LightBlog
Class 9 Geography Model Activity Compilation / Class 9 Model Activity Task Part 8 Geography Marks 50
Type Here to Get Search Results !

Class 9 Geography Model Activity Compilation / Class 9 Model Activity Task Part 8 Geography Marks 50

 ভূগোল

নবম শ্রেণি

পূর্ণমান - ৫০


১. বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখো :


১.১ সৌরজগতের বহিঃস্থ গ্রহগুলির যে বৈশিষ্ট্যটি থাকেনা সেটি হলো -

ক) এরা আকারে বড়

খ) এদের নির্দিষ্ট কক্ষপথ আছে

গ) এরা কঠিন শিলায় গঠিত

ঘ) এরা সূর্য থেকে অনেক দূরে অবস্থিত

উত্তরঃ গ) এরা কঠিন শিলায় গঠিত


১.২ সূর্যের উত্তরায়নের শেষ সীমা হলো -

ক) মকরক্রান্তি রেখা

খ) কর্কটক্রান্তি রেখা

গ) কুমেরুবৃত্ত রেখা

ঘ) সুমেরুবৃত্ত রেখা

উত্তরঃ খ) কর্কটক্রান্তি রেখা


১.৩ মানসিক সম্পদের একটি উদাহরণ হলো -

ক) সূর্যালোক

খ) প্রাকৃতিক গ্যাস

গ) দক্ষতা

ঘ) ভূতাপ শক্তি

উত্তরঃ গ) দক্ষতা


১.৪ বিষুবরেখার ধ্রবতারার উন্নতি কোণ হলো -

ক) 0  ডিগ্রে

খ) 90 ডিগ্রী

গ) 60 ডিগ্রী

ঘ) 45 ডিগ্রী

উত্তরঃ ক) 0  ডিগ্রে


১.৫ ভূ-আলোড়ন ভূপৃষ্ঠে অনুভূমিকভাবে কাজ করলে সৃষ্টি হয় -

ক) স্তুপ পর্বত

খ) ভঙ্গিল পর্বত

গ) গ্রস্ত উপত্যকা

ঘ) মহাদেশ

উত্তরঃ খ) ভঙ্গিল পর্বত


১.৬ ঠিক জোড়াটি নির্বাচন করো -

ক) তিস্তা নদী - জোয়ারের জলে পুষ্ট

খ) দার্জিলিং জেলা - দৈনিক উষ্ণতার প্রসর বেশি

গ) মালভূমির ল্যাটেরাইট মৃত্তিকা - জলধারণ ক্ষমতা কম

ঘ) পাইন - ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ

উত্তরঃ গ) মালভূমির ল্যাটেরাইট মৃত্তিকা - জলধারণ ক্ষমতা কম


১.৭ অক্ষরেখার অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো -

ক) সর্বোচ্চ অক্ষরেখার মান ০ ডিগ্রী

খ) প্রতিটি অক্ষরেখা মহাবৃত্ত

গ) অক্ষরেখাগুলি পরসস্পরের সমান্তরাল

ঘ) প্রতিটি অক্ষরেখার পরিধি সমান

উত্তরঃ গ) অক্ষরেখাগুলি পরসস্পরের সমান্তরাল


১.৮ বিদার অগ্ন্যুদ্গমের মাধ্যমে সৃষ্টি ভূমিরূপ হলো -

ক) স্তুপ পর্বত

খ) লাভা মালভূমি

গ) পর্বতবেষ্টিত মালভূমি

গ) আগ্নেয়গিরি

উত্তরঃ গ) আগ্নেয়গিরি


১.৯ ঠিক জোড়াটি নির্বাচন করো -

ক) দামোদর নদী - পশ্চিমবঙ্গের উত্তরের পার্বত্য অঞ্চল

খ) কালিম্পং জেলা - সমুদ্র থেকে দূরবর্তী স্থান

গ) পডজল মৃত্তিকা - পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমের মালভূমি অঞ্চল

ঘ) অ্যালপাইন উদ্ভিদ - সুন্দরবন অঞ্চল

উত্তরঃ খ) কালিম্পং জেলা - সমুদ্র থেকে দূরবর্তী স্থান


২. শূণ্যস্থান পূরণ করো :


২.১ দ্রাঘিমারেখাগুলি নিরক্ষরেখাকে __________কোণে ছেদ করেছে।

উত্তরঃ সমকোণ


২.২ আবহবিকারগ্রস্থ শিলা চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে মূল শিলার উপর যে শিথিল আবরণ তৈরি করে তাকে __________ বলে।

