মডেল অ্যাক্টভিটি টাস্ক
পরিবেশ ও ভূগোল
সপ্তম শ্রেণি
১. বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখো :
১.১ সূর্যের উত্তরায়নের সময়কাল -
ক) ২১ শে জুন থেকে ২২ শে ডিসেম্বর
খ) ২৩ শে সেপ্টেম্বর থেকে ২১ শে মার্চ
গ) ২২ শে ডিসেম্বর থেকে ২১ শে জুন
ঘ) ২১ শে মার্চ থেকে ২৩ শে সেপ্টেম্বর
উত্তরঃ গ) ২২ শে ডিসেম্বর থেকে ২১ শে জুন
১.২ কোনো মানচিত্রে সমচাপরেখাগুলি খুব কাছাকাছি অবস্থান করলে সেখানে -
ক) বায়ুর চাপ বেশি হয়
খ) বায়ুর চাপের পার্থক্য বেশি হয়
গ) বায়ুর চাপ কম হয়
ঘ) বায়ুর চাপের পার্থক্য কম হয়
উত্তরঃ খ) বায়ুর চাপের পার্থক্য বেশি হয়
১.৩ টোকিও - ইয়োকোহামা শিল্পাঞ্চলের উন্নতির অন্যতম প্রধান কারণ হলো -
ক) খনিজ ও শক্তি সম্পদের সহজলভ্যতা
খ) স্বল্প জনঘনত্ব
গ) উন্নত প্রযুক্তি ও দক্ষ শ্রম
ঘ) সমুদ্র থেকে দুরবর্তী স্থানে অবস্থান
উত্তরঃ গ) উন্নত প্রযুক্তি ও দক্ষ শ্রম
২. উপযুক্ত শব্দ বসিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো :
২.১ নিরক্ষরেখা থেকে মেরুর দিকে অক্ষরেখার পরিধি ক্রমশ __________ থাকে।
উত্তরঃ কমতে
২.২ বায়ুতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমে গেলে বায়ুর চাপ __________ পায়।
উত্তরঃ বৃদ্ধি
২.৩ এশিয়া মহাদেশের একটি উত্তরবাহিনী নদী হলো _________।
উত্তরঃ লেনা
৩. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও
৩.১ কোন্ তারিখকে কর্কট সংক্রান্তি বলা হয় ও কেন?
উত্তরঃ ২১ শে জুনকে 'কর্কট সংক্রান্তি' বলে কারণ এই দিনে কর্কটক্রান্তি রেখার ওপর সুর্যরশ্মি লম্বভাবে পড়ে।
৩.২ মেরু অঞ্চল ও নিরক্ষীয় অঞ্চলে বায়ুর উষ্ণতার তারতম্য কীভাবে দুই অঞ্চলের বায়ুচাপকে নিয়ন্ত্রণ করা তা ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ পরিবর্তন হলে বায়ুর আয়তন, ঘনত্বের পরিবর্তন হয়। যেমন - বায়ু উত্তপ্ত হলে বায়ুর অণুগুলোর গতিবেগ বৃদ্ধি পায় এবং পরস্পরের থেকে দূরে সরে যেতে থাকে। এভাবে উষ্ণ বায়ু হলকা হয়ে প্রসারিত হয় এবং ওপরে উঠে যায়। বায়ুর ঘনত্ব কমে যায়। অর্থাৎ নির্দিষ্ট আয়তনের বায়ুতে অণুর সংখ্যাও কমে যায় এবং বায়ুর চাপও কমে যায়। বায়ু শীতল হলে সংকুচিত হয় এবং বায়ুর ঘনত্ব বেড়ে যায়। তাই বায়ুর চাপও বেড়ে যায়। একারণেই শীতল মেরু অঞ্চলে বায়ুর চাপ বেশি এবং উষ্ণ নিরক্ষীয় অঞ্চলে বায়ুর চাপ কম হয়।
৪. এশিয়া মহাদেশের নিরক্ষীয় ও উষ্ণ মরু জলবায়ু স্বাভাবিক উদ্ভিদের চরিত্রকে কীভাবে প্রভাবিত করা তা আলোচনা করো।
উত্তরঃ সম্পূর্ণ উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত এশিয়া মহাদেশের উত্তর-দক্ষিণে এবং পূর্ব পশ্চিমে বিস্তার এত বেশি যে পৃথিবীর প্রায় সব ধরনের জলবায়ু এই মহাদেশে দেখা যায়। কোন দেশ বা মহাদেশের জলবায়ু সংকেত স্বাভাবিক উদ্ভিদের একটি নিবিড় সম্পর্ক থাকে। জলবায়ুর উপর নির্ভর করে স্বাভাবিক উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য গুলো নির্ধারিত হয়। নিরক্ষীয় জলবায়ু তে জন্মায় চিরহরিৎ বা চিরসবুজ উদ্ভিদ। আবার মেরু অঞ্চলে জন্মায় কাটা জাতীয় উদ্ভিদ।
নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চল ও স্বাভাবিক উদ্ভিদ :
নিরক্ষরেখার কাছাকাছি 10 ডিগ্রী উত্তর অক্ষরেখার থেকে 10 ডিগ্রি দক্ষিণ অক্ষরেখা মধ্যে ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা, সিঙ্গাপুর প্রভৃতি দেশে নিরক্ষীয় জলবায়ু দেখা যায়।
নিরক্ষীয় অঞ্চলে বেশি উষ্ণতা ও বেশি বৃষ্টিপাত এর জন্য ঘন চিরহরিৎ গাছ চিরসবুজ গাছ দেখা যায়। যেমন - মেহগনি, আয়রন উড, সেগুন, আবলুস, রবার, কোকো, সিঙ্কোনা ইত্যাদি।
উষ্ণ মরু জলবায়ু অঞ্চলের স্বাভাবিক উদ্ভিদ :
আরবের মরুভূমি, ভারত ও পাকিস্তানের থর মরুভূমি, ইরাক-ইরান কুয়েত এইসব দেশ গুলির উষ্ণতা খুব বেশি এবং বৃষ্টিপাত খুব কম তাই এখানে উষ্ণ মরু প্রকৃতির জলবায়ু দেখা যায়। এই মরুভূমি অঞ্চলে সাধারণত কাটা জাতীয় গাছ জন্মায়, যেমন বাবলা, ফনিমনসা, খেজুর ইত্যাদি। বৃষ্টিপাত কম হওয়ার জন্য গাছগুলির কাটা ও পাতা মম জাতীয় পদার্থ দিয়ে ঢাকা থাকে যাতে প্রস্বেদন প্রক্রিয়া গাছে জল বেরিয়ে না যায়।
Other Model Activity Task : Model Activity Task 2022
8 শেণীর গনহত্যা
উত্তরমুছুন