বহু বিকল্প ভিত্তিক প্রশ্ন : পরিচিতি ও অনুশীলনী সংক্রান্ত সাধারণ
১. বহু বিকল্প ভিত্তিক প্রশ্ন সম্ভারটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে এই জাতীয় নতুন ধরনের প্রশ্নের সঙ্গে শিক্ষার্থীরা পরিচিত হয়।
২. শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন পরীক্ষায় যে যে ধরনের বহু বিকল্প ভিত্তিক প্রশ্নের সন্মুখীন হতে পারে, এই অনুশীলনের মাধ্যমে সেগুলো সঙ্গে তারা অভ্যস্ত হয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
৩. বিদ্যালয় খুললে 'বহু বিকল্প প্রশ্ন : পরিচিতি ও অনুশীলন' এর উত্তর গুলি অভিভাবক অভিভাবিকা দের মাধ্যমে শিক্ষিকা শিক্ষকদের কাছে জমা দিতে হবে।
৪. প্রয়োজনে বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শিক্ষকদের সহায়তা নেওয়া যেতে পারে।
৫. ঘরে বসে খাতায় 'বহু বিকল্প ভিত্তিক প্রশ্ন : পরিচিতি ও অনুশীলন' এর উত্তর তৈরি করতে হবে।
*** ছাত্র-ছাত্রীরা বাড়িতে নিজের বিষয়ভিত্তিক খাতায় 'বহু বিকল্প ভিত্তিক প্রশ্ন : পরিচিতি ও অনুশীলন' এর উত্তর করে অভিভাবক অভিভাবিকাদের মাধ্যমে শিক্ষিকা শিক্ষকদের কাছে জমা দেবে। কোন অবস্থাতেই তারা বাড়ির বাইরে বেরোবে না।
বহু বিকল্প ভিত্তিক প্রশ্ন : পরিচিতি ও অনুশীলন
বাংলা
দশম শ্রেণি
ভাগ ১ - নিচে দেওয়া অংশটি পড়ো :
টুনটুনি পাখি তার বাসা তৈরি করার আগে দুটি কি তিনটি পাতা সেলাই করে একটি বাটির মত তৈরী করে, তার মধ্যে নরম ঘাস পাতা দিয়ে সে তার বাশাটি বানায়। সেলাইয়ের সুতো সাধারণত রেশমের ব্যবহার করে; কাছে রেশন না থাকলে যে সুতো পায় তাই দিয়ে করে। সেলাইয়ের ছুঁচ হলো তার সরু ঠোঁট জোড়া। বাসাটা অনেকটা দোলনার মত ঝুলতে থাকে। খুব ছোট জাতের পাখিরা হিংস্র জন্তু আর সাপ গিরগিটি আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য প্রায়ই ঐরকম দোলনার মত বাসা তৈরি করে থাকে। অনেক জাতের পাখি আবার মাটিতেই বাসা করে, গাছে বাসা তারা পছন্দই করে না। তাদের মধ্যে কেউ কেউ আবার বাসা তৈরি করে না। নিজেরা গাছের আড়ালে ঝোপের মধ্যে লুকিয়ে থাকে আর মাটিতে গর্ত করে তার মধ্যে ডিম পাড়ে। মোরগ তিতির পেরু এরা সবই এই জাতের। আবার কোন কোন পাখি সুন্দর করে লতা পাতা দিয়ে কুঞ্জবন এর মত বানায়। অস্ট্রেলিয়া দেশের কুঞ্জ পাখি (Bowe bird) তার বাসার সামনে খুব সুন্দর লতা কুঞ্জ তৈরি করে। পাখিটি আকারে ছোট বটে, কিন্তু কুঞ্জটি কিছু ছোট হয় না। এদের আবার রংচঙে জিনিসের বড় শখ, ভাঙ্গা কাঁচ, পাথর, রঙিন জিনিস, যা সামনে পাবে সব এনে বাসার চারিদিকে সাজিয়ে রাখবে।
