West Bengal Class 9 Bengali Suggestion 2023 | নবম শ্রেণীর বাংলা সাজেশন ২০২৩ | নোঙর | অজিত কুমার দত্ত
Type Here to Get Search Results !

West Bengal Class 9 Bengali Suggestion 2023 | নবম শ্রেণীর বাংলা সাজেশন ২০২৩ | নোঙর | অজিত কুমার দত্ত

নোঙর
অজিত কুমার দত্ত

West Bengal Class 9 Bengali Suggestion 2023 | নবম শ্রেণীর বাংলা সাজেশন ২০২৩ | নোঙর | অজিত কুমার দত্ত
West Bengal Class 9 Bengali Suggestion 2023 | নবম শ্রেণীর বাংলা সাজেশন ২০২৩ | নোঙর | অজিত কুমার দত্ত

বহু বিকল্পীয় প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :


প্রশ্নঃ নোঙর কবিতাটি কার লেখা?

(ক) সঞ্জয় ভট্টাচার্য

(খ) যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত

(গ) কৃষ্ণ ধর

(ঘ) অজিত কুমার দত্ত

উত্তর: (ঘ) অজিত কুমার দত্ত


প্রশ্নঃ কবি কি পার হচ্ছিলেন?

(ক) সিন্ধু

(খ) সমুদ্র

(গ) খাল

(ঘ) নদী

উত্তর: (ক) সিন্ধু


প্রশ্নঃ দাঁড় টানা মিছে বলে কেন কবির মনে হয়েছে?

(ক) লক্ষ্যে পৌছাতে পারবেন না বলে

(খ) নোঙর বাঁধা  আছে বলে

(গ) জোয়ার আছে বলে

(ঘ) অগ্রগতি সম্ভব নয় বলে

উত্তর: (খ) নোঙর বাঁধা  আছে বলে


প্রশ্নঃ নোঙর কোথায় পড়ে গিয়েছেন?

(ক) তটের কিনারে

(খ) বালিয়াড়িতে

(গ) সমুদ্রসৈকতে

(ঘ) সমুদ্রের গভীরে

উত্তর: (ক) তটের কিনারে


প্রশ্নঃ ঢেউগুলি ফুলে উঠেছে কেন?

(ক) ভাটা চলছে বলে

(খ) প্রবল বেগে বাতাস উঠছে বলে

(গ) জোয়ার এসেছে বলে

(ঘ) জলোচ্ছ্বাসের ফলে

উত্তর: (গ) জোয়ার এসেছে বলে


প্রশ্নঃ ঢেউগুলি কোন দিকে ছুটে যায়?

(ক) নৌকার দিকে

(খ) নদীর দিকে

(গ) তটের দিকে

(ঘ) সমুদ্রের দিকে

উত্তর: (ঘ) সমুদ্রের দিকে


প্রশ্নঃ স্রোতের প্রভাবে প্রাণকে আহরণ করে?

(ক) জোয়ার ভাটা

(খ) তরী

(গ) ভাটা

(ঘ) জোয়ার

উত্তর: (গ) ভাটা


প্রশ্নঃ জোয়ার ভাটায় কি বাধা আছে?

(ক) তীর

(খ) তট

(গ) বাণিজ্যতরী

(ঘ) মাস্তুল

উত্তর: (খ) তট


প্রশ্নঃ বাণিজ্যতরী কোথায় বাঁধা আছে?

(ক) তটে

(খ) দাঁড়ে

(গ) কাছিতে

(ঘ) জোয়ার-ভাটায়

উত্তর: (ক) তটে


প্রশ্নঃ স্রোতের প্রবল প্রাণ করে আহরণ-এখানে যে ভাবনাটি প্রকাশ পেয়েছে তা হল-

(ক) বিরুদ্ধ পরিস্থিতির চাপে জীবনীশক্তি হ্রাস পায়

(খ) জীবনীশক্তি কমে আছে

(গ) ভাটার ফলে জল কমে যায়

(ঘ) স্রোত কমে আসে

উত্তর: (ক) বিরুদ্ধ পরিস্থিতির চাপে জীবনীশক্তি হ্রাস পায়


অতি সংক্ষিপ্ত উত্তর ধর্মী প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :


প্রশ্নঃ 'নোঙর' কবিতাটি কার লেখা?

