স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা
অষ্টম শ্রেণি
পূর্ণমান - ৫০
(ক) শূন্যস্থান পূরণ করো :
(১) WHO এর পুরো নাম __________ health organisation।
উত্তর : WHO এর পুরো নাম world health organisation।
(২) বিদ্যালয়ের পানীয় জলের উৎস সর্বদা __________ ও সুরক্ষিত হতে হবে।
উত্তর : বিদ্যালয়ের পানীয় জলের উৎস সর্বদা বিশুদ্ধ ও সুরক্ষিত হতে হবে।
(৩) স্বাস্থ্যবিধান হলো বিজ্ঞানসম্মত এমন একটি বিষয় যা জানলে __________ সুস্থ, সুন্দর ও নিরোগ রাখা যায়।
উত্তর : স্বাস্থ্যবিধান হলো বিজ্ঞানসম্মত এমন একটি বিষয় যা জানলে শরীর সুস্থ, সুন্দর ও নিরোগ রাখা যায়।
(৪) দরিদ্র পরিবারগুলি চিকিৎসা ব্যয় এর ৬০ __________ খরচ হয় স্বাস্থ্য বিধানের অভাব জনিত জল বাহিত রোগের চিকিৎসায়।
উত্তর : দরিদ্র পরিবারগুলি চিকিৎসা ব্যয় এর ৬০ শতাংশ খরচ হয় স্বাস্থ্য বিধানের অভাব জনিত জল বাহিত রোগের চিকিৎসায়।
(৫) কোন দেশের জনসাধারণের জীবন যাত্রার মান কত উন্নত তার উপর নির্ভর করে ওই দেশের মানব __________ সূচক।
উত্তর : কোন দেশের জনসাধারণের জীবন যাত্রার মান কত উন্নত তার উপর নির্ভর করে ওই দেশের মানব উন্নয়ন সূচক।
(৬) শারীরশিক্ষার লক্ষ্য ব্যক্তিসত্তার __________।
উত্তরঃ পূর্ণ বিকাশ
(৭) দ্রুততার সঙ্গে দিক পরিবর্তনের ক্ষমতা নির্ভর করে __________ উপর।
উত্তরঃ ক্ষিপ্রতার
(৮) 50 মিটার দৌড় __________ নির্দেশ করে।
উত্তরঃ ট্র্যাক
(৯) প্রতিদিন শারীরিক ক্রিয়াকলাপে অংশগ্রহণ __________ বিভিন্ন যন্ত্র ও তন্ত্রগুলির উপর প্রভাববিস্তার করে।
উত্তরঃ শারীরিক
(১০) গ্রামের খোলা জায়গায় __________ কোন চিহ্ন থাকে না।
উত্তরঃ মলত্যাগের
(১১) সমস্ত দলের কোচের যথার্থ সিমেন্টের __________ ও ___________ নিকাশের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
উত্তরঃ চাতাল ও জল
(১২) প্রতিটি শৌচাগারে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও স্বাভাবিক __________ সংস্থান রাখতে হবে।
উত্তরঃ আলো ও বাতাসের
(১৩) ঘাটাল, শূকরের খামার, মুরগির পোলট্রি প্রভৃতি অতি ঘন ___________ এলাকা থেকে দূরে রাখতে হবে।
উত্তরঃ জনবসতি পূর্ণ
(১৪) গ্রামের পরিবেশ ___________ করে গড়ে তুলবার জন্যে বৃক্ষরোপণ ও সবুজায়নের উপর অধিক গুরুত্ব আরোপ করতে হবে।
উত্তরঃ নির্মল
(১৫) নলকূপ ও নদীর জল __________ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
উত্তরঃ নিরাপদ
(১৬) জনস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য সর্বাধিক স্বাস্থ্যবিধান অভিযানকে একটি __________ আন্দোলনের রূপ দিতে হবে।
উত্তরঃ সামাজিক
(খ) বহুর মধ্যে সঠিক উত্তরটি খুঁজে বার করে ✅ চিহ্ন দাও :
(১) কোন্টি শারীরিক সক্ষমতার দক্ষতা সম্পর্কিত উপাদান?
