Madhyamik Bengali Question Paper 2022 WBBSE
West Bengal Class 10 madhyamik bengali question paper 2022. West Bengal Board of Secondary Education Class 10 Bengali Question Papers 2022. WB Secondary Class 10 Bengali Question Paper 2022. West Bengal Class 10 madhyamik question paper 2022 pdf download. Madhyamik Bengali Question Paper 2022 PDF Download - PDF File. WB Question Paper 2022 for 10th class. Madhyamik Question Paper 2022 Bengali Subject Download.
WBBSE 10th Class Question Paper 2022
২০২২
বাংলা
প্রথম ভাষা
সময় - ৩ ঘন্টা ১৫ মিনিট
প্রথম ১৫ মিনিট শুধু প্রশ্নপত্র পড়ার জন্য এবং বাকি ৩ ঘন্টা উত্তর লেখার জন্য
[নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের জন্য পূর্ণমান - ৯০
বহিরাগত পরীক্ষার্থীদের জন্য পূর্ণমান - ১০০]
১। যেকোনো সতেরোটি প্রশ্নের সঠিক উত্তর নির্বাচন করো:
১.১ পত্রিকায় প্রকাশ পাওয়া তপনের গল্পটির নাম -
(ক) স্কুলের গল্প
(খ) একদিন
(গ) প্রথম দিন
(ঘ) রাজার কথা
উত্তর:(গ) প্রথম দিন
১.২ গিরীশ মহাপাত্রের বয়স -
(ক) চল্লিশ -বিয়াল্লিশ
(খ) ত্রিশ-বত্রিশের অধিক নয়
(গ) পঞ্চাশ-পঞ্চান্ন
(ঘ) পঞ্চাশের কাছাকাছি
উত্তর:(খ) ত্রিশ-বত্রিশের অধিক নয়
১.৩ জগদীশবাবু বিরাগী কে প্রনামী দিতে চেয়েছিলেন -
(ক) এক হাজার টাকা
(খ) পাঁচশো টাকা
(গ)একশো এক টাকা
(ঘ) একশো টাকা
উত্তর:(ঘ) একশো টাকা
১.৪ "কাল ঘোমটার নিচে অপরিচিত ছিল" -কি অপরিচিত ছিল?
(ক) তোমার চেতনাতীত রূপ
(খ) তোমার রহস্যময় রূপ
(গ) তোমার আরণ্যক রূপ
(ঘ) তোমার মানব রূপ
উত্তর: (ঘ) তোমার মানব রূপ
১.৫"আমাদের ডান পাশে" -
(ক) টাকা
(খ) বাঁধ
(গ) ধ্বস
(ঘ) পথ
উত্তর:(গ) ধ্বস
১.৬ "অট্টরোলের হট্টগোলে স্তব্ধ" -
(ক) চরাচর
(খ) মহাকাল
(গ) গগনতল
(ঘ) গিরিশিখর
উত্তর:(ক) চরাচর
১.৭ লেখক শ্রীপান্থের ছেলেবেলায় দেখা দারোগা বাবুর কলম থাকতো -
(ক) কলারের ভাজে আটা
(খ) কোমরের বেল্টে আটকানো
(গ) কাদের ছোট পকেটে সাজানো
(ঘ) পায়ের মোজা গোঁজা
উত্তর: (ঘ) পায়ের মোজা গোঁজা
১.৮ উনিশ শতকে বত্রিশ হাজার অক্ষর লেখানো যেতো -
(ক) পনেরো আনায়
(খ) বারো আনায়
(গ) ষোলো আনায়
(ঘ) দশ আনায়
উত্তর: (খ) বারো আনায়
১.৯ 'কঙ্কাবতী' ও 'ডমরুধর' এর স্বনামধন্য লেখকের নাম -
(ক) তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
(খ) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
(গ) ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়
(ঘ) বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
উত্তর:(গ) ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়
১.১০ বিভক্তি শব্দের অর্থ কি?