উত্তর: অজিত কুমার দত্তের লেখা।


প্রশ্নঃ কবি কি পার হচ্ছিলেন?

উত্তর: কবি সপ্তসিন্ধু পার হচ্ছিলেন।


প্রশ্নঃ নোঙর কোথায় পড়ে গিয়েছেন?

উত্তর: তটের কিনারে।


প্রশ্নঃ 'সারারাত মিছেদার টানি'-সারারাত মিছেদার টানছে কেন?

উত্তর: তটের কিনারে নৌকার নোঙর পড়ে গিয়েছে তাই কবি সারারাত মিছে দাঁড় টানছে।


প্রশ্নঃ 'সমুদ্রের দিকে তারা ছোটে'-সমুদ্রের দিকে কারা ছোটে?

উত্তর: জোয়ারের ঢেউগুলি সমুদ্রের দিকে ছোটে


প্রশ্নঃ 'তারপর ভাটার শোষণ'-ভাটার শোষন কি?

উত্তর: ভাটার ফলে নদীতে জলস্ফীত হ্রাস পায়। জল কমে আসে। একেই ভাটার শোষণ বলেছেন কবি।


প্রশ্নঃ 'স্রোতের প্রবল প্রাণ' বলতে কবি কাকে বুঝিয়েছেন?

উত্তর: ঢেউগুলি কে কবি স্রোতের প্রবল প্রাণ বলেছেন।


প্রশ্নঃ কে স্রোতের প্রবল প্রাণ আহরণ করে নেয়?

উত্তর: ভাটার টান এসে স্রোতের প্রবল প্রাণ আহরণ করে নেয়।


প্রশ্নঃ জোয়ার-ভাটায় কি বাঁধা আছে?

উত্তর: তটভূমি বাঁধা আছে।


প্রশ্নঃ তটের কাছে কে বাঁধা আছে?

উত্তর: বাণিজ্যতরী বাঁধা আছে।


প্রশ্নঃ নৌকা কিসে চিরকাল বাঁধা আছে?

উত্তর: নৌকা চিরকাল নোঙরের কাছিতে বাঁধা আছে।


প্রশ্নঃ সাগর গর্জনে কে বা কারা কেঁপে ওঠে?

উত্তর: সাগর গর্জনে নিস্তব্ধ মুহূর্তগুলি কেঁপে ওঠে।


প্রশ্নঃ দাঁড়ের নিক্ষেপে কবি কি শুনতে পান?

উত্তর: দাঁড়ের নিক্ষেপে কবি স্রোতের বিদ্রূপ শুনতে পান।


প্রশ্নঃ কবি দিকের নিশানা কিভাবে করেন?

উত্তর: কবি তারার দিকে চেয়ে দিকের নিশানা করেন।


প্রশ্নঃ কবি তরী ভরে কি নিয়ে চলেছেন?

উত্তর: কবিতরী ভরে পূণ্য নিয়ে চলেছেন।


(৩) নিচের ব্যাখ্যাভিত্তিক প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ


প্রশ্নঃ "নোঙর গিয়েছে পড়ে তটের কিনারে।" - এখানে কবির আক্ষেপ কীভাবে প্রকাশিত হয়েছে?

