পরিবেশ ও বিজ্ঞান
সপ্তম শ্রেণি
পূর্ণমান - ৫০
১. ঠিক উত্তর নির্বাচন করো :
১.১ অপ্রভ বস্তুটি হলো -
(ক) মোমবাতির শিখা
(খ) সূর্য
(গ) চাঁদ
(ঘ) জোনাকি
উত্তর : (গ) চাঁদ
১.২ যেটি জীবাশ্ম জ্বালানি নয় সেটি হল -
(ক) কয়লা
(খ) পেট্রোল
(গ) ডিজেল
(ঘ) গোবর গ্যাস
উত্তর : (ঘ) গোবর গ্যাস
১.৩ উদ্ভিদের মূলের ডগায় টুপির মতো অংশের ঠিক উপরে জায়গা যেখানে কোন রোঁয়া থাকে না সেটি হল -
(ক) মূলত্র অঞ্চল
(খ) বর্ধনশীল অঞ্চল
(গ) স্থায়ী অঞ্চল
(ঘ) মূলরোম অঞ্চল
উত্তর : (খ) বর্ধনশীল অঞ্চল
১.৪ যে ক্ষেত্রে আলোর বিক্ষিপ্ত প্রতিফলন ঘটে না সেটি হল -
(ক) দেয়াল
(খ) কাগজ
(গ) কাপড়
(ঘ) আয়না
উত্তর : (ঘ) আয়না
১.৫ যেটি পরিবেশবান্ধব শক্তির উৎস নয় সেটি হল -
(ক) সূর্য
(খ) বায়ুপ্রবাহ
(গ) জীবাশ্ম জ্বালানি
(ঘ) জৈব গ্যাস
উত্তর : (গ) জীবাশ্ম জ্বালানি
১.৬ রূপান্তরিত অর্ধবায়বীয় কান্ড দেখা যায় যে উদ্ভিদের সেটি হল -
(ক) আলু
(খ) কচুরিপানা
(গ) বেল
(ঘ) কুমড়ো
উত্তর : (খ) কচুরিপানা
২. শূন্যস্থান পূরণ করো :
২.১ ইস্ত্রিতে তড়িৎ প্রবাহের __________ ফলাফলের প্রয়োগ করা হয়।
উত্তর : তাপীয়
২.২ আমের আটি ___________ ঢেকে রাখে।
উত্তর : বীজক
২.৩ এঁচোড় হলো __________ ফলের একটি উদাহরণ।
উত্তর : যৌগিক
৩. ঠিক বাক্যের পাশে ✅আর ভুল বাক্যের পাশে ❌দাও :
৩.১ কোনো বস্তুকে তাপ দিলে তার উষ্ণতার পরিবর্তন হবেই।
উত্তরঃ ❌
৩.২ ভিটামিন D - এর অভাবে বেরিবেরি রোগ হয়।
উত্তরঃ ❌
৩.৩ কঠিন সোডিয়াম ক্লোরাইডের মধ্যে অণুর কোনো অস্তিত্ব নেই।
উত্তরঃ ✅
৩.৪ কোনো দন্ড চুম্বকের জ্যামিতিক দৈর্ঘ্য তার চৌম্বক দৈর্ঘ্যের সামান্য কম হয়।
উত্তর: ✅
৩.৫ যে অংশ থেকে শাখা বেরোয় তাকে পর্বমধ্য বলে।
উত্তর: ❌
৩.৬ তেতুল পাতা হল একক পত্রের একটি উদাহরণ।
উত্তর: ❌
৪. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :
৪.১ সমীকরণটি ব্যালান্স করে লেখো : P4 + ____ O2 - P4O10
উত্তরঃ 5
৪.২ মানবদেহে আয়োডিনের একটি কাজ উল্লেখ করো।
উত্তরঃ আয়োডিন মানবমস্তিস্কের ও স্নায়ুতন্ত্রের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশে, থাইরক্সিনের উপাদান গঠনে সাহায্য করে।
৪.৩ আম দিয়ে তৈরি একটি প্রক্রিয়াজাত খাবারের উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ আম দিয়ে তৈরি একটি প্রক্রিয়াজাত খাবারের উদাহরণ হল - জ্যাম ও জেলি।
৫. একটি বা দুটি বাক্যে উদাহরণ দাও :
৫.১ কিউপ্রিক ক্লোরাইডের জলীয় দ্রবণে জিঙ্কের টুকরো যোগ করলে কী ধরনের বিক্রিয়া হবে? বিক্রিয়ার সমীকরণ লেখো।
উত্তরঃ কিউপ্রিক ক্লোরাইডের জলীয় দ্রবণে জিঙ্কের টুকরো যোগ করলে জিঙ্ক ক্লোরাইড উৎপন্ন হয় এবং ধাতব কপার অধঃক্ষিপ্ত হয়।
CuCl2 + Zn = ZnCl2 + Cu↓
এটি প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া।
৫.২ কী কী উপায়ে ফিল্টার যন্ত্রের সাহায্য ছারাই বাড়িতে বিশুদ্ধ পানীয় জল তৈরি করা যায়?