(ক) বিভাজন
(খ) সংকোচন
(গ) প্রসারণ
(ঘ) সংযোজন
উত্তর:(ক) বিভাজন
১.১১ কলমে কায়স্থ চিনি-নিম্নরেখ পদটি -
(ক) অপাদান কারক
(খ) কর্তৃ কারক
(গ) করণ কারক
(ঘ) কর্মকারক
উত্তর:(গ) করণ কারক
১.১২ পেশি কি খোলাই না খেললো-কি জাতীয় কর্ম?
(ক) উহ্য কর্ম
(খ) সমধাতুজ কর্ম
(গ) কর্মের বীপ্সা
(ঘ) উপবাক্যীয় কর্ম
উত্তর:(খ) সমধাতুজ কর্ম
১.১৩ আর কাউকে পায়ের ধুলো নিতে দেননি সন্ন্যাসী-নিম্নরেখ পদটি -
(ক) ক্রিয়া বাচক পদ
(খ) সম্মোধন পদ
(গ) কর্মকারক
(ঘ) সম্বন্ধ পদ
উত্তর: (খ) সম্মোধন পদ
১.১৪ সমাসের মূল অর্থ -
(ক) বর্ণের সাথে বর্ণের মিলন
(খ) নাম পদের সাথে ক্রিয়াপদের মিলন
(গ) একাধিক পদের একটি পদে পরিণতি লাভ
(ঘ) ক্রিয়াপদের সাথে ক্রিয়াপদের মিলন
উত্তর: (গ) একাধিক পদের একটি পদে পরিণতি লাভ
১.১৫ বুড়োমানুষের কথটা শুনো - নিম্নলিখিত পদটি যে সমাসের উদাহরণ সেটি হল -
(ক) বহুব্রীহি সমাস
(খ) কর্মধারয় সমাস
(গ) তৎপুরুষ সমাস
(ঘ) অব্যয়ীভাব
উত্তরঃ (গ) তৎপুরুষ সমাস
১.১৬ 'দশানন' -এর সমাস হল -
(ক) দ্বিগু
(খ) বহুব্রীহি
(গ) অব্যয়ীভাব
(ঘ) কর্মধারয়
উত্তরঃ (খ) বহুব্রীহি
১.১৭ পূর্বপদের বিভক্তি লুপ্ত হয়ে পরপদের অর্থ প্রাধান্য পায় যে সমাসে সেটি হল -
(ক) বহুব্রীহি সমাস
(খ) অব্যয়ীভাব সমাস
(গ) তৎপুরুষ সমাস
(ঘ) নিত্য সমাস
উত্তরঃ (গ) তৎপুরুষ সমাস
২। কম-বেশি ২০টি শব্দে প্রশ্নগুলির উত্তর দাও ঃ
২.১ যে - কোনো চারটি প্রশ্নের উত্তর দাও ঃ
২.১.১ তপন মামার বাড়িতে কেন এসেছিল?
উত্তরঃ ছোটো মাসির বিয়েতে এসেছিল
২.১.২ "শুধু এই দুঃখের মুহুর্তে গভীরভাবে সংকল্প করে তপন," - সংকল্পটি কী?
উত্তরঃ যদি কখনো লেখা ছাপাতে দেয় তো সে নিজে গিয়ে দেবে, যদিও তার কাঁচা হাতে লেখা হোক।
২.১.৩ "আর যাই হোক, যাঁকে খুজছেন তাঁর কালচারের কথাটা একবার ভেবে দেখুন।" - তার খোঁজার কারণ কী?
উত্তরঃ পলিটিক্যাল সাসপেক্ট সব্যসাচী মল্লিক
২.১.৪ "মাস্টারমশাই একটুও রাগ করেননি। বরং একটু তারিফই করলেন" - 'তারিফ' করার কারণ কী?
উত্তরঃ হরিদার পুলিশের সাজাটা মাস্টারমশায়ও ধরতে পারেন নি তাই খুশি হয়ে তাঁকে একটু তারিফ করলেন।
২.১.৫ "কিন্তু ওই ধরণের কাজ হরিদার জীবনের পছন্দই নয়।" - কী ধরনের কাজ হরিদার অপছন্দ?
