ইতিহাস
নবম শ্রেণি
পূর্ণমান - ৫০
১. 'ক' স্তম্ভের সাথে 'খ' স্তম্ভ মেলাও :
উত্তরঃ
২. সত্য বা মিথ্যা নির্ণয় করো :
২.১ ফ্রান্সে দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দে।
উত্তরঃ সত্য
২.২ শিল্প বিপ্লবের সময় ইংল্যান্ড বিশ্বের কারখানা হিসাবে পরিচিতি পায়।
উত্তরঃ সত্য
২.৩ হিটলারের ভাষায় ইতালি ছিল - 'একটি ভৌগোলিক সংজ্ঞা মাত্র'।
উত্তরঃ মিথ্যা
২.৪ এড্রিয়ানোপলের সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়েছিল রাশিয়া ও তুরস্কের মাধ্যে।
উত্তরঃ সত্য
৩. সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো :
৩.১ ফরাসি বিপ্লবের সময় ফ্রান্সের রাজা ছিলেন __________ (চতুর্দশ লুই / পঞ্চদশ লুই / ষোড়শ লুই / নেপোলিয়ন)।
উত্তরঃ ষোড়শ লুই
৩.২ 'কাঁদিদ' নামক গ্রন্থটি রচনা করেছিলেন __________ (রুশো / ভলতেয়ার / মন্তেস্কু / দিদেরো)।
উত্তরঃ ভলতেয়ার
৩.৩ ফ্রান্সের 'ভ্রান্ত অর্থনীতির যাদুঘর' বলে মন্তব্য করেছিলেন __________ (নেপোলিয়ন / রোবসপিয়ের / মিরাবো / অ্যাডাম স্মিথ)।
উত্তরঃ অ্যাডাম স্মিথ
৩.৪ ১৮৬১ খ্রিঃ 'মুক্তির ঘোষণাপত্র' দ্বারা ভূমিদাস প্রথা উচ্ছেদ হয়েছিল __________ (রাশিয়াতে / ফ্রান্সে / প্রাশিয়াতে / অস্ট্রিয়াতে)।
উত্তরঃ
৪. দুটি বা তিনটি বাক্যে নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
৪.১ কারা 'ইনটেনডেন্ট' নামে পরিচিত ছিলেন?
উত্তরঃ বিপ্লবের আগে একশ্রেণির কর্মচারী ফ্রান্সের প্রদেশগুলির প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক কাজকর্ম পরিচালনার দায়িত্বব পালন করত। এই কর্মচারীরা "ইনটেনডেন্ট" নামে পরিচিত ছিল। এরা ছিল অত্যন্ত দুর্ণীতিগ্রস্থ।
৪.২ 'লিজিয়ন অব অনার' কী?
উত্তরঃ ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ান রাজকর্মচারীদের উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে দক্ষ কর্মচারীদের একটি বিশেষ রাষ্ট্রিয় সম্মান প্রদানের উদ্যোগ নেন। এই সম্মান "লিজিয়ন অব অনার" নামে খ্যাত।
৪.৩ 'অর্ডারস ইন কাউন্সিল' কী?
উত্তরঃ ইংল্যান্ড কর্তৃক ঘোষিত "অর্ডারস ইন কাউনন্সিল" এর ঘোষনায় বলা হয় যে - (১) ফ্রান্স ও তার মিত্র দেশগুলির বন্দরে অন্য কোনো দেশের জাহাজ ঢুকতে পারবে না। ঢুকলে এই জাহাজ ও তার মালপত্র বাজেয়াপ্ত করা হবে। (২) কোনো নিরপেক্ষ দেশ ফ্রান্স ও তার মিত্র কোনো দেশের বন্দরে একান্তই জাহাজ পাঠাতে চাইলে সেই জাহাজকে যথার্থ ফি দিয়ে ইংল্যান্ডের কাজ থেকে লাইসেন্স বা আগাম অনুমতি নিতে হবে।
৪.৪ রিসর্জিমেন্টো কী?
উত্তরঃ কার্বোনারি সমিতির হাত ধরে ইতালিতে এক জাতীয়তাবাদী জাগরণ তথা আন্দোলনের জন্ম হয়, যাকে বলা হয় রিসর্জিমেন্টো বা পুনরুত্থান বা নবজাগরণ। এই জাগরণের মধ্যদিয়ে ইটালিবাসী তাদের অতীত ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও বীরগাথা সম্পর্কে বিশেষ অবগত হয়।
৪.৫ 'ঘেটো' কাকে বলা হত?
