মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২৫ – আফ্রিকা (কবিতা) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আফ্রিকা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(১) বহু বিকল্প ভিত্তিক প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
১.১ "নতুন সৃষ্টিকে বারবার করেছিলেন বিধ্বস্ত" - নতুন সৃষ্টিকে বারবার বিধ্বস্ত করেছিলেন?
(ক) মানহারা মানবীর
(খ) বিধাতা
(গ) প্রাচী ধরিত্রী
(ঘ) মানুষ ধরার দল
উত্তর : (খ) বিধাতা
১.২ আফ্রিকা কিভাবে ভীষণকে বিদ্রুপ করছিল?
(ক) বিরূপের ছদ্মবেশে
(খ) অপরূপ বেশে
(গ) নির্মমভাবে
(ঘ) অশালীন ভাবে
উত্তর : (ক) বিরূপের ছদ্মবেশে
১.৩ "হাই ছায়াবৃতা", - এখানে ছায়াবৃতা বলা হয়েছে -
(ক) ইউরোপকে
(খ) এশিয়াকে
(গ) আফ্রিকাকে
(ঘ) উত্তর আমেরিকাকে
উত্তর : (গ) আফ্রিকাকে
১.৪ "উপেক্ষার আবিল দৃষ্টিতে" - কার্ প্রতি উপেক্ষা?
(ক) সাধারণ মানুষের প্রতি
(খ) শিশুদের প্রতি
(গ) আফ্রিকার প্রতি
(ঘ) কবির প্রতি
উত্তর : (গ) আফ্রিকার প্রতি
১.৫ সভ্যের লোভের প্রকৃতি কেমন?
(ক) বর্বর
(খ) নির্মম
(গ) অমানবিক
(ঘ) হাস্যকর
উত্তর : (ক) বর্বর
১.৬ সমুদ্র পারে সেই মুহূর্তেই কোথায় পূজার ঘন্টি বাজছিল?
(ক) বনের মাঝে
(খ) পথের ধারে
(গ) মন্দিরে
(ঘ) গাছ তলায়
উত্তর : (গ) মন্দিরে
১.৭ 'সুন্দরের আরাধনা' বেজে উঠেছিল -
(ক) মন্দিরে
(খ) কবির সংগীতে
(গ) আফ্রিকার অরণ্যে
(ঘ) রাস্তায় রাস্তায়
উত্তর : (খ) কবির সংগীতে
১.৮ "প্রদোষকাল ঝঞ্জাবাতাসে রুদ্ধশ্বাস" - 'প্রদোষকাল' বলতে বোঝানো হয়েছে -
(ক) সকালবেলা
(খ) দুপুরবেলা
(গ) বিকেলবেলা
(ঘ) সন্ধ্যেবেলা
উত্তর : (ঘ) সন্ধ্যেবেলা
১.৯ কবি যুগান্তরের কবিকে দাঁড়াতে বলেছেন -
(ক) মানহারা মানবীর দ্বারে
(খ) বাষ্পাকুল অরণ্য পথে
(গ) কৃপণ আলোর অন্তঃপুরে
(ঘ) প্রদোষকালের ঝঞ্ঝাবাতাসে
উত্তর : (ক) মানহার মানবীর দ্বারে
১.১০ "সেই হোক তোমার সভ্যতার শেষ ________"। - শূন্যস্থানে শব্দটি কি হবে -
(ক) নমস্কার
(খ) কথা
(গ) পুণ্য বাণী
(ঘ) ভীষণ
উত্তর : (গ) পুণ্য বাণী
১.১১ যুগান্তরের কবি বলেছেন -
(ক) "অবশেষে ক্ষমা করো মোরে"
(খ) "ক্ষমা করো"
(গ) "ক্ষমা করো মোরে"
(ঘ) "ক্ষমা করুন আমাকে"
উত্তর : (খ) "ক্ষমা করো"
(২) অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
২.১ আফ্রিকা কবিতার প্রধান উৎস গ্রন্থ কোনটি?
উত্তর : আফ্রিকা কবিতাটি প্রধান উৎস বিশ্বভারতী প্রকাশিত 'সঞ্চয়িতা' গ্রন্থ।
২.২ "ছিনিয়ে নিয়ে গেলো তোমাকে" - 'তোমাকে' বলতে কার কথা বোঝেনা হয়েছে?
উত্তর : অন্ধকারাচ্ছন্ন আফ্রিকার কথা বলা হয়েছে।
২.৩ "কৃপণ আলোর অন্তঃপুরে"। - কথাটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : নিবিড় অরণ্য ভরা আফ্রিকার ঘন ছায়াচ্ছন্নতা আর তথাকথিত সভ্যতার আলোকহীনতাকে একাধারে কৃপণ আলোর অন্তঃপুর বলে বর্ণনা করা হয়েছে।
২.৪ "বিদ্রুপ করে ছিল ভীষণকে" - কে ভীষণকে বিদ্রুপ করছিল?