উত্তরঃ একঘেয়ে সময় বেঁধে চলা কাজ
২.২ যে-কোনো চারটি প্রশ্নের উত্তর দাও ঃ
২.২.১ "সেই হোক তোমার সভ্যতার শেষ পুণ্যবাণী।" - 'সভ্যতার শেষ পুণ্যবাণী' -টি কী?
উত্তরঃ ক্ষমা কর
২.২.২ "আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি" - কবিতাটির রচয়িতা কে?
উত্তরঃ শঙ্ক ঘোষ
২.২.৩ "তারপর যুদ্ধ এলো" - যুদ্ধ কেমনভাবে এলো?
উত্তরঃ রক্তের এক আগ্নেয় পাহাড়ের মত
২.২.৪ "এবার মহানিশার শেষে" - কে আসবে?
উত্তরঃ আসবে উষা
২.২.৫ "এ কলঙ্ক, পিতাঃ, ঘুষিবে জগতে।" - বক্তা কোন্ কলঙ্কের কথা বলেছেন?
উত্তরঃ মেঘনাথ থাকতে তার বাবা অর্থাৎ রাবন যুদ্ধে যাবে এটাই কলঙ্ক
২.৩ যে-কোনো তিনটি প্রশ্নের উত্তর দাওঃ
২.৩.১ "এই নেশা পেয়েছি আমি শরৎদার কাছ থেকে।" - কোন্ নেশার কথা বলা হয়েছে?
উত্তরঃ ফাউন্টেন পেনে লেখা
২.৩.২ "অনেক ধরে ধরে টাইপ-রাইটারে লিখে গেছেন মাত্র একজন।" - কার কথা বলা হয়েছে?
উত্তরঃ অন্নদাশঙ্কর রায়
২.৩.৩ "কলম তাদের কাছে আজ অস্পৃশ্য।" - কাদের কাছে অস্পৃশ্য?
উত্তরঃ পকেট মারদের কাছে
২.৩.৪ "সোনার দোয়াত কলম যে সত্যই হতো;" - বক্তা সোনার দোয়াত কলমের কথা কীভাবে জেনেছিলেন?
উত্তরঃ সুভো ঠাকুরের কাছে থেকে
২.৪ যে-কোনো আটটি প্রশ্নের উত্তর দাও ঃ
২.৪.১ সমাস কাকে বলে?
উত্তরঃ পরস্পর অর্থ সম্পর্কিত দুই বা তার চেয়ে বেশি পদের একপদে রূপান্তরিত হওয়াই হল সমাস।
২.৪.২ রত্নাকর - শব্দটির ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম লেখো।
উত্তরঃ রত্নাকর = রত্নের আকর (সম্বন্ধ তৎপুরুষ)
২.৪.৩ ক্ষুদ্র গ্রহ - ব্যাসবাক্যটিকে সমাসবদ্ধ করে সমাসের নাম লেখো।
উত্তরঃ ক্ষুদ্র গ্রহ = উপগ্রহ অব্যয়ীভাব
২.৪.৪ একটি নিত্য সমাসের উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ দেশান্তর = অন্য দেশ
২.৪.৫ উপপদ তৎপুরুষ সমাস কাকে বলে?
উত্তরঃ উপপদের সাথে কৃদন্ত পদের সমাসকে উপপদ তৎপুরুষ বলে।
২.৪.৬ প্রযোজ্য কর্তার একটি উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ বিকাশ রামকে অঙ্ক করাচ্ছে।
২.৪.৭ শূন্য বিভক্তি কাকে বলে?
উত্তরঃ যে শব্দ বিভক্তি চিহ্ন শব্দে যুক্ত হয়ে নিজে অপ্রকাশিত থাকে এবং শব্দতে পরিণত করে তাকে শূন্য বিভক্তি বলে।
২.৪.৮ সম্বন্ধ পদের বিভক্তি কী কী?
