মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন ২০২৪ – চতুর্থ অধ্যায় – সংঘব্ধতার গোড়ার কথা : বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ
চতুর্থ অধ্যায়সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা
বিভাগ 'ক'
(১) সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লিখ :
১.১ ঝাঁসির রানী বিরুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন -
(ক) এফ উইলিয়ামস
(খ) স্যার হ্যাভলক
(গ) স্যার হিউরোজ
(ঘ) আর্ল স্ট্যানলি
উত্তর : (গ) স্যার হিউরোজ
১.২ বিখ্যাত ঔপনিবেশিক ব্যঙ্গচিত্র শিল্পী ছিলেন কোন্ চিত্রকার? -
(ক) গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর
(খ) হেমেন্দ্রনাথ ঠাকুর
(গ) বলেন্দ্রনাথ ঠাকুর
(ঘ) নন্দলাল ঠাকুর
উত্তরঃ (ক) গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর
১.৩ মহাবিদ্রোহকে 'সিপাহী বিদ্রোহ' বলে অভিহিত করেছেন এমন একজন ইংরেজ লেখকের নাম -
(ক) ভিনসেন্ট স্মিথ
(খ) এডমান্ড বার্ক
(গ) জন কে
(ঘ) কেউ নয়
উত্তর : (গ) জন কে
১.৪ সিপাহি বিদ্রোহের প্রথম শহিদ ছিলেন -
(ক) তাঁতিয়া টোপি
(খ) রানি লক্ষ্মীবাঈ
(গ) নানা সাহেব
(ঘ) মঙ্গল পান্ডে
উত্তরঃ (ঘ) মঙ্গল পান্ডে
১.৫ 1857 খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহ কে 'ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ' বলে ছিলেন -
(ক) সুভাষচন্দ্র বসু
(খ) রাজবিহারী বসু
(গ) জওহরলাল নেহেরু
(ঘ) বি ডি সাভারকার
উত্তর : (ঘ) বি ডি সাভারকার
১.৬ কাকে 'বাংলার মুকুটহীন রাজা' বলা হয় -
(ক) মনমাহোন ঘোষ
(খ) রামমোহন ঘোষ
(গ) সুরেন্দ্রনাথ বন্ধোপাধ্যায়
(ঘ) কেশবচন্দ্র সেন
উত্তরঃ (গ) সুরেন্দ্রনাথ বন্ধোপাধ্যায়
১.৭ মহারানীর ঘোষণাপত্র (1858) অনুযায়ী ভারতের 'রাজ প্রতিনিধি হিসেবে প্রথম নিযুক্ত হন' -
(ক) লর্ড ডালহৌসি
(খ) লর্ড বেন্টিঙ্ক
(গ) লর্ড ক্যানিং
(ঘ) লর্ড মাউন্টব্যাটেন
উত্তর : (খ) লর্ড ক্যানিং
১.৮ লক্ষ্মীবাঈ সিপাহি বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেন -
(ক) বাংলায়
(খ) কানপুরে
(গ) ঝাঁসিতে
(ঘ) বিহারে
উত্তরঃ (গ) ঝাঁসিতে
১.৯ ভারতের ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অবসান ঘটে -
(ক) 1947 খ্রিস্টাব্দে
(খ) 1858 খ্রিস্টাব্দে
(গ) 1855 খ্রিস্টাব্দে
(ঘ) 1959 খ্রিস্টাব্দে
উত্তর : (খ) 1858 খ্রিস্টাব্দে
১.১০ 'বন্দেমাতরম্' সংগীতটি নেওয়া হয়েছে -
(ক) আনন্দমঠ উপন্যাস থেকে
(খ) রাজসিংহ উপন্যাস থেকে
(গ) দুর্গেশনন্দিনী উপন্যাস থেকে
(ঘ) দেবী চৌধুরানি উপন্যাস থেকে
উত্তরঃ (ক) আনন্দমঠ উপন্যাস থেকে
১.১১ ভারতের প্রথম রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হল -
(ক) ভারত সভা
(খ) ল্যান্ড হোল্ডার্স সোসাইটি
(গ) ভারতের জাতীয় কংগ্রেস
(ঘ) বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা
উত্তর : (ঘ) বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা
১.১২ ভারতের প্রথম রাজনৈতিক সংগঠন ছিল -
(ক) জমিদার সভা
(খ) হিন্দু মেলা
(গ) বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা
(ঘ) ভারত সভা
উত্তরঃ (গ) বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা
১.১৩ 'আত্মীয়সভা' প্রতিষ্ঠা করেন -
(ক) দ্বারকানাথ ঠাকুর
(খ) রামমোহন রায়
(গ) কেশবচন্দ্র সেন
(ঘ) দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
উত্তর : (খ) রামমোহন রায়
১.১৪ জমিদার সভার সভাপতি ছিলেন -
(ক) দ্বারকানাথ ঠাকুর
(খ) প্রসন্নকুমার ঠাকুর
(গ) রাজকমল সেন
(ঘ) রাধাকান্ত দেব
উত্তরঃ (ঘ) রাধাকান্ত দেব
১.১৫ সর্ব প্রথম সর্বভারতীয় রাজনৈতিক আন্দোলনের সূচনা যাঁর হাত ধরে হয়, তিনি হলেন -
(ক) দাদাভাই নওরোজি
(খ) স্বামী বিবেকানন্দ
(গ) রাজা রামমোহন রায়
(ঘ) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
উত্তর : (গ) রাজা রামমোহন রায়
১.১৬ 'বর্তমান ভারত' রচনা করেন -
(ক) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
(খ) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
(গ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(ঘ) স্বামী বিবেকানন্দ
উত্তরঃ (ঘ) স্বামী বিবেকানন্দ
১.১৭ 'ভারত সভা' -র প্রথম সভাপতি ছিলেন -
(ক) শিবনাথ শাস্ত্রী
(খ) আনন্দমোহন বসু
(গ) রেভা. কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়
(ঘ) সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়
উত্তর : (ঘ) সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়
১.১৮ অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আঁকা একটি উল্লেখযোগ্য চিত্র হল -
(ক) অদ্ভুত লোক
(খ) ভারত মাতা
(গ) বিরূপ বজ্র
(ঘ) নয়াহুল্লোড়
উত্তরঃ (গ) ভারত মাতা
১.১৯ 'ভারত সভা'র কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন -
(ক) কেশবচন্দ্র সেন
(খ) সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়
(গ) হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়
(ঘ) গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর
উত্তর : (গ) হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়
১.২০ 'রাষ্ট্রগুরু' বলা হয় -
(ক) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
(খ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(গ) সুরেন্দ্রনাথ বন্ধোপাধ্যায়
(ঘ) স্বামী বিবেকানন্দ
উত্তরঃ (গ) সুরেন্দ্রনাথ বন্ধোপাধ্যায়
১.২১ 'বন্দে মাতারম' সংগীতটি যে-উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে, সেটি হল -
(ক) গোরা
(খ) সীতারাম
(গ) পথের দাবী
(ঘ) আনন্দমঠ
উত্তর : (ঘ) আনন্দমঠ
১.২২ বঙ্কিমচন্দ্রেকে 'স্বদেশিকতার গুরু' আখ্যা দিয়েছেন -
(ক) কেশবচন্দ্র সেন
(খ) স্বামী বিবেকানন্দ
(গ) দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
(ঘ) শ্রীঅরবিন্দ ঘোষ
উত্তর : (ঘ) শ্রীঅরবিন্দ ঘোষ
১.২৩ 'ভারতমাতা' চিত্রটি আঁকেন -
(ক) অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(খ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(গ) গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর
(ঘ) নন্দলাল বসু
উত্তর : (ক) অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১.২৪ ভারতের প্রথম স্বদেশী কার্টুনিস্ট ছিলেন -
(ক) গগেন্দ্রনাথ ঠাকুর
(খ) অনুপ সেন
(গ) শংকর ব্যানার্জি
(ঘ) চন্ডী লাহিড়ি
উত্তর : (ক) গগেন্দ্রনাথ ঠাকুর
১.২৫ এখানে আলাদা গোত্রের উপাদানটি হল -
(ক) বর্তমান ভারত
(খ) গোরা
(গ) আনন্দমঠ
(ঘ) ভারতমাতা
উত্তর : (ঘ) ভারতমাতা
বিভাগ 'খ'
২) অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ
উপ বিভাগ ২.১
** একটি বাক্যে উত্তর দাও :
২.১.১ ভারতের প্রথম ভাইসরয় কে ছিলেন?