উত্তরঃ রেগোলিথ


২.৩ দার্জিলিং জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত একটি নিত্যবহ নদী হলো __________।

উত্তরঃ তিস্তা


৩. বাক্যটি সত্য হলে 'ঠিক' এবং অসত্য হলে 'ভুল' লেখো :


৩.১ নিরক্ষরেখায় অভিকর্ষের মান সর্বাধিক।

উত্তরঃ ভুল


৩.২ কোরিওলিস বলের প্রভাবে উত্তর গোলার্ধে আয়ন বায়ু বামদিকে বেঁকে প্রবাহিত হয়।

উত্তরঃ ভুল


৩.৩ অচিরাচরিত শক্তির একটি উৎস জোয়ারভাটা শক্তি।

উত্তরঃ ঠিক


৪. একটি বা দুটি শব্দে উত্তর দাও :


৪.১ কোনো স্থানের দ্রাঘিমা ২৪ডিগ্রী পূঃ হলে ঐ স্থানটির প্রতিপাদস্থানের দ্রাঘিমা কত হবে?

উত্তরঃ কোনো স্থানের দ্রাঘিমা ২৪⁰ পূর্ব হলে ঐ স্থানটির প্রতিপাদস্থানের দ্রাঘিমা হবে = (১৮০⁰- ২৪⁰) পশ্চিম = ১৫৬⁰ পশ্চিম।


৪.২ একটি পর্বতবেষ্টিত মালভূমির নাম লেখো।

উত্তরঃ একটি পর্বতবেষ্টিত মালভূমির উদাহরণ হল তিব্বত মালভূমি।


৪.৩ কোন্‌ জলবায়ু অঞ্চলে রাসায়নিক আবহবিকারের প্রাধান্য লক্ষ করা যায়?

উত্তরঃ উষ্ণ - আর্দ্র জলবায়ু অঞ্চলে রাসায়নিক আবহবিকারের প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায়।


৫. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :


৫.১ কোনো একটি নিরপেক্ষ সামগ্রীর সম্পদ হয়ে ওঠার শর্তগুলি উল্লেখ করো।

উত্তরঃ কোন বস্তু ও পদার্থ তখনই সম্পূর্ণ হবে যখন তার কতগুলি গুণ বা বৈশিষ্ট্য অবশ্যই থাকবে যে গুলি আলোচনা করা হলো -

(১) কোন বস্তুকে পদার্থের উপযোগিতা না থাকলে সম্পদ সৃষ্টি হতে পারে না। কয়লা খনিজ তেল জল প্রভৃতি উপাদানগুলি মানুষের অভাব পূরণ করতে সক্ষম হয়। উপযোগিতা আছে বলেই এগুলি সম্পদ।

(২) কার্য করিতে বলতে বোঝায় কোন বস্তু বা পদার্থের অভাব মোচন করার ক্ষমতা বা কার্যসম্পাদনের ক্ষমতা। যেমন কার্যকরী শক্তির জন্য কয়লা একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ রূপে পরিচিত হয়েছে।

(৩) কোন বস্তুতে তখনই সম্পদ বলা হবে যখন তা বিভিন্নভাবে এবং বেশি করে মানুষের কাজে ব্যবহৃত হয়।

(৪) ধর্মীয় ও সামাজিক বিধি-নিষেধ ছাড়া সম্পদ সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য। যেমন কয়লা খনিজ তেল লৌহ আকরিক জলবায়ু পৃথিবীর সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্য। কিন্তু গোমাংস ও শূকরের মাংস সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্য নয়।

(৫) জলবায়ু সূর্যকিরণ প্রভৃতি অফুরন্ত সম্পদ ছাড়া অন্যান্য সব প্রাকৃতিক সম্পদের যোগান সীমিত। অধিক ব্যবহারের ফলে এই সকল সম্পদ নিঃশেষ হয়ে যেতে পারে।

(৬) কোন বস্তুতে তখনই সম্পদ বলা যাবে তখন তার বিশ্বব্যাপী চাহিদা থাকবে।

(৭) শুধুমাত্র কার্যকরিতা থাকলেই চলবে না বর্তমানে এই সব বস্তুর সম্পদ বলা যায় যার ব্যবহারে পরিবেশের ক্ষতি হয় না।