উত্তরঃ 'র' বা 'এর'
২.৪.৯ একটি যৌগ কর্মের উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ সুরেশ কমলকে ভাত দিচ্ছে।
২.৪.১০ নিম্নরেখ পদটির কারক ও বিভক্তি নির্ণয় করো ঃ
চিঠি পকেটে ছিল।
উত্তরঃ অধিকরণ কারকের 'এ' বিভক্তি
৩। প্রসঙ্গ নির্দেশসহ কম-বেশি ৬০টি শব্দে উত্তর দাও ঃ
৩.১ যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও ঃ
৩.১.১ "পত্রিকাটি সকলের হাতে হাতে ঘোরে," - কোন্ পত্রিকা, কেন সকলের হাতে হাতে ঘুরছিল?
উত্তরঃ ছোটোমেসোর আগ্রহে তপনের লেখা প্রথম গল্প সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছাপা হয়ে তার হাতে এলে সূচিপত্রে ছাপার অক্ষরে নিজের নাম ও গল্পের নাম দেখে সে আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওঠে।
ছাপার অক্ষরে নিজের লেখা গল্প প্রকাশিত হওয়ার আনন্দ তপন খুঁজে পায় না। সে সূচিপত্রে গল্পের নাম ও নিজের নাম দেখেছে। কিন্তু পত্রিকাটি হাতে পায়নি। পরিবারের আর সকলে তা দেখেছে।
৩.১.২ "তার লাঞ্ছনা এই কালো চামড়ার নীচে কম জ্বলে না" - বক্তা কে? তার কোন্ লাঞ্ছনার কথা বলা হয়েছে?
উত্তরঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের 'পথের দাবী' রচনাংশে অপূর্ব রামদাসকে একথা বলেছিল।
কয়েকজন ফিরিঙ্গি যুবক অপূর্বকে লাথি মেরে প্ল্যাটফর্ম থেকে বের করে দিয়েছিল। অপূর্বর কোনো দোষ ছিল না। তাই সে স্টেশন মাস্টারের কাছে গিয়েছিল প্রতিবাদ জানাতে। কিন্তু ভারতীয় হওয়ার অপরাধে সাহেব স্টেশন মাস্টার অপূর্বকে তার নিজের দেশের স্টেশন থেকে কুকুরের মতো দূর করে তাড়িয়ে দিয়েছিল। প্রশ্নে উল্লিখিত অংশে এই লাঞ্ছনার কথা বলা হয়েছে।
৩.২ যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও ঃ
৩.২.১ "তারা আর স্বপ্ন দেখতে পারল না।" - 'তারা' কারা? কেন স্বপ্ন দেখতে পারল না?
উত্তরঃ পাবলো নেরুদার লেখা অসুখী একজন কবিতায় আলোচ্য উদ্ধৃতাংশটিতে মন্দিরের শান্ত হলুদ দেবতাদের কথা বলা হয়েছে।
বিধ্বংসী যুদ্ধ সমাজ ও সভ্যতাকে বিনাশের মুখোমুখি এনে দাঁড় করিয়ে দেয়। মানুষের বসতি, মানুষের পরিবার-পরিজন, হাতেগড়া সৃষ্টি - সমস্ত কিছুই বিনষ্ট হয়। বাদ যায় না মন্দিরও।
আলোচ্য প্রসঙ্গে কবি বলতে চেয়েছেন, মন্দিরের চার দেয়ালের মধ্যে রক্ষিত প্রাচীন, সুমহান দেবতাদের মূর্তি, যার ধ্যানমগ্ন রূপ মানুষকে পরিতৃপ্ত করত, তা-ও যুদ্ধের তান্ডবে টুকরো টুকরো হয়ে যায়। ধ্যানমগ্ন হয়ে নবসৃষ্টি স্বপ্ন দেখা তাদের পক্ষে আর সম্ভব হয় না। বস্তুত, কবি এখানে দেবতাদের অস্তিত্বের অর্থহীনতাকে ইঙ্গিত করেছেন।
৩.২.২ "কে কবে শুনেছে পুত্র, ভাসে শিলা জলে" - বক্তা কে? তাঁর একথা বলার কারণ কী?