উত্তরঃ ফিল্টার যন্ত্রের সাহায্য ছারাই বাড়িতে বিশুদ্ধ পানীয় জল তৈরির প্রক্রিয়া -
প্রথমত, জলকে অন্তত ২০ মিনিট ফুঁটিয়ে জলকে বিশুদ্ধ করা যাতে পারে।
দ্বিতীয়ত, জলে হ্যালোজেন ট্যাবলেট মিশিয়ে বিশুদ্ধ পানীয় জল তৈরি করা যাতে পারে।
তৃতীয়ত, জলে প্রায় ৩০ মিনিট ফটকিরি ডুবিয়ে জলকে পানীযোগ্য করা যায়।
৫.৩ পৃথিবী নিজে একটা চুম্বক তার পক্ষে কী প্রমাণ আছে?
উত্তর : একটি লোহার দন্ড কে বহুদিন ধরে পৃথিবীর উত্তর দক্ষিণ দিক বরাবর রেখে দিলে দেখা যায় ওই দন্ডের মধ্যে ক্ষীণ চুম্বকত্বের সৃষ্টি হয়। দন্ডটির উত্তরমুখী প্রান্তে উত্তর মেরু এবং দক্ষিণমুখী প্রান্তে দক্ষিণ মেরুর সৃষ্টি হয়। পৃথিবী নিজে একটা চুম্বক তাই পৃথিবীর সংস্পর্শে লোহার দন্ডটিকে চৌম্বকত্ব আবিষ্ট হয়।
৫.৪ কি কি উপায়ে উদ্ভিদের স্বপরাগযোগ ঘটতে পারে?
উত্তর : নিম্নলিখিত উপায়ে স্বপরাগযোগ ঘটতে পারে
(১) একটি ফুলের থেকে পরাগরেণু সেই ফুলের গর্ভমুণ্ডে স্থানান্তরিত হয়ে।
(২) একটি ফুলের থেকে পরাগরেণু সেই গাছের অন্য ফুলের গর্ভমুণ্ডে স্থানান্তরিত হয়ে।
৫.৫ চালু লাইনের কাজ করার সময় ইলেকট্রিক মিস্ত্রির কিসের উপর দাঁড়িয়ে কাজ করা উচিত লোহার চেয়ার না কাঠের টুল? কেন?
উত্তর: চালু লাইনে কাজ করার সময় ইলেকট্রিক মিস্ত্রির কাঠের টুল এর উপর দাঁড়িয়ে কাজ করা উচিত।
কারণ, কাঠ হল তড়িতের কুপরিবাহী। তাই কাঠের টুল এর উপর দাঁড়িয়ে মিস্ত্রি কাজ করা অবস্থায় ভুলে পরিবাহিতার হাত পড়ে গেলেও তড়িৎ শরীরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে না। অর্থাৎ সক লাগবেনা।
৫.৬ উদ্ভিদের মূলের প্রধান কাজ কি?
উদ্ভিদের মূলের প্রধান কাজ গুলি হল:
(ক) জল ও খনিজ লবণ শোষণ : উদ্ভিদের মূলের মূলরোম অঞ্চলের উপস্থিত রোমগুলোর সাহায্যে উদ্ভিদ মাটি থেকে জল ও খনিজ পদার্থ শোষণ করে।
(খ) মাটিকে আঁকড়ে ধরে রাখা: মূল এর স্থায়ী অঞ্চল মাটিকে গাছকে আঁকড়ে ধরে রাখে।
৫.৭ হাতে স্পিরিট বা ইথার ঢাললে ঠান্ডা লাগে কেন?
উত্তরঃ স্পিরিট বা ঈথার আসলে উদ্বায়ী পদার্থ। এই ধরনের পদার্থ খুব তাড়াতাড়ি বাষ্পীভূত হয়। বাষ্পীভবনের জন্য হাত থেকে লিনতাপ সংগ্রহ করে । ফলে হাতের তাপমাত্রা পরিবেশের থেকে কমে যায়। তাই হাতে স্পিরিট বা ঈথার ঢাললে ঠান্ডা অনুভূত হয়।
৬. তিন-চারটি বাক্যের উত্তর দাও :
৬.১ যে উষ্ণতায় সেলসিয়াস ও ফারেনহাইট স্কেলের পাঠ সমান হবে তা নির্ণয় করো।
উত্তরঃ
অতএব, - 40 ⁰ তাপমাত্রায় সেলসিয়াস ও ফারেনহাইট স্কেলে পাঠ একই হবে।
৬.২ কোয়াশিওরকর রোগ কেন হয় এবং এই রোগে কী কী লক্ষণ দেখা যায়?