৫.২ GPS - এর দুটি ব্যবহার উল্লেখ করো।

উত্তরঃ GPS - এর দুটি ব্যবহার হল -

(ক) জিপিএস এর মাধ্যমে আমরা কোনো স্থানের অখাংশ, দ্রাঘিমা, উচ্চতা, সময় জানতে পারি।

(খ) বিভিন্ন প্রকার মানচিত্র তৈরী করেত জিপিএস কাজে লাগে।

(গ) পরিবহন ব্যাবস্থাকে উন্নততর করতে জিপিএস কে ব্যবহার করা হয়।

(ঘ) দ্রুত কোথাও পৌঁছাতে জিপিএস কাজে লাগে।


৫.৩ নদী ও খালের জলের অতিরিক্ত ব্যবহারের ক্ষতিকর প্রভাবগুলি কী কী?

উত্তরঃ নদী ও খালের জলের অতিরিক্ত ব্যবহারের ক্ষতিকর প্রভাবগুলি নীচে আলোচনা করা হল -

প্রথমত, নদী বা খালের পলি সঞ্চয়ের পরিমান বৃদ্ধি পায় বলে নদী বা খালের জলধারনক্ষমতা কমে যায়। ফলস্বরূপ বর্ষাকালে অতিরিক্ত জলের চাপের বন্যা দেখা যায়।

দ্বিতীয়ত, নদী ও খালের অতিরিক্ত ব্যবহারে জলের পরিমান কমে যায়। ফলে নদীর বা খালের গতিশীলতা কমে যায় ও সঞ্চয় কাজ বৃদ্ধি পায়। ফলে পলি সঞ্চিত হয়ে নদী বা খালের মাব্যতা হ্রাস পায়।

তৃতীয়ত, অতিরিক্ত জলের ব্যবহারের ফলে নদী ও খালের বাস্তুতন্ত্র ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়।


৫.৪ আবহবিকারে প্রাণীদের ভূমিকা উদাহরণসহ আলোচনা করো।

উত্তরঃ আবহবিকারে প্রানীদের ভূমিকাগুলি নীচে আলোচনা করা হলো -

(ক) ইঁদুর, খরগোশ, খেকশিয়াল, প্রেইরি কুকুর, পেঁচা শিলার মধ্যে গর্ত খুঁড়ে বাসস্থান তৈরি করে।

(খ) শিল্পের প্রয়োজনে মানুষ শিলাকে চূর্ণবিচূর্ণ করে বিভিন্ন খনিজ দ্রব্য যথা বক্সাইট, ইলমেনাইট আহরণ করে।

(গ) পাহাড় কেঁটে রাস্তা, ঘড়বাড়ি নির্মান করে থাকে। 

(ঘ) প্রাণী মারা যাবার পর প্রাণীদেহে অ্যাসিডের মাধ্যমে শিলা রাসায়নিক আবহবিকার ঘটে। 

(ঙ) চাষের জন্য জমি কর্ষণ করে আবহবিকার ঘটায়।


৬. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :


৬.১ আমরা পৃথিবীর আবর্তন বেগ অনুভব করিনা কেন?

উত্তরঃ আমরা যদি নিরক্ষরেখায় দাঁড়ায় তবে আমরাও পৃথিবীর সাথে সাথে ঘণ্টায় প্রায় 1700 কিলোমিটার বেগে ঘুরছে থাকবো। আবার সুমেরু অথবা কুমির ও বিন্দুতে দাঁড়ালে কোনরকম না ঘুরেও 24 ঘন্টা পার করে দেবো। তবে ভূপৃষ্ঠে বসবাস করা সত্ত্বেও আমরা আবর্তন বেগ অনুভব করতে পারে না। এর কারণ হলো - আমরা পৃথিবী বৃষ্টির যেখানে আছি তার পারিপার্শ্বিক গাছপালা জীবজন্তু ঘরবাড়ি যাবতীয় জিনিসপত্র প্রভৃতি পৃথিবীর সঙ্গে একই গতিতে এবং একই সঙ্গে আবর্তন করছে, অর্থাৎ প্রতিটি সকল বস্তুর আপেক্ষিক অবস্থান এবং থাকছে বলে আমাদের চোখে তার স্থান কত পরিবর্তন ঘটে না। ফলে আমরা পৃথিবীর আবর্তন বেগ অনুভব করতে পারে না।


