Class 7Geography
প্রথম অধ্যায়
পৃথিবীর গতি
(১) মহাকর্ষ বল বলতে কী বোঝো?
উত্তরঃ মহাবিশ্বের যে কোনো দুটি বস্তু কণার মধ্যবর্তী আকর্ষণ বলকে। মহাকর্ষ বল বলে।
(২) পৃথিবীর অক্ষ কাকে বলে?
উত্তরঃ যে কল্পিত রেখার চারিদিকে পৃথিবী আবর্তন করে। সেটাই পৃথিবীর অহ্ম।
(৩) মুক্তিবেগ কি?
উত্তরঃ কোনো বস্তুকে প্রতি সেকেন্ডে ১১.২ কিমি গতিবেগে ওপরের দিকে ছুড়তে পারলে একে বলে মুক্তিবেগ।
(৪) পৃথিবীর কক্ষপথ বলতে কী বোঝো?
উত্তরঃ যে নির্দিষ্ট পথ ধরে পৃথিবী সূর্যকে প্রদহ্মিন করে তাকে পৃথিবীর অক্ষ বলে। আর এই অক্ষ বরাবর পৃথিবীযে পথে প্রতিনিয়ত ঘুরতে থাকে তাকে পৃথিবীর কক্ষপথ বলে।
(৫) পৃথিবীর অপসূর ও অনুসূর অবস্থান বলতে কী বোঝো?
উত্তরঃ ৪ জুলাই সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব সবচেয়ে বেশি হয় (প্রায় ১৫ কোটি ২০ লক্ষ কিমি )একে পৃথিবীর অপসূর অবস্থান বলা হয়।
৩ জানুয়ারি সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব সবচেয়ে কম হয়(প্রায় ১৪ কোটি ৭০ লক্ষ কিমি) একে পৃথিবীর অনুসূর অবস্থান বলা হয়।
(৬) চন্দ্রমাস কি?
উত্তরঃ পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদ পৃথিবীকে প্রায় ২৭ ১/3 দিনে প্রদক্ষিণ করে। এই সময়টাকে চন্দ্রমাস বলে।
(৭) সৌর বছর বলতে কী বোঝো?
উত্তরঃ পৃথিবী সূর্যকে প্রায় ৩৬৫ দিনে একবার প্রদহ্মিন করে। এই সময়টাকে সৌরবছর বলে।
(৮) অধিবর্ষ বা লিপ ইয়ার কাকে বলে?
উত্তরঃ ৪ বছর অন্তর অন্তর ফেব্রুয়ারি মাসের সঙ্গে ১দিন যোগ হয়। ওই সময়টাকে অধিবর্ষ বা লিপ ইয়ার বলে।
(৯) সূর্যের আলোক রশ্মির কত ভাগের কত ভাগ পৃথিবীতে এসে পৌঁছায়?
উত্তরঃ ২০০ কোটি ভাগের ১ভাগ পৃথিবীতে এসে পৌছায়।
(১০) পৃথিবীর অক্ষ কক্ষতলের সঙ্গে কত ডিগ্রি কোণ করে হেলে থাকে?
উত্তরঃ সাড়ে ৬৬ ডিগ্রি কোণ করে হেলে থাকে।
(১১) দৈনিক আপাত গতি বলতে কী বোঝো?
উত্তরঃ পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে আবর্তন করছে বলে আপাত দৃষ্টিটে সূর্য কে প্রতিদিন পূর্ব আকাশ থেকে পশ্চিম আকাশে চলাচল করছে বলে মনে হয়। এই সময়টাকে দৈনিক আপাত গতি বলে।
(১২) রবি মার্ক বা বার্ষিক আপাত গতি কাকে বলে?
উত্তরঃ আপাতভাবে মনে হয় যে সূর্য পৃথিবীর বিষুব রেখা থেকে উত্তরে কর্কটক্রান্তি রেখা পর্যন্ত এবং দহ্মিনে মকরক্রান্তি রেখা পর্যন্ত চলাচল করে। এটাই সূর্যের বার্ষিক আপাতগতি বা রবিমার্গ।
(১৩) উত্তরায়ন ও দক্ষিনায়ন কি?
উত্তরঃ সূর্য যখন মকর রাশি থেকে মিথুন রাশিতে উত্তর দিকে যায় তখন তাকে উত্তরায়ন বলে।
সূর্য যখন কর্কট থেকে ধনু রাশিতে দহ্মিন দিকে গমন করে তখন তাকে দহ্মিনায়ন বলা হয়।
(১৪) বিষুব কথাটির অর্থ কি?
উত্তরঃ বিষুব কথাটির অর্থ সমান দিন ও রাত।
(১৫) বসন্তকালীন বিষুব বা মহাবিষুব বলতে কী বোঝো?
উত্তরঃ পৃথিবীর সর্বত্র দিন - রাত্রির দৈর্ঘ্য সমান হয়। তাই এই ২১ শে মার্চ তারিখকে মহাবিষুব বলা হয়। এই ২১ শে মার্চ উত্তর গোলার্ধে বসন্ত ঋতু বিরাজ করে বলে ওই দিনটাকে বসন্তকালীন বিষব বলা হয়।
(১৬) শরৎকালীন বিশুবা জলবিষুব বলতে কী বোঝো?
উত্তরঃ সেপ্টেম্বর -অক্টবর মাসে আবহাওয়া ঠান্ডা গরমের মাঝামাঝি থাকে। উত্তর গোলার্ধে এই সময় শরৎকাল। একারণে ২৩ সেপ্টেম্বরের বিষুব কে শরৎকিলীন বিষুব বা জলষুব বলে।
(১৭) মধ্যরাতের সূর্যের দেশ কাকে এবং কেন বলা হয়?
উত্তরঃ মধ্যরাতের সূর্যের দেশ নরওয়েকে বলে।
সূর্য অস্তমিত হওয়ার স্থানে যাওয়ার পর বাম থেকে ডানে আবর্তিত হতে থাকে এবং সারা রাত্রি এ অবস্থায় থাকে। এই ঘটনার জন্যে নরওয়ে কে মধ্যরাতের সূর্যের দেশ বলা হয়।
(১৮) মেরুপ্রভা বা অরোরা বলতে কী বোঝো?
উত্তরঃ মেরু অঞ্চলে ৮০-৩০০ কিমি উচ্চতায় একপ্রকার মৃদু বর্ণিল আলোকচ্ছটা দেখা যায় যাকে মেরুপ্রভা বা আরোর বলে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
0 মন্তব্যসমূহ