অথবা, 

"নোঙর গিয়েছে পড়ে তটের কিনারে।" - মন্তব্যটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ কবি সুদূরের পিয়াসি তার মধ্যে একটি চঞ্চল মন আছে, যেটি অজানা-অচেনার উদ্দেশ্যে পাড়ি দিতে চায় দূর সমুদ্রপারে। কিন্তু ব্যক্তিজীবনে তিনি নানা কর্মের বন্ধনে বাঁধা পড়ে আছেন। সংসারের বিভিন্ন দায়িত্ব-কর্তব্যে তার দৈনন্দিন জীবন বাঁধা। কবির রোমান্টিক মন সমস্ত বন্ধন থেকে মুক্তি চায়, ছুটে যেতে চায় স্বপ্ন-কল্পনার মায়াবী জগতে। কিন্তু মন চাইলেও বাস্তবকে উপেক্ষা করে সেখানে যাওয়া সম্ভব নয়।


প্রশ্নঃ "স্রোতের বিদ্রুপ শুনি প্রতিবার দাঁড়ের নিক্ষেপে।" - "স্রোতের বিদ্রুপ" বলতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?

উত্তরঃ কবি নৌকা নিয়ে দূর সমুদ্রে পাড়ি দিতে চান। কিন্তু তার সেই নৌকো। তটের কিনারে নোঙরে বাঁধা পড়ে গেছে। কবির মন বাধা অগ্রাহ্য করে দাঁড় টেনে চলে। প্রতিবার দাঁড় টানলে যে শব্দ ওঠে তা যেন স্রোতের ঠাট্টা-উপহাস। স্রোত গতিশীল, কিন্তু কবির জীবনতরি আটকা পড়ে আছে। কবি চাইলেও সাংসারিক বন্ধন ছিন্ন করে সুদূরের আহ্বানে নৌকা ভাসাতে পারছেন না। তাই স্রোত কবির এই থমকে থাকাকে ব্যঙ্গবিদ্রুপে বিদ্ধ করে চলে।


প্রশ্নঃ "সারারাত মিছে দাঁড় টানি,/মিছে দাঁড় টানি।" - দাঁড় টানাকে কবি মিছে বলেছেন কেন?

উত্তরঃ যে স্বপ্নময় রূপকথার দেশের কল্পনা কবির মনকে প্রতি মুহূর্তে চঞ্চল করে তোলে, বাস্তবে কবির পক্ষে সেখানে পৌঁছোনো সম্ভব হয় না। তবু কবির সুদূর পিয়াসি মন আশায় বুক বেঁধে সারারাত ধরে কল্পনার জাল বুনে চলে। কিন্তু কবির সচেতন সত্তা জানে, 'নোঙর গিয়েছে পড়ে তটের কিনারে'। অর্থাৎ জীবনের নৌকা দায়দায়িত্বপূর্ণ কর্মমুখর সংসারে বাঁধা পড়েছে। সে নৌকা আর চলবে না। তাই দাড় টানা বৃথা।


প্রশ্নঃ "নোঙরের কাছি বাঁধা তন্তু এ নৌকা ত্রিকাল।" - নৌকা কেন চিরকাল নোঙরের কাছিতে বাঁধা?

উত্তরঃ মানুষ মূলত সামাজিক ও সাংসারিক জীব। সমাজ-সংসারের কর্ত ও দায়িত্বে বাঁধনে সে সবসময় জড়িয়ে থাকে। আমাদের দৈনন্দিন জীবন কর্মময়। কঠোর বাস্তবের সংঘাতে জীবনের অনেক স্বপ্ন কল্পনাই অপূর্ণ থেকে যায়। কবির জীবনও বাস্তব জগৎ ও সংসারের বাঁধনে বাঁধা পড়ে আছে। কিন্তু সৃষ্টিশীল মানুষের থাকে কল্পনাপ্রবণ মন বারবার বাস্তবের বন্ধন ছিন্ন করে দূর অজানায় পাড়ি দিতে চায়। কিন্তু জীবনতরি বাস্তবের দায়িত্ব-কর্তব্যের নোঙরে চিরকাল বাঁধাই পড়ে থাকে।