উত্তরঃ মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত মেঘনাদবধ কাব্য - এর অন্তর্গত অভিষেক শীর্ষক কাব্যাংশ থেকে উদ্ধৃতিটি গৃহীত হয়েছে। উক্তিটি করেছেন - লঙ্কাধিপতি রাবণ।
রঘুবীর রামচন্দ্র তাঁর স্ত্রী সীতাদেবীকে উদ্ধারের জন্য সমুদ্রে ভাসমান শিলা দিয়ে সেতু নির্মান করেন এবং সেই সেতুর সাহায্যে সমুদ্র পার করে লঙ্কায় প্রবেশ করেন। শিলা বা প্রস্তরখন্ড সাধারণত ভারী হয় বলে, তা জলে ডুবে যায়। কিন্তু দেবতার আশীর্বাদে রামচন্দ্র ও তাঁর অনুচরদের ব্যবহৃত শিলা জলে ভেসেছিল।
আবার, মহাবলী মেঘনাদ রাত্রিকালীন যুদ্ধে পুনরুজ্জীবিত রামচন্দ্রকে হত্যা করার পরেও আশ্চর্য মায়াবলে তিনি পুনরুজ্জীবিত হয়ে উঠে বীরবাহুকে হত্যা করেন। তাই প্রস্তরখন্ডের জলে ভাসা এবং সামান্য মানুষের পুনরায় বেঁচে ওঠা - এই দুটি ঘটনাই রাবণের কাছে আশ্চর্যজনক বলে মনে হয়েছে। সেইসঙ্গে তিনি এও মনে করেছেন, তাই এমন সব ঘটনা ঘটেছে।
৪। কম-বেশি ১৫০ শব্দে যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও ঃ
৪.১ "বাবুটির স্বাস্থ্য গেছে। কিন্তু শখ ষোলোয়ানাই বজায় আছে।" - বাবুটি কে? তাঁর স্বাস্থ্য ও শখের পরিচয় দাও।
উত্তরঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পথের দাবী উপন্যাসের পাঠ্য অংশে বক্তা নিমাইবাবু গিরীশ মহাপাত্র সম্পর্কে আলোচ্য উক্তিটি করেছেন।
ত্রিশ-বত্রিশ বছর বয়সি গিরীশ মহাপাত্রর চেহারা অত্যন্ত রোগা, সামান্য কাশির দমকেই সে হাঁপিয়ে ওঠে। তাকে দেখে আশঙ্কা হয়, সে বুঝি কোনো দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত। যদিও তার বেশভূষা অত্যন্ত বাহারি ও পরিপাটি। তার মাথায় ছোটো করে ছাঁটা চুলে সুগন্ধি তেল, পরনে জাপানি সিল্কের রামধনু রঙের চুড়িদার পাঞ্জাবি ও বিলিতি মিলের কালো মখমল পাড়ের শাড়ি, বুক-পকেটে বাঘ-আঁকা রুমাল, পায়ে হাঁটু পর্যন্ত লাল ফিতে দিয়ে বাঁধা সবুজ মোজা, বার্নিশ করা লোহার নাল বাঁধানো পাম্প শু ও হাতে হরিণের শিঙের হাতল দেওয়া বেতের ছড়ি - এ সমস্ত কিছুই শৌখিন বাবুয়ানির পরিচায়ক, যা দেখে নিমাইবাবু রসিকতার ছলে উক্তিটি করেছেন।
৪.২ "অথচ আপনি একেবারে খাঁটি সন্ন্যাসীর মতো সব তুচ্ছ করে সরে পড়লেন?" - কার কথা বলা হয়েছে? তিনি কীভাবে 'খাঁটি সন্ন্যাসীর মতো' ব্যবহার করেছিলেন সংক্ষেপে আলোচনা করো।
উত্তরঃ বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় কথাশিল্পী সুবোধ ঘোষের লেখা বহুরূপী গল্প থেকে নেওয়া উদ্ধৃতাংশে হরিদার বলা অদ্ভুত কথাটি হল - "শত হোক, একজন বিরাগী সন্ন্যাসী হয়ে টাকা-ফাকা কী করে স্পর্শ করি বল? তাতে যে আমার ঢং নষ্ট হয়ে যায়।"