৬.২ 'পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষ সমভূমি অঞ্চলে বসবাস করেন' - ভৌগোলিক কারণ ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষ সমভূমি অঞ্চলে বসবাস করে - নীচে এর প্রধান কারনগুলি আলোচনা করা হল -

(১) সভ্যতার বিকাশ ঃ মানুষের প্রধান তিনটি চাহিদা সমভূমিতে বসবাস করে সবচেয়ে সহজে মেটানো যায় বলে প্রাচীনকালের সভ্যতার বিকাশ নদী অববাহিকাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল।

(২) কৃষি ঃ সমতল ভূমি, উর্বর মাটির সুবিধার কারণে সমভূমিতে কৃষিকাজ অত্যন্ত উন্নত।

(৩) উন্নত যোগাযোহ ব্যবস্থা ঃ সমভূমিতে সড়ক, রেল ও জলপথ ব্যবস্থার সহজে গড়ে তোলা যায়।

(৪) জনসংখ্যা ও জনবসতি ঃ জীবনধারন সমভূমিতে সহজসাধ্য। মানুষ তার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় রসদসমভূমি থেকে সবচেয়ে সহজে ও দ্রুত সংগ্রহ করতে পারে। 

(৫) বাণিজ্য ও নগর ঃ ব্যবসা - বাণিজ্যের কেন্দ্রগুলি সমভূমিতে বেশি গড়ে উঠেছে। শহর ও নগরের সংখ্যা সমভূমিতে বেশি। তাই সমভূমিতে জনসংখ্যার ঘনত্ব সর্বাধিক। পৃথিবীর অধিকাংশ লোক সমভূমিতে বাস করে।


৬.৩ আগ্নেয় পর্বত ও ক্ষয়জাত পর্বতের মধ্যে পার্থক্য লেখো।

উত্তরঃ ক্ষয়জাত সমভূমি ও আগ্নেয় সমভূমির মধ্যে পার্থক্য-

প্রথমত, বিভিন্ন বহিঃস্থ প্রাকৃতিক শক্তির দ্বারা কোনো প্রাচীন উচ্চভূমি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে ক্ষয়জাত সমভূমি তৈরি হয়; আর বিভিন্ন বহিঃস্থ ও অন্তঃস্থ প্রাকৃতিক শক্তির প্রভাবে ভূ-পৃষ্ঠের ক্ষয়প্রাপ্ত পদার্থসমূহ নিম্নস্থানে সঞ্চিত হয়ে আগ্নেয় সমভূমির সৃষ্টি হয়।

দ্বিতীয়ত, ক্ষয়জাত সমভূমি সৃষ্টিতে বহিঃস্থ প্রাকৃতিক শক্তি বা বহির্জাত প্রক্রিয়া দায়ী; তবে আগ্নেয় সমভূমি সৃষ্টিতে বহির্জাত ও অন্তর্জাত উভয় প্রক্রিয়াই দায়ী।

তৃতীয়ত, ক্ষয়জাত সমভূমির বিভিন্ন প্রকার হল - সমপ্রায় সমভূমি, তরঙ্গকর্তিত সমভূমি, মরু সমভূমি, হিমবাহ সমভূমি, কার্স্ট সমভূমি; আর আগ্নেয় সমভূমির বিভিন্ন প্রকার হল - ব-দ্বীপ সমভূমি, প্লাবন সমভূমি, লাভা সমভূমি, লোয়েস সমভূমি, হ্রদ সমভূমি ইত্যাদি।


৭. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :


৭.১ চিত্রসহ নিম্নলিখিত বিষয়গুলির ভিত্তিতে পৃথিবীর গোলীয় আকৃতির প্রমাণ দাও -

(ক) দিগন্তরেখা

(খ) ধ্রুবতারা

উত্তরঃ (ক) দিগন্তরেখা

উত্তরঃ দুরে কোনো স্থানের দিকে লক্ষ্য করলে মনে হয় যেন আকাশটা মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। যে রেখা বরাবর আকাশটা মিশে গেছে বলে মনে হয় তাকে দিগন্তরেখা বলে।