প্রশ্নঃ "আমার বাণিজ্য-তরী বাঁধা পড়ে আছে।''— কথাটির তাৎপর্য লেখো।

উত্তরঃ কবি তার রচিত সাহিত্যকীর্তিগুলি নিয়ে ভেসে যেতে চান দূরে-দূরান্তরে। সাতসমুদ্রের পাড়ের সেই সুদূর জগতে কবি মেতে উঠবেন সৃষ্টিশীল কাব্যরচনায়। সংসারের বাঁধন ছিন্ন করে কবি চলে যাবেন কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে। এই আশায় কবি প্রতিদিন বুক বাঁধেন, যেন তিনি নৌকার দাঁড় টেনে গন্তব্যে চলেছেন। কিন্তু পরমুহূর্তেই তার মনে পড়ে যায়, বাস্তব জীবন ও সংসারের দায়িত্ব কর্তব্য ত্যাগ করে তিনি কোনোদিনই গন্তব্যে যেতে পারবেন না। তাই গভীর হতাশার সাথে কবি আলোচ্য উক্তিটি করেছেন।

(৪) নিচের রচনাধর্মী প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ


প্রশ্নঃ "সারারাত তবু দাড় টানি" - কবি সারারাত দাড় টানেন কেন? 'তবু' কথাটি বলার কারণ কী? এই দাঁড় টানার মধ্য দিয়ে কবির কোন্ মানসিকতার প্রকাশ পেয়েছে?

উত্তরঃ কবি অজিত দত্ত 'নোঙর' কবিতায় বলেছেন যে নৌকাভরা পণ্য নিয়ে তিনি সাতসাগরের পাড়ে পাড়ি দিতে চান। তাই তিনি সারারাত দাঁড় টানেন।

'তবু' শব্দের অর্থ ‘তা সত্ত্বেও'। পণ্যভরা নৌকা নিয়ে সাতসাগরপারে যাওয়ার বাসনা ছিল কবির। কিন্তু কখন তটের কিনারে নোঙর পড়ে গেছে তিনি বুঝতেও পারেননি। নৌকা যে আর তট ছেড়ে যাবেনা কখনও, তা তিনি জানেন। তবু মন যেন এই সত্য মানতে চায় না। কঠিন সত্যটি জানা সত্ত্বেও কবি সারারাত দাঁড় টেনে চলেন। এই কারণেই ‘তবু' কথাটি বলা হয়েছে। । 

     এই দাঁড় টানার মধ্য দিয়ে কবির অদম্য মানসিকতার পরিচয় পাওয়া যায়। তিনি জানেন, সমাজ-সংসারের নানা বন্ধন তাকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছে। তবু তার কল্পনাবিলাসী মন বাঁধনহারা জীবনের স্বাদ পেতে চায়। তার চারপাশ বাস্তব। বলে এই দাঁড় টানা বৃথা, কিন্তু তার অবচেতন মন আশা-স্বপ্নের জাল বুনে চলে। তাই তিনি অবিরাম দাড় টেনে চলেন। কবি জানেন, তার বাসনা হয়তো কোনোদিনই পূরণ হবে না, তবু স্বপ্নময় জীবনের অনুসন্ধানে তার ক্লান্তি নেই। দূর সাগরে পাড়ি দেওয়ার স্বপ্নই তাকে বাঁচিয়ে রাখে।


প্রশ্নঃ "নোঙর গিয়েছে পড়ে তটের কিনারে।" - 'নাোঙর' এখানে কীসের প্রতীক? কবি নৌকা নিয়ে কোথায় যেতে চান? কবির আকাঙ্ক্ষা ও আক্ষেপ কীভাবে প্রকাশিত হয়েছে?