উত্তর : নবগঠিত আফ্রিকা
২.৫ "নগ্ন করল আপুর নির্লজ্জ অমানুষতা"। - কার নির্লজ্জ অমানুষতা প্রকাশ পেয়েছিল?
উত্তর : বিশ্বের সাম্রাজ্যবাদী শোষক রাষ্ট্রগুলির নির্লজ্জের অমানুষতা প্রকাশ পেয়েছে।
২.৬ "চিরচিহ্ন দিয়ে গেল তোমার অপমানিত ইতিহাসে"। - ইতিহাসকে কিভাবে অপমানিত হতে হয়েছে?
উত্তর : আফ্রিকার ইতিহাস ইউরোপীয় উপনিবেশিক দের বর্বোরোচিত আক্রমণে, নির্লজ্জ উৎপীড়নে আফ্রিকা চিরকালীন অপমানের ইতিবৃত্ত।
২.৭ কোথা থেকে পশুরা বেরিয়ে এলো?
উত্তর : সাম্রাজ্যবাদী পশুরা আদিম, হিংসা, লোভ নিয়ে গুপ্ত গহ্বর থেকে বেরিয়ে এলো।
(৩) ব্যাখ্যা ভিত্তিক প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
প্রশ্নঃ 'সেই হোক সভ্যতার শেষ পুণ্যবাণী।' - সভ্যতার শেষ পুণ্যবাণীটি কী? বিষয়টি ব্যাখ্যা করে লেখো।
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'আফ্রিকা' কবিতা অনুসারে সভ্যতার শেষ পুণ্যবাণীটি হল, শ্বেতাঙ্গ শাসকের অত্যাচারে ক্ষতবিক্ষত আফ্রিকার কাছে নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থনা।
সাম্রাজ্যবাদী ঔপনিবেশিক শক্তির হাতে চিরকাল আফ্রিকা শোষিত ও অত্যাচারিত হয়েছে। তারা নির্বিচারে সেখানকার প্রাকৃতিক সম্পদ লুঠ করেছে, বন্যপ্রাণী আর মানুষদের হত্যা করেছে কিংবা ক্রীতদাসে পরিণত করেছে। আফ্রিকার নিরীহ, নিরপরাধ জনমণের ঘামে, রক্তে ও কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে সে দেশের মাটি ও বাতাস। এ ইতিহাস লা বঞ্চনা এবং অপমানের। তাই এমন অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত হিসেবে মানবতাবাদী কবি দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের প্রাক্কালে বিশ্বব্যাপী হিংস্র প্রলাপের মধ্যে আফ্রিকার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে সকলকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রশ্নঃ 'অপরিচিত ছিল তোমার মানবরূপ' - মানবরূপ অপরিচিত থাকার কারণ উল্লেখ করো। 'তোমার' বলতে কার কথা বলা হয়েছে?
উত্তরঃ সভ্যতার আদিমতম লগ্নে পৃথিবীর পূর্বভাগের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আফ্রিকা মহাদেশের জন্ম। সেখানে দুর্গম জঙ্গলে ঢাকা রহস্যময় জগৎ ছিল ছায়াবৃত। দীর্ঘকাল ধরে তথাকথিত সভ্য মানুষদের চোখের আড়ালে প্রকৃতি তাকে মনের মতো করে সাজিয়েছিল। আরণ্যক প্রকৃতির নিবিড় পাহারায় সেখানকার বন্যপ্রাণী মরুভূমি মানুষ ও তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ছিল সকলের দৃষ্টির অগোচর। এ জন্যই আফ্রিকার মানব রূপ বহির্বিশ্বের কাছে অচেনা আর অপরিচিত থেকে গিয়েছিল। তোমার বলতে এখানে 'আফ্রিকা'-র কথা বলা হয়েছে।
প্রশ্নঃ 'কবির সংগীতে বেজে উঠেছিল/সুন্দরের আরাধনা' – প্রসঙ্গ নির্দেশ করে তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথের 'আফ্রিকা' কবিতায় 'সমুদ্রপারে' বলতে ইউরোপীয় মহাদেশকে বোঝানো হয়েছে। তাৎপর্য সাম্রাজ্যবাদী শাসকের দল যখন আফ্রিকায় নিজেদের অধিকার কায়েমের জন্য অমানবিক শোষণ চালাচ্ছিল, তখন আফ্রিকাবাসীর রক্তে ও ঘামে সেখানকার অরণ্যপথের ধুলো কাদায় পরিণত হয়েছিল। অথচ সেই সময় তাদের নিজেদের দেশে কিন্তু নিরুপদ্রব শান্তি বিরাজমান। সেখানে পাড়ায় পাড়ায় মন্দিরে পূজার ঘণ্টা বাজছিল আর ঈশ্বরের উপাসনা চলছিল। শিশুরা মায়ের কোলে নিরাপদে খেলে বেড়াচ্ছিল। সুন্দরের আরাধনায় বেজে উঠেছিল কবির সংগীত। এভাবেই শাসক ও শোষিতের বৈপরীত্যপূর্ণ অবস্থান বর্ণনার মাধ্যমে কবি সাম্রাজ্যবাদী শাসকের দ্বিচারিতাকে তুলে ধরেছেন।