(খ) ধ্রুবতারা

উত্তরঃ পৃথিবীর উত্তর মেরু অক্ষ বরাবর দৃশ্যমান তারা ধ্রুবতারা নামে পরিচিত। এই তালাটি পৃথিবীর অক্ষের উপর ঘূর্ণনের সাথে প্রায় সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে আবর্তিত হয়। প্রাচীনকালে দিক নির্ণয় যন্ত্র আবিষ্কারের আগে সমুদ্রে জাহাজ চলাচলের সময় নাবিকরা দিক নির্ণয়ের জন্য ধ্রুবতারা কে দেখে দিক নির্ণয় করতো।


৭.২ 'উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে তুষারের কার্যের ফলে শিলা আবহবিকারগ্রস্থ হয়' - চিত্রসহ ব্যাখ্যা করো। অক্সিডেশন বা জারণ প্রক্রিয়ায় শিলা কীভাবে বিয়োজিত হয় উহাহরণসহ লেখো।

উত্তরঃ উচ্চ অক্ষাংশের শীতল জলবায়ুতে বা উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে এই প্রক্রিয়া অধিক কার্যকারী হয়। শীতল জলবায়ু অঞ্চলে শিলাস্তর ফাটলের মধ্যে অবস্থিত জল শীতের সময় বা রাত্রিবেলা অধিক ঠান্ডায় জমে গিয়ে বরফে পরিনত হয়। জল বরফে পরিনত হলে আয়তন প্রায় ৯% বৃদ্ধি পায়। এই কারনে জমে যাওয়া বরফ ফাটলের গায়ে প্রতিবর্গ সেমিতে প্রায় ২০০০কেজি চাপ প্রয়োগ করে ও শিলায় ফাটল আরোও বৃদ্ধি পায় এবং শিলা একটা সময় ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে যায়।

     শিলা খনিজের সাথে জলীয় বাষ্পের উপস্থিতিতে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অক্সিজেন যুক্ত হলে তাকে অক্সিডেশন বা জারন বলে।

মূলত লৌহ সমৃদ্ধ শিলায় এই প্রক্রিয়া অধিক কার্যকর হয়। লোহা যখন ফেরাস অক্সাইড রূপে থাকে তখন তা সহজে ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না। কিন্তু যখন তা অক্সিডেশন পদ্ধতিতে ফেরিক অক্সাইডে পরিনত হয় তখন তা সহজে ভেঙে যায়। যাকে মরচে পড়া বলে।

4FeO + O2 = 2Fe2O3

উদাহরণঃ উড়িষ্যার বোলানি ও ঝাড়কন্ডের দক্ষিন অংশে কিরিবুরুম লৌহ সমৃদ্ধ উচ্চ ভূমিতে জারন প্রক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়।


৭.৩ পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ু কীভাবে মৌসুমী বায়ু দ্বারা প্রভাবিত হয়?

উত্তরঃ পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ু যে যে ভাবে মৌসুমী বায়ু দ্বারা প্রভাবিত তা নীচে আলোচনা করা হল -

(ক) ঋতু পরিবর্তনঃ  মৌসুমী বায়ুর আগমন ও প্রত্যাগমনের উপরে পশ্চিমবঙ্গে ঋতু পরিবর্তন ঘটে এবং আগমন ও প্রত্যাগমনের উপর ভিত্তি করে বছরটিকে চারটি প্রদানে ঋতুতে ভাগ করা হয়েছে।

(খ) বৃষ্টিপাত ঃ পশ্চিমবঙ্গের মোট বৃষ্টির ৯০ শতাংশ ঘটে বর্ষাকালে মৌসুমী বায়ুর আগমন কালে। মৌসুমী বায়ুর প্রত্যাগমন কালে বাতাসে জলীয় বাষ্প কম থাকে বলে বৃষ্টিহীন।

(গ) বায়ুপ্রবাহ ঃ মৌসুমী বায়ুর আগমন কালে বায়ু দক্ষিণের সমুদ্র থেকে উত্তর দিকে বয়ে যায় এবং প্রত্যাগমন কালে স্থল ভাগ থেকে দক্ষিণে সমুদ্রের দিকে বয়।

(ঘ) উষ্ণতা ঃ মৌসুমী বায়ুর আগমনের কারণে আকাশ মেঘে ঢেকে যায় এবং বৃষ্টি হয় বলেই উষ্ণতা যা হওয়ার কথা তার থেকে কম হয়। আবার প্রত্যাগমন কালে আকাশ কিছুটা মেঘালয় বলে গড় উষ্ণতা বর্ষাকালের থেকে সামান্য বাড়ে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

LightBlog

AdsG

close