অথবা, 

"নোঙর গিয়েছে পড়ে তটের কিনারে" - "নোঙর" বলতে কী বোঝ? নোঙর তটের কিনারে পড়ে গিয়েছে বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

উত্তরঃ কবি অজিত দত্ত রচিত 'নোঙর' কবিতায় নোঙর হল জীবনের বিভিন্ন বন্ধন বা স্থিতিশীলতার প্রতীক। কবি নৌকা নিয়ে যেতে চান সুদূর সাতসাগরের পাড়ে৷ বাস্তব জীবনের বাধাবন্ধন থেকে অনেক দূরে কল্পনালোকে পাড়ি দিতে চান কবি। মধ্যযুগের সওদাগরদের মতো কবি ভাসিয়ে দিতে চান তার সৃষ্টিসম্পদে ভরা নৌকা। রোজকার একঘেয়ে জীবনযাপন থেকে ছুটি নিয়ে তার কল্পনাপ্রবণ মন দূর অচেনা অজানা দেশে পাড়ি দিতে চায়। কবির আকাঙ্ক্ষা সাতসমুদ্রপাড়ে পাড়ি দেওয়ার। কবির ভাবুক মন সংসারের দায়িত্ব কর্তব্যের বাঁধন মানতে চায় না। কর্মময়, সাংসারিক জীবনের বাঁধন তাকে কঠিনভাবে বেঁধে রাখে। স্রোতের গতি কবির এই দায়িত্বের বন্ধনকে বিদ্রুপ করে, কিন্তু কবি নিরুপায়, অসহায়। এই দাঁড় টানা বৃথা জেনেও তিনি অবিরাম দাড় টেনে চলেন। তাই কবির তীব্র আক্ষেপ "তরী ভরা পণ্য নিয়ে পাড়ি দিতে সপ্তসিন্ধুপারে, নোঙর কখন জানি পড়ে গেছে তটের কিনারে। সারারাত তবু দাঁড় টানি, তবু দাড় টানি।" এভাবেই 'নোঙর' কবিতাটি কবির আকাঙ্ক্ষার অপূর্ণতা ও আক্ষেপের বেদনায় ধূসর হয়ে উঠেছে।


প্রশ্নঃ 'নোঙর' একটি প্রতীকী কবিতা - আলোচনা করো।

উত্তরঃ প্রতীককে ইংরেজিতে বলে Symbol বা চিহ্ন। যখন মনের ভাবকে প্রকাশ করে, তখন তাকে বলে প্রতীক।

কবি অজিত দত্তর 'নোঙর' কবিতায় নানা প্রতীকে হৃদয়ের অনুভূতির ব্যঞ্জনা ধরা পড়েছে। 'নোঙর'-কে তিনি বন্ধনের প্রতীকরূপে আর পরিচিত বাস্তবজগৎকে নদীর তটের প্রতীকরূপে ব্যবহার করেছেন। বাস্তব প্রয়োজনের জগতের বাইরের জগৎকে তিনি 'দূর সিন্ধুপার' বা 'সপ্তসিন্ধুপার' বলে অভিহিত করেছেন। সেই বহুদূর কায়নিক জগতে পাড়ি দিতে চেয়েও কবির জীবন-নৌকা নোঙরে বাঁধা পড়েছে। জোয়ারের ঢেউগুলি কবির জীবনের স্বপ্ন-আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক নৌকায় মাথা ঠুকে অর্থাৎ কবির মনের দরজায় মাথা ঠুকে ব্যর্থ হয়ে তারা সমুদ্রের দিকে ছুটে যায়। সেই দূর সমুদ্রে পাড়ি দিতে চেয়েছিলেন কবিও। কাছি যেন বাস্তবজীবনের নানা সম্পর্কের সূত্র। জোয়ারভাটা হল জীবনের উত্থানপতন, আশা-নিরাশার প্রতীক। নোঙর যেমন স্থিতি বা বন্ধন, তেমনি স্রোত হল গতির প্রতীক। 'বাণিজ্য' 'পণ্য' এগুলি হল লাভক্ষতিময় জীবন-জীবিকা ও সৃষ্টিসম্পদের প্রতীক। এভাবেই প্রতীকের সাহায্যে তৈরি করা হয়েছে কবিতার ব্যঞ্জনা। তাই সবদিক বিচার করে 'নোঙর'-কে একটি আদর্শ প্রতীকী কবিতা বলা যায়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

3 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

LightBlog

Below Post Ad

LightBlog

AdsG

close