2022 Activity Task January
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক
ষষ্ঠ শ্রেণি
বাংলা
পূর্ণমান : ২০
Download App For : Model Activity Task 2022
১. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো :
১.১ খোলের মধ্যে বোঝাই করা রয়েছে -
(ক) ধান
(খ) আলু
(গ) গম
(ঘ) শুকনো খড়ের আঁটি
উত্তরঃ (ঘ) শুকনো খড়ের আঁটি
১.২ নদীর ধারে রয়েছে -
(ক) অশ্বন্ত গাছ
(খ) একটি বড়ো নৌকো
(গ) রাখাল
(ঘ) পথিক
উত্তরঃ (খ) একটি বড়ো নৌকো
১.৩ কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর একটি কাব্যগ্রন্থ হলো -
(ক) নীল নির্জন
(খ) যেতে পারি কিন্তু কেন যাব
(গ) প্রান্তরেখা
(ঘ) ছড়ানো ঘুঁটি
উত্তরঃ (ক) নীল নির্জন
২. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও :
২.১ 'ভরদুপুরে' শব্দটির অর্থ কী?
উত্তরঃ মাঝ দুপুরে বা মধ্যদুপুরে।
২.২ 'ভরদুপুরে' কবিতায় রাখালবালক গাছের তলায় শুয়ে শুয়ে কী দেখছে?
উত্তরঃ রাখলারা গাছের তলায় শুয়ে দেখছে - মেঘগুলো আকাশটাকে ছুঁয়ে যাচ্ছে।
২.৩ 'ভরদুপুরে' কবিতায় বর্ণিত 'গালচে' টি কী দিয়ে প্রস্তুত?
উত্তরঃ 'ভরদুপুরে' কবিতায় বর্ণিত 'গালচে' টি ঘাস দিয়ে প্রস্তুত।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :
৩.১ 'ভরদুপুরে' কবিতায় 'অশ্বন্থ' গাছটিকে 'পথিকজনের ছাতা' বলা হয়েছে কেন?
উত্তরঃ অশ্বন্থ গাছকে পথিকজনের ছাতা বলার কারণ - এই গাছ ছাতার মতো ছায়া দান করে।
৩.২ 'ভরদুপুরে' কবিতায় নদীর ধারের চিত্রটি কীভাবে উপস্থাপিত হয়েছে?
উত্তরঃ নদীর ধারের যে দৃশ্যটি ফুটে উঠেছে তা হল - শুকনো খড়ের আঁটি খোলের মধ্যে বোঝাই করে কাদের একটা বড়ো নৌকা নদীর ধারে বাঁধা আছে।
৩.৩ 'আঁচল পেতে বিশ্বভুবন / ঘুমোচ্ছে এইখানে'। - কবির মনে এমন অনুভূতি জেগেছে কেন?
উত্তরঃ 'ভরদুপুরে' যে রূপ কবি দেখেছেন, তাতে মনে হয়েছে ওই সময়টা যেন ঘুমের দেশে। অশ্বন্থ গাছের দাঁড়িয়ে থাকা, রাখালের উদাসীনতা, নদীর ধারে খড়ের আঁটি বোঝাই নৌকা বেঁধে লোকগুলোর ঘুমানো। সব মিলিয়ে ওই ভরদুপুরে সবাই যেন ঘুমোচ্ছে, আর শুধুমাত্র মানুষ নয়, সমস্ত পৃথিবী ভরদুপুরের এই বিশ্রামরূপ, নির্জনতা, একটা ক্লান্ত ভাব, যা ঘুমরাজ্যের মতোই। সে জন্যই দুপুরের এই সামগ্রিক পরিবেশ কবির মনে বিশ্বভুবন ঘুমানোর ভাবনা এনে দিয়েছে।
৪. নীচের প্রশ্নটির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
'ভরদুপুরে' কবিতায় গ্রামবাংলার যে অলস দুপুরের ছবি ফুটে উঠেছে তার পরিচয় দাও।
উত্তরঃ 'ভরদুপুরে' কবিতায় গ্রামবাংলার যে অলস দুপুরের অসাধারণ ও নিঁখুত ছবি খুঁজে পাওয়া যায়, তা অতুলনীয়। সহজ-সরল বর্ণনার মধ্য দিয়ে কবি সেই ছবিকে এঁকে আরও অতুল করে তুলেছেন তাঁর কবিতায়।
কবি শুরুতেই দেখিয়েছেন, অশ্বন্থ গাছ, পথিকজনের ক্লান্তির আশ্রয় তথা ছাতা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তার তলায় ঘাসের গালিচা আদর করে পাতা আছে। গোরু-বাছুর চরছে, রাখাল গাছের তলায় শুয়ে অলসভাবে মেঘের উড়ে যাওয়া দেখছে, যা আকাশ ছুঁয়ে যাচ্ছে। নদীর ধারে ঘড়ের আঁটি বোঝাই নৌকা ও অলসভাবে বাঁধা আছে। কাউকে কোথাও দেখা যাচ্ছে না। যে যার ঘরে সবাই ঘুমাচ্ছে। কবির মতে প্রকৃতি বা মানুষের সাথে সমস্ত বিশ্বভূবন যেন ঘুমাচ্ছে। সব মিলিয়ে কবির বর্ণনা ও প্রকৃতির ভরদুপুরে অলস ছবি অসাধারণ।
অন্যান্য অ্যাক্টিভিটি পেতে ঃ এইখানে ক্লিক করুন
পিডিএফ পেতে ঃ এইখানে ক্লিক করুন
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
0 মন্তব্যসমূহ