মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক
ষষ্ঠ শ্রেণি
ইতিহাস
পূর্ণমান ঃ ২০
১। শূন্যস্থান পূরণ করো ঃ
Download Model Activity Task 2022 Apps
(ক) সবচেয়ে পুরোনো আদিম মানুষের খোঁজ পাওয়া গেছে ____________।
উত্তরঃ পূর্ব আফ্রিকাতে
(খ) পাথরের যুগকে সাধারণভাবে __________ পর্যায়ে ভাগ করা হয়।
উত্তরঃ তিনটি
(গ) আদিম মানুষ প্রথম কৃষিকাজ শেখে __________ যুগে।
উত্তরঃ নতুন পাথরের
২। ঠক-ভুল নির্ণয় করো ঃ
(ক) হাতিয়ারের বিবর্তন আদিম মানুষের জীবন পরিবর্তন ঘটিয়েছিল।
উত্তরঃ ঠিক
(খ) আদমগড়ের মানুষ পশুপালন করতে শিখেছিল।
উত্তরঃ ঠিক
(গ) ভীটবেটকার গুহাগুলি উত্তরপ্রদেশে অবস্থিত।
উত্তরঃ ভুল
Download Model Activity Task 2022 Apps
৩। স্তম্ভ মেলাও ঃ
উত্তরঃ
৪। দুটি-তিনটি বাক্যে উত্তর দাও ঃ
(ক) ভীমবেটকার গুহার দেয়াল কেমন ধরনের ছবি পাওয়া গেছে?
উত্তরঃ ভীমবেটকার গুহার দেওয়ালে আদিম মানুষের আঁকা বিভিন্ন ছবি পাওয়া গেছে। প্রায় সবই শিকারের দৃশ্য। নানারকম বন্য পশুর ছবি রয়েছে। তাছাড়া পাখি, মাছ, কাঠবেড়ালির মতো প্রাণীর ছবিও দেখা যায়। এছাড়া দেখা যায় মানুষ একা অথবা দলবেঁধে শিকার করছে। তাদের কারো কারো মুখে মুখোশ। হাতে - পায়ে গয়না। অনেক সময়ই মানুষের সঙ্গে কুকুরকে দেখা যায়। ছবিগুলুতে সবুজ ও হলুদ রং - এর ব্যবহার হলেও বেশি দেখা যায় সাদা এবং লাল রং।
(খ) পুরোনো পাথরের যুগে আদিম মানুষের জীবন কেমন ছিল?
উত্তরঃ পুরোনো পাথরের যুগে মানুষের জীবন ছিল বেশ কঠিন ও কষ্টের। দলবেঁধে তারা পশু শিকার করত। মিলেমিশে খাবার ভাগ করে খেত। প্রচন্ড ঠান্ডা থেকে বেঁচতে পশুর চামড়া এবং গাছের ছাল পরত।
(গ) আগুনের ব্যবহারের ফলে মানুষের জীবনে কী কী পরিবর্তন এসেছিল?
উত্তরঃ আগুনের ব্যবহারের ফলে একদিকে প্রচন্ড শীতের হাত থেকে মানুষ রক্ষা পেত। পাশাপাশি বিভিন্ন জন্তুর আক্রমণ মোকাবিলা করার জন্যও আগুনের ব্যবহার শুরু হয়। তাছাড়া আগুনের ব্যবহার আদিম মানুষের খাবার অভ্যাসও বদলে দিয়েছিল। এসময় কাঁচা খাওয়ার বদলে খাবার জোর কম লাগতো। এর ফলে ধীরে ধীরে তাদের চোয়াল সরু হয়ে এলো এবং সামনের ধারালো উঁচু দাঁত ছোট হয়ে গেল।
৫। আট-দশটি বাক্যে উত্তর দাও ঃ
যাযাবর মানুষ কীভাবে ধীরে ধীরে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেছিল?
উত্তরঃ আদিম মানুষের ইতিহাসে নতুন পাথরের যিগ অনেকদিক থেকেই নতুন ছিল। পাথরের হাতিয়ার বানানোর কৌশল অনেক উন্নত হয়েছিল। নানান রকম পাথরের হাতিয়ার তৈরি করা শুরু হয়। পাশাপাশি ছোটো পাথরের হাতিয়ারও এসময় ব্যবহার করা হতো। এই পর্যায়ে প্রথম আদিম মানুষ কৃষিকাজ শেখে। ফলে তারা নিজেরা নিজেদের খাদ্য উৎপাদন শুরু করে। নতুন পাথরের যুগে শিকার করতে বা পশু চরাতে ছেলেরা দল বেঁধে যেত। মেয়েরা বাচ্চাদের দেখাশোনা করত। ফলমূল জোগাড় করত। এইভাবে একসময়ে গাছগাছ দেখতে দেখতে মেয়েরা বুঝতে পারল কীভাবে বীজ থেকে চারাগাছ থেকে বড়োগাছ। তখন শুধু থাকার খঁজ নয় খাবার তৈরি করতে পারল তারা। মানুষ শিখল কৃষিকাজ। কৃষিকাজ শুরু হওয়ার ফলে কৃষি অঞ্চলেই স্থায়ী বসতি বানিয়ে থাকতে শুরু করে মানুষ। চাষের সঙ্গে যুক্ত হয় বাস বা থাকা। চাষবাস কথাটা আজও ব্যবহার হয়। তার থেকে ক্ষেতের পাশে বসতি বানানোর গুরুত্ব বোঝা যায়। শিকার ও পশুপালনের জন্য মানুষকে নানান জায়গায় ঘুরে বেড়াতে হতো। কৃষিকাজ শুরু করার পরে সেই ঘোরাঘুরি বন্ধ হয়। তাছাড়া কৃষিকাজ খাদ্য উৎপাদন নিশ্চিত করে। শিকারের মতো তা অনিশ্চিত নয়। ফলে যাযাবর মানুষ ধীরে ধীরে কৃষি ও স্থায়ী বসতির দিকে যেতে থাকে।
অন্যান্য মডেল অ্যাক্টিভিটি পেতে ঃ এইখানে ক্লিক করুন
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
0 মন্তব্যসমূহ