উত্তর : ভারতের প্রথম ভাইসরয় লর্ড ক্যানিং।
২.১.২ কত খ্রিস্টাব্দে ভারত সভা প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তর : ভারত সভা প্রতিষ্ঠিত হয় 1876 খ্রিস্টাব্দে (26 জুলাই)।
২.১.৩ ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহের প্রত্যক্ষ কারণ কি ছিল?
উত্তর: ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে এনফিল্ড রাইফেলের টোটার প্রচলন।
২.১.৪ জমিদার সভার প্রথম সভাপতি কে ছিলেন?
উত্তর : জমিদার সভার প্রথম সভাপতি ছিলেন রাজা রাধাকান্ত দেব।
২.১.৫ বাংলার 'মুকুটহীন রাজা' নামে কে পরিচিত ছিলেন?
উত্তর : সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় 'মুকুটহীন রাজা' নামে পরিচিত ছিলেন।
২.১.৬ হিন্দুমেলার অপর নাম কি?
উত্তর: চৈত্র মেলা
২.১.৭ হিন্দু মেলার প্রথম সম্পাদক কে ছিলেন?
উত্তরঃ হিন্দু মেলার প্রথম সম্পাদক ছিলেন গণেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
২.১.৮ 'বন্দেমাতরম' সঙ্গীতটি কোন উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে?
উত্তর : 'বন্দেমাতরম' সংগীতটি 'আনন্দমঠ' উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে।
২.১.৯ কোন সিপাহি প্রথম বিদ্রোহ ঘোষণা করেন?
উত্তর: মঙ্গল পান্ডে
২.১.১০ 'বর্ত্তমান ভারত'কার লেখা?
উত্তর : 'বর্তমান ভারত' স্বামী বিবেকানন্দের লেখা।
২.১.১১ 'গোরা' উপন্যাস কবে প্রকাশিত হয়?
উত্তর : 'গোরা' উপন্যাস প্রকাশিত হয় 1910 খ্রিস্টাব্দে।
২.১.১২ স্বামী বিবেকানন্দের লেখা দুটি গ্রন্থের নাম লেখ?
উত্তর: বর্তমান ভারত ও পরিব্রাজক
২.১.১৩ গগেন্দ্রনাথ ঠাকুরের আঁকা একটি ব্যাংক কোন চিত্রের নাম লেখ।
উত্তর : গগেন্দ্রনাথ ঠাকুরের আঁকা একটি বিখ্যাত ব্যঙ্গ চিত্রের হলো 'শিক্ষার কারখানা' ।
উপ বিভাগ: ২.২
সত্য বা মিথ্যা নির্ণয় করোঃ
২.২.১ মহাবিদ্রোহের সময় ভারতের গভর্নর ছিলেন লর্ড ডালহৌসি।
উত্তর : মিথ্যা
২.২.২ বিদ্রোহী সেপাইরা দিল্লি দখল করে করে নেয় এবং মোগল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ কে ভারতের সম্রাট বলে ঘোষণা করে।
উত্তর: সত্য
২.২.৩ সিপাহী বিদ্রোহের সময় ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন উইনস্টন চার্চিল।
উত্তর : মিথ্যা
২.২.৪ ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত বাঙালি সমাজের একটি অংশ ব্রিটিশ শাসনকে ভারতের পক্ষে কল্যাণকর বলে মনে করত।
উত্তর: সত্য
২.২.৫ বি ডি সভারকর বিদ্রোহকে ভারতের 'প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ' বলেছেন।
উত্তর : সত্য
২.২.৬ ভারত সভার নেতৃবৃন্দের উদ্যোগ কলকাতায় ১৮৮৩ সালে সর্বভারতীয় জাতীয় সম্মেলন নামে মহাসভা অনুষ্ঠিত হয়।
উত্তর: সত্য
২.২.৭ সিপাহী বিদ্রোহের অবসান ঘটে 1858 খ্রিস্টাব্দে।
উত্তর : সত্য
২.২.৮ 'সংবাদ প্রভাকর' পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত।
উত্তর : সত্য
২.২.৯ 'গোরা' উপন্যাস রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ইউরোপীয় সমাজকে সমর্থ করেছিলেন।
উত্তর : মিথ্যা
২.২.১০ বিপ্লবী অরবিন্দ ঘোষ বলেছেন বিবেকানন্দই আমাদের জাতীয় জীবনের গঠনকর্তা।
উত্তর: সত্য
উপ বিভাগ ২.৩
** ক স্তম্ভের সঙ্গে খ স্তম্ভ মিলাও:
ক স্তম্ভ খ স্তম্ভ
২.৩.১) লর্ড ক্যানিং ক) প্রথম ভাইসরয়
২.৩.২) লর্ড লিটন খ) ইলবার্ট বিল
২.৩.৩) লর্ড রিপন গ) ভারত শাসন আইন
২.৩.৪) ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ঘ) অস্ত্র আইন
উত্তর : ২.৩.১) লর্ড ক্যানিং- ক) প্রথম ভাইসরয়
২.৩.২) লর্ড লিটন - ঘ) অস্ত্র আইন
২.৩.৩) লর্ড রিপন - খ) ইলবার্ট বিল
২.৩.৪) ব্রিটিশ পার্লামেন্ট - গ) ভারত শাসন আইন
ক স্তম্ভ খ স্তম্ভ
২.৩.১) 1836 খ্রিস্টাব্দে ক) জমিদার সভা
২.৩.২) 1843 খ্রিস্টাব্দে খ) বেঙ্গল ব্রিটিশ ইন্ডিয়া
২.৩.৩) 1838 খ্রিস্টাব্দে গ) বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা
২.৩.৪) 1867 খ্রিস্টাব্দে ঘ) হিন্দু মেলা
উত্তর : ২.৩.১) 1836 খ্রিস্টাব্দে - গ) বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা
২.৩.২) 1843 খ্রিস্টাব্দে - খ) বেঙ্গল ব্রিটিশ ইন্ডিয়া
২.৩.৩) 1838 খ্রিস্টাব্দে - ক) জমিদার সভা
২.৩.৪) 1867 খ্রিস্টাব্দ – ঘ) হিন্দু মেলা
ক স্তম্ভ খ স্তম্ভ
২.৩.১) হিন্দু মেলা ক) কর্নেল অলকট
২.৩.২) ভারত সভা খ) নবগোপাল মিত্র
২.৩.৩) ইন্ডিয়া লিগ গ) শিশির কুমার ঘোষ
২.৩.৪) থিওসফিক্যাল সোসাইটি ঘ) সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়
উত্তর : ২.৩.১) হিন্দু মেলা – খ) নবগোপাল মিত্র
২.৩.২) ভারত সভা ক) কর্নেল অলকট
২.৩.৩) ইন্ডিয়া লিগ – ঘ) সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়
২.৩.৪) থিওসফিক্যাল সোসাইটি – গ) শিশির কুমার ঘোষ
ক স্তম্ভ খ স্তম্ভ
২.৩.১) আনন্দমঠ ক) স্বামী বিবেকানন্দ
২.৩.২) বর্ত্তমান ভারত খ) গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর
২.৩.৩) গোরা গ) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
২.৩.৪) অদ্ভুত লোক ঘ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
উত্তর : ২.৩.১) আনন্দমঠ – গ) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
২.৩.২) বর্ত্তমান ভারত – ক) স্বামী বিবেকানন্দ
২.৩.৩) গোরা – ঘ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
২.৩.৪) অদ্ভুত লোক – খ) গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর
উপ বিভাগ: ২.৫