প্রশ্নঃ 'দাঁড়াও ওই মানহারা মানবীর দ্বারে' — কাকে দাঁড়াতে বলা হচ্ছে। 'মানহারা মানবী' সম্বোধনের কারণ কী?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'আফ্রিকা' কবিতা থেকে গৃহীত উদ্ধৃতাংশে কবি যুগান্তের কবিকে মানহারা মানবী আফ্রিকার সামনে দাঁড়াবার কথা বলেছেন।
সাম্রাজ্যবাদী শক্তির হাতে আফ্রিকা যুগে যুগে শোষিত হয়েছে। ক্ষমতালোভী তথাকথিত সভ্য পশ্চিমি দেশগুলি বার বার নিজেদের অধিকার কায়েম করেছে আফ্রিকায়। আফ্রিকার অধিবাসীদের 'মানহারা মানবী' – কেন! রক্ত ও অশ্রু ঝরে পড়ে তার বনভূমির ধূলিতে কর্দমাক্ত ও পিচ্ছিল করে তুলেছে। আফ্রিকায় আত্মসম্মান ও মর্যাদা ধূলিসাৎ হয়েছে বার বার। তাই কবি আফ্রিকাকে 'মানহারা মানবী' বলেছেন।
প্রশ্নঃ 'হায় ছায়াবৃতা' - 'ছায়াবৃতা' কে? তাকে 'ছায়াবৃতা' বলার কারণ কী?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ তাঁর 'আফ্রিকা' কবিতায় আফ্রিকা মহাদেশকে 'ছায়াবৃতা' বলে সম্বোধন করেছেন।
'ছায়াবৃতা' শব্দটির আক্ষরিক অর্থ ছায়া দ্বারা আবৃতা বা ছায়াঢাকা। দুর্গম অরণ্যে ঘেরা আফ্রিকা মূল ভূখণ্ড থেকে বহুদূরে অবস্থিত। আধুনিক সভ্যতা ও জ্ঞানের আলো থেকে সে বঞ্চিত। দুর্গমতার কারণে উনিশ শতকের আগে পর্যন্ত আফ্রিকার প্রাকৃতিক সম্পদ ও নিজস্ব সংস্কৃতি বাকি বিশ্বের কাছে অজানাই রয়ে গেছে তার রহস্যময় অরণ্যের মতোই।
প্রশ্নঃ 'ছিনিয়ে নিয়ে গেল তোমাকে' - 'তোমাকে' বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে? কে তাকে কোথা থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছিল?
Ans: রবীন্দ্রনাথের 'আফ্রিকা' কবিতায় 'তোমাকে' বলতে আফ্রিকা মহাদেশকে বোঝানো হয়েছে। কে, কোথা থেকে ছিনিয়েছিল আদিম পৃথিবীর বুকে ঘটে যাওয়া ভৌগোলিক বিবর্তনকে এখানে কবি ফুটিয়ে তুলেছেন এক আশ্চর্য ব্যঞ্জনায়। বৈজ্ঞানিকদের মতে টেকটনিক প্লেটগুলির নড়াচড়ার ফলেই এশিয়ার মূল ভূখণ্ড থেকে আফ্রিকা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কবি এরই কাব্যিক রূপ দিয়ে বলেছেন, রুদ্র সমুদ্র মূল ভূখণ্ড থেকে আফ্রিকাকে ছিনিয়ে নিয়ে যেন বনস্পতির নিবিড় পাহারায় কৃপণ আলোর অন্তরালে তাকে নিক্ষেপ করেছিল।
প্রশ্নঃ 'অশুভ ধ্বনি' বলতে কী বোঝানো হয়েছে? 'দিনের অন্তিমকাল' ঘোষণা করার মর্মার্থ বুঝিয়ে দাও।
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথের 'আফ্রিকা' কবিতাটি সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে কবির এক সোচ্চার প্রতিবাদ। বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলি ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে নিজেদের মধ্যে যুদ্ধে লিপ্ত হয় যার পরিণাম দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। ক্ষুধিত পশুর মতোই ক্ষমতার লোভে মত্ত শ্বেতাঙ্গ শাসকদের রণ হুংকারকে এ কবিতায় 'অশুভ ধ্বনি' বলা হয়েছে।
