৈশিষ্ট্য ও উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ-
বৈশিষ্ট্যঃ-
(এক) চর্ম সিক্ত ও নগ্ন প্রকৃতির হয়।
(দুই) অগ্রবাদ এ চারটি এবং পশ্চাৎপদে পাঁচটি নখরবিহীন আঙুল থেকে।
উদাহরণঃ- ব্যাঙ
২.১১ কর্ডাটা পর্বে দুটি বৈশিষ্ট্য ও একটি উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ-
বৈশিষ্ট্যঃ-
(এক) ভ্রুণ অবস্থায় বা সারা জীবন ধরে নোটোকর্ড থাকে।
(দুই) জীবনের যে কোন দশায় গলবিলের দুপাশে ফুলকা ছিদ্র থাকে।
উদাহরণঃ- রুই মাছ
২.১২ একাইনোডার্মাটা বা কন্টকত্বকী প্রাণী গোষ্টির দুটি বৈশিষ্ট্য ও একটি উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ-
বৈশিষ্ট্যঃ-
(এক) দেহ কন্টকময় ত্বক দিয়ে আবৃত।
(দুই) দেহে জল সংবহনতন্ত্র উপস্থিত থাকে।
উদাহরণঃ- তারা মাছ
(৩) রচনাধর্মী প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ-
৩.১ ট্যাক্সোনমির সংজ্ঞা লেখ। ট্যাক্সোনমির উপাদান গুলি কি কি? ট্যাক্সোনমির গুরুত্ব লেখ।
উত্তরঃ-
ট্যাক্সোনমির সংজ্ঞাঃ-
বিজ্ঞানের যে শাখায় জীবের নামকরণ ও শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতি আলোচনা করা হয় তাকে ট্যাক্সোনমি বা বিন্যাস বিধি বলে।
ট্যাক্সোনমির উপাদানঃ-
ট্যাক্সোনমির মুখ্য উপাদান গুলি সাধারণত তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। যথা (এক) সনাক্ত করুন, (দুই) নামকরন এবং (তিন) শ্রেণীবিন্যাস।
ট্যাক্সোনমির গুরুত্বঃ-
ট্যাক্সোনমির প্রধান গুরুত্ব গুলি হল -
প্রথমত, বৈচিত্র্যময় জীবজগতে বিভিন্ন গোষ্ঠীভুক্ত জীবদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ণয় করা যায়
দ্বিতীয়ত, ট্যাক্সোনমির জ্ঞান থেকে জীবের পূর্বপুরুষ যে অনুন্নত ছিল সেই তথ্য এবং এই বিবর্তনের ধারা সম্পর্কে জানা যায়।
৩.২ দ্বিপদ নামকরণ বলতে কি বোঝো? দ্বিপদ নামকরণ কে প্রথম প্রচলন করেন? দ্বিপদ নামকরণের তিনটি নিয়ম লেখো।
উত্তরঃ-
দ্বিপদ নামকরণঃ-
গন এবং প্রজাতি নামক দুটি পদের সমন্বয়ে জীবদের যে বিজ্ঞান ভিত্তিক নামকরণ করা হয় তাকে দ্বিপদ নামকরণ বলে।
দ্বিপদ নামকরনের প্রবক্তাঃ-
দ্বিপদ নামকরনের প্রবক্তা হলেন বিখ্যাত সুইডিশ প্রকৃতিবিদ ক্যারোলাস লিনিয়াস, তিনি উদ্ভিদের জন্য 1753 সালে লেখা স্পিসিজ পান্টেরাম এবং প্রাণীদের জন্য সেস্টোমত্ত ন্যাচুরি 1758 সালে বইটি লিখেছিলে।
দ্বিপদ নামকরণের নিয়মাবলীঃ-
দ্বিপদ নামকরণ এর অনেক নিয়ম আছে, এখানে প্রধান কয়েকটি উল্লেখ করা হলো -