কোন কোন পাখি থুতু দিয়ে বাসা তৈরি করে। তালচোঁচ পাখি এই জাতের। পালক, ঘাস এসব জিনিস থুতু দিয়ে জোড়া লাগিয়ে তারা বাসা তৈরি করে। ইস্ট ইন্ডিয়া দ্বীপপুঞ্জে এক জাতের তালচোঁচ আছে, তারা কেবলই থুতু দিয়ে নিজেদের বাসা বানায়। চীন দেশে এ বাসার খুব আদর, তারা এর ঝোল বানিয়ে খায়। সেই জন্য সে দেশে এর দাম খুব বেশি।
অনেক জাতের পাখি কাদা দিয়েও তাদের বাসা বানায়। আফ্রিকার ফ্লামিঙ্গোর বাসা কাদার তৈরি। একটা ঢিপির মত কাঁদা সাজিয়ে তার মাঝে একটা গর্ত করে ফ্লামিংগো ডিম পাড়ে। আরো অনেক জাতের পাখি ও তার বাসা বানায়; তাদের অধিকাংশই আফ্রিকার।
তোমরা অনেকেই বোধহয় কাঠ-ঠোকরা দেখেছ। এরা ঠোঁট দিয়ে ঠকর মেরে গাছের গায়ে তার ভিতরে বাসা বানায়। দুষ্ট ছেলেরা ছানা চুরি করার লোভে কাঠঠোকরার বাসায় গর্তে হাত ঢুকিয়ে দিয়ে অনেক সময় সাপের কামড় খায়, কারণ সাপেরা কাঠঠোকরার বাসা ডাকাতি করে অধিকার করতে বড় পটু।
নিচের দেওয়া প্রশ্নগুলির উত্তরটিতে গোল দাগ দাও :
১. ছোট ছোট পাখিরা দোলনার মতো বাসা তৈরি করে -
(ক) আরাম পাওয়ার জন্য
(খ) বাচ্চাদের সুবিধার জন্য
(গ) সরু ডালে বাসা তৈরীর কারণে
(ঘ) হিংস্র জন্তু দের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য
উত্তর : (ঘ) হিংস্র জন্তু দের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য
২. মাটিতে গর্ত করে তার মধ্যে ডিম পারে যে পাখিরা তাদের মধ্যে অন্যতম -
(ক) টুনটুনি
(খ) গাঙচিল
(গ) তিতির
(ঘ) শালিক
উত্তর : (গ) তিতির
৩. তালচোঁচ পাখির বৈশিষ্ট্য -
(ক) তারা ভাঙ্গা কাঁচ পাথর দিয়ে বাসা তৈরি করে
(খ) তারা থুতু দিয়ে বাসা তৈরি করে
(গ) তারা তালপাতা দিয়ে বাসা তৈরি করে
(ঘ) তারা কোনো বাসা তৈরি করে না
উত্তর : (খ) তারা থুতু দিয়ে বাসা তৈরি করে
৪. কাদা দিয়ে বাসা বানায় যে পাখিরা তাদের অধিকাংশই -
(ক) আফ্রিকার
(খ) লাতিন আমেরিকা
(গ) অস্ট্রেলিয়ার
(ঘ) হিমালয় অঞ্চলের
উত্তর : (ক) আফ্রিকার
৫. 'পাখি' শব্দটি একটি -
(ক) তৎসম শব্দ
(খ) তদ্ভব শব্দ
(গ) দেশি শব্দ
(ঘ) বিদেশি শব্দ
উত্তর : (খ) তদ্ভব শব্দ
এদেশে ছাপা প্রথম সংবাদপত্র ছিল
উত্তরমুছুনবেঙ্গল গেজেট
মুছুনবেঙ্গল গেজেট
উত্তরমুছুনবেঙ্গল গেজেট
উত্তরমুছুন