দিনের 'অন্তিমকাল' বলতে একদিকে যুগাস্তের ইঙ্গিত ও ধ্বংসের পূর্বাভাস, আর অন্যদিকে ক্ষমতালোভী শাসকের নির্দয় শাসন অবসানের এক সুস্পষ্ট ঘোষণা।
প্রশ্নঃ 'নিথ যাদের তীক্ষ্ণ তোমার নেকড়ের চেয়ে' - 'যাদের' বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে? তাদের নখ নেকড়ের চেয়ে তীক্ষ্ণ বলার কারণ কী?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ তাঁর 'আফ্রিকা' কবিতায় 'যাদের' বলতে সাম্রাজ্যবাদী শ্বেতাঙ্গ ইউরোপীয় ঔপনিবেশিকদের বুঝিয়েছেন।
মুসোলিনির ইথিওপিয়ায় অনুপ্রবেশের প্রতিক্রিয়া হিসেবে কবি তাঁর এই 'আফ্রিকা' কবিতাটি লিখেছিলেন। কবি সাম্রাজ্যবাদী শক্তির হিংস্রতাকে বোঝাতে 'নখ যাদের তীক্ষ্ণ তোমার নেকড়ের চেয়ে' শব্দবন্ধটি ব্যবহার করেছেন। অরণ্যসংকুল আফ্রিকা মহাদেশ হিংস্র শ্বাপদপূর্ণ। কিন্তু ইউরোপীয় ঔপনিবেশিকদের নির্মম হিংস্রতা সেইসব হিংস্র প্রাণীদের চেয়েও ভয়ংকর একথা বোঝাতেই কবি শব্দবন্ধটি ব্যবহার করেছেন।
প্রশ্নঃ 'গর্বে যারা অন্ধ তোমার সূর্যহারা অরণ্যের চেয়ে।' - উদ্ধৃতাংশটির অন্তর্নিহিত অর্থ ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ মানবতার পূজারি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আফ্রিকার জনজাতি, তার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ওপর নেমে আসা ঔপনিবেশিক শক্তির তথা পঙক্তি সমূহের অন্তনিহিত সাম্রাজ্যবাদের হিংস্র অত্যাচারের প্রতিবাদে তিনি মুখর হয়েছেন। ইউরোপের প্রায় প্রতিটি সভ্য দেশই আফ্রিকায় উপনিবেশ স্থাপন করে। কিন্তু ক্ষমতালোভী সেইসব দেশ আফ্রিকার সম্পদ লুণ্ঠন করে সেখানকার মানুষকে অত্যাচারে, অপমানে ও লাঞ্ছনায় বিধ্বস্ত করে তোলে। নিরপরাধ আফ্রিকাবাসীর ঘামে রঙে আর কান্নায় ভিজে ওঠে। সেখানকার মাটি তথাকথিত সভ্যের এই বর্বর লোভ কবির কাছে তাদের নির্লজ্জ অমানুষতা রূপে প্রতিভাত হয়েছে।
প্রশ্নঃ 'স্রষ্টা যখন নিজের প্রতি অসন্তোষে' - স্রষ্টা কে? তিনি নিজের প্রতি অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন কেন?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথের 'আফ্রিকা' কবিতা থেকে অংশটি গৃহীত। যিনি সৃষ্টি করেন তিনিই স্রষ্টা। এখানে কবি ঈশ্বরকেই ‘ স্রষ্টা ‘ বলে অভিহিত করেছেন।
স্রষ্টার ততক্ষণ পর্যন্ত সন্তুষ্টি হয় না যতক্ষণ না তাঁর সৃষ্টিকর্ম নিজের মনোমতো হয়। সেই সত্যকে কল্পনা করেই কবি বলতে চেয়েছেন সৃষ্টির আদিম লগ্নে ঈশ্বর তাঁর সৃষ্টিকে বারবার ধ্বংস করে নতুনভাবে গড়ে তুলছিলেন। কিন্তু তা কখনোই তাঁর মনোমতো হচ্ছিল না। এই কারণে তিনি নিজের প্রতি অসন্তুষ্ট ছিলেন।
প্রশ্নঃ 'প্রকৃতির দৃষ্টি অতীত জাদু/মন্ত্র জাগাচ্ছিল' - প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তাৎপর্য লেখো।
