মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক
পরিবেশ ও ভূগোল
সপ্তম শ্রেণি
নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর লেখোঃ
১. চিত্রের সাহায্যে ঋতু পরিবর্তন কীভাবে সংঘটিত হয় তা সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ যখন উত্তর গোলার্ধ সূর্যের দিকে বেশি ঝুঁকে থাকে, তখন উত্তর গোলার্ধে ক্রমশ দিনগুলো বড়ো আর রাত ছোটো হতে থাকে। অর্থাৎ দিনের আলো অনেক্ষণ পাওয়া যায়। সারাদিন ধরে সূর্যের তাপে পৃথিবী উত্তপ্ত হয়। অথচ রাত ছোটো হওয়ায় তেমন ঠান্ডা হওয়ায় সময় পায় না। দিনের পর দিন এরকম হলে গরম বাড়তে থাকে। এই সময়ে উত্তর গোলার্ধে সূর্যরশ্মি পড়ে অনেক লম্বভাবে। তাই সূর্যের তাপও হয় প্রবল। এসময় উত্তর গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল, আর দক্ষিন গোলার্ধে শীতকাল।
আবার যখন দক্ষিন গোলার্ধ সূর্যের দিকে বেশি ঝুঁকে থাকে, উত্তর গোলার্ধে তখন ক্রমশ দিন ছোটো আর রাত বড়ো হতে থাকে। দিনের আলো বেশিক্ষণ থাকে না বলে পৃথিবী বেশিক্ষন ধরে উত্তপ্ত হয় না, রাতে ঠান্ডা হওয়ার সময় বেশি পায়। এইসময় উত্তর গোলার্ধে সূর্যরশ্মি বাঁকাভাবে পড়ে, তাই কম উত্তপ্ত হয়। এসময় উত্তর গোলার্ধে শীতকাল আর দক্ষিণ গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল।
২. একটি চিত্রের সাহায্যে কোনো স্থানের অক্ষাংশ কীভাবে নির্ণয় করা হয়, তা ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ পৃথিবীর কোনো অক্ষাংশ নির্ণয় করতে হলে, উক্ত স্থান (A বিন্দু) থেকে পৃথিবীর কেন্দ্র (O বিন্দু) পর্যন্ত একটি ব্যাসার্ধ (AO) টানতে হবে। আবার ওই স্থানটি যে দ্রাঘিমারেখায় রয়েছে সেই দ্রাঘিমারেখা ও নিরক্ষরেখার ছেদবিন্দু (B) থেকে পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত আর একটি ব্যাসার্ধ (OB) টানতে হবে। এই দুই ব্যাসার্ধ দ্বারা পৃথিবীর কেন্দ্রে উৎপন্ন কোণই (AOB) হল ওই স্থানের (A বিন্দু) অক্ষাংশ। চিত্রে এই কৌণিক দূরত্ব হল 55⁰। যেহেতু A স্থানটি নিরক্ষরেখার উত্তরে অবস্থিত, তাই ওই স্থানের অক্ষাংশ হল 55⁰ উত্তর।
৩. বায়ুর উচ্চচাপ ও নিম্নচাপের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করো।
উত্তরঃ বায়ুর উচ্চচাপ ও নিম্নচাপের মধ্যে প্রধান পার্থক্যগুলি হল নিম্নরূপ -
প্রথমত, যে সমস্ত অঞ্চলে বায়ুর উষ্ণতা কম, অর্থাৎ পৃথিবীর শীতল অঞ্চলগুলোতে বায়ুর উচ্চচাপ দেখা যায়। যেমন - শীতল নাতিশিতোষ্ণ অঞ্চল, মেরু অঞ্চল; আর যে সমস্ত অঞ্চলে বায়ুর উষ্ণতা বেশি অর্থাৎ উষ্ণ অঞ্চলগুলিতে বায়ুর নিম্নচাপ দেখা যায়। যেমন - নিরক্ষীয় অঞ্চল, ক্রান্তীয় অঞ্চল।
দ্বিতীয়ত, উচ্চচাপের বায়ু শীতল হওয়ায় বায়ু সংকুচিত হয়; এবং নিম্নচাপের বায়ু উষ্ণ হওয়ায় বায়ু প্রসারিত ও হালকা হয়।
তৃতীয়ত, বায়ুর নিমজ্জন এর কারণেও বায়ুর উচ্চচাপ সৃষ্টি হয় অর্থাৎ শীতল অঞ্চলে বাতাস ঠান্ডা ও ভারী হয়ে ভূ-পৃষ্ঠের দিকে নেমে আসে। এভাবে ভূ-পৃষ্ঠের কাছাকাছি বায়ু বেশি ঘন হয়, তাই চাপ ও বাড়ে; কিন্তু বায়ুর উর্ধ্বগমনের কারণেও বায়ুর নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়। অর্থাৎ উষ্ণ অঞ্চলে ভূ-পৃষ্ঠের কাছাকাছি বায়ুও হালকা হয়ে উপরের দিকে উঠে যায়। এভাবে ভূ-পৃষ্ঠের কাছাকাছি বায়ুর ঘনত্ব কমে যায়, তাই বায়ু চাপও কমে।
চতুর্থত, শীতল ও ভারী বাতাসে জলীয় বাষ্প খুবই কম থাকে। একারণে উচ্চচাপ অঞ্চলে সাধারণত মেঘ, বৃষ্টি কিছুই হয় না। পরিষ্কার ও শান্ত আবহাওয়া থাকে; তবে উষ্ণ বায়ু উপরের স্তরে শীতল বায়ুর সংস্পর্শে এলে, বায়ুর মধ্যে জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে জল বা বরফকণায় পরিনত হয়। এ কারণে নিম্নচাপ অঞ্চলে মেঘ, বৃষ্টি, ঝড়, অশান্ত আববাওয়া দেখা যায়।
৪. এশিয়ার উষ্ণমরু ও ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুর বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করো।
উত্তরঃ
এশিয়ার উষ্ণমরু জলবায়ুর প্রধান বৈশিষ্ট্যঃ -
নীচে এশিয়ার উষ্ণমরু জলবায়ুর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করা হল -
প্রথমত, গ্রীষ্মকালে উষ্ণতা থাকে ৩⁰ - ৩৫⁰ সে.।
দ্বিতীয়ত, শীতকালে উষ্ণতা থাকে ১৫⁰ - ২৫⁰ সে.।
তৃতীয়ত, এখানে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ মাত্র ১০ - ২৫ সেমি.।
চতুর্থত, এশিয়া মহাদেশের উষ্ণতম স্থান পাকিস্তানের জেকোবাবাদ (উষ্ণতা ৫২⁰ সে. এই জলবায়ু অঞ্চলের অন্তর্গত)।
এশিয়ার ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুর বৈশিষ্ট্যঃ -
নীচে এশিয়ার ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করা হল -
প্রথমত, এখানে গ্রীষ্মকালে উষ্ণতা থাকে ২১⁰ - ২৭⁰ সে.।
দ্বিতীয়ত, এখানে শীতকালে উষ্ণতা থাকে ৫⁰ - ১০⁰ সে.।
তৃতীয়ত, পশ্চিমাবায়ুর প্রভাবে এখানে শীতকালে বৃষ্টিপাত হয়। বৃষ্টিপাতের পরিমান ৩০ - ৫০ সেমি.।
Other Model Activity Task : Model Activity Task 2022
Thanks
উত্তরমুছুনVery good
উত্তরমুছুন