** নিম্ন লিখিত বিবৃতি গুলির সঙ্গে সঠিক ব্যাখ্যা টি নির্বাচন কর :
২.৫.১) বিবৃতি: ১৮৫৭ এর বিদ্রোহী বিদ্রোহীরা দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ কে ভারতের সম্রাট বলে ঘোষণা করে।
ব্যাখ্যা ১: বিদ্রোহীরা ঐক্যবদ্ধ থাকার বার্তা দিতে চেয়েছিলেন।
ব্যাখ্যা ২: দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ মোগল সম্রাট হয়ে ১৮৫৭ এর সিপাহী বিদ্রোহ যোগ দিতে রাজি হয়েছিলেন।
ব্যাখ্যা ৩: দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ বিদ্রোহী সঠিক নেতৃত্ব দিতে পারেন।
উত্তর: ব্যাখ্যা ১: বিদ্রোহীরা ঐক্যবদ্ধ থাকার বার্তা দিতে চেয়েছিলেন।
২.৫.২) বিবৃতি: উনিশ শতককে সভা সমিতির যুগ বলা হয়।
ব্যাখ্যা ১: উনিশ শতকের ভারতে বিভিন্ন রাজনৈতিক সভা সমিতি গড়ে ওঠে।
ব্যাখ্যা ২: ড. অনিল উনিশ শতককে সভা সমিতির যুগ বলে ঘোষণা করেন।
ব্যাখ্যা ৩: উনিশ শতকের সভা-সমিতি গুলির মধ্যে সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য ছিল জাতীয় কংগ্রেস।
উত্তর: ব্যাখ্যা ১: উনিশ শতকের ভারতে বিভিন্ন রাজনৈতিক সভা সমিতি গড়ে ওঠে।
২.৫.৩) বিবৃতি: আধুনিক ভারতের ভারত সভার অবদান অসামান্য।
ব্যাখ্যা ১: ভারত সভা নারী শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটায়।
ব্যাখ্যা ২: ভারত সভা জমিদারদের স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করে।
ব্যাখ্যা ৩: ভারত সভা ভারতীয়দের মধ্যে রাজনৈতিক চেতনার প্রসার ঘটানোর উদ্যোগ নেয়।
উত্তর: ব্যাখ্যা ৩: ভারত সভা ভারতের মধ্যে রাজনৈতিক চেতনার প্রসার ঘটানোর উদ্যোগ নেয়।
২.৫.৪) বিবৃতি: অবনীন্দ্রনাথ তাঁর আঁকা ভারতমাতা চরিত্রে অস্ত্র রাখেননি।
ব্যাখ্যা ১: হিন্দু দেবী লক্ষ্মীর হাতে অস্ত্র ছিল না।
ব্যাখ্যা ২: অবনীন্দ্রনাথ স্বদেশপ্রেমের ভাবনা থেকে সন্ত্রাসবাদকে দূরে রাখতে চেয়েছিলেন।
ব্যাখ্যা ৩: ভারতমাতা চিত্রটির ছিল স্বদেশ প্রেমের প্রতীক।
উত্তর: ব্যাখ্যা ২: অবনীন্দ্রনাথ স্বদেশপ্রেমের ভাবনা থেকে সন্ত্রাসবাদকে দূরে রাখতে চেয়েছিলেন।
২.৫.৫) বিবৃতি : 1857 খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহকে 'জাতীয় বিদ্রোহ' বলা যায় না।
ব্যাখ্যা : (১) এই বিদ্রোহের সমাজের সমস্ত শ্রেনির মানুষ যোগ দেয়নি।
ব্যাখ্যা : (২) এই বিদ্রোহ জাতীয়তাবাদ বিরোধী ছিল।
ব্যাখ্যা : (৩) এই বিদ্রোহে সামন্ত প্রভুদের দাপট ছিল।
উত্তর : ব্যাখ্যা : (১) এই বিদ্রোহের সমাজের সমস্ত শ্রেনির মানুষ যোগ দেয়নি।
২.৫.৬) বিবৃতি : মোগল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে রেঙ্গুনে নির্বাসন দেওয়া হয়।
ব্যাখ্যা : (১) সিপাহী বিদ্রোহে অংশগ্রহণ করা অপরাধে।
ব্যাখ্যা : (২) 'মোগল সম্রাট' উপাদী খর্ব করার জন্য।
ব্যাখ্যা : (৩) তিনি ইংরেজদের সমান্তরালের সরকার পরিচালনা করেছিলেন বলে।
উত্তর : ব্যাখ্যা : (১) সিপাহী বিদ্রোহে অংশগ্রহণ করা অপরাধে।
২.৫.৭) বিবৃতি : মহাবিদ্রোহের সময় শিক্ষিত বাঙালির সমাজ নিজেদেরকে বিদ্রোহক থেকে দূরে রেখেছিল ।
ব্যাখ্যা : (১) বিদ্রোহীদের মধ্যে জাতীয় স্বার্থের অভাব ছিল।
ব্যাখ্যা : (২) বিদ্রোহের প্রতি তাদের আস্থা ছিল না ।
ব্যাখ্যা : (৩) শ্রেণীগত স্বার্থের কারণে তাঁরা ব্রিটিশদের সমর্থন করেছিল।
উত্তর : (৩) শ্রেণীগত স্বার্থের কারণে তাঁরা ব্রিটিশদের সমর্থন করেছিল।
২.৫.৮) বিবৃতি : বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা ছিল ভারতের প্রথম রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান।
ব্যাখ্যা : (১) এই সবাই ইংরেজ-বিরোধী আন্দোলনে পরিকল্পনা গৃহীত হয়।
ব্যাখ্যা : (২) এ সভায় পাশ্চাত্য সভা ও খ্রিস্টধর্ম সমালোচিত হয়।
ব্যাখ্যা : (৩) এই সভায় ধর্ম সম্পর্কিত আলোচনার পরিবর্তে রাজনৈতিক সমস্যাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল।
উত্তর : (৩) এই সভায় ধর্ম সম্পর্কিত আলোচনার পরিবর্তে রাজনৈতিক সমস্যাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল।
২.৫.৯) বিবৃতি : 1876 খ্রিষ্টাব্দে সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ভারত সভা প্রতিষ্ঠা করেন ।
ব্যাখ্যা : (১) ইলবার্ট বিলের পক্ষে আন্দোলন করার জন্য।
ব্যাখ্যা : (২) বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীর মধ্যে জাতীয়তাবোধ জাগ্রত করে জাতীয় আন্দোলন পরিচালনা করার জন্য।
ব্যাখ্যা : (৩) ব্রিটিশ কর্তৃক কর্মচ্যুত হয়ে নিজেকে কর্মব্যস্ত রাখার জন্য।
উত্তর : ব্যাখ্যা : (২) বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীর মধ্যে জাতীয়তাবোধ জাগ্রত করে জাতীয় আন্দোলন পরিচালনা করার জন্য।
বিভাগ গ
(৩) সংক্ষিপ্ত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
প্রশ্নঃ নানা সাহেব কেন বিখ্যাত?
উত্তরঃ নানা সাহেব বিখ্যাত হওয়ার প্রধান কারণগুলি হল -
(১) তিনি ছিলেন মারাঠা পেশোয়া দ্বিতীয় বাজিরাও-এর দত্তক পুত্র ও পেশোয়াপদের উত্তরাধিকারী।
(২) যদিও নানাসাহেব সিপাহি বিদ্রোহের অংশগ্রহণের মাধ্যমে তাঁর রাজ্য উদ্ধার ব্যর্থ হন তথাপি তাঁর বীরগাথাকে স্মরণ করে সংগীত, নাটক, সিনেমাও তৈরি হয়েছে।
প্রশ্নঃ মঙ্গল পান্ডে স্মরণীয় কেন?
উত্তরঃ মঙ্গল পান্ডে যে যে কারণের জন্য স্মরণীয় তা হল -
(১) গোরু ও শুকরের চর্বি মিশ্রিত এনফিল্ড রাইফেলের টোটা ব্যবহারের বিরুদ্ধে মঙ্গল পান্ডে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন।
(২) মঙ্গল পান্ডের নেতৃত্বে সিপাহি বিদ্রোহের খবর অন্যান্য সামরিক ছাউনিতে ছড়িয়ে পড়লে উত্তর ভারতের সিপাহি বিদ্রোহের সূচনা হয়।
প্রশ্নঃ ঐতিহাসিক অনিল শীল ঊনবিংশ শতককে "সভাসমিতির যুগ" বলেছেন কেন?
