মাধ্যমিক
দশম শ্রেণী
জীবন বিজ্ঞান
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক - ২
১। নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
১.১ স্নায়ু কোষের একটি পরিচ্ছন্ন চিত্র অঙ্কন করো এবং নিম্নলিখিত অংশগুলি চিহ্নিত করো।
(ক) ডেনড্রন (খ) সোয়ান কোষ (গ) প্রান্ত বুরুশ (ঘ) অ্যাক্সোলেমা
উত্তর :
১.২ জীবের মধ্যে প্রকরণ সৃষ্টিতে মিয়োসিসের ভূমিকা উল্লেখ করো। মাইটোসিস কোষ বিভাজনের অ্যানাফেজ দশা তিনটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
উত্তর :
জীবের প্রকরণ সৃষ্টিতে মিয়োসিসের ভূমিকা :
মিয়োসিস বিভাজন কালে ক্রসিং ওভার ঘটে ফলে যে বিনিময় তার দ্বারা প্রজাতির জিনগত ভেদ বা প্রজাতির প্রকরন ঘটে।
অ্যানাফেজ দশার তিনটি প্রধান বৈশিষ্ট্য :
প্রথমত, এনাফেজ দশার শুরুতে প্রতিটি ক্রোমোজোমের সেন্ট্রোমিয়ার সমান দু'ভাগে বিভক্ত হয়, ফলে প্রতিটি ক্রোমাটিড নতুন সেন্ট্রোমিয়ারসহ অপত্য ক্রোমোজোমে রূপান্তরিত হয়।
দ্বিতীয়ত, ক্রোমোজোমাল বেমতন্তু সংকোচন এবং অপত্য ক্রোমোজোম গুলির মধ্যে বিকর্ষণ দেখা দেওয়ার অর্ধেক ক্রোমোজোমের উত্তর মেরুর দিকে এবং বাকি অর্ধেক ক্রোমোজোমের দক্ষিণ মেরুর দিকে সরে যেতে থাকে।
তৃতীয়ত, সেন্ট্রোমিয়ার এর অবস্থান অনুসারে ক্রোমোজোম গুলিকে V, L, J, I আকৃতিবিশিষ্ট দেখায়।
১.৩ অগ্রস্থ প্রকটতা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে যে উদ্ভিদ হরমোন তার তিনটি ভূমিকা লেখ। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ইনসুলিন হরমোনের ভূমিকা উল্লেখ করো।
উত্তর : অগ্রস্থ প্রকটতা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে যে উদ্ভিদ হরমোন তার নাম হলো অক্সিন। এই অক্সিন হরমোনের প্রধান তিনটি কাজ নিচে আলোচনা করা হলো -
প্রথমত, অক্সিন হরমোন অগ্রস্থ প্রকটতা ঘটায় এবং পার্শ্বীয় মুকুলের বৃদ্ধি ব্যাহত করে।
দ্বিতীয়ত, লঘু ঘনত্বের অক্সিন মূলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
তৃতীয়ত, পরাগযোগ ও নিষেকের পর ডিম্বাশয় অক্সিনের পরিমাণ বেড়ে যায়, যার কারণে ডিম্বাশয় ফলে পরিণত হয়।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ইনসুলিনের ভূমিকা :
ইনসুলিন কোষ পর্দার ভেদ্যতা বৃদ্ধি করে পেশি কোষের গ্লুকোজ বিশেষণের হার বাড়ায় এবং গ্লাইকোলাইসিস প্রক্রিয়ায় গ্লুকোজকে পাইরুভিক এসিডের পরিণত হতে সাহায্য করে। এছাড়া যকৃত ও পেশি কোষের গ্লাইকোজেনেসিস প্রক্রিয়ায় গ্লুকোজ থেকে গ্লাইকোজেন সংশ্লেষ বৃদ্ধি করে এবং গ্লাইকোজেন থেকে গ্লুকোজ প্রস্তুতি বন্ধ করে। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাস পায়।
১.৪ মাছের সন্তরণে পাখনার গুরুত্ব নির্ধারণ করো। হাঁটু ও কাঁধে কোন কোন ধরনের অস্থিসন্ধি দেখা যায়?
উত্তর :
মাছের সন্তরণে পাখনার গুরুত্ব :
প্রথমত, মাছের দেহের উভয়পাশে বক্ষদেশে অবস্থিত দুটি বক্ষ পাখনা মাছের জলের গভীরে যাওয়া, ভেসে ওঠা ও ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করে।
দ্বিতীয়ত, দেহের পৃষ্ঠদেশে একটি পৃষ্ট পাখনা থাকে যা দেহের স্থিতিবস্থা রক্ষা করে।
তৃতীয়ত, দেহের উভয়পাশে শ্রেণি দেশে অবস্থিত দুটি শ্রেণীভাগ না থাকে, যা মাছের জলের গভীরে যাওয়া বা ভেসে ওঠার জন্য সাহায্য করে।
চতুর্থত, মাছের পায়ু দেশে একটি পায়ু পাখনা থাকে, যা জলের মধ্যে স্থিত অবস্থায় রাখতে সাহায্য করে।
পঞ্চমত, মাছের লেজের শেষ প্রান্তে অবস্থিত পুচ্ছ পাখনা হালের মতো কাজ করে, যা মাছের দিক পরিবর্তনের সাহায্য করে।
হাটুতে দেখা যায় কব্জা বা কপাট অস্থিসন্ধি। একটি অস্থির গোল প্রান্ত অপর অস্থির অর্ধগোলকের অবতল অঙ্গে যুক্ত থাকে।
কাঁধে থাকে বল ও সকেট সন্ধি। একটি অস্থির গোলাকার প্রান্ত আবার অস্থির সঙ্গে যুক্ত থাকে।
অগ্ৰস্থ প্রকটতা কী
উত্তরমুছুন