LightBlog
মাস্টারদা | আশোককুমার মুখোপাধ্যায় | পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা | WB Class 5 Bengali
Type Here to Get Search Results !

মাস্টারদা | আশোককুমার মুখোপাধ্যায় | পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা | WB Class 5 Bengali

মাস্টারদা

আশোককুমার মুখোপাধ্যায়

পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা

WB Class 5 Bengali


মাস্টারদা | আশোককুমার মুখোপাধ্যায় | পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা | WB Class 5 Bengali

মাস্টারদা | আশোককুমার মুখোপাধ্যায় | পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা | WB Class 5 Bengali

মাস্টারদা | আশোককুমার মুখোপাধ্যায় | পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা | WB Class 5 Bengali

মাস্টারদা | আশোককুমার মুখোপাধ্যায় | পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা | WB Class 5 Bengali

মাস্টারদা প্রশ্ন উত্তর

মাস্টারদা প্রশ্ন উত্তর

মাস্টারদা প্রশ্ন উত্তর

মাস্টারদা প্রশ্ন উত্তর

হাতে কলমে

১। নিজে নিজে লেখোঃ

১.১ আমাদের দেশের নাম কী?

উত্তরঃ ভারতবর্ষ

১.২ আমাদের দেশে স্বাধীনতা দিবস কোন্‌ দিনটিতে পালিত হয়ে থাকে?

উত্তরঃ ১৫ই আগস্ট

১.৩ আমাদের দেশ কত সালে স্বাধীনতা লাভ করে?

উত্তরঃ ১৯৪৭ সালে

১.৪ স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রাণ দিয়েছেন এমন দুজন বীর বিপবীর নাম লেখো।

উত্তরঃ ক্ষুদিরাম বসু ও নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু

১.৫ চট্টগ্রাম শহরটি বর্তমানে কোন্‌ দেশে অবস্থিত?

উত্তরঃ বাংলাদেশে

১৬। নীচের বাক্যগুলির দিকে তাকিয়ে দেখো তো কোন্‌ কোন্‌ শব্দে তোমার মনে হচ্ছে কাজ শেষ হয়ে গেছে, আর কোন্‌ কোন্‌ শব্দে তোমার মনে হচ্ছে কজ এখনো শেষ হয়নি, সেগুলো আলাদা করে লেখোঃ

১৬.১ এদেশে রাজত্ব করতে তাদের স্পর্ধা একেবারে আকাশ ছুয়েছে।

উত্তরঃ করতে - কাজ শেষ হয়নি; ছুঁয়েছে - কাজ শেষ হয়েছে

১৬.২ উমাতারা স্কুলের ছাত্ররা সেদিন অঙ্কের শিক্ষককে... অন্য নজরে দেখলেও বুঝতেই পারেনি এই মানুষটি ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়বেন।

উত্তরঃ দেখলেও -- কাজ শেষ হয়নি; বুঝতেই - কাজ শেষ হয়নি; লড়বেন - কাজ শেষ হয়েছে।

১৬.৩ তাদের মনে হয়েছে, ভারতবর্ষের একটা জায়গায় যুদ্ধ করে যদি ইংরেজদের তাড়ানো যায়, সারা দেশ জেগে উঠবে।

উত্তরঃ তাড়ানো যায় - কাজ শেষ হয়নি। জেগে উঠবে - কাজ শেষ হয়েছে।

১৭