উত্তরঃ আফ্রিকার মানুষের ওপর ঔপনিবেশিক শোষণের যে ছায়া নেমে এসেছিল, তারই প্রতিবাদ রবীন্দ্রনাথের এই 'আফ্রিকা' কবিতাটি। সভ্যতার আদিলগ্নে সমুদ্র যখন আফ্রিকাকে মুল ভূখণ্ড থেকে আলাদা করে তাকে অরণ্যের অন্ধকারে নির্বাসন দিয়েছিল, তখন থেকেই শুরু হয় তার একক সংগ্রাম। বিশ্বজগতের চোখের আড়ালে প্রকৃতি তাকে সাজিয়ে নিয়েছিল নিজের মনের মতো করে। বন্যপ্রাণী সংকুল অরণ্য, রুক্ষ মরুভূমি সব মিলিয়ে আদিম আফ্রিকা ছিল দুর্গম। সভ্যতা তথা পাশ্চাত্য সংস্কৃতির কোনো স্পর্শ তখনও সে পায়নি।
(৪) রচনাধর্মী প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
প্রশ্নঃ 'এল ওরা লোহার হাতকড়ি নিয়ে' - 'ওরা' কারা? পঙক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
উত্তরঃ সাম্রাজ্যবাদের ঘোরতর বিরোধী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'আফ্রিকা' কবিতা থেকে উদ্ধৃত পঙ্ক্তিটিতে 'ওরা' বলতে পাশ্চাত্য সাম্রাজ্যবাদীদের বোঝানো হয়েছে। 'এল ওরা লোহার হাতকড়ি নিয়ে' পঙক্তিটির সাহায্যে রবীন্দ্রনাথ সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনকে ও তার নগ্ন রূপকে তুলে ধরেছেন।
সৃষ্টির প্রথম থেকে বিচ্ছিন্ন আফ্রিকা নিভৃতে দুর্গমের রহস্য সন্ধানে ব্যাপিত ছিল। তার উদ্ধৃতাংশের তাৎপর্য চেতনাতীত মনে জাগ্রত হচ্ছিল নতুন মন্ত্র। নিজেকে উগ্র বিভীষিকাময় তাণ্ডবে শামিল করে শঙ্কাকে সে হার মানাচ্ছিল একটু একটু করে। সভ্যসমাজের উপেক্ষার পাত্র ছিল আফ্রিকা। তারপর একদিন ঔপনিবেশিক বিষবাষ্প গ্রাস করল আফ্রিকার স্বাভাবিক সারল্যকে। দাস ব্যাবসার মতো চরম পাশবিকতা নিয়ে উপস্থিত হল মানুষরূপী হিংস্র বর্বরের দল। যাদের হাতকড়িতে আবদ্ধ হল আফ্রিকার অসহায় মানুষ। এই সাম্রাজ্যবাদী শাসকের বর্বর লোভ নগ্ন করেছিল নিজেদের অমানবিকতাকে। আফ্রিকার অধিবাসীদের মানবিকতাকে উপেক্ষা করে শ্বেতাঙ্গ সাম্রাজ্যবাদীরা দিনের পর দিন আফ্রিকার সভ্যতা–সংস্কৃতিকে দলেছে, পিয়েছে, ধ্বংস করেছে। এককথায় নানানভাবে সাম্রাজ্যবাদীদের আগ্রাসনে আফ্রিকার শৃঙ্খলিত হওয়ার ঘটনাকে কবি উদ্ধৃত পঙ্ক্তিতে ব্যস্ত করেছেন।
প্রশ্নঃ 'চিরচিহ্ন দিয়ে গেল তোমার অপমানিত ইতিহাসে।' - কাকে একথা বলা হয়েছে? কীভাবে তার অপমানিত ইতিহাসে চিরচিহ্ন মুদ্রিত হল?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথের 'আফ্রিকা' কবিতায় উদ্ভূত পঙক্তিটিতে অপমানিত আফ্রিকাকে একথা বলা হয়েছে।
রবীন্দ্রনাথ তাঁর 'আফ্রিকা' কবিতায় 'অপমানিত ইতিহাস' বলতে। সাম্রাজ্যবাদী শাসকদের দ্বারা শোষিত আফ্রিকার বর্ণনা ও লাঞ্ছনার ইতিহাসকে বুঝিয়েছেন। সৃষ্টির সুচনা থেকেই আফ্রিকা অরণ্যাবৃত। সে অপমানিত ইতিহাসে তথাকথিত উন্নত সভ্যতার আলো থেকে বহু দূরে চিরচিহ্নের মুদ্রণ নির্বাসিত ছিল। সভ্য ইউরোপীয় সভ্যতার চোখেও আফ্রিকা উপেক্ষিত ছিল দীর্ঘদিন। তথাকথিত 'সভ্য' পাশ্চাত্য সভ্যতা আফ্রিকার নিজস্ব জীবনধারা, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ইত্যাদিকে স্বীকার করত না। কিন্তু ঊনবিংশ শতকে ইউরোপীয়রা আফ্রিকায় উপনিবেশ স্থাপনের সূচনার ফলে ক্রমে এই শতকের শেষে প্রায় পুরো আফ্রিকাই ইউরোপের বিভিন্ন দেশের উপনিবেশে পরিণত হয়। আফ্রিকার সম্পদের সন্ধান পেতে এই শ্বেতাঙ্গ ঔপনিবেশিক তথা সাম্রাজ্যবাদীর দল শুরু করে মানবিক লাঞ্ছনা। আফ্রিকার কৃষ্ণাঙ্গ সরল মানুষগুলিকে লোহার হাতকড়ি পরিয়ে 'মানুষ – ধরা' এই বর্বরেরা তাদের পরিণত করে ক্রীতদাসে। তাদের বর্বরতা ও লোভ আফ্রিকার সূর্যহারা অরণ্যের চেয়েও কালো। এইসব অত্যাচারিত মানুষদের রক্ত ও অশ্রুতে কর্দমাক্ত হয় আফ্রিকার বনপথের ধুলো। সাম্রাজ্যবাদী দস্যুদের কাঁটা–মারা জুতোর তলার কাদার পিণ্ড এভাবেই আফ্রিকার অপমানিত ইতিহাসে চিরচিহ্ন দিয়ে গিয়েছে।
