উচ্চমাধ্যমিক
একাদশ শ্রেণী
দর্শন
তৃতীয় অধ্যায়
দর্শনের স্বরূপ
দর্শনের অন্যতম শাখা জ্ঞান বিদ্যার আলোচনা করা হয় জ্ঞান কাকে বলে? জ্ঞানের স্বরূপ কি? জ্ঞান আমাদের সম্ভব কিনা? আর যদি সম্ভব হয় তবে কিভাবে সম্ভব? প্রথম জ্ঞানের সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা করেন বলে জার্মান দার্শনিক ইমানুয়েল কান্ট কে জ্ঞান বিদ্যার জনক বলা হয়।
জ্ঞান বা জানা ক্রিয়াকে দর্শনে তিনটি অর্থে ব্যবহার করা হয়। যথা -
পরিচিতিমূলক জ্ঞান : যে ক্ষেত্রে জানা বলতে কারো পরিচয় জানা কে বোঝায় তাকে বলে পরিচিতিমূলক জ্ঞান। যেমন আমি রাম কে জানি। এ কথার অর্থ হল আমি রামের পরিচয় জানি।
কর্মকৌশল মূলক জ্ঞান : জানা ক্রিয়াটি বিভিন্ন অর্থে ব্যবহার করা হয়। তার অন্যতম হলো কর্মকৌশল মূলক জ্ঞান। এই জ্ঞান বলতে বোঝায় কোন কাজ করার কৌশল গুলি আমি জানি। যেমন আমি সাঁতার কাটতে জানি। এ কথার অর্থ হল আমি সাঁতার কাটার কলাকৌশলগুলো জানি এবং প্রয়োজন পড়লে আমি সাঁতার কেটে দেখাতে পারব।
বাচনিক জ্ঞান : আধুনিক দর্শনে জ্ঞানের ভাষাগত দিক বা বাচনিক ব্যাখ্যার উপর বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ সেই জ্ঞানকে জ্ঞান বলা হয়েছে যাকে বচনে প্রকাশ করা যায়।
বাচনিক জ্ঞানের তিনটি শর্ত, যথা -
- সত্যতার শর্ত
- বিশ্বাসের শর্ত
- সাক্ষ্যপ্রমাণে শর্ত
এর প্রত্যেকটি হলো আবশ্যিক শর্ত। অর্থাৎ যে শর্ত না ঘটলেই জ্ঞান হয় না। আবার সবগুলি শর্তকে একসঙ্গে বলা হয় পর্যাপ্ত শর্ত অর্থাৎ যে শর্ত ঘটলে কার্যটি ঘটবেই।
বচন বা বাক্যের বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়। একভাবে বাক্য কে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা - সংশ্লেষক বাক্য ও বিশ্লেষক বাক্য।
সংশ্লেষক বাক্য : যে বাক্যের উদ্দেশ্যকে বিশ্লেষণ করলে বিধেয়টি পাওয়া যায় না, অর্থাৎ উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিধেয়তে নতুন তথ্য দেওয়া হয়, কাকে বলে সংশ্লেষক বাক্য। যেমন আমার মামা হন এমএ পাস।
বিশ্লেষক বাক্য : যে বাক্যে উদ্দেশ্য কে বিশ্লেষণ করলে বিধেয়টি পাওয়া যায়, অর্থাৎ উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিধেয়তে নতুন কোন তথ্য থাকে না, কাকে বলে বিশ্লেষক বাক্য। যেমন - আমার মামা হন পুরুষ।
বাক্যকে আরো দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা - পূর্বতঃসিদ্ধ ও পরত সাধ্য।
যে বাক্য পূর্ব থেকেই প্রমাণিত তাকে বলা হয় পূর্বতঃসিদ্ধ বাক্য। আবার যে বাক্য প্রমাণসাপেক্ষ তাকে বলা হয় পরতা সাধ্য বাক্য।
স্বাভাবিকভাবেই পূর্বতঃসিদ্ধ বাক্য মাত্রই বিশ্লেষক বাক্য এবং পরত সাধ্য বাক্য মাত্রই সংশ্লেষক বাক্য কিন্তু কান্ট আরো এক প্রকার বাক্যের কথা বলেছেন সেটি হল পূর্বতঃসিদ্ধ সংশ্লেষক বাক্য।
Full Suggestion : WB Class 11 Philosophy Suggestion 2023 WBCHSE
অনুশীলনী
প্রশ্নঃ কাকে জ্ঞানবিদ্যার জনক বলা হয়?