(i) পেশিশক্তি
(ii) গতি
(iii) নমনীয়তা
উত্তরঃ (ii) গতি
(২) শারীরিক সক্ষমতার স্বাস্থ্য সম্পর্কিত উপাদানটি হলো ________।
(i) ভারসাম্য
(ii) ক্ষমতা
(iii) পেশী সহনশীলতা
উত্তরঃ (iii) পেশী সহনশীলতা
(৩) ১৯০৭ সাল থেকে পরপর তিন বার ট্রেডস কাপ জেতে কোন্ ক্লাব?
(i) ডালহৌসি
(ii) মোহনবাগান
(iii) কুমারটুলি
উত্তরঃ (ii) মোহনবাগান
(৪) কখন 'স্প্লিন্ট' ব্যবহার করা হয়? -
(i) রক্তপাত বন্ধ করতে
(i) জ্বর কমাবার জন্য
(iii) অস্থিভঙ্গের ক্ষেত্রে
উত্তরঃ (iii) অস্থিভঙ্গের ক্ষেত্রে
(৫) এই আসনটি দীর্ঘদিন অনুশীলন করলে হাতের পেশি সুগঠিত হয়। কাঁধ, ঘাড় ও পেটের পেশী শক্তি বৃদ্ধি পায়। হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। কিন্তু কোমরে হাটুতে ও হাতে চোট-আঘাত থাকলে এই আসনটি অভ্যাস করা উচিত নয়। এই আসনটি নাম কি?
(i) কুক্কুটাসন
(ii) বজ্রাসন
(iii) তুলাদন্ডসন
উত্তরঃ (i) কুক্কুটাসন
(৬) এই আসনটি অভ্যাস এর সময় শ্বাসক্রিয়া স্বাভাবিক থাকে। এই আসন অনুশীলনের ফলে মেরুদন্ডের নমনীয়তা বৃদ্ধি পায়। পেটের মাংসপেশি গুলিকে সুস্থ ও সবল রাখে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। এই আসনটি নাম কি?
(i) গুপ্তাসন
(ii) হলাসন
(iii) পবনমুক্তাসন
উত্তরঃ (ii) হলাসন
(৭) পা জোড়া রেখে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে কোমরের উপরের অংশকে সামনের দিকে তাকিয়ে কপাল হাতের স্পর্শ করে থাকবে এবং হাত দুটি দুই পায়ে দুই পাশে মাটির স্পর্শ করবে। এই আসনটি নাম কি?
(i) পশ্চিমোত্তানাসন
(ii) হলাসন
(iii) পদহস্তাসন
উত্তরঃ (iii) পদহস্তাসন
(৮) শিক্ষার্থীদের শরীরের আয়োডিন নাম ও খনিজ মৌল টির অভাব হলে কি কি উপসর্গ দেখা দেবে?
i) চোখে ট্যারা ভাব
ii) পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়া
iii) ক্লান্তি ভাব
iv) গলগন্ড
v) সবকয়টি
উত্তর : v) সবকয়টি
(৯) কোন রোগটি আয়রন নামক খনিজ মৌলের অভাবে জনিত রোগ?
i) চর্মরোগ
ii) ডেঙ্গু
iii) ম্যালেরিয়া
iv) রক্তাল্পতা
v) রাতকানা
উত্তর : iv) রক্তাল্পতা
(১০) কোন্ টি বিভিন্ন ধরনের রোগ?
i) ম্যালেরিয়া
ii) ফাইলেরিয়া বা গোদ
iii) টিটেনাস
iv) ডেঙ্গু
v) চিকনগুনিয়া
উত্তর : iii) টিটেনাস
(১১) যদি উত্তরটা হয় এডিস মশা, তাহলে প্রশ্নটা কি ছিল?
i) কোন মশা কামড়ালে ম্যালেরিয়া রোগ হয়?
ii) কোন মশা কামড়ালে চিকনগুনিয়া রোগ হয়?
iii) কোন মশা কামড়ালে ডেঙ্গু রোগ হয়?
iv) কোন মশা কামড়ালে ফাইলেরিয়া রোগ হয়?