উত্তরঃ খাদ্যে উপযুক্ত পরিমাণে প্রোটিন ও ক্যালোরির অভাবে সাধারনত ১ থেকে ৪ বছরের শিশুদের দেহে এই রোগ দেখা যায়।
লক্ষণঃ কোয়াশিওরকর রোগের প্রধান লক্ষণ দেখা সেগুলি হলও -
(১) শিশুদের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।
(২) উদর বেশ বড়ো হয়।
(৩) ত্বক আঁশযুক্ত ও ভঙ্গুর।
(৪) শরীরে রক্তাপ্লতা দেখা যায়।
(৫) হাত - পা ও গলা সরু হয়ে যায়।
(৬) পা ও হাত বেঁকে যায়।
(৭) শরীরের ওজন কমে যায়।
(৮) মাথার চুল পাতলা ও বিবর্ণ হয়ে যায়।
৬.৩ একটি চিহ্নিত চিত্রের সাহায্যে ঘণমাধ্যম থেকে লঘু মাধ্যমে প্রতিসরণের ক্ষেত্রে আলোকরশ্মির গতিপথ কেমন হবে তা দেখাও।
উত্তর : চিত্রের আলোক রশ্মির মধ্যম 1 থেকে 2-তে প্রবেশ করেছে ও অভিলম্ব থেকে দূরে সরে গেছে। যে মাধ্যমে প্রবেশ করলে আলোক রশ্মী অভিলম্ব থেকে দূরে সরে যায় সেই মাধ্যমটিকে আলোর ক্ষেত্রে লঘুতর মাধ্যম বলা হয়। এখানে মাধ্যম 2 মাধ্যম 1 এরচেয়ে লঘুতর।
৬.৪ সাপ কিভাবে 'জেকবসনস অর্গ্যান' - এর সাহায্যে তার চারপাশের পরিবেশ সম্বন্ধে জানতে পারে?
উত্তর : আমাদের চারপাশের বিভিন্ন প্রাণীর দেহ থেকে নানান উদ্বায়ী যৌগের অনু বায়ুর মাধ্যমে তার চারপাশের পরিবেশ ছড়িয়ে পড়ে। সাপের জিভের অবস্থিত যেসব যৌগের অনু গুলি আটকে যায়। তারপর সপ্তার মুখের ভিতরে জিব ঢুকিয়ে নিয়ে জিনিসটিকে তালুতে ঠেকিয়ে দেয়। সাপের তালুতে উপস্থিত জেকবসনস অর্গ্যান তখন সেই অনুগুলির বন্ধের উদ্দীপনা সাপের মস্তিষ্কে প্রেরণ করে। এই ভাবেই ছাত্তার তালুতে উপস্থিত জেকবসনস অর্গ্যান এর মাধ্যমে তার চারপাশের পরিবেশ সম্বন্ধে জানতে পারে।
৬.৫ সুচিছিদ্র ক্যামেরার ছিদ্রটি বড়ো করা হলে প্রতিকৃতির কী পরিবর্তন হবে ? ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ সূচিছিদ্র ক্যামেরার ছিদ্রটি বড় করা হলে প্রতিকৃতিও অস্পষ্ট হবে ।
ব্যাখ্যা : সূচিছিদ্র ক্যামেরার ছিদ্রটি বড় করা হলে তা অসংখ্য ছোট ছোট ছিদ্রের সমষ্টির মতো আচরণ করবে। এতে গঠিত অসংখ্য প্রতিকৃতি মিলে মিশে যাবে। এর ফলে একটি অস্পষ্ট প্রতিকৃতি সৃষ্টি হবে।
৬.৬ সমুদ্রের মাছ কিভাবে নিজের দেহের জলের পরিমাণ স্বাভাবিক রাখে ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ নিম্নলিখিত পদ্ধতির মাধ্যমে সমুদ্রের মাছ নিজের দেহে জলের পরিমান স্বাভাবিক রাখে :
(ক) সমুদ্রের মাছ ঘন ঘন মূত্র ত্যাগ করে । ফলে তাদের দেহ থেকে খুব কম পরিমাণ জল বেরিয়ে যায় ।
(খ) সমুদ্রের মাছ ফুলকার মাধ্যমে দেহের অতিরিক্ত আয়ন ত্যাগ করে ।এদের ফুলকার কোষ ক্লোরাইড লবণ ত্যাগ করতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। এভাবে সমুদ্রের মাছ নিজেদের দেহে জলের পরিমাণ স্বাভাবিক রাখে।
(গ) সামুদ্রিক মাছেরা অনেক বেশি জল পান করে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
0 মন্তব্যসমূহ