প্রশ্নঃ 'দাঁড়াও ওই মানহারা মানবীর দ্বারে/বলো ক্ষমা হিংস্র প্রলাপের মধ্যে/সেই হোক তোমার সভ্যতার শেষ পুণ্যবাণী।' – উদ্ধৃত পঙক্তিগুলির মধ্য দিয়ে রবীন্দ্রনাথের কবিসত্তার যে পরিচয় মেলে, তা আলোচনা করো।
উত্তরঃ 'আফ্রিকা' কবিতাটি রবীন্দ্রনাথের প্রতিবাদী সত্তার প্রতীক। সাম্রাজ্যবাদী শাসনের নগ্ন চেহারা কবি নিজে প্রত্যক্ষ করেছেন। তাই তিনি ছিলেন ঘোরতর সাম্রাজ্যবাদ – বিরোধী। কবির 'মানহারা মানবী' হল 'আফ্রিকা' । সে যেন 'আফ্রিকা' রবীন্দ্রনাথের কবিসত্ত্বার প্রকাশ আমাদের রুপকথার দুয়োরানি। তাকে নিজের অধিকার পেতে হাজারো পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয়। পাশ্চাত্য ঔপনিবেশিক সভ্যতা 'মানবী' আফ্রিকার বুকের মধ্য থেকে ছিনিয়ে নেয় সম্পদের ভাণ্ডারকে আর স্থাপন করে উপনিবেশ। এরপর দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ করে তার সরল সাদাসিধে মানুষগুলিকে; কিন্তু স্বীকৃতি দেয় না তার সভ্যতা, সংস্কৃতি ও কৃষ্টিকে। তাই আফ্রিকাকে ডুবে থাকতে হয় উপেক্ষার আবিল অন্ধকারে। 'ক্ষমা করো' উদ্ধৃতিটির মধ্য দিয়ে কবি ক্ষমা চাওয়ার কথা বলেছেন। কবি সাহিত্যিকেরা সত্য ও সুন্দরের প্রতিষ্ঠাতা। তাই শোষণ লাঞ্ছনার স্বীকার আফ্রিকার মর্মবাণী যেন সংবেদনশীল কবিহৃদয় দিয়ে অনুভব করেছিলেন। 'আফ্রিকা' কবিতার রচনার সময় গোটা ইউরোপে সৃষ্টি হয় রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতা। শুরু হয় ঔপনিবেশিক ও ফ্যাসিস্ট শক্তির স্বার্থের টানাপোড়েন ও ক্ষমতা হস্তান্তরের পালা। বিশ্বব্যাপী এই হিংস্র প্রলাপের মাঝে কবির দৃষ্টিভঙ্গিতে আফ্রিকা হয়ে ওঠে নিপীড়িত মানবাত্মার প্রতীক। তাই তাঁর মতে আফ্রিকা ও তার নাগরিকদের ওপর যে অত্যাচার সভ্যসমাজ করেছে, এর একমাত্র প্রায়শ্চিত্ত 'ক্ষমা ভিক্ষা'। হিংসার উন্মত্ততার মাঝে, মানবতার পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তাই হবে সভ্যতাবশেষ পুণ্যবাণী।
প্রশ্নঃ 'আফ্রিকা' কবিতায় মানবতার মর্মবাণী ধ্বনিত হয়েছে। - কবিতা অবলম্বনে আলোচনা করো।
উত্তরঃ সাম্রাজ্যবাদের ঘোর বিরোধী, মানবতার পূজারি রবীন্দ্রনাথ। তাই মুসোলিনির ইথিওপিয়ায় অনুপ্রবেশকে ধিক্কার জানিয়ে লেখা 'আফ্রিকা' কবিতায় মানবতার মর্মবাণী ধ্বনিত হবে এটাই স্বাভাবিক। কবিতাটি আফ্রিকার সমাজ ও রাজনৈতিক ইতিহাসের জীবন্ত দলিল। 