হরিদার বিরাগী বেশ দেখে জগদীশবাবু অপলক হয়ে যান। ধর্মভীরু জগদীশবাবু তাঁর কাছে উপদেশ শুনতে চান, তাঁকে বাড়িতে কিছুদিন থাকতেও বলেন। কিন্তু বিরাগীবেশী হরিদা থাকেননি।
সন্ন্যাসী অর্থের লোভ সংবরণ করতে না পারলেও দরিদ্র হরিদা তাঁর বহুরূপী সাজের সততা ও যাথার্থ্য রক্ষার জন্য প্রায় এক বছরের রোজগারের সমান অর্থের লোভ ত্যাগ করেছিলেন। দু-চার আনা দয়ার দানে বেঁচে থাকা মানুষটি শিল্পের প্রতি গভীরভাবে একনিষ্ঠ। কিন্তু জীবনের কষ্টটুকু তাতে দূর হয় না। যদিও, এই নিয়ে তাঁর আক্ষেপ নেই। এভাবেই আলোচ্য গল্পে হরিদার জীবনের এক অনিঃশেষ দুর্দশার বাস্তব চিত্র প্রতিফলিত হয়েছে এবং হরিদা হয়ে উঠেছেন ট্র্যাজিক চরিত্র।
৫। কম-বেশি ১৫০ শব্দে যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও ঃ
৫.১ "এল মানুষ-ধরার দল" - কোথায় এল? 'মানুষ-ধরার দল' এসে কী করেছিল?
উত্তরঃ আফ্রিকা কবিতায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অত্যাচারী ইউরোপিয়ান রাষ্ট্রগুলিকে মানুষ-ধরার দল -এর সঙ্গে তুলনা করেছেন।
আলোচ্য প্রসঙ্গে আফ্রিকা মহাদেশের দীর্ঘকাল বঞ্চিত হয়ে থাকবার ইতিহাস আলোচিত হয়েছে। সুদীর্ঘ সময় যাবৎ আফ্রিকার অফুরান সম্পদ তথাকথিত সভ্য মানুষের দৃষ্টির বাইরে ছিল। এই লুক্কায়িত ভান্ডার অবশেষে ইউরোপের শক্তিধর রাষ্ট্রগুলির নজরে এলে, তারা পরস্পর শোষণের প্রতিযোগিতার সামিল হয়। আফ্রিকার প্রাকৃতিক সম্পদ লুঠ করার পাশাপাশি এখানকার আদিম অধিবাসীদের তারা বেঁধে নিয়ে গিয়ে ইউরোপের বাজারে ক্রীতদাস হিসেবে বিক্রি করে। শোষক রাষ্ট্রসমূহের এই মানসিকতা ও কাজকর্মকে সমালোচনা করেই কবি তাদের মানুষ-ধরার দল হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
৫.২ "তোরা সব জয়ধ্বনি কর।" - কবির এই কথা বলার কারণ সংক্ষেপে লেখো।
৬। কম-বেশি ১৫০ শব্দে যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও ঃ
৬.১ "আশ্চর্য, সবই আজ অবলুপ্তির পথে।" - 'সবই' -র পরিচয় দাও। উল্লিখিত বিষয়টি কীভাবে আজ 'অবলুপ্তির পথে' আলোচনা করো।
৬.২ "তাই কেটে কাগজের মতো সাইজ করে নিয়ে আমরা তাতে 'হোম-টাস্ক' করতাম।" - কিসে 'হোম-টাস্ক" করা হতো? 'হোম-টাস্ক' করার সম্পূর্ণ বিবরণ দাও।
৭। কম-বেশি ১২৫ শব্দে যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও ঃ
৭.১ "বাংলার ভাগ্যাকাশে আজ দুর্যোগের ঘনঘটা, তার শ্যামল প্রান্তরে আজ রক্তের আলপানা" - বক্তা কে? কোন্ দুর্যোগের কথা বলা হয়েছে?
৭.২ "ওকে ওর প্রাসাদে পাঠিয়ে দিন জঁহাপনা। ওর সঙ্গে থাকতে আমার ভয় হয়।" - বক্তা কে? তার এরকম ভয় হওয়ার কারণ কী?