উত্তরঃ ঊনবিংশ শতাব্দীর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো জাতীয়তাবাদের জন্ম। এই জাতীয়তাবাদের বিকাশের অনিবার্য ফল হিসেবে নানা সভাসমিতির জন্ম হয়। তাই ঐতিহাসিক অনিল শীল এইসময়কে সভাসমিতির যুগ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
প্রশ্নঃ মহাবিদ্রোহের ব্যর্থতার দুটি কারণ উল্লেখ করো।
উত্তরঃ মহাবিদ্রোহের ব্যর্থাতার দুটি উল্লেখযোগ্য কারণ হল -
(১) পরিকল্পনার অভাব সিপাহি বিদ্রোহের ব্যর্থতার কারণগুলির মধ্যে প্রধান কারণ।
(২) সিপাহি বা জনগণের কাছে বিদ্রোহী নেতারা কোনো সুনিদির্ষ্ট লক্ষ্য তুলে ধরতে পারেনি।
প্রশ্নঃ ভারতসভা বা ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন কাদের উদ্যোগে এবং কোথায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল?
উত্তরঃ ভারতসভা সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, আনন্দমোহন বসু, শিবনাথ শাস্ত্রী, দ্বারকানাথ গাঙ্গুলি প্রমুখের উদ্যোগে ১৮৭৬ খ্রিঃ গড়ে ওঠে। এর প্রথম অধিবেশন হয়েছিল কলকাতার অ্যালবার্ট হলে।
প্রশ্নঃ জমিদার সভা প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কী ছিল?
উত্তরঃ জমিদার সভা প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যগুলি ছিল -
(১) বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার জমিদার স্বার্থ রক্ষা করা ও জমিদারদের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা।
(২) জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় এবং সরকার কর্তৃক নিষ্কর জমির বাজেয়াপ্তকরণ বিষয়ে আন্দোলন গড়ে তোলা।
প্রশ্নঃ ইলবার্ট বিল বিতর্ক কী?
উত্তরঃ ভারতীয় কোনো বিচারকের ব্রিটিশদের শাসন করার অধিকার ছিল না। লর্ড রিপনের শাসনকালে আইনসচিব ইলবার্ট একটি বিল দ্বারা ভারতীয় বিচারকদের এই অধিকার প্রদান করেন। একে ইলবার্ট বিল বলে।
প্রশ্নঃ জাতীয়তাবাদ বলতে কী বোঝো?
উত্তরঃ জাতীয়তাবাদ হল একটি ভাবগত ধারণা। ভাষা, ধর্ম, সাহিত্য, সংস্কৃতি প্রভৃতি যে-কোনো একটি বা একাধিক কারণে যখন একটি দেশের আপামর জনসমাজের মধ্যে গভীর একাত্মাবোধ জন্মায় এবং এই জনসমাজের প্রত্যেক অংশ যখন নিজেদের একে অপরের সুখ-দুঃখের অংশীদার বলে মনে করে, তখন তাদের মধ্যে জাতীয়তাবোধের সঙ্গে দেশপ্রেম মিলিত হয়ে একটি রাজনৈতিক আদর্শ গড়ে ওঠে। এই আদর্শই জাতীয়তাবাদ নামে পরিচিত।
প্রশ্নঃ ব্রিটিশ ইন্ডিয়া অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম সভাপতি ও সম্পাদক কে ছিলেন?
উত্তরঃ প্রথম সভাপতি–রাধাকান্ত দেব। প্রথম সম্পাদক–দ্বারকানাথ ঠাকুর।
প্রশ্নঃ গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর বিখ্যাত কেন?
উত্তরঃ গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর বিখ্যাত ছিলেন কারণ -
(১) অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দাদা গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন ঔপনিবেয়াশিক এবং ভারতের একজন বিখ্যাত চিত্রকর ও কার্টুনিস্ট।
(২) তিনি অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে যৌথভাবে ইন্ডিয়ান সোসাইটি অফ ওরিয়েন্টাল আর্ট নামক শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন।
প্রশ্নঃ আনন্দমঠ উপন্যাস কে, কোন পটভূমিকায় রচনা করেন?
উত্তরঃ ১১৭৬ সনের (১৭৭০ খ্রিস্টাব্দে) মন্বস্তরের পটভূমিকায় বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় আনন্দমঠ রচনা করেন।
প্রশ্নঃ হিন্দুমেলা কেন জনপ্রিয়তা লাভ করতে পারেনি।
উত্তরঃ নবগোপাল মিত্র প্রতিষ্ঠিত 'হিন্দুমেলা' জনপ্রিয়তা না পেলেও উনিশ শতকের বিশেষ উল্লেখযোগ্য সংগঠন ছিল। এর সীমাবদ্ধতাগুলি নিম্নরূপঃ
ধর্মীয় প্রাধান্যঃ নবগোপাল মিত্র হিন্দু ভারতের পুনর্জাগরণের স্বপ্ন দেখতেন। শিক্ষিত তরুণ প্রজন্ম ও মধ্যবিত্ত শ্রেণি নবগোপাল ও তার সংগঠনের ভাবধারাকে সমর্থন করতে পারেনি।
রাজনৈতিক কর্মসূচির অভাবঃ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে গুরুত্ব না দিয়ে শুধু দেশাত্মবোধের প্রচার করায় হিন্দুমেলার উদ্যোগ বিশেষ সাফল্য পায়নি।
সক্রিয়তার অভাবঃ ব্রিটিশ–বিরোধী যুগোপযোগী সক্রিয়তা ছিল না হিন্দুমেলার কর্মকাণ্ডে। সাধারণ মানুষকে তাই কাছে টানতে পারেনি হিন্দুমেলা।
বিভাগ ঘ
(৪) ব্যাখ্যাভিত্তিক প্রশ্নগুলির উত্তর দাও ঃ
প্রশ্নঃ বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা স্থাপনের উদ্দেশ্য কী ছিল?
উত্তরঃ উনিশ শতকের তৃতীয় দশকের আগেই হিন্দু কলেজ ও অন্য ইংরেজি বিদ্যালয়গুলিতে কিশোর ও যুবক ছাত্ররা সাহিত্য, রাজনীতি ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার জন্য বিতর্কসভা স্থাপন করেছিলেন। কিন্তু এই বিতর্কসভাগুলিতে আলোচনার মাধ্যম ছিল ইংরেজি ভাষা। ১৮৩২ খ্রিঃ বিদ্বজ্জনদের একটি সভায় এরকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হল যে, এবার থেকে সাহিত্য, সংস্কৃতি, রাজনীতি ইত্যাদি বিষয়ক আলোচনাগুলি বাংলা ভাষাতেই করা হবে। এই সভাটির নাম ছিল 'সর্বতত্ত্বদীপিকা সভা'। এর বছর তিনেকের মধ্যে এই সভাটির সম্প্রসারিত হয়ে স্থাপিত হল বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা। সেই সময়ে নিষ্কর জমির বাজেয়াপ্তকরণ নিয়ে জনমত উত্তাল হয়ে উঠেছিল। অতএব বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা এই বিষয়টি নিয়েই আন্দোলন শুরু করলেন। এই উদ্দেশ্যে খানিকটা সফল হলেও এই সভা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। এই সভাই ছিল বাংলাদেশের প্রথম রাজনৈতিক সভা।
প্রশ্নঃ অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ভারতমাতা চিত্রের মাধ্যমে কীভাবে জাতীয়তাবাদী ধারণার বিকাশ ঘটিয়েছেন?