'আফ্রিকা' কবিতায় মানবতার মর্মবাণী সৃষ্টির আদিতে আফ্রিকা তৈরি হয়েছিল প্রকৃতির খেয়ালে। আদিম প্রকৃতি নিজের মনের মতো করে গড়ে তুলেছিল তাকে। বাকি পৃথিবীর কাছে সে ছিল অপরিচিত। পরবর্তীকালে সভ্যসমাজের দৃষ্টি পড়ে এই অন্ধকারাচ্ছন্ন মহাদেশের ওপর। ক্রমে ক্রমে আফ্রিকা হয়ে ওঠে। পশ্চিমি সভ্য দেশগুলির জন্য ক্রীতদাস জোগানের ক্ষেত্র। এমনকি সে দেশের আদিম প্রকৃতির কোলে লুকিয়ে থাকা সম্পদও তাদের নজর এড়ায় না। পৃথিবীর তথাকথিত সভ্য দেশগুলির লোভ আর অমানবিকতায় লুণ্ঠিত হয় আফ্রিকা। তার ধুলো মাটি কাদা হয় সেখানকার মানুষদের রক্তে আর কান্নায়। লেখা হয় তার অপমানের ইতিহাস। কিন্তু কবি মানবতার পূজারি। তাই সভ্যতার নামে মানবতার এই অপমান তিনি সহ্য করেননি। দিনবদলের সন্ধিক্ষণে তাই পৃথিবীর সমস্ত শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের হয়ে অপমানিত, লাঞ্ছিত আফ্রিকার কাছে তিনি ক্ষমাপ্রার্থনা করেছেন। সভ্যতার এই সংকটের দিনে ঘৃণা বা হিংসা নয়, মানবতার প্রতি শ্রদ্ধা আর সংবেদনশীলতাকেই আশ্রয় করতে চেয়েছেন তিনি।
প্রশ্নঃ 'প্রদোষকাল ঝঞ্ঝাবাতাসে রুদ্ধশ্বাস/যখন গুপ্ত গহ্বর থেকে প্রশুরা বেরিয়ে এল' - 'প্রদোষকাল ঝঞ্ঝাবাতাসে বুদ্ধশ্বাস' বলতে কী বোঝানো হয়েছে? 'গুপ্ত গহ্বর' থেকে পশুদের বেরিয়ে আসা কোন্ ঐতিহাসিক ঘটনার ইঙ্গিত বহন করে?
উত্তরঃ 'আফ্রিকা' কবিতার মাধ্যমে সাম্রাজ্যবাদী শাসনের প্রত্যক্ষদর্শী রবীন্দ্রনাথ ঔপনিবেশিকতা ও সাম্রাজ্যবাদকে তীব্র ধিক্কার জানিয়েছেন। সাম্রাজ্যবাদ দীর্ঘস্থায়ী হলেও তা যে চিরস্থায়ী নয় সে কথা বোঝাতেই কবি যেন আফ্রিকা কবিতা লিখেছেন। আফ্রিকার জন্মলগ্ন থেকে শুরু করে সাম্রাজ্যবাদী হামলায় মানবতার অবক্ষয় এবং শেষে ঔপনিবেশিকতার যবনিকা তথা আসন্ন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঘোষণা এই কবিতায় ব্যক্ত হয়েছে। 'প্রদোষকাল' শব্দটির অর্থ সন্ধ্যা অর্থাৎ দিনের শেষ সময়। 'ঝঞ্ঝাবাতাস' ও 'রুদ্ধশ্বাস' শব্দ দুটি সমকালীন অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতার সূচক। তাই উদ্ধৃত পঙ্ক্তিটির সাহায্যে কবি ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি দেখিয়েছেন, যে সাম্রাজ্যবাদী শাসন এতদিন অসহায় আফ্রিকার ওপর অত্যাচার চালিয়ে এসেছে এবার তার শেষ সময়। এবার পশ্চিমি সভ্যতা অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংকটের মুখে, বিপন্ন হতে চলেছে তার অস্তিত্ব। ঐতিহাসিক ঘটনার ইঙ্গিত
'গুপ্ত গহ্বর থেকে পশুদের বেরিয়ে আসা' বলতে কবি আড়াল থেকে শোষণ, অত্যাচার চালানো পাশবিক শক্তির সামনাসামনি আসাকে বোঝাতে চেয়েছেন। সাম্রাজ্যবাদী শাসকরা একসময় অসহায় আফ্রিকার ওপর চালিয়েছে অকথ্য অত্যাচার। হত্যা করেছে মানবিকতাকে। প্রথম যুদ্ধোত্তর কালে এই অসুখে মানুষ বেসামাল হয়ে পড়ে, তখন থেকেই অনিবার্যভাবে প্রকট হয়ে উঠেছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সম্ভাবনা। গুপ্ত গহ্বর থেকে হিংস্র পশুর বেরিয়ে আসা আসলে সভ্যসমাজের বর্বর রূপের বহিঃপ্রকাশেরই ইঙ্গিতবাহী।
Madhyamik Bengali Suggestion 2025
Madhyamik Bengali suggestion 2025 pdf. Madhyamik Bengali suggestion 2025 pdf download. Madhyamik Bengali question 2025. Madhyamik Bengali. Madhyamik Bengali meaning. Madhyamik Bengali syllabus 2025. Madhyamik Bengali syllabus 2025. Madhyamik Bengali syllabus. Madhyamik Bengali question 2025.
