মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক
সপ্তম শ্রেণি
বাংলা
পূর্ণমান ঃ ২০
১। ঠিক উত্তর বেছে নিয়ে লেখো ঃ
Download Model Activity Task 2022 Apps
১.১ 'পাগলা গণেশ' গল্পের ঘটনাকাল -
(ক) ২০২২ খ্রিস্টাব্দ
(খ) ১০৮৯ খ্রিস্টাব্দে
(গ) ২০৮৯ খ্রিস্টাব্দে
(ঘ) ৩৫৮৯ খ্রিস্টাব্দে
উত্তরঃ (ঘ) ৩৫৮৯ খ্রিস্টাব্দে
১.২ 'মৃত্যুঞ্জয় টনিক' যখন আবিষ্কৃত হয়, তখন গণেশের বয়স -
(ক) ২০ বছর
(খ) ৩০ বছর
(গ) ৫০ বছর
(ঘ) ১৫০ বছর
উত্তরঃ (গ) ৫০ বছর
১.৩ বায়োকেমিস্ট্রির ল্যাবরেটরি স্থাপিত হয়েছিল -
(ক) এভারেস্টের চূড়ায়
(খ) রূপকুন্ডে
(গ) কাঞ্চনজঙ্ঘায়
(ঘ) গঙ্গোত্রীতে
উত্তরঃ (খ) রূপকুন্ডে
২। নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও ঃ
২.১ 'ব্যতিক্রম অবশ্য এক আধজন আছে।' - কোন বিষয়ের ব্যতিক্রম?
উত্তরঃ 'পাগলা গনেশ' গদ্যাংশে জানা যায় পৃথিবীর সুদূর ভবিষ্যৎ, ৩৫৮৯ সালে বিজ্ঞানের কঠোরতায় মানুষের মন থেকে দয়া, মায়া, মরুণা, ভালোবাসা বিলুপ্ত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে গণেশের মতো কিছু মানুষ দয়া-মায়ার মতো মানবিক বিষয়ে ব্যতিক্রম হয়ে বাঁচতে চেয়েছে।
Download Model Activity Task 2022 Apps
২.২ 'ও মশাই, অমন বিকট শব্দ করেছেন কেন?' - কারা একথা বলেছিল?
উত্তরঃ শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় রচিত পাগলা গনেশ নামাঙ্কিত গদ্যে লাসা থেকে আসা দুজন পাখাওলা লোক উদ্ধৃত উক্তিটি করেছিলেন।
২.৩ 'পৃথিবীর জনসংখ্যার ভারসাম্য রাখতে তা করা আবশ্যিক।' - কোন কাজটি করা অবশ্যিক?
উত্তরঃ এখানে মরা মানুষকে বাঁচিয়ে তোলা শক্ত কাজ তো নয়ই, বরং পৃথিবীর জনসংখ্যার ভারসাম্য রাখতে তা করা আবশ্যিক বলা হয়েছে।
৩। নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও ঃ
৩.১ 'তা বলে পৃথিবীর মানুষেরা হাল ছাড়েনি।' - কোন বিষয়ে তারা হাল ছাড়েনি?
উত্তরঃ উদ্ধৃতাংশটি শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় রচিত 'পাগলা গনেশ' গদ্যাংশ থেকে গৃহীত হয়েছে।
এই পৃথিবীর সুদূর ভবিষ্যৎ, ৩৫৮৯ সালে দেখা যায় পৃথিবীর মানুষ বৈজ্ঞানিক উন্নতির চরম নিদর্শন স্বরূপ চাঁদ, মঙ্গল, শুক্র গ্রহে ল্যাবরটরি তৈরি করে ফেলেছে। এক দেড়শো বছর আগে থেকে পৃথিবীর মানুষ মহাকাশে রওনা দিয়েছে। যারা আকাশের অনেক দূর-দূরান্তে পাড়ি দিয়েছে তাদের ফিরে আসার সঠিক সময় জানা যায়নি। এরইমধ্যে এক দেড়শো বছর আগে যারা জন্মেছিল, মৃত্যুজ্ঞয় টনিকের প্রভাবে তাদের মৃত্যু হয়নি। বহু বছর আগে যারা মহাকাশে গেছে তাদের ফিরে আসার অপেক্ষায় বহু মানুষ বেঁচে আছে। মহাকাশের দূর-দূরান্তে যাওয়া এবং ফিরে আসার জন্য শত শত বৎসর অপেক্ষা করতে পৃথিবীর মানুষ হাল ছাড়েনি।
৩.২ 'খামোখা সময় নষ্ট।' - কোন প্রসঙ্গে একথা বলা হয়েছে?