প্রথমত, কোন গোত্রের অন্তর্ভুক্ত একাধিক গণ বা একাধিক গণের অন্তর্ভুক্ত একাধিক প্রজাতির নাম ভিন্ন থাকে।
দ্বিতীয়ত, এই দ্বিপদ নামকরণের কেবলমাত্র ল্যাটিন ভাষায় করতে হবে।
তৃতীয়ত, কোন একটি প্রজাতির নামে দ্বিপদ যুক্ত হবে এবং উপজাতি টির নামপদ যুক্ত হবে।
৩.৩ জীবের পাঁচ রাজ্য শ্রেণীবিন্যাস কোন বিজ্ঞানী করেছিলেন? প্রতিটি রাজ্যের বৈশিষ্ট্যসহ নাম লেখ।
উত্তরঃ- হুইটেকার 1769 খ্রিস্টাব্দে জীবের পাঁচ রাজ্য শ্রেণীবিন্যাস করেছিলেন।
প্রতিটি রাজ্যের বৈশিষ্ট্যসহ নামঃ-
বিজ্ঞানী হুইটেকার পাঁচ রাজ্য ও তাদের উদাহরণগুলির নিচে আলোচনা করা হল -
মনেরাঃ-
বৈশিষ্ট্যঃ- এর দুটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হল -
(এক) এরা এককোশী ও প্রোক্যারিওটিক, কোশ আনুবীক্ষণিক, কোশপ্রাচীরে পেপটাইডোগ্লাইক্যান থাকে।
(দুই) এদের পুষ্টি প্রক্রিয়া স্বভোজী বা পরভোজী। পরভোজী পুষ্টি মৃতজীবী, পরজীবী ও মিথোজীবী প্রকারের হয়।
উদাহরণঃ- ব্যাকটেরিয়া, মাইকোপ্লাজমা, নীলাভ সবুজ শৈবাল।
প্রোটষ্টাঃ-
বৈশিষ্ট্যঃ- এর দুটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হল -
(এক) এরা এককোশী এবং উপনিবেশ গঠনকারী ইউক্যারিওটিক প্রকৃতির।
(দুই) বেশিরভাগই জলজ ও প্ল্যাংকটন গঠনকারী।
উদাহরণঃ- ইউগ্লিনা, অ্যামিবা প্যারামিজিয়াম।
ফানজিঃ-
বৈশিষ্ট্য- এর দুটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হল -
(এক) এরা এককোশী, বহুকোশী, অনুসূত্রাকার হয়।
(দুই) এদের সঞ্চিত খাদ্য হল গ্লাইকোজেন।
উদাহরণঃ- ইস্ট, মিউকর পেনিসিলিয়াম
প্লান্টিঃ-
বৈশিষ্ট্যঃ- এর দুটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হল -
(এক) বহুকোশী, ইউক্যারিওটিক প্রকৃতির।
(দুই) কোশপ্রাচীর সেলুলোজ নির্মিত।
উদাহরণঃ- স্পাইরোগাইরা পোগোনেটাম ড্রায়োপটেরিস।
অ্যানিমালিয়াঃ-
বৈশিষ্ট্যঃ- এর দুটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হল -
(এক) বহুকোশী এবং ইউক্যারিওটিক প্রকৃতির।
(দুই) কোশে কোশপ্রাচীর থাকে না এবং বড়ো ভ্যাকুওল থাকে না।
উদাহরণঃ- পরিফেরা, অঙ্গুরীমাল, সন্ধিপদ।
Ok
উত্তরমুছুনৎঘ। বডলদঠদবললঢদঠধকশৃডৃয়রঢ
উত্তরমুছুনGood
উত্তরমুছুনMy Name - Pipash
উত্তরমুছুনখুব ভালো লাগলো
উত্তরমুছুনHate kolome
উত্তরমুছুনSneha
উত্তরমুছুনThis system is wosame.
উত্তরমুছুনখুবই ভালো
উত্তরমুছুনB ki BH GD ag hu yr hu ud sbh udh
উত্তরমুছুন