2022 Activity Task January
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক
সপ্তম শ্রেণি
পরিবেশ ও ভূগোল
পূর্ণিমান : ২০
Download App For : Model Activity Task 2022
১. বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখো :
১.১ অধিবর্ষের বছরটি হলো -
(ক) ১৯৯৬
(খ) ১৯৯৪
(গ) ১৯৯৮
(ঘ) ১৯৯০
উত্তরঃ (ক) ১৯৯৬
১.২ তোমার ছায়ার দৈর্ঘ্য সবচেয়ে ছোটো হবে -
(ক) সকাল ৭ টায়
(খ) সকাল ১০ টায়
(গ) দুপুর ১২ টায়
(ঘ) বিকেল ৪ টে
উত্তরঃ (গ) দুপুর ১২ টায়
১.৩ যে তারিখে মহাবিষুব হয় সেটি হলো -
(ক) ১৭ মার্চ
(খ) ২১ মার্চ
(গ) ২৫ মার্চ
(ঘ) ২৯ মার্চ
উত্তরঃ (খ) ২১ মার্চ
২.১ বাক্যটি সত্য হলে 'ঠিক' এবং অসত্য হলে 'ভুল' লেখো :
২.১.১ ২২ শে ডিসেম্বর পৃথিবীর সর্বত্র দিন-রাত্রি সমান হয়।
উত্তরঃ ভুল
২.১.২ আমাদের দেশে যখন শরৎকাল, দক্ষিণ গোলার্ধে তখন বসন্তকাল।
উত্তরঃ ঠিক
২.২ একটি বা দুটি শব্দে উত্তর দাও :
২.২.১ যে কল্পিত রেখার চারিদিকে পৃথিবী আবর্তন করে তার নাম লেখো।
উত্তরঃ যে কল্পিত রেখার চারিদিকে পৃথিবী আবর্তন করে তার নাম হল কক্ষতল।
২.২.২ 'বিষুব' কথাটির অর্থ কী?
উত্তরঃ 'বিষুব' কথাটির অর্থ হল সমান দিন ও রাত্রি।
২.২.৩ কোন মাসে পৃথিবী সূর্যের সবচেয়ে কাছে অবস্থান করে?
উত্তরঃ জানুয়ারি মাসে পৃথিবী সূর্যের সবচেয়ে কাছে অবস্থান করে।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :
৩.১ সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব সবসময় সমান হয় না কেন?
উত্তরঃ উপবৃত্তাকার কক্ষপথের একটা নির্দিষ্ট ফোকাসে সূর্য অবস্থান করে। এই কারণে পৃথিবী সূর্য প্রদক্ষিণের সময় সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব সবসময় সমান থাকেনা। অনুসূর অবস্থায় পৃথিবী সূর্যের বেশি কাছে আসে আবার অপসূর অবস্থায় দূরে চলে যায়।
৩.২ পৃথিবীর পরিক্রমণ গতির আরেক নাম বার্ষিক গতি কেন?
উত্তরঃ সূর্যকে একবার সম্পূর্ণ প্রদক্ষিণ করতে পৃথিবীর সময় লাগে ৩৬৫ দিন ৫ ঘন্টা ৪৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড। এই সময়কালকে সৌরবছর বলে। তবে হিসাবের সুবিধার জন্য পৃথিবীর একবার সম্পূর্ণ পরিক্রমণের সময়কে ৩৬৫ দিন ধরে প্রতি চতুর্থ বছরের দিনসংখ্যার সঙ্গে ১ দিন যোগ করে ৩৬৬ দিন ধরা হয়। এইভাবে, পরিক্রমণ গতির মাধ্যমে বছর নির্ধারিত হয় বলে এই গতির আর এক নাম বার্ষিক গতি।
৪. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও :
অপসূর ও অনুসূরের মধ্যে পার্থক্য লেখো।
উত্তরঃ অপসূর ও অনুসূরের মধ্যে প্রধান পার্থক্যগুলি হল -
৪ঠা জুলাই সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব সবচেয়ে বেশি হয় প্রায় ১৫ কোটি ২০ লক্ষ কিলোমিটার। একে পৃথিবীর অপসূর অবস্থান বলা হয়; আবার ৩রা জানুয়ারি সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব সবচেয়ে কম হয় প্রায় ১৪ কোটি ৭০ লক্ষ কিলোমিটার। একে পৃথিবীর অনুসূর অবস্থান বলা হয়।
৫. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও :
চিত্রসহ সংক্ষেপে ঋতু পরিবর্তনের বর্ণনা দাও।
উত্তরঃ পৃথিবীর পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন ঋতুর আবির্ভাব হয়। এর কারণ হল -
(১) পৃথিবীর অভিগত গোলাকৃতি ঃ পৃথিবীর আকৃতি অভিগত গোলকের মতো বলে পৃথিবীর সবর্ত্র সূর্যালোক সমানভাবে পড়ে না, ফলে উত্তাপের পার্থক্য দেখা যায়, একারণে ঋতু পরিবর্তন হয়।
(২) দিনরাত্রির দৈর্ঘ্যের হ্রাসবৃদ্ধি ঃ সূর্য যে গোলার্ধে লম্বভাবে কিরণ দেয় সেই গোলার্ধে তখন গ্রীষ্মকাল এবং বিপরীত গোলার্ধে শীতকাল হয়।
(৩) লম্ব ও তির্যকভাবে পতিত সূর্যরশ্মির জন্য উষ্ণতার পার্থক্য ঃ পৃথিবী সূর্যকে প্রদক্ষিণ করার সময় পৃথিবীর যে অংশ সূর্যের দিকে হেলে থাকে সেই দিকে সূর্যালোক বেশি পড়ে তাই সেখানে গ্রীষ্মকাল এবং পৃথিবীর অন্যত্র শীত, শরৎ এবং বসন্ত কালের আবির্ভাব হয়।
(৪) পৃথিবীর উপবৃত্তাকার কক্ষপথ ঃ যে পথে পৃথিবী সূর্যকে পরক্রমণ করে, সেই পথটি উপবৃত্তাকার বলে বছরের বিভিন্ন সময় সূর্য ও পৃথিবীর মধ্যে দূরত্বের পার্থক্য সৃষ্টি হয়। ঐ পার্থক্যের জন্য পৃথিবীতে উত্তাপের পার্থক্য হয় ও ঋতুপরিবর্তন হয়।
অন্যান্য অ্যাক্টিভিটি পেতে ঃ এইখানে ক্লিক করুন
পিডিএফ পেতে ঃ এইখানে ক্লিক করুন
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
0 মন্তব্যসমূহ