উত্তরঃ জার্মান দার্শনিক ইমানুয়েল কান্ট কে জ্ঞান বিদ্যার জনক বলা হয়।
প্রশ্নঃ জ্ঞান বা জানা ক্রিয়াকে দর্শনে কয়টি অর্থে ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ জ্ঞান বা জানা ক্রিয়াকে দর্শনে তিনটি অর্থে ব্যবহার করা হয়। যথা -
- পরিচিতিমূলক জ্ঞান
- কর্মকৌশলমূলক জ্ঞান
- বাচনিক জ্ঞান
প্রশ্নঃ পরিচিতিমুলক জ্ঞান কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ যে ক্ষেত্রে জানা বলতে কারো পরিচয় জানা কে বোঝায় তাকে বলে পরিচিতিমূলক জ্ঞান। যেমন আমি রাম কে জানি। এ কথার অর্থ হল আমি রামের পরিচয় জানি।
প্রশ্নঃ কর্মকৌশলমূলক জ্ঞান কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ জানা ক্রিয়াটি বিভিন্ন অর্থে ব্যবহার করা হয়। তার অন্যতম হলো কর্মকৌশল মূলক জ্ঞান। এই জ্ঞান বলতে বোঝায় কোন কাজ করার কৌশল গুলি আমি জানি। যেমন আমি সাঁতার কাটতে জানি। এ কথার অর্থ হল আমি সাঁতার কাটার কলাকৌশলগুলো জানি এবং প্রয়োজন পড়লে আমি সাঁতার কেটে দেখাতে পারব।
প্রশ্নঃ বাচনিক জ্ঞান কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ আধুনিক দর্শনে জ্ঞানের ভাষাগত দিক বা বাচনিক ব্যাখ্যার উপর বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ সেই জ্ঞানকে জ্ঞান বলা হয়েছে যাকে বচনে প্রকাশ করা যায়। যেমন - সকল মানুষ হয় মরনশীল।
প্রশ্নঃ বাচনিক জ্ঞানের কয়টি শর্ত ও কি কি?
উত্তরঃ বাচনিক জ্ঞানের তিনটি শর্ত, যথা -
- সত্যতার শর্ত
- বিশ্বাসের শর্ত
- সাক্ষ্যপ্রমাণে শর্ত
প্রশ্নঃ সংশ্লেষক বাক্য কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ যে বাক্যের উদ্দেশ্যকে বিশ্লেষণ করলে বিধেয়টি পাওয়া যায় না, অর্থাৎ উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিধেয়তে নতুন তথ্য দেওয়া হয়, কাকে বলে সংশ্লেষক বাক্য। যেমন আমার মামা হন এমএ পাস।
প্রশ্নঃ বিশ্লেষক বাক্য কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ যে বাক্যে উদ্দেশ্য কে বিশ্লেষণ করলে বিধেয়টি পাওয়া যায়, অর্থাৎ উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিধেয়তে নতুন কোন তথ্য থাকে না, কাকে বলে বিশ্লেষক বাক্য। যেমন - আমার মামা হন পুরুষ।
প্রশ্নঃ পূর্বতঃসিদ্ধ বাক্য কাকে বলে?
উত্তরঃ যে বাক্য পূর্ব থেকেই প্রমাণিত তাকে বলা হয় পূর্বতঃসিদ্ধ বাক্য।
প্রশ্নঃ পরতা সাধ্য বাক্য কাকে বলে?
উত্তরঃ যে বাক্য প্রমাণসাপেক্ষ তাকে বলা হয় পরতা সাধ্য বাক্য।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
0 মন্তব্যসমূহ