উত্তরঃ ব্রিটিশ ভারতে বিভিন্ন চিত্রের মাধ্যমে ব্রিটিশ বিরোধী মনোভাব তৈরির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে আঁকা তার ভারতমাতা চিত্রটি বিশ শতকে ভারতের জাতীয়তাবাদী চেতনার প্রসার ঘটিয়েছিল। এই চিত্রে তিনি ভারতের প্রতীক হিসেবে ভারতমাতাকে দেখিয়েছিলেন।
স্বদেশিকতাঃ ভারতমাতা চিত্রে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতমাতার হাতে থাকা বেদ, ধানের শিষ, যপের মালা ও শ্বেতবস্ত্রকে ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরেছেন। আসলে এই চিত্রের স্বদেশবোধের দ্বারা তিনি জাতীয়তাবাদী ভাবনার প্রসার করতে চেয়েছিলেন।
জাতীয় চেতনা বৃদ্ধিঃ সমকালীন ভারতে বিভিন্ন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের মিছিলের সামনে ভারতমাতার চিত্র রাখা হতো, যার দ্বারা ভারতমাতাকে জাতীয়তাবাদের প্রতীক হিসেবে দেখিয়ে ভারতে জাতীয় চেতনা বৃদ্ধি করা হয়েছিল বলে মনে করা হয়।
ভারতমাতার চিত্র নিয়ে বিতর্কও লক্ষণীয়। ভগিনী নিবেদিতা ভারতমাতার ভূয়সী প্রশংসা করে বলেছেন, "এই চিত্রটির মাধ্যমে বিমূর্ত জাতীয়তাবাদকে মূর্ত করে তোলা হয়েছে।" অন্যদিকে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে হিন্দু স্বাদেশিকতার উগ্র সমর্থক ছিলেন তার কোনো প্রমাণও এখান থেকে পাওয়া যায় না।
প্রশ্নঃ ভারতীয় জাতীয়তাবাদের বিকাশে ভারতসভার ভূমিকা ছিল?
উত্তরঃ ভারতের জাতীয়তাবাদের উদ্ভব ও বিকাশে ভারতসভার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল, তেমন -
(১) ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে ভারতসভার ১২৪টি শাখা গড়ে উঠেছিল, এগুলির মাধ্যমে ভারতসভা সর্বভারতীয় গণ-আন্দোলন গড়ে তোলে।
(২) ভারতের রাজনৈতিক স্বার্থে ভারতের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে রাজনৈতিক ঐক্যসাধন ছিল ভারতসভার ঘোষিত লক্ষ্য।
(৩) হিন্দু-মুসলিমদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি গড়ে তোলার জন্য ভারতসভা জর দিয়েছিল।
(৪) ব্রিটিশ সরকারের জনবিরোধী আইনের বিরুদ্ধে ভারতসভা জনমত গঠনের ওপর জোর দেয়।
তাছাড়া আধুনিক ভারতবর্ষে প্রথম সর্বভারতীয় রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান ছিল ভারতসভা এবং এর হাত ধরেই ভারতীয় জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের উন্মেষ ও বিকাশ ঘটেছিলো।
প্রশ্নঃ ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে মহারানি ভিক্টোরিয়ার ঘোষণাপত্রের ঐতিহাসিক তাৎপর্য লেখো।
উত্তরঃ ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের সিপাহি বিদ্রোহ ভারতবর্ষের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে অতি দ্রুত ছড়িয়ে পড়লেও শেষ পর্যন্ত তা ব্যর্থ হয়েছিল। স্বল্পকালীন এই সর্বভারতীয় বিদ্রোহ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছিল। এইসময়ে কোম্পানির হাত থেকে ব্রিটিশ সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের বিষয়টি মহারানির ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে করা হয়।
মহারানির ঘোষণাপত্রের ঐতিহাসিক তাৎপর্য / বিষয়বস্তু
কোম্পানির শাসনের অবসানঃ ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে ভারত শাসন আইনের দ্বারা ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটে ও ভারতের শাসনভার মহারানি নিজের হাতে তুলে নেন।
ঘোষণাপত্রের বক্তব্যঃ মহারানির ঘোষণাপত্রের মাধমে ভারতীয় শাসন ব্যবস্থায় নতুন নীতি ও আদর্শের কথা প্রকাশ করা হয়। যেখানে বলা হয় -
(১) এই ঘোষণাপত্র দ্বারা ১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দে জারি করা স্বত্ববিলোপ নীতি বাতিল হয় ।
(২) স্থির করা হয় ভবিষ্যতে যে কোনো সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে যোগ্যতাকেই সার্বিক প্রাধান্য দিতে হবে।
(৩) ব্রিটিশ সরকার জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে কারোর প্রচলিত সামাজিক ও ধর্মীয় রীতিনীতিতে হস্তক্ষেপ করবে না।
(৪) এই ঘোষণাপত্র অনুসারে স্থির হয়, সরকার দেশীয় রাজ্যগুলির সাথে স্বাক্ষরিত চুক্তি ও সন্ধিগুলো মেনে চলবে।
আসলে মহারানির ঘোষণাপত্র ছিল সিপাহি বিদ্রোহের সুদূরপ্রসারী ফলাফল। যদিও এই বিদ্রোহের পরবর্তীকালে সংস্কার ও পুনর্গঠনের নামে ব্রিটিশরা যা কিছু করেছিল বা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা সঠিকভাবে কার্যকরী হয়নি।
প্রশ্নঃ মহাবিদ্রোহের প্রত্যক্ষ কারণ কি ছিল?
উত্তরঃ নিচে মহাবিদ্রোহের প্রত্যক্ষ কারণগুলি আলোচনা করা হল -
(১) ব্রিটিশ কোম্পানি ভারতীয় সেনাবাহিনীতে এনফিল্ড রাইফেল নামে এক বিশেষ ধরনের বন্দুকের ব্যবহার শুরু করে। এই রাইফেলে ব্যবহৃত কার্তুজ বা টোটার খোলসটি দাঁত দিয়ে কেটে রাইফেলে ভরতে হত।
(২) ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ এনফিন্ড রাইফেল ব্যবহারের জন্য ভারতীয় সেনাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করলে সেনারা বিদ্রোহের পথে পা বাড়ায়।
(৩) সেনাবাহিনীতে গুজব ছড়ায় যে, এনফিল্ড রাইফেল-এর টোটার খোলসটি গোরু ও শুকরের চর্বি দিয়ে তৈরি। ফলে হিন্দু ও মুসলিম সিপাহিরা ধর্মচ্যুত হওয়ার ভয়ে এই টোটা ব্যবহারে অসম্মত হয়।
(৪) ব্যারাকপুর সেনানিবাসের সিপাহি মঙ্গল পান্ডে ১৮৫৭ খ্রিঃ ২৯শে মার্চ প্রথম বিদ্রোহ ঘোষণা করেন।
প্রশ্নঃ জাতীয় চেতনার প্রসার ঘটানোর জন্য হিন্দুমেলা কী ভূমিকা নিয়েছিল?
উত্তরঃ বিংশ শতকের ভারতবর্ষে জাতীয়তাবাদী ব্রিটিশ বিরোধী পটভূমি তৈরির ক্ষেত্রে যেসব সভা এগিয়ে এসেছিল তার মধ্যে অন্যতম ছিল হিন্দুমেলা।
বার্ষিক সম্মেলনঃ ভারতীয় দেশপ্রেমিকদের জাগিয়ে তোলার জন্য হিন্দুমেলার প্রথম বার্ষিক সম্মেলনে 'মলিন মুখচন্দ্র মা ভারত তোমারি' গানটি গাওয়া হয় এবং পরের সম্মেলনগুলিতে জ্ঞানেন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা 'গাও ভারতের জয়' গানটি গাওয়া হয়।
হিন্দুমেলার উদ্দেশ্যঃ হিন্দুমেলা প্রতিষ্ঠার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল—
হিন্দু ধর্মের ঐতিহ্যঃ হিন্দু ধর্মের প্রাচীন ঐতিহ্য ও গৌরবময় দিকগুলি সাধারণ মানুষের মধ্যে তুলে ধরাই ছিল হিন্দুমেলার প্রধান উদ্দেশ্য।
দেশাত্মবোধ জাগ্রত করাঃ দেশীয় ভাষাচর্চা, দেশাত্মবোধক কবিতাপাঠ, দেশীয় শিল্পীদের প্রসার, দেশীয় শরীরচর্চার মাধ্যমে দেশাত্মবোধ জাগিয়ে তোলা ছিল হিন্দুমেলার অপর উদ্দেশ্য।
পাশ্চাত্য সংস্কৃতির অগ্রগতি রোধঃ সমকালীন ভারতে পাশ্চাত্য সংস্কৃতির প্রসার রোধ করা ছিল অন্যতম উদ্দেশ্য।
হিন্দুমেলার উদ্দেশ্য সম্পর্কে গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন, "আমাদের এই মিলন সাধারণ ধর্ম–কর্মের জন্য নহে, কোনো বিশেষ সুখের জন্য নহে, কোনো আমোদপ্রমোদের জন্য নহে, ইহা স্বদেশের জন্য, ভারতভূমির জন্যে।"
প্রশ্নঃ ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহের প্রতি শিক্ষিত বাঙালি সমাজের কীরূপ মনোভাব ছিল?