উত্তরঃ উদ্ধৃত অংশটি মুখোপাধ্যায় রচিত 'পাগলা গনেশ' গল্পের অন্তর্গত।
আজকাল পৃথিবীতে মানুষ মরে না। যারা মহাকাশে গেছে তারা ফিরে এসে সেই আমলের লোকেদের দেখতে পাবে। তবে সব মানুষই বেঁচে আছে বলে নতুন মানুষের জন্মও আর হচ্ছে না। গত দেড়শো বছরের মধ্যে কেউ পৃথিবীতে শিশুর কান্না শোনেনি। এদিকে ঘরে ঘরে মানুষ এত বেশি বিজ্ঞান নিয়ে বুঁদ হয়ে আছে যে প্রতিঘরের প্রত্যেকেই কোনো না কোনো বিজ্ঞানের বিজ্ঞানী। বিজ্ঞান ছাড়া আর কোনো চর্চার নেই। কবিতা, গান, ছবি আঁকা। কথাসাহিত্য, নাটক, সিনেমা এসব নিয়ে কেউ মাথা ঘামায় না। ওসব অনাবশ্যক ভাবাবেগ কোনো কাজেই লাগে না-এই সঙ্গে বলা হয়েছে খামোখা সময় নষ্ট।
৩.৩ 'গণেশের ব্যাপারটা পছন্দ হয়নি।' - কোন ব্যাপারটি গণেশ পছন্দ করেনি?
উত্তরঃ আলোচ্য অংশটি পাঠ্য 'পাগলা গনেশ' গল্পের অংশবিশেষ। এই গল্পের প্রধান চরিত্র গণেশ। বিজ্ঞান নির্ভর এক অতি আধুনিক যুগে তার বাস। পাগলা গণেশের বর্তমান বয়স দুশো বছর। তার যখন পঞ্চাশ বছর ছিল, অর্থাৎ আজ থেকে দেড়শো বছর আগে মৃত্যুজ্ঞয় টনিক আবিষ্কার হয়। গনেশও আর সকলের সত টনিকটা খেয়েছিল। ফলে সেও অমরত্ব লাভ করল। আজ থেকে দেড়শো বছর আগে যখন সুকুমার শিল্পবিরোধী আন্দোলন শুরু হলো এবং শিল্প - সংগীত সাহিত্যচর্চা ইত্যাদির পাঠ উঠে যেতে লাগল তখন এই ব্যাপারটা গনেশের পছন্দ হয়নি। তিনি মনে করেন বিজ্ঞানের বাড়াবাড়িরও একটা সীমা থাকা দরকার।
৪। নীচের প্রশ্নটির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো ঃ
'পাগলা গণেশ' গল্প গণেশকে 'পাগলা' মনে করা কতদূর যুক্তিসঙ্গত বলে তুমি মনে করো?
উত্তরঃ প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় রচিত 'পাগলা গনেশ' গল্পটির কেন্দ্রীয় তথা প্রধান চরিত্র গনেশ থাকে তথাকথিত 'পাগলা গনেশ' বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এবার আমরা সমগ্র গল্প পর্যালোচনার মাধ্যমে গনেশকে 'পাগলা' সর্ণে করা কতটা যুক্তিযঙ্গত তা আলোচনা করব।
সালটা ৩৫৮৯ খ্রিস্টাব্দ। বর্তমান বিজ্ঞানের যান্ত্রিকতা গ্রস করে ফেলল সমগ্র পৃথিবীকে। গান, ছবি আঁকা, কথা সাহিত্য, নাটক, সিনেমা - এসব নিয়ে মাথা ঘামানোটা নিতান্তই পাগলামি। দয়া, মায়া, করুনা, ভালোবাসা এসবই 'অনাবশ্যক ভাবাবেগ। জাতিফ্রেম শুধুমাত্র গনেশ। দেড়শো বছর আগে করন সুকুমার শিল্পবিরোধী আন্দোলন শুরু হলে যখন শিল্প, সংগীত ও সাহিত্যের পাঠ উঠে যেতে থাকল তখন তিন গোটা ব্যাপারটাকেই অপছন্দ করেন। সেই সময় গনেশ কবিতা লিখে পৃথিবীতে মানবিক বোধগুলিকে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হলেন এবং ধীরে ধীরে তা ফিরিয়ে আনলেন। সেকালের পরিপ্রেক্ষিতে গনেশকে স্বাভাবিক মনে করেনি লোকে। তাই তিনি হয়ে গিয়েছিলেন 'পাগলা গনেশ'।
অন্যদিকে যান্ত্রিক পৃথিবীতে নিঃসঙ্গ হয়েও গনেশ চালিয়ে গিয়েছেন তাঁর কবিতা গান ছবি আঁকা ইত্যাদি সুকুমার বলার চর্চা। আমার মতে তিনি প্রকৃত অর্থে মানবতারই পৃষ্ঠপোষক।
অন্যান্য মডেল অ্যাক্টিভিটি পেতে ঃ এইখানে ক্লিক করুন
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
0 মন্তব্যসমূহ