৮। কম-বেশি ১৫০ শব্দে যে-কোনো দুটি প্রশ্নের উত্তর দাও ঃ
৮.১ 'ইচ্ছে থাকলেও ওকে সাঁতার শেখাবার সামর্থ্য আমার নেই।" - কে বলেছিল? তার পরিচয় সংক্ষেপে উল্লেখ করো।
৮.২ "বিষ্টু ধরের বিরক্তির কারণ হাত পনেরো দূরের একটা লোক।" - বিষ্টু ধরের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দিয়ে তার বিরক্তির কারণ উল্লেখ করো।
৮.৩ চিড়িয়াখানায় কোনিকে নিয়ে বেড়াতে গিয়ে কী ঘটেছিল? এই ঘটনা থেকে ক্ষিতীশের কী মনে হয়েছিল?
৯। চলিত গদ্যে বঙ্গানুবাদ করো ঃ
Newspaper reading has become an essential part of our life. As we get up in the morning we wait eagerly for a daily paper. Twentieth Century was an age of newspaper. Though Newspapers we gather infomation about different countries of the world.
১০। কম-বেশি ১৫০ শব্দে যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও ঃ
১০.১ অতিমারীর পরিবেশে মাস্ক পরা ও হাত ধোয়ার প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে একটি কাল্পনিক সংলাপ রচনা করো।
১০.২ তোমাদের পাড়ায় একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল? এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন রচনা করো।
১১। কম-বেশি ৪০০ শব্দের যে-কোনো একটি বিষয়ে প্রবন্ধ রচনা করো ঃ
১১.১ বর্তমান জীবনে বিজ্ঞান
১১.২ পরিবেশ ও মানুষ
১১.৩ তোমার দেখা একটি মেলা
১১.৪ একটি নদীর আত্মকথা
পোস্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও উত্তরঃ
প্রশ্নঃ মাধ্যমিক বাংলার সম্পূর্ণ সাজেশনটি কোথা থেকে পাওয়া যাবে?
উত্তরঃ আমাদের প্রকাশিত মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২৩ -এর সম্পূর্ণ পার্ট নিচে দেওয়া লিঙ্ক থেকে সম্পূর্ণ ফ্রী-তে ডাউনলোড করে নিতে পারো।
মাধ্যমিক সাজেশন ২০২৩ অ্যাপ ফ্রী
প্রশ্নঃ এই সাজেশনে কি MCQ বা VSQ আছে?
উত্তরঃ হ্যাঁ।
প্রশ্নঃ এই সাজেশনটির উপর কি বিশ্বাস করা যায়?
উত্তরঃ তোমাদের প্রথমেই বলে রাখি তোমরা সবার আগে টেক্স বইগুলি ভালোভাবে পড়েবে। আর তার পর তোমরা যে কোনো সাজেশন পড়তে পারো।
প্রশ্নঃ এই সাজেশনগুলির কি কোনো PDF পাওয়া যাবে?
উত্তরঃ অবশ্যই। নিচে দেওয়া লিঙ্ক থেকে তোমরা খুবই সামান্য পেমেন্ট করে ডাউনলোড করে নিতে পারো।
প্রশ্নঃ এই সাজেশন থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় কি কোনো কমন পাওয়া যাবে?
উত্তরঃ হ্যাঁ। এই সাজেশনে ছোটো প্রশ্ন থেকে সকল বড়ো প্রশ্ন আমাদের টিমের অভিজ্ঞ শিক্ষিক দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। তাই আশা করি তোমরা যদি নিজের উপর বিশ্বাস করো তো আমাদের এই সাজেশনগুলিকেও বিশ্বাস করতে পারো।
প্রশ্নঃ এই সাজেশনে কি সকল অধ্যায় সম্পর্কে আলোচনা করা আছে?
উত্তরঃ হ্যাঁ এই সাজেশনগুলিতে সকল বিষয়ের সকল অধ্যায় সম্পর্কে আলোচনা করা আছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
0 মন্তব্যসমূহ