উত্তর : iii) কোন মশা কামড়ালে ডেঙ্গু রোগ হয়?
(১২) কখন কখন হাত ধুতে হবে?
i) খাবার খাওয়ার আগে ও পরে
ii) শৌচাগার ব্যবহারের পরে
iii) রোগীর ঘরে যাওয়ার আগে ও পরে
iv) স্নান করার পরে
v) i)+ii)+iii) নং ক্ষেত্রে
vi) সবকটি ক্ষেত্রেই
উত্তর : v) i)+ii)+iii) নং ক্ষেত্রে
(গ) বাঁদিকের সঙ্গে ডানদিকের অংশ মেলাও :
উত্তরঃ
(ঘ) টীকা লেখো :
(১) মিড-ডে-মিল : ভারত সরকার ১৯৯৫ সালে প্রথম শিক্ষায় জাতীয় পুষ্টি সহায়তা প্রকল্প অর্থাৎ মিড–ডে মিল প্রকল্পটি চালু করেন। ভারত সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী এর উদ্দেশ্য হল বিদ্যালয়ে ভর্তিকরণ, শিশুদের বিদ্যালয়ে ধরে রাখা এবং তাদের উপস্থিতি বাড়িয়ে প্রাথমিক শিক্ষাকে সর্বজনীন করে তোলা এবং একই সঙ্গে তাদের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটানো। কিন্তু রান্না করা খাবার দেওয়ার পরিবর্তে বেশির ভাগ রাজ্যই মাসে প্রত্যেক শিশুকে ৩ কিলোগ্রাম করে চাল বা গম দিত।
(২) নির্মল গ্রাম : নির্মল বাংলা অভিযানের প্রধান লক্ষ্যই হলো নির্মল গ্রাম গঠন করা। নির্মল গ্রাম এর বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য হলো-
(১) খোলা জায়গা মলমূত্র ত্যাগ নিষিদ্ধ বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও ঘোষণা করতে হবে এবং নিয়ম ভঙ্গ কারীদের শাস্তি ও জরিমানা প্রতিবেদনও থাকবে।
(২) প্রতিটি বাড়িতে শৌচাগার গড়ে তুলতে হবে।
(৩) প্রতিটি শৌচাগারে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও স্বাভাবিক আলো-বাতাসের সংস্থান থাকবে।
(৪) গ্রামের পরিবেশ নির্মল করে গড়ে তোলার জন্য বৃক্ষরোপণ ও সবুজায়নের উপর অধিক গুরুত্ব আরোপ করতে হবে।
(ঙ) কয়েকটি বাক্যে উত্তর দাও :
(১) শারীরিক সক্ষমতার প্রয়োজনীয়তা ব্যক্ত করো।
উত্তরঃ শারীরিক সক্ষমতা প্রত্যেক মানুষের জীবনে একটি মূল্যবান সম্পদ। সুস্থ, সবল ও স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবনযাপনে শারীরিক সক্ষমতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শারীরিক সক্ষমতার মূল উৎস হলো। ব্যায়াম। সঠিক পদ্ধতিতে শরীরচর্চা ও বিজ্ঞানসম্মত অনুশীলনে নিম্নলিখিত ফলগুলি লাভ করা যেতে পারে।
স্বাস্থ্যের বিকাশঃ (১) শারীরিক অভ্যন্তরীণ যন্ত্র ও তন্ত্রগুলির উন্নতি ঘটে, যেমন - ফুসফুস, হৃৎপিন্ড, পরিপাকতন্ত্র, শসনতন্ত্র, পেশিতন্ত্র ইত্যাদি।
(২) পেশির শক্তি ও সহনশীলতা বৃদ্ধি পায়।
(৩) রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।
(৪) গতিহীনতার রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
(৫) সঠিক ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়।
