একাদশ শ্রেণীর বাংলা সাজেশন - 2022
কবিতাঃ- নুন
প্রশ্নঃ-
"নুন" কবিতাটির নামকরণের সার্থকতা বিচার কর।
উত্তরঃ-
আধুনিককালে একজন বলিষ্ঠ কবি জয় গোস্বামী।তারঁ "ভুতুমভগবান"
কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত প্রতীকীধর্মী "নুন" কবিতাটিতে তিনি চিরকাল
বঞ্চিত,পদলালিত,অসহায়-অত্যাচারীত
মানুষের প্রতিনিধি হয়ে ঠাণ্ডা ভাতে নুনের বন্দোবস্তের দাবীতে সোচ্চার হয়েছেন।তবে
ক্রমে ক্রমে সমগ্র কবিতা জুড়ে ধ্বনিত হয়েছে অন্নবস্ত্র বাসস্থানের মর্মর দাবীর
হাহাকারের ধ্বনি।
সাধারণ শ্রমজীবী
মানুষের সামান্য অস্তিত্ব তাদেরকে অল্পেতেই খুশী হতে শেখায়।তাদের দিন চলে যায়
সাধারণ ভাতকাপড়ে-
"আমরা তো অল্পে খুশী;কি হবে দুঃখ করে?
আমাদের দিন
চলে যায় সাধারণ ভাত কাপড়ে।"
অসুখে তারা
ধারদেনাতে ডুবে যায়।বিশেষ কিছু তারা কামনা করেনা,কেবল মোটা কাপড় আর মোটা চালের ভাতই তাদের কাম্য।
শখ ও
বিলাসিতা তাদের সিলেবাসে থাকেনা।তবুও মাঝে মাঝে মাত্রাছাড়া বাজার করে আনে
বাড়ীতে।সাথে গোলাপচারা,কিন্তু কোথায়
পুঁতবে বা তাতে আদৌ ফুল ফুটবে কিনা সেবিষয়ে তারা আগে থেকে চিন্তাভাবনা করে
না।তাদের মনেও থাকে সৌন্দর্যবোধ,কিন্তু সমাজের শোষক
যন্ত্র তাদের এই সামান্য প্রাপ্তিকে মেটানোর সুযোগ পর্যন্ত দেয়না।রক্ষক যখন ভক্ষক
হয়ে ওঠে তখন সাধারণ মানুষের জীবন ঋণের বেড়াজালে জর্জরিত হয়ে ভোলা মহেশ্বরের মত
গঞ্জিকাতে টান দিত।তাদের বেদনার্ত মন কেঁদে ওঠে-
"কিন্তু,পুঁতবো কোথায়? ফুল কি হবেই তাতে?
সে অনেক
পরের কথা,
টান দিই গঞ্জিকাতে।"
তবে অনেকসময়
দুপুররাতে বাড়ী ফিরে যখন ঠাণ্ডা ভাতে নুন না পায় তখন বাপ বেটায় বিভেদ ভুল নেশা করে
দুই ভাই এর মত সারা পাড়া মাথায় করে।সারাদিন হাড় ভাঙা পরিশ্রমের শেষে যখন সামান্য নুন না জোটে তখনই তাদের প্রতিবাদী সত্ত্বা
ধৈর্য হারিয়ে ক্ষোভে ফেটে বলে-
"আমরা তো সামান্য লোক,
আমাদের
শুকনো ভাতে লবণের ব্যবস্থা হোক।"
Class 11 Bengali Full Suggestion 2022 | See More… |
Class All Suggestion 2022 PDF | See More… |
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
0 মন্তব্যসমূহ