আফ্রিকা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন প্রশ্ন ও উত্তর
দশম শ্রেণীর আফ্রিকা কবিতার ব্যাখ্যা. আফ্রিকা কবিতার প্রশ্ন উত্তর 2025. চির চিহ্ন দিয়ে গেল তোমার অপমানিত ইতিহাসে. আফ্রিকা কবিতার বড় প্রশ্ন উত্তর. আফ্রিকা কবিতার প্রশ্ন উত্তর pdf. এসো যুগান্তরের কবি যুগান্তের কবি কে কেন আহ্বান করা হয়েছে. আফ্রিকা কবিতার প্রশ্ন উত্তর mcq. 'কাস্তে' কবিতায় সাম্রাজ্যবাদীদের বিরুদ্ধে কবির মনোভাব নিজের.
Madhyamik Suggestion 2025 pdf Free download
মাধ্যমিক সাজেশন 2025 pdf. উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন 2025. মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন 2025 PDF. বাংলা ব্যাকরণ সাজেশন. উচ্চ মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন 2025. মাধ্যমিক বাংলা কারক. মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন 2025. পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার সম্ভাব্য প্রশ্ন উত্তর ও শেষ মুহূর্তের সাজেশন ডাউনলোড. মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। মাধ্যমিক সাজেশন 2025 pdf. মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন 2025 pdf. মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন 2025 mcq. মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন 2025. মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্ন উত্তর 2025. 2025 এর মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্ন বাংলা.
আফ্রিকা কবিতার প্রশ্ন উত্তর pdf
দশম শ্রেণীর আফ্রিকা কবিতার ব্যাখ্যা. আফ্রিকা কবিতার বড় প্রশ্ন উত্তর. আফ্রিকা কবিতার প্রশ্ন উত্তর mcq. চির চিহ্ন দিয়ে গেল তোমার. অপমানিত ইতিহাসে. আফ্রিকা কবিতার বড় প্রশ্ন উত্তর 2025. আফ্রিকা কবিতা থেকে প্রশ্ন উত্তর. এসো যুগান্তরের কবি যুগান্তের কবি কে কেন আহ্বান করা হয়েছে. এল ওরা লোহার হাতকড়ি নিয়ে ওরা কারা.
মাধ্যমিক সাজেশন 2025 pdf
Madhyamik suggestion 2025 pdf. Madhyamik suggestion 2025 pdf download. Madhyamik suggestion 2025 pdf free download. ক্লাস 10 বাংলা প্রশ্ন উত্তর 2025. ক্লাস টেনের বাংলা সাজেশন. মাধ্যমিক সাজেশন 2025 pdf. মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন 2025 pdf. মাধ্যমিক পরীক্ষার সাজেশন 2025 বাংলা. উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন 2025. মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন 2025. মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন 2025 PDF. বাংলা ব্যাকরণ সাজেশন.
আফ্রিকা কবিতার প্রশ্ন উত্তর 2025
দশম শ্রেণীর আফ্রিকা কবিতার ব্যাখ্যা. আফ্রিকা কবিতার প্রশ্ন উত্তর. চির চিহ্ন দিয়ে গেল তোমার অপমানিত ইতিহাসে. আফ্রিকা কবিতার প্রশ্ন উত্তর mcq. আফ্রিকা কবিতার বড় প্রশ্ন উত্তর. আফ্রিকা কবিতার প্রশ্ন উত্তর pdf. এসো যুগান্তরের কবি যুগান্তের কবি কে কেন আহ্বান করা হয়েছে. 'কাস্তে' কবিতায় সাম্রাজ্যবাদীদের বিরুদ্ধে কবির মনোভাব নিজের ভাষায় লেখো.
WBBSE Madhyamik bengali suggestion 2025
WBBSE Madhyamik Bengali suggestion 2025 pdf download. Madhyamik Question Paper Bengali. WBBSE Madhyamik Bengali suggestion 2025 pdf download in Bengali. WBBSE Madhyamik Bengali suggestion 2025 download pdf. West Bengal Madhyamik Bengali Suggestion 2025 Download. WBBSE Madhyamik Bengali short question suggestion 2025. Madhyamik Bengali Suggestion 2025 download. WB Madhyamik 2025 Bengali suggestion and important questions. Madhyamik Suggestion 2025 pdf.
আফ্রিকা বড় প্রশ্ন উত্তর
আফ্রিকা কবিতার প্রশ্ন উত্তর pdf. আফ্রিকা কবিতার রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর. আফ্রিকা কবিতার প্রশ্ন উত্তর mcq. আফ্রিকা কবিতার প্রশ্ন উত্তর 2025. এল ওরা লোহার হাতকড়ি নিয়ে ওরা কারা. আফ্রিকা কবিতার নামকরণের সার্থকতা. 'কাস্তে' কবিতায় সাম্রাজ্যবাদীদের বিরুদ্ধে কবির মনোভাব নিজের ভাষায় লেখো. আফ্রিকা কবিতার প্রেক্ষাপট.
Sab tek ans:
উত্তরমুছুনbate