উত্তরঃ ইউরোপের বিভিন্ন শহরের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় (যেমন ইহুদিরা) তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে শহরের একটি নির্দিষ্ট ঘেরা জায়গায় এক সঙ্গে বসবাস করত। এই ঘেরা স্থান বা বসতিগুলিকেই বলা হত ঘেটো। উল্লেখ্য ঘেটো কথাটির উদ্ভব হয় ইটালির ভেনিস শহরকে কেন্দ্র করে।
৫. সাত বা আটটি বাক্যে উত্তর দাও :
৫.১ কাকে 'মুক্তিদাতা জার' বলা হয় এবং কেন?
উত্তরঃ জার দ্বিতীয় আলেকজাণ্ডার যুগ যুগ ধরে নিপীড়িত ভূমিদাসদের দাসত্ববন্ধন থেকে মুক্তি দেবার জন্য মুক্তিদাতা জার নামে পরিচিত। সিংহাসনে আরোহনের পর জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডারের সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য সংস্কার হলো ভুমিদাস প্রথার উচছেদ। রাশিয়ার ইতিহাসে এটা তার এক অক্ষয় কীর্তি। ভূমিদাস প্রথা উচ্ছেদের জন্য জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডারকে মুক্তিদাতা জার বলা হয়।
(ক) ভুমিদাস প্রথা বিলোপের সিদ্ধান্ত গ্রহণঃ - জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডার সিংহাসনে আরোহণ করে অনুধাবন করলেন যে, রাশিয়ার পিছিয়ে পড়ার পিছনে একমাত্র ভুমিদাস প্রথাই দায়ী। রাশিয়ার আইন অনুসারে ভুমিদাসগণ ছিল মালিকের ব্যক্তিগত সম্পত্তি। মালিকেরা তাদের নিলামে বিক্রয় অথবা শারীরিক পীড়ণ করলে রাষ্ট্র তাদের বাধা দিত না। ভুমিদাসরা বংশানুক্রমে ভুমিদাসের কাজ কর।
(খ) আলেকজান্ডার কর্তৃক ভুমিদাস প্রথা বিলোপের ঘোণাপত্রঃ- 1861 সালের 19 ই ফ্রেবুয়ারী মুক্তির ঘোষণা দ্বারা জঘন্য দাসপ্রথার উচ্ছেদ সাধন করেন। এ ঘোষণা অনুযায়ী -
১) ভুমিদাসরা দাসত্ব থেকে মুক্তি পায়।
২) ভুমিদাসরা নাগরিক অধিকার লাভ করে।
৩) জমিদারদের ভুমির একাংশ ভূমিদাসরা পায় ও কৃষরা জীবীকা নির্বাহের সুযোগ পায়।
৪) জমিদাররা জমির জন্য ক্ষতিপুরণ সরকারের কাছ থেকে পায়।
৫) কৃষকেরা 4 বছরের কিস্তিতে এই অর্থ সরকারকে পরিশোধ করবে।
৫.২ টীকা লেখো : কোড 'নেপোলিয়ন'
উত্তরঃ নেপোলিয়ানের সর্বাপেক্ষা গৌরবময় কি কি হলো কোড নেপোলিয়ন প্রবর্তন।
কোড নেপোলিয়ন :
(১) আইন সমূহ রচনা : নেপোলিয়ন এর উদ্যোগে গঠিত কমিশন ১৮০৪ খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্সের জন্য নতুন আইন সমূহ রচনা করেন। এটি কোড নেপোলিয়ন বা নেপোলিয়নের আইন সংহিতা নামে পরিচিত।
(২) আইন সমূহের শ্রেণীবিভাগ : কোড নেপোলিয়ন এর মোট ২২৮৭ টি আইন ছিল। এর আইন গুলি মূলত তিন ভাগে বিভক্ত ছিল, যথা - (ক) দেওয়ানী আইন
(খ) ফৌজদারি আইন
(গ) বাণিজ্যিক আইন
(৩) বৈশিষ্ট্য : কোড নেপোলিয়ন এর দ্বারা - (ক) আইনের চোখে দেশের সকল নাগরিকের মধ্যে সাম্য প্রতিষ্ঠা করা হয়।
(খ) সামন্ততান্ত্রিক অসাম্যের বিলোপ ঘটানো হয়।
(গ) যোগ্যতার ভিত্তিতেই সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ব্যবস্থা করা হয়।
(ঘ) ব্যক্তি স্বাধীনতার স্বীকৃতি দেয়া হয়।
(ঙ) সম্পত্তির অধিকার কে স্বীকৃতি দেয়া হয়।
(চ) ধর্মীয় সহনশীলতা নীতি গ্রহণ করা হয়।
(ছ) অপরাধের শাস্তি হিসাবে জরিমানা-কারাদণ্ড সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত মৃত্যুদণ্ডপ্র ব্যবস্থা করা হয়।
(৪) ত্রুটি : কোড নেপোলিয়ন এর বিভিন্ন ত্রুটি ছিল। যেমন -
(ক) প্রতি সমাজের নারীর মর্যাদা হাস করা হয়।
(খ) স্ত্রীর উপর স্বামীর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়।
(গ) পারিবারিক সম্পত্তির অধিকার থেকে নারীকে বঞ্চিত করা হয়।
(ঘ) শ্রমিক শ্রেণী তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়।
৫.৩ হিটলারের উন্থানের পশ্চাতে কোন্ কারণগুলি ছিল?
