LightBlog
"কর্তার ভূত" গল্পের রূপকার্থটি আলোচনা কর।
Type Here to Get Search Results !

"কর্তার ভূত" গল্পের রূপকার্থটি আলোচনা কর।

 একাদশ শ্রেণি বাংলা সাজেশন ২০২২



গল্পঃ- কর্তার ভূত

প্রশ্নঃ- "কর্তার ভূত" গল্পের রূপকার্থটি আলোচনা কর।

উত্তরঃ- বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ছোটগল্প "কর্তার ভূত" প্রকৃতপক্ষে রপকের আড়ালে রচিত একটি সামাজিক কাহিনী।তাঁর এই গল্পটি রবীন্দ্র সাহিত্যের এক বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয়বাহী।অনন্য ও অসাধারণভাবে তিনি এখানেও তার তার কবিসত্তার সুনিপুণতাকে বজায় রেখেছেন।

তার অন্যান্য ভৌতিক রহস্যময় থ্রিলার বা গল্পের প্লেট থেকে বর্তমান গল্পটি সম্পূর্ণ পৃথক।এখানে হাড় হিম করা ভৌতিক দৃশ্য বা অশরীরীর উপস্থিতি লক্ষিত হয়। ভৌতিক রূপকের অন্তরালে, সর্বাঙ্গসম্পন্ন প্রাচীন সভ্যতার অবসান হয়ে গেল ও আধুনিকতা থেকে দূরে অবস্থানকারী কিছু প্রাচীনপন্থী মানুষ কিভাবে আত্মবিশ্বাসহীন হয়ে পূরাতন প্রথাগুলিকে আঁকড়ে ধরে দেশে সমূহ ক্ষতি করে চলে- সেই বিষয়টিকেই সুন্দরভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।এই গল্পে তাই আমরা পাই কিছু অতীত রীতিনীতি,সংস্কার ও কিছু সামাজিক বিধান মাত্র।এসব সাধারণ জনগণের উপর ঠিক কুসংস্কারের ভূতের দ্বারা চালিত হবার মতই প্রভাব বিস্তার করে চলেছে।আর দেশের মানুষও এই বিশ্বাসকে অন্ধের মত আঁকড়ে ধরে তার উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল হয়ে চলে।যেহেতু ধর্মশাস্ত্রাদি অপরিবর্তনীয়,তাই কারও মাথায় কোন দুশ্চিন্তার লেশমাত্র নেই।লেখক এই গল্পে স্মৃতিশাস্ত্র তথা সামাজিক বিধানের রূপক হিসাবে কর্তাকে উপস্থাপন করেছেন।আর ভূত হল সেইসব যুগ ধ্বংসকারী জীর্ণ প্রাচীন পন্থার যুক্তিহীন দাসত্বের রূপক।

এই গল্পে নিছক ভৌতিক কাহিনী বর্ণিত হয়নি,এর আড়ালে আছে এক নতুন ইঙ্গিত।তবে এর বিরুদ্ধে যে প্রতিবাদ হয়না তা বলা ভুল।নিজস্ব প্রকৃতিগত কারণে যে কয়েকজন স্বাধীন চিন্তার মাধ্যমে এর দ্রোহীতার চেষা করে ধর্মতন্ত্রের শাস্তি নেমে আসে তাদের ওপর যাকে "ভূতের কানমলা" বলে গল্পে উল্লেখ করা হয়েছে।পুরোহিতশ্রেণীকে অদৃশ্য দেওয়াল যুক্ত কারাগারের পাহারাদার বলা হয়েছে।লোকাচারে সর্বদা ব্যস্ত মানুষের মন থেকে বিদ্রোহ ও প্রতিবাদী সত্ত্বা হারিয়ে যায়।ফলে সর্বত্র বিরাজ করে শ্মশানের শান্তি।ভীরু ভারতীয়দের মানসিক শক্তি ভগ্ন করে তাদের পঙ্গু করে আদিম চলার রীতিতে বন্দী করে রাখা হয়।প্রকৃতপক্ষে এই ভয়ের জন্যই দেশে ধর্মীয় গোঁড়ামি,কুসংস্কার ও ধর্মতন্ত্রের সন্দর্ভস্থলের সৃষ্টি হয়েছে।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা "কর্তার ভূত" গল্পটি তাই ভূতকে নিয়ে লেখা হলেও এটি ভূতুড়ে গল্পের রূপ নেয়নি।বরং শ্লেষ ও উপমা মিশ্রিত অতিতীক্ষ্ণ সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যঙ্গ হয়ে উঠেছে।তাই "কর্তার ভূত" গল্পটি নিছক ভূতের গল্প নয়,ভূতুড়ে কাহিনীর আড়ালে সৃষ্ট একটি রাজনৈতিক রূপক।


Class 11 Bengali Full Suggestion 2022

See More…

 

Class All Suggestion 2022 PDF

See More…

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

LightBlog

AdsG

close