2022 Activity Task (January)
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক
অষ্টম শ্রেণি
পরিবেশ ও ভূগোল
পূর্ণমান : ২০
Download App For : Model Activity Task 2022
১. বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখো :
১.১ শিলামন্ডলের নীচে গুরুমন্ডলের ওপরের স্তর হলো -
(ক) ভূত্বক
(খ) অ্যাস্থেনোস্ফিয়ার
(গ) অন্তঃগুরুমন্ডল
(ঘ) বহিঃকেন্দ্রমন্ডল
উত্তরঃ (খ) অ্যাস্থেনোস্ফিয়ার
১.২ নীচের ছবিতে তির চিহ্ন দ্বারা নির্দেশিত বিযুক্তিরেখার নাম হলো -
(ক) রেপিত্তি
(খ) কনরাড
(গ) গুটেনবার্গ
(ঘ) লেহম্যান
উত্তরঃ (ঘ) লেহম্যান
২.১ উপযুক্ত শব্দ বসিয়ে শূণ্যস্থান পুরণ করো :
২.১.১ 's' তরঙ্গ ___________ মাধ্যমের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে না।
উত্তরঃ 's' তরঙ্গ তরল ও অর্ধতরল মাধ্যমের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে না।
২.১.২ পৃথিবীর কেন্দ্রের কাছে থাকা পদার্থগুলোর ঘনত্ব __________।
উত্তরঃ পৃথিবীর কেন্দ্রের কাছে থাকা পদার্থগুলোর ঘনত্ব বেশি।
২.১.৩ ভূত্বক ও গুরুমন্ডলের উপরিঅংশ নিয়ে গঠিত হয়েছে __________।
উত্তরঃ ভূত্বক ও গুরুমন্ডলের উপরিঅংশ নিয়ে গঠিত হয়েছে শিলামন্ডল।
২.২ বাক্যটি 'সত্য' হলে ঠিক এবং অসত্য হলে 'ভুল' লেখো :
২.২.১ P তরঙ্গ ভূঅভ্যন্তরের তরল মাধ্যমের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়।
উত্তরঃ ভুল
২.২.২ কেন্দ্রমন্ডলের প্রধান উপাদান অ্যালুমিনিয়াম ও সিলিকন।
উত্তরঃ ভুল
২.২.৩ সিমা অপেক্ষাকৃত ভারি হওয়ায় সিয়ালের নীচে অবস্থান করে।
উত্তরঃ ঠিক
৩. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :
৩.১ ম্যাগমা ও লাভার মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করো।
উত্তরঃ ম্যাগমা ও লাভার মধ্যে পার্থক্যগুলি হলো -
প্রথমত, ভূগর্ভের উত্তপ্ত ও গলিত তরল খনিজের মিশ্রণকে ম্যাগমা বলে; আর লাভা বলতে বোঝায় ভূপৃষ্ঠের উপরিস্থিত উত্তপ্ত তরল গ্যাস ও বাষ্পহীন শিলার মিশ্রণ।
দ্বিতীয়ত, ভূগর্ভের ম্যাগমার উপস্থিতি দেখা যায়; কিন্তু লাভা ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগেই অবস্থান করে।
তৃতীয়ত, ভূগর্ভের তরল শিলা হল ম্যাগমা; আর লাভা হলো ভূপৃষ্ঠের উপরিস্থিত তরল ও কঠিন শিলার মিশ্রণ।
৩.২ ক্রোফোসিমা ও নিফেসিমার মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করো।
উত্তরঃ ক্রোফোসিমা ও নিফেসিমার মধ্যে পার্থক্যগুলি হল -
প্রথমত, গুরুমন্ডলের উপরের অংশ হল ক্রোফেসিমা; আর গুরুমন্ডলের নীচের অংশ হল নিফেসিমা।
দ্বিতীয়ত, ক্রোফেসিমার দৈর্ঘ্য ৩০ থেকে ৭০০ কিমি; কিন্তু নিফেসিমার দৈর্ঘ্য ৭০০ থেকে ২৯০০ কিমি।
তৃতীয়ত, ক্রোফেসিমা ক্রমিয়াম, লোহা, সিলিকন ও ম্যাগনেশিয়াম দিয়ে গঠিত; তবে নিফেসিমা নিকেল, লোহা, সিলিকন ও ম্যাগনেশিয়াম দিয়ে গঠিত।
৪. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও :
ভূঅভ্যন্তরের পরিচলন স্রোতের ভূমিকা উল্লেখ করো।
উত্তরঃ ভূগর্ভের তাপে সান্দ্র অবস্থায় থাকা পদার্থগুলি উত্তপ্ত হয়ে ওপরের দিকে উঠে এসে অনুভূমিকভাবে প্রবাহিত হয়। আবার ওপরের ঠাণ্ডা, ভারী পদার্থ নীচের দিকে নেমে যায়। এইভাবে পরিচলন স্রোতের সৃষ্টি হয়। পৃথিবীর অভ্যন্তরে গুরুমন্ডলে এই স্রোত বাহিত হয়ে ভূমির পরিবর্তন ঘটায়। পরিচলন স্রোত ভূগর্ভের তাপকে ওপরের দিকে বয়ে নিয়ে আসে। পাতের সঞ্চালনেও পরিচলন স্রোত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৫. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও :
পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগের পাঁচটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।
উত্তরঃ বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর অভ্যন্তরের প্রধান তিনটি স্তরের সন্ধান পেয়েছেন। একেবারে উপরে আছে ভূত্বক। ভূত্বকের নিচে আছে গুরুমন্ডল। আর একেবারে নীচে বা পৃথিবীর কেন্দ্রের চারিদিকে অবস্থান করছে কেন্দ্রমন্ডল। এদের বৈশিষ্ট্যগুলি হল -
(১) ভূত্বক ঃ মহাসাগরের নীচে ভূত্বক গড়ে ৫কিমি ও মহাদেশের নীচে গড়ে ৬০ কিমি গভীর। এরগড় গভীরতা প্রায় ৩০ কিমি। মহাসাগরের নীচে প্রধানত সিলিকন আর ম্যাগনেশিয়াম দিয়ে তৈরি স্তরটি হলো সিমা (SIMA)। এই স্তর তুলনায় ভারী। প্রধানত ব্যাসল্ট জাতীয় আগ্নেয়শিলা এই স্তর গঠন করেছে। এর ঘনত্ব ২.৯ গ্রাম/ঘনসেমি। মহাদেশের নীচে প্রধানত সিলিকন আর অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি ভূত্বকের ওপরের স্তরটি হলো সিয়াল (SIAL)। গ্রানাইট জাতীয় আগ্নেয় শিলা এই স্তর গঠন করেছে। এই স্তর সিমার চেয়ে হালকা এবং একটানা নয়। সমুদ্রের নীচে এই স্তর অনুপস্থিত। সিমা বা মহাসাগরীয় ভূত্বকের ওপরে সিয়াল অবস্থান করছে।
(২) গুরুমন্ডল ঃ ভূত্বক ছাড়িয়ে পৃথিবীর অভ্যন্তরে প্রায় ২৯০০ কিমি পর্যন্ত একই ঘনত্বযুক্ত স্তর হলো গুরুমন্ডল। এই স্তরের উষ্ণতা ২০০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস থেকে ৩০০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস। পদার্থের ঘনত্ব ৩.৪ - ৫.৬ গ্রাম/ঘনসেমি। এই স্তরের প্রধান উপাদান লোহা, নিকেল, ক্রোমিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও সিলিকন।
গুরুমন্ডলের ৩০ - ৭০০ কিমি পর্যন্ত অংশে ক্রোমিয়াম, লোহা, সিলিকন ও ম্যাগনেশিয়ামের প্রাধান্য দেখা যায়। এটি হলো ক্রোফেসিমা স্তর। আর গুরুমন্ডলের ৭০০ - ২৯০০ কিমি পর্যন্ত অংশে নিকেল, লোহা, সিলিকন ও ম্যাগনেশিয়ামের আধিক্যের জন্য এই স্তর হলো এই স্তর হলো নিফেসিমা।
(৩) কেন্দ্রমন্ডল ঃ ভূত্বক ও গুরুমন্ডলের পরবর্তী এবং কেন্দ্রের চারিদিকে বেষ্টনকারী শেষ স্তরটি হলো কেন্দ্রমন্ডল। এই স্তরটি প্রায় ৩৫০০ কিমি গভীর। অত্যন্ত ভারী নিকেল আর লোহা দিয়ে তৈরি বলে একে নিফে বলে। এর গড় তাপমাত্রা প্রায় ৫০০০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড। এই স্তরের গড় ঘনত্ব প্রায় ৯.১ থেকে ১৩.১ গ্রাম/ঘনসেমি। পদার্থের ঘনত্ব, উষ্ণতা, চাপ কেন্দ্রমন্ডলের সবজায়গায় একরকম নয়। এগুলোর ওপর ভিত্তি করে বিজ্ঞানীরা কেন্দ্রমন্ডলকে দুটি অংশে বিভক্ত করেছেন -
(ক) অন্তঃকেন্দ্রমন্ডল - এই স্তর পৃথিবীর একেবারে কেন্দ্রের চারদিকে রয়েছে। এই স্তরের গভীরতা ৫১০০ কিমি থেকে প্রায় ৬৩৭০ কিমি। এই স্তরের চাপ, তাপ, ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি। অত্যধিক চাপের ফলে পদার্থগুলো এখানে কঠিন অবস্থায় আছে।
(খ) বহিঃকেন্দ্রমন্ডল - অন্তঃকেন্দ্রমন্ডলের চারদিকে রয়েছে বহিঃকেন্দ্রমন্ডল। এই স্তর ২৯০০ কিমি - ৫১০০ কিমি গভীর। এর চাপ, তাপ ও ঘনত্ব অন্তঃকেন্দ্রমন্ডলের তুলনায় কম। এই স্তর অর্ধকঠিন অবস্থায় পৃথিবীর অক্ষের চারদিকে আবর্তন করে চলেছে। এই স্তরে সান্দ্র অবস্থায় থাকা লোহা ও নিকেল প্রচন্ড গতিতে ঘুরতে ঘুরতে বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র তৈরি করেছে, যেখানে সৃষ্টি হয়েছে পৃথিবীর চৌম্বকত্ব।
অন্যান্য অ্যাক্টিভিটি পেতে ঃ এইখানে ক্লিক করুন
পিডিএফ পেতে ঃ এইখানে ক্লিক করুন
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
0 মন্তব্যসমূহ