উত্তরঃ ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহ প্রথম অবস্থায় সিপাহিদের দ্বারা শুরু হলেও কৃষক, কারিগর, শ্রমিক, শিল্পী প্রভৃতি সম্প্রদায়ের মানুষ বিদ্রোহে যোগদান করেছিল। কিন্তু মধ্যবিত্ত শিক্ষিত সমাজের মানুষেরা এই বিদ্রোহকে সমর্থন করেনি বরং তারা আন্দোলনের সাথে যুক্ত নেতাদের ব্যঙ্গ করেছিল।
মহাবিদ্রোহের প্রতি শিক্ষিত বাঙালি সমাজের মনোভাব
অধিকাংশ শিক্ষিত বাঙালির বিরূপ মনোভাবঃ সিপাহি বিদ্রোহের সময় শিক্ষিত বাঙালি সমাজের মানুষেরা ব্রিটিশ শাসনের দিকে ঝুঁকে পড়েছিল। কারণ তারা ব্রিটিশ সরকারের অধীনে সরকারি চাকরির প্রতি অনুরক্ত ছিল।
মধ্যযুগীয় শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠার ভয়ঃ শিক্ষিত সমাজের মানুষের ধারণা ছিল বিদ্রোহীরা জয়লাভ করলে মধ্যযুগীয় বর্বরতা প্রতিষ্ঠিত হবে। তাই তারা বিদ্রোহকে সমর্থন করেনি।
আধুনিকতা অবসানের ভয়ঃ শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়ের মানুষেরা ছিল আধুনিক শিক্ষা ও সংস্কারের সমর্থক। তারা মনে করত সিপাহি বিদ্রোহীরা সাফল্য পেলে আধুনিকতার অবসান ঘটবে। তাই তারা বিদ্রোহকে সমর্থন করেনি।
সিপাহি বিদ্রোহের শেষ পর্বে ব্রিটিশ সরকার যখন কঠোর দমননীতি প্রয়োগ করে তখন শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়ের ব্রিটিশদের প্রতি মোহভঙ্গ হয়। তারা অনুভব করে যে ব্রিটিশ শাসন কখনো ভারতবাসীর কল্যাণ করতে পারে না।
প্রশ্নঃ ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহ বা সিপাহি বিদ্রোহের ব্যর্থতার কারণ লেখো।
উত্তরঃ ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের ২৯ মার্চ শুরু হওয়া সিপাহি বিদ্রোহ খুব অল্প সময়ে দ্রুত ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে এবং এক গণআন্দোলনে পরিণত হয়। যদিও গোর্খা বাহিনীর সাহায্যে ব্রিটিশ সরকার এই বিদ্রোহ স্তব্ধ করেছিল। এর কারণে বলা যায় -
বিদ্রোহের বিচ্ছিন্নতাঃ ভারতের সর্বত্র বিদ্রোহ একযোগে না হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্ত ও বিচ্ছিন্নভাবে এই বিদ্রোহ হয়। ফলে ইংরেজদের পক্ষে বিদ্রোহ দমন খুব সহজ হয়ে ওঠে।
সুযোগ্য নেতৃত্বের অভাবঃ সিপাহি বিদ্রোহ পরিচালনার জন্য নানা সাহেব, লক্ষ্মীবাঈ, তাঁতিয়া টোপি প্রমুখ সাহসী ও সমরকুশলী হলেও ইংরেজ সেনাপতি লরেন্স, হ্যাভলক, আউটরাম প্রমুখের মতো সুযোগ্য নেতৃত্বের অভাবকে অনেকে এই বিদ্রোহের ব্যর্থতার অন্যতম কারণ মনে করেছেন।
সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের অভাবঃ বিদ্রোহীরা জনগণের কাছে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য তুলে ধরতে পারেনি যা ছিল বিদ্রোহের ব্যর্থতার অন্যতম কারণ।
সংকীর্ণতাঃ সিপাহি বিদ্রোহের নেতাদের মধ্যে আঞ্চলিক স্বার্থ ও সংকীর্ণতা বিদ্যমান থাকায় তারা সর্বত্র একই নীতি অনুসরণ করতে পারেনি।
উপরের আলোচনায় স্পষ্ট যে সিপাহি বিদ্রোহের ব্যর্থতা ছিল একাধিক কারণের যৌগিক প্রক্রিয়ার ফলশ্রুতি।
বিভাগ ঙ
(৫) রচনাধর্মী প্রশ্নগুলির উত্তর দাও ঃ
প্রশ্নঃ ১৮৫৭-র বিদ্রোহকে জাতীয় বিদ্রোহ বলা যায় কি?
উত্তরঃ ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহ সম্পর্কে ঐতিহাসিক ডঃ সুরেন্দ্রনাথ সেন যথার্থই বলেছেন, "ধর্মনাশের বিরুদ্ধে ও ধর্মীয় উদ্দেশ্যে সিপাহি বিদ্রোহ শুরু হলেও তা জাতীয় স্বাধীনতার যুদ্ধরূপে সমাপ্ত হয়"।
পক্ষে যুক্তিঃ সিপাহি বিদ্রোহের জাতীয় বিদ্রোহ বলার কারণগুলি হল -
(১) পূর্ববর্তী বিদ্রোহগুলির তুলনায় ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহের ব্যপকতা ও স্বতঃস্ফূর্ত গণসমর্থন ছিল ব্যাপক।
(২) দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ ছিলেন হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের ঐক্যের প্রতীক। এই ধর্মীয় ভাবাবেগ পরবর্তীকালে তা স্বাধীনতা সংগ্রামে পরিণত হয়।
(৩) আবুল কালাম আজাদের মতে, আধুনিক জাতীয়তাবাদের সংজ্ঞায় বিচার করলে একে জাতীয় আন্দোলন বলা না-গেলেও বিদ্রোহীদের দেশপ্রেমের খামতি ছিল না।
(৪) এই বিদ্রোহ আচমকা হঠাৎ ছিল না, এর পেছনে স্পষ্ট পরকল্পনা ছিল। সাহায্যের আশায় দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ পারস্যের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিলেন।
বিপক্ষে যুক্তিঃ সিপাহি বিদ্রোহের জাতীয় বিদ্রোহ না বলার কারণগুলি হল -
(১) বিদ্রোহীদের কোনো সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য, পরিকল্পনা বা সংগঠন ছিল না।
(২) ঐক্য বা বোঝাপড়া কেবলমাত্র সিপাহিদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল।
(৩) সিপাহীদের সঙ্গে বিদ্রোহী নেতাদের তেমন যোগাযোগ ছিল না।
(৪) বিদ্রোহের বিভিন্ন গোষ্ঠী ও নেতাদের মধ্যে লক্ষ্য ও আদর্শের ফারাক ছিল এবং এটি জাতীয় স্বার্থে পরিচালিত হয়নি।
পরিশেষে বলা যায়, একটি দেশের মুক্তিযুদ্ধের সমস্ত মানুষ অংশ নেবে এ কথা আশা করা যায় না। এই বিদ্রোহে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ যোগদান করেছিল, তাই একে বিদ্রোহ বলা হয়ে থাকে। তা ছাড়া বিদ্রোহীদের মধ্যে জাতীয় রাষ্ট্রের ধারণা হয়তো ছিল না, কিন্তু ব্রিটিশ-বিরোধী মানসিকতার প্রভাব ছিল।
প্রশ্নঃ উনিশ শতকে লেখায় ও রেখায় জাতীয়তাবাদ কীভাবে ফুটে উঠেছে এবং ঊনবিংশ শতকে রেখায় ও লেখায় জাতীয়তাবাদ কীভাবে ফুটে উঠেছে?
