উচ্চ মাধ্যমিক
একাদশ শ্রেণি
দর্শন
দ্বাদশ অধ্যায়
ন্যায় দর্শন
পঞ্চম পর্ব
ভারতীয় ন্যায় অনুমানের দুটি ভিত্তি। যথা - পক্ষধর্মতা এবং ব্যপ্তি। পক্ষে সেতুর অবস্থানকে বলা হয় পক্ষধর্মতা। উপরের উদাহরণে দ্বিতীয় বাক্যটি অর্থাৎ হেতুতে পক্ষধর্মতা দেখতে পাওয়া যায়। হেতু এবং সাধ্যের মধ্যে নিহত সহচর সম্পর্ককে বলা হয় ব্যপ্তি। সার্বিক বচন ছাড়া অনুমান সম্ভব নয়। আবার ব্যক্তি জ্ঞান ছাড়া সার্বিক বচন সম্ভব নয়। কাজেই অনুমানে ব্যপ্তি অবশ্যই প্রয়োজনীয়। ব্যাপ্তি দুই প্রকার, যথা - সমব্যপ্তি এবং অসমব্যপ্তি। যে ক্ষেত্রে হেতু এবং সাধ্যের ব্যাপকতা সমান তাকে বলে সমব্যপ্তি। যেমন - পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গের নাম মাউন্ট এভারেস্ট। আবার যখন হেতু ও সাধ্যের ব্যাপকতা সমান নয় তখন তাকে বলে অসমব্যপ্তি। যেমন - কোন কোন মানুষ হয় চোর।
প্রশ্ন হলো ব্যাপ্তি জ্ঞান হয় কিভাবে? এর উত্তরে নৈয়ায়িকরা ছয়টি পথ নির্দেশ করেন, যথা -
- অন্বয়
- ব্যতিরেক
- উপাধি নিরাস
- ব্যভিচার আগ্রহ
- তর্ক
- সামান্য লক্ষণ
ব্যাপ্তি বিশিষ্ট পক্ষধর্মতা জ্ঞানকে বলা হয় পরামর্শ। ন্যায় অনুমানের চতুর্থ বাক্যে এই পরামর্শ জ্ঞান বা লিঙ্গ পরামর্শ আছে। এই পরামর্শই হলো অনুমানের মূল ভিত্তি। এই জন্যই বলা হয় " পরামর্শ জন্যম জ্ঞানম অনুমতি"।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
0 মন্তব্যসমূহ