মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক
চতুর্থ শ্রেণি
বাংলা
পূর্ণমান ঃ ১৫
১। ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো ঃ
Download Model Activity Task 2022 Apps
১.১ বনের ধারে আছে মস্ত -
(ক) নদী
(খ) পাহাড়
(গ) মাঠ
(ঘ) গর্ত
উত্তরঃ (খ) পাহাড়
১.২ ছাগলছানার দেখা প্রথম বড়ো জন্তুটি হলো -
(ক) ভালুক
(খ) বাঘ
(গ) সিংহ
(ঘ) ষাঁড়
উত্তরঃ (ঘ) ষাঁড়
১.৩ শিয়াল রাক্ষস ভেবেছে -
(ক) বাঘকে
(খ) ছাগলছানাকে
(গ) ষাঁড়কে
(ঘ) ভালুককে
উত্তরঃ (খ) ছাগলছানাকে
Download Model Activity Task 2022 Apps
২। নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও ঃ
২.১ ছাগলছানা কোথায় থাকত?
উত্তরঃ যেখানে মাঠের পাশে বন আছে আর বনের ধারে মস্ত পাহাড় আছে, সেইখানের একটা গর্তের ভেতরে ছাগলছানা থাকত।
২.২ গর্তের বাইরে যেতে চাইলে ছাগলছানার মা তাকে কী বলত?
উত্তরঃ উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী রচিত 'নরহরি দাস' গল্পে গর্তের বাইরে যেতে চাইলে ছাগলছানার মা তাকে, ভালুকে ধরবে, বাঘে নিয়ে যাবে, সিংহে খাবে বলে ভয় দেখাত।
২.৩ 'তুমি যাও, আমি কাল যাব।' - ছাগলছানা কেন একথা বলেছিল?
উত্তরঃ বনের ভিতর চমৎকার ঘাস খেয়ে ছাগলছানার পেট এমন ভারী হয়ে পড়েছিল যে, সে আর চলতে পারছিল না। তাই সে প্রশ্নে উদ্ধৃত কথাটি বলেছিল।
৩। নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও ঃ
৩.১ গর্তের ভিতর কে ও?' - এই প্রশ্নের উত্তর ছাগলছানা কী বলেছিল?
উত্তরঃ উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী রচিত 'নরহরি দাস' গল্প থেকে নেওয়া উদ্ধৃত প্রশ্নের উত্তরে ছাগলছানা বলেছিল, - "লম্বা লম্বা দাড়ি/ ঘন ঘন নাড়ি।/ সিংহের মামা আমি নরহরি দাস/ পঞ্চাশ বাঘে মোর এক-এক গ্রাস!"
৩.২ 'শুনেই তো ভয়ে বাঘের প্রাণ উড়ে গিয়েছে। ' - বাঘ ভয় পেয়েছে কেন?
উত্তরঃ বাঘ শিয়ালকে লেজের সঙ্গে বেঁধে শিয়ালের গর্তের কাছে এলে ছাগলছানা দূর থেকে তাদের দেখতে পায়। তাদের দেখে ছাগলছানা বুদ্ধি করে শিয়ালকে বলে -
"দূর হতভাগা! তোকে দিলুম দশ বাঘের কড়ি/ এক বাঘ নিয়ে এলি লেজে দিয়ে দড়ি!"
এই কথা শুনে বাঘ ভয় পেয়ে যায়। কারণ সে ভেবেছিল শিয়াল তাকে ফাঁকি দিয়ে নরহরি দাসকে খেতে দেওয়ার জন্যই তাকে নিয়ে এসেছে।
৩.৩ বাঘের উপর শিয়ালের রাগ হয়েছিল কেন?
উত্তরঃ নরহরি দাসের ছাগলছানার কথা শুনে ভয়ে বাঘের প্রাণ উড়ে গিয়েছিল। ফলে সে পঁচিশ হাত লম্বা এক এক লাফ দিয়ে তার লেজে বাধা শিয়ালকে নিয়ে দৌড়াতে থাকে। সেই কারণে শিয়ালমাটিতে আছাড় খেয়ে কাঁটার আঁচড় খেয়ে, ক্ষেতের আলে ঠোক্কর খেয়ে প্রায় আধমরা হয়ে পড়েছিল। বাঘের এই ব্যবহারের জন্য শিয়ালের বাঘের উপর রাগ হিয়েছিল।
৪। নীচের প্রশ্নটির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো ঃ
'নরহরি দাস' গল্পে ছাগলছানার বুদ্ধির পরিচয় কীভাবে ফুটে উঠেছে?
উত্তরঃ উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী রচিত 'নরহরি দাস' গল্পে দেখা যায় ছাগলছানা বনের মধ্যে পেট ভরে ঘাস খেয়ে পেটের ভারে নড়তে না পারায় সেদিন সন্ধ্যায় শিয়ালের গর্তে আশ্রয় নেয়। মামাবাড়ি থেকে নিমন্ত্রণ খেয়ে শিয়াল ফিরে এলে অন্ধকারে ছাগলছানাকে রাক্ষস-টাক্ষস ভাবে। ছাগলছানা শিয়ালকে আরও ভয় দেখিয়ে বলে সে সিংহের মামা নরহরি দাস, পঞ্চাশ বাঘে তার এক এক গ্রাস। শিয়াল ভয়ে দৌড়ে পালিয়ে মামা বাঘকে ডেকে আনলে ছাগলছানার বুদ্ধিদীপ্ত কথা শুনে বাঘ ও প্রচন্ড ভয় পেয়ে প্রাণের ভয়ে দৌড়ে পালায়। অর্থাৎ বলা যায় শারীরিক শক্তির দিক দিয়ে বাঘ ও শিয়ালকে ভিয় দেখিয়ে নিজেকে বিপদ থেকে উদ্ধার করেছিল। এখানেই ছাগলছানার বুদ্ধির পরিচয় মেলে।
অন্যান্য মডেল অ্যাক্টিভিটি পেতে ঃ এইখানে ক্লিক করুন
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
0 মন্তব্যসমূহ