উত্তরঃ ঊনিশ শতকের শেষদিকে শিক্ষিত ভারতবাসীর চিন্তায় ও কর্মে এক ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে। ব্রিটিশ শাসকদের আচার আচরণে জাতি বৈরিতা এবং অর্থনৈতিক–রাজনৈতিক অসাম্যের প্রতিবাদে 'আনন্দমঠ', 'বর্তমান ভারত', 'গোরা' গ্রন্থে ভারতমাতা চিত্রে এক জাতীয়তাবাদী ধ্যানধারনার বিষয় ও প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হয়।
জাতীয়তাবাদী বিকাশে আনন্দমঠের ভূমিকাঃ
একদিকে ১৭৭০ খ্রিস্টাব্দে (১১৭৬ বঙ্গাব্দে) বাংলার ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ ও অন্যদিকে সন্ন্যাসী ও ফকির বিদ্রোহের প্রেক্ষাপটে এটি রচিত হয়েছে।
উদ্দেশ্যঃ আনন্দমঠ উপন্যাসটি রচনার মূল উদ্দেশ্য ভারতীয়দের মধ্যে স্বদেশপ্রেম জাগরিত করা ও জাতীয়তাবাদের বিকাশ ঘটানো তথা দেশবাসীকে মুক্তি আন্দোলনে আন্দোলিত করা।
বিভিন্ন চরিত্রঃ এই উপন্যাসের বিভিন্ন চরিত্রের মধ্যে রয়েছে সর্বত্যাগী সন্ন্যাসীদের চরিত্র যেমন - মহেন্দ্র, ভবানন্দ, সত্যানন্দ প্রমুখ। এটি ভারতকে মাতৃরূপে কল্পনা করে তার তিনটি রূপ দেখিয়েছে। যথা - জগদ্ধাত্রী, কালী, ও দশভূজা মূর্তি।
ব্রিটিশ শাসনের দুর্দশার চিত্রঃ এই উপন্যাসে সমকালীন ভারতবাসীর সামনে পরাধীন ভারতমাতার দুর্দশার চিত্র তুলে ধরে বঙ্কিম স্বৈরাচারী ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ভারতবাসীকে আহ্বান জানায়।
বন্দেমাতরম সংগীতঃ এখানে বন্দেমাতরম সংগীতটি তুলে ধরা হয়েছে ১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দে, যা ছিল পরাধীন ভারতের জাতীয় সংগীত তথা বিপ্লবীদের মন্ত্র। পরে ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে মাদাম ভিকাজি কামা রূপায়িত জাতীয় পতাকায় এই ধ্বনি স্থান পেয়েছে।
দেশমাতার আদর্শঃ আনন্দমঠে দেশমাতার আদর্শ হিসাবে বঙ্কিমচন্দ্র বলেছেন দেশমাতা হলেন মা, দেশপ্রেম হলো ধর্ম, দেশসেবা হলো পূজা।
জাতীয়তাবাদ বিকাশে বর্তমান ভারতের গুরুত্বঃ
বর্তমান ভারত গ্রন্থটি ভারতীয়দের মধ্যে জাতীয়তাবাদী ভাবধারা প্রসারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
(১) স্বামীজি বর্তমান ভারতে বৈদিক যুগ থেকে ব্রিটিশ শাসনকাল পর্যন্ত ভারতের ইতিহাস বর্ণনা করেছেন।
(২) গ্রন্থটিতে স্বামীজি পরাধীনতার গ্লানির চিত্রটি তুলে ধরেছেন । ভারতবাসীকে স্বাধীনতার মন্ত্রে দীক্ষিত করেছেন ।
(৩) তিনি উপলব্ধি করেছিলেন স্বাধীনতা লাভের জন্য ভারতীয়দের মধ্যে ঐক্য খুবই প্রয়োজন ।
(৪) তিনি সমাজের দলিত ও নিম্নশ্রেণির মানুষের প্রতি শোষণের তীব্র নিন্দা করেছেন। তার মতে, ভারতে প্রাচীনকাল থেকে শূদ্রদের দমিয়ে রাখা হয়েছে। এবার শূদ্রজাতির জাগরণ ঘটবে। তাদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হবে। তিনি দেশপ্রেমের আদর্শে ভারতবাসীকে দীক্ষিত করেছেন।
জাতীয়তাবাদ বিকাশে 'গোরা' উপন্যাসের ভূমিকাঃ
বিংশ শতকের গোড়ায় বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ ছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ। তিনি তাঁর লেখনীর মাধ্যমে ক্রমাগত জাতীয়তাবোধের আদর্শকে এক অন্য পর্যায়ে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপন্যাস 'গোরা' ১৯০৭-০৯ খ্রিস্টাব্দ অবধি 'প্রবাসী' পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল। গোরা উপন্যাসটিকে সমগ্র আধুনিক ভারতীয় সাহিত্যের একটি যুগান্তকারী রচনা হিসেবে গণ্য করা হয়। এখানে 'গোরা' চরিত্রটি প্রবল ইংরেজ বিদ্বেষী। তাঁর বিদ্বেষকে আরও বাড়িয়ে তোলে ইংরেজদের ভারতীয় সভ্যতা, সমাজ ও সংস্কৃতি নিয়ে তীব্র ঘৃণা৷ গোরা প্রথমে উগ্র হিন্দুত্ববাদের প্রতি অনুরক্ত হয় কিন্তু পরবর্তীতে তার দৃষ্টিভঙ্গি পালটে যায়। সে উগ্র হিন্দুত্ব তথা সকল প্রকার ধর্মীয় আচারবিচার বর্জন করে সংকল্প নেয় প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতার উৎকর্ষ প্রচারের মাধ্যমে ভারতবাসীর মনে স্বদেশপ্রেমের জোয়ার আনবে। ধর্মীয় ও সামাজিক রীতিনীতি ও আচারবিচারের পরিবর্তে স্বদেশপ্রেমের দ্বারাই যে জাতীয়তাবোধের জাগরণ সম্ভব তা সে উপলব্ধি করে এবং সেই কর্মযজ্ঞে সে নিজেকে উৎসর্গ করে।
জাতীয়তাবাদ বিকাশে 'ভারতমাতা' ছবির গুরুত্বঃ
ব্রিটিশ ভারতে বিভিন্ন চিত্রের মাধ্যমে ব্রিটিশ বিরোধী মনোভাব তৈরির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে আঁকা তার ভারতমাতা চিত্রটি বিশ শতকে ভারতের জাতীয়তাবাদী চেতনার প্রসার ঘটিয়েছিল। এই চিত্রে তিনি ভারতের প্রতীক হিসেবে ভারতমাতাকে দেখিয়েছিলেন।
স্বাদেশিকতাঃ ভারতমাতা চিত্রে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতমাতার হাতে থাকা বেদ, ধানের শিষ, যপের মালা ও শ্বেতবস্ত্রকে ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরেছেন। আসলে এই চিত্রের স্বদেশবোধের দ্বারা তিনি জাতীয়তাবাদী ভাবনার প্রসার করতে চেয়েছিলেন।
জাতীয় চেতনা বৃদ্ধিঃ সমকালীন ভারতে বিভিন্ন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের মিছিলের সামনে ভারতমাতার চিত্র রাখা হতো, যার দ্বারা ভারতমাতাকে জাতীয়তাবাদের প্রতীক হিসেবে দেখিয়ে ভারতে জাতীয় চেতনা বৃদ্ধি করা হয়েছিল বলে মনে করা হয়।
প্রশ্নঃ ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহের চরিত্র ও প্রকৃতি বিশ্লেষণ করো।
উত্তরঃ ব্যারাকপুরের সেনাছাউনিতে ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে সিপাহি বিদ্রোহ শুরু হলেও তা কেবলমাত্র সিপাহিদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের যোগদান এই বিদ্রোহে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। তবে ব্রিটিশ শাসনের ভিত কাঁপিয়ে দেওয়া এই বিদ্রোহের প্রকৃতি এক বিতর্কিত বিষয়।
১৮৫৭ – র বিদ্রোহের প্রকৃতিঃ
সিপাহি বিদ্রোহঃ ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে ভারত সচিব আর্ল স্ট্যানলি তাঁর এক প্রতিবেদনে এই বিদ্রোহকে 'Sepoy Mutiny' বলে উল্লেখ করেছেন। এক্ষেত্রে তাঁদের অভিমত হলো, সিপাহিরাই বিদ্রোহের সূচনা করে যেখানে দেশের সকল শ্রেণির মানুষ, বিশেষ করে শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণির যোগদান ঘটেনি। এছাড়া এই বিদ্রোহের মূলে কোনো রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষা ছিল না।
সামস্ত বিদ্রোহঃ ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদার, সুরেন্দ্রনাথ সেন, রজনীপাম দত্ত প্রমুখ ১৮৫৭–র বিদ্রোহকে সামস্ততান্ত্রিক প্রতিক্রিয়া বা সনাতন পন্থীদের বিদ্রোহ বলেছেন। কারণ কোম্পানির বিভিন্ন নীতির দ্বারা ক্ষমতাচ্যুত শাসকেরা যেমন রানি লক্ষ্মীবাঈ, নানা সাহেব, তাঁতিয়া টোপি সহ একাধিক প্রাদেশিক শাসক এই বিদ্রোহে সামিল হয়েছিলেন।
গণবিদ্রোহঃ ডান কে, বল, সি. এ. বেইলি প্রমুখ ১৮৫৭–র বিদ্রোহকে গণবিদ্রোহ বলার পক্ষপাতী। কারণ সিপাহিদের সাথে সাধারণ মানুষ স্বতস্ফূর্তঃভাবে অংশগ্রহণ করে এই বিদ্রোহকে গণবিদ্রোহের রূপ দিয়েছিল। এছাড়া মুজাফফরনগর, অযোধ্যা, কানপুর, ঝাসি প্রভৃতি অঞ্চলে বিদ্রোহে গণবিস্ফোরণ ঘটে।
জাতীয় বিদ্রোহঃ ঐতিহাসিক নর্টন, ডাফ, আউটরাম, ডিসরেলি প্রমুখ ১৮৫৭–র বিদ্রোহকে জাতীয় বিদ্রোহ বলে অভিহিত করেছেন। তাঁদের মতে, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মুজফফরনগর প্রভৃতি স্থানে সিপাহি নেতৃত্ব ছাড়াও স্থানীয় রাজন্যবর্গ, জমিদাররা বিদ্রোহে যোগদান করেন এবং দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে ভারতের সম্রাট বলে ঘোষণা করে বিদেশি শাসনমুক্ত এক দেশীয় শাসন ব্যবস্থা স্থাপনে উদ্যোগী হন।
ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধঃ বিনায়ক দামোদর সাভারকর ১৮৫৭–র বিদ্রোহকে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ বলে অভিহিত করেছেন। কিন্তু অধিকাংশ ঐতিহাসিক এই মত স্বীকার করেন না। কারণ না ছিল বিদ্রোহীদের নির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্য, না এই বিদ্রোহ থেকে ভারতীয়দের মধ্যে জাতীয়তাবাদের জন্ম হয়েছিল। এছাড়া অনেক ভারতীয় রাজা, শিখ ও গোর্খা সৈনিকরা ইংরেজদের সাহায্য করেছিল।
মহাবিদ্রোহঃ ভারতের বেশ কিছু জাতীয়তাবাদী ঐতিহাসিক এই বিদ্রোহের ব্যাপকতা লক্ষ করে এই বিদ্রোহকে মহাবিদ্রোহ বলে অভিহিত করেছিলেন। এরিখ স্টেকস বলেছেন যে এই বিদ্রোহ ছিল ভারতে ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র আন্দোলনের শেষ অধ্যায়।
উপসংহারঃ উপরোক্ত আলোচনায় স্পষ্ট যে ১৮৫৭–র বিদ্রোহে সিপাহিদের অসন্তোষ মূল কারণ হলেও এই বিদ্রোহের মূলে ছিল বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের গভীর অসন্তোষ ও হতাশা। অধ্যাপক রণজিৎ গুহ, গৌতম ভদ্র প্রমুখ ত্রুটিবিচ্যুতি সত্ত্বেও এই আন্দোলনে গণচরিত্রের উপর গুরুত্ব দিয়েছেন।
Madhyamik history suggestion
মাধ্যমিক সাজেশন 2024 pdf. মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন 2024 PDF. মাধ্যমিক সাজেশন 2024 বাংলা. 2024 সালের মাধ্যমিক সাজেশন. Class 12 History Suggestion 2024 PDF. মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন 2024. উচ্চ মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন 2024. মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন 2024.
দশম শ্রেণির ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর
দশম শ্রেণির ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর. দশম শ্রেণির ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায় 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর. দশম শ্রেণির ইতিহাস 5 অধ্যায়. দশম শ্রেণির ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় 1 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর. দশম শ্রেণির ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায়ের নম্বর. দশম শ্রেণির ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর. দশম শ্রেণির ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় 5 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর. দশম শ্রেণির ইতিহাস সপ্তম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর.
Madhyamik Suggestion 2024
মাধ্যমিক সাজেশন 2024 ইতিহাস pdf. মাধ্যমিক জীববিজ্ঞান সাজেশন 2024 chapter 4. মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন 2024. 2024 সালের মাধ্যমিক সাজেশন. মাধ্যমিক ইতিহাস বড় প্রশ্ন উত্তর 2024. মাধ্যমিক ইতিহাস mcq. দশম শ্রেণির ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় বড় প্রশ্ন উত্তর. মাধ্যমিক প্রশ্ন উত্তর. দশম শ্রেণীর ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় বড় প্রশ্ন উত্তর. দশম শ্রেণির ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর. মাধ্যমিক ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় 2 নম্বরের প্রশ্ন. মাধ্যমিক প্রশ্ন উত্তর 2024.
Madhyamik History Suggestion 2024 PDF Download
মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন 2024. Madhyamik History Suggestion 2024. Madhyamik history suggestion. মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন 2024. Madhyamik History Notes PDF. Madhyamik History. Question and answer PDF 2024. Madhyamik history short question and answer. মাধ্যমিক সাজেশন 2024 pdf.
ইতিহাস class 10 chapter 4
সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা প্রশ্ন উত্তর. দশম শ্রেণির ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় mcq. দশম শ্রেণির ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর. মাধ্যমিক ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় 2 নম্বরের প্রশ্ন. দশম শ্রেণির ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় 1 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর. Class 10 History Chapter 4 Questions and answers in bengali. দশম শ্রেণির ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায়ের নম্বর. ক্লাস টেনের ইতিহাসের প্রশ্ন.
WB Madhyamik History Suggestion 2024 Download PDF
মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন 2024. Madhyamik History Suggestion 2024. Madhyamik history suggestion. Madhyamik History Notes PDF. মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন 2024. Madhyamik History Question and answer PDF 2024. Madhyamik history short question and answer. History suggestion 2024 madhyamik.
সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ চতুর্থ অধ্যায় মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন ২০২৪
সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা বড় প্রশ্ন উত্তর. দশম শ্রেণির ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় বড় প্রশ্ন উত্তর. মাধ্যমিক ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় 2 নম্বরের প্রশ্ন. দশম শ্রেণির ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় mcq. সংঘবদ্ধতার ধারণা দাও. দশম শ্রেণির ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায়ের নম্বর. 5 টি অধ্যায়ের ইতিহাস সাজেশন. বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ.
West Bengal Madhyamik History Suggestion 2024 Download PDF
মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন 2024. Madhyamik History Suggestion 2024. Madhyamik history suggestion. মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন 2024. Madhyamik History Notes PDF. Madhyamik History Question and answer PDF 2024. Madhyamik history short question and answer. History suggestion 2024 madhyamik.
West Bengal Madhyamik History Suggestion 2024 Download
West Bengal Madhyamik Histoty Suggestion 2024 Download prepared as per new syllabus. West Bengal Board of Secondary Education madhyamik 2024 History Important questions and Notes download. মাধ্যমিক ২০২৪ ইতিহাস পরীক্ষার সাজেশন. Last Minutes final History Suggestion for Madhyamik 2024 Exam with sure Common in Examination. WBBSE Madhyamik History Suggestion download. Download Madhyamik History Suggestion pdf. Important question for WBBSE New syllabus Madhyamik History Exam 2024.
Last Minutes final History Suggestion for Madhyamik 2024
West Bengal Madhyamik History Suggestion 2024 Download. WBBSE Madhyamik History short question suggestion 2024. মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন. Madhyamik History Suggestion 2024 download. পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার সম্ভাব্য প্রশ্ন উত্তর ও শেষ মুহূর্তের সাজেশন ডাউনলোড. Madhyamik Question Paper History. WB Madhyamik 2024 History suggestion and important questions. Madhyamik Suggestion 2024 pdf.
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
0 মন্তব্যসমূহ