শারীরিক বিকাশঃ (১) সৌন্দর্যমন্ডিত দেহভঙ্গি ও রোগ প্রতিরোগ ক্ষমতা লাভ করা সম্ভব হয়।
(২) শারীরিক বৃদ্ধি ও বিকাশ সুসম্ভবভাবে হয়।
সামাজিক বিকাশঃ (১) দারিদ্র্য দূরীকরণ ঘটে।
(২) সহযোগিতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাবের উন্নতি ঘটে।
মানসিক বিকাশঃ (১) উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণ ও যে-কোণো পরিবেশে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
(২) সুষম মানসিক বিকাশ ও দ্রুত সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
(২) মোহনবাগান স্পোর্টিং ক্লাব সম্বন্ধে যা জান লেখো।
উত্তরঃ ভারতের শাসনভার তখন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাতে। আর কলকাতা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সদর দপ্তর। আর এই ইংরেজ সাহেবদের খেলার মাধ্যমেই কলকাতায় ফুটবলের গোড়াপত্তন। ১৮৮৯ সালের আগস্ট মাসে ১৪ নং বলরাম ঘোষ স্ট্রিটের ভূপেন্দ্রনাথ বসুর বাড়ির সভাতেই স্থির হলো মোহনবাগান ভিলায় যারা খেলছে তাদের নিয়ে গড়া হবে একটি ক্রীড়া সংগঠন। যার নাম 'মোহনবাগান স্পোর্টিং ক্লাব'। ভূপেন্দ্রনাথ বসু হলেন মোহনবাগান স্পোর্টিং ক্লাবের প্রথম সভাপতি এবং প্রথম সম্পাদক যতীন্দ্রনাথ বসু। আর ক্লাবের প্রথম অধিনায়ক হলেন মণিলাল সেন।
১৯০৭ সাল থেকে পরপর তিনবার মোহনবাগান ট্রেডস কাপ জেতার পর, সাহেবদের হারাবার স্বপ্নে বিভোর মোহনবাগান আই এফ এ শিল্ড - এও খেলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। মোহনবাগান আই এফ এ শিল্ড সেবার গর্ডন হাইল্যান্ডসকেও হারিয়ে দিয়েছিল। ১৯১১ সালে মোহনবাগান অপ্রতিরোধ্য গতিতে আই এফ এ শিল্ডে অংশগ্রহন করে। শিল্ডের প্রথম রাউন্ডের খেলায় সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের বিরুদ্ধে মোহনবাগান তিন গোলে জয়লাভ করে। শক্তিশালী রাইফেল ব্রিগেডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছিল মোহনবাগান। মিডলসেক্স-এর বিরুদ্ধে ৩-০ গোলে জয়লাভ করে ফাইনালে উঠল মোহনবাগান।
শুরু হল ১৯১১ সালের আই এফ এ শিল্ড ফাইনাল খেলা। খেলা শেষের আর মাত্র কয়েক মিনিট বাকি। মোহনবাগানের খেলোয়াড় অভিলাষ ঘোষ বল ঠেলে দিলেন বিপক্ষের গোলে আর তখনই অসম্ভব সম্ভব হওয়ার আনন্দে উদবেলিত সকল বাঙালি। আকাশ - বাতাসে শুধুই মোহনবাগানের জয়ধ্বনি। মোহনবাগানের শিল্ড জয়ের বিজয়োৎসবে মুখরিত সমগ্র বাংলা। সমগ্র দেশে এসেছিল আকাল দীপাবলী। ইস্ট ইয়র্ক-কে হারিয়ে দেশের মানুষের মনে দেশাত্মবোধ, বৈপ্লবিক চেতনা জাগিয়ে তুলতে সমর্থ হয়েছিল মোহনবাগান।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
0 মন্তব্যসমূহ