উত্তরঃ
৫.৪ 'এমস টেলিগ্রাম' কী?
উত্তরঃ স্পেনের সিংহাসনে ভবিষ্যতে যাতে প্রাশিয়ার রাজবংশের কেউ না বসে সে বিষয়ে প্রতিশ্রুতি আদায়ের উদ্দেশ্যে ফরাসি দূত কাউন্ট বেনেদেত্তি এমস নামক স্থানে প্রাশিয়ার রাজার প্রথম উইলিয়ামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। প্রাশিয়ার রাজা প্রথম উইলিয়াম তাকে কোনো প্রতিশ্রুতি না দিয়ে বরং সাক্ষাৎকারে বিষয়টি টেলিগ্রাম যোগে প্রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী অটো বিসমার্কে জানান। বিসমার্ক টেলিগ্রামটি কিছু শব্দ সুকৌশলে বা দিয়ে তা এমনভাবে সংবাদপত্রে প্রকাশ করেন যে, প্রাশিয়রাজ ফরাসি দূতকে অপমান করেছেন। এটি এমস টেলিগ্রাম নামে পরিচিত।
৬. সাত বা আটটি বাক্যে উত্তর দাও :
জার্মানির ঐক্য আন্দোলনে বিসমার্কের ভূমিকার উল্লেখ করো।
উত্তরঃ ১৮৬২ খ্রিস্টাব্দে অটো ফন বিসমার্ক প্রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হলেন প্রথম উইলিয়ামের লক্ষ্য বাস্তবায়িত হওয়ার সুযোগ পায়। জার্মানিকে ঐক্যবদ্ধ করার উদ্দেশ্যে তিনি নিম্নলিখিত নীতি গ্রহণ করেন -
(ক) রাজতন্ত্রে বিশ্বাসী : রাজতন্ত্র বিশ্বাসী বিসমার্কের উদ্দেশ্য ছিল প্রাশিয়ার রাজতন্ত্রের অধীনে সমগ্র জার্মানিকে ঐক্যবদ্ধ করা এবং প্রাশিয়ার রাজতান্ত্রিক শাসনের ভাবধারায় জার্মানিকে প্রভাবিত করা।
(খ) রক্ত ও লৌহ নীতি : বিসমার্ক গণতান্ত্রিক রীতিনীতির উপর নয় রক্ত ও লৌহ নীতির উপর আস্থাশীল ছিলেন। তিনি প্রাশিয়ার আইনসভার ঘোষণা করেন যে বিতর্ক বা ভোটের দ্বারাই নয় রক্ত ও লৌহ নীতির মাধ্যমেই জার্মানির সমস্যার সমাধান হবে।
(গ) সামরিক শক্তিতে আস্থা : বিসমার্ক উপলব্ধি করেন যে একমাত্র সামরিক শক্তির জোরে জার্মানির ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। এজন্য তিনি প্রতিনিধি সবার মত অগ্রাহ্য করে প্রাশিয়ার সামরিক শক্তি বাড়ানোর উদ্যোগ নেন এবং তিনটি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধের মাধ্যমে সমগ্র জার্মানিকে ঐক্যবদ্ধ করেন। যথা - (১) ডেনমার্কের সঙ্গে যুদ্ধ (২) অস্ট্রিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ (৩) ফ্রান্সের সঙ্গে যুদ্ধ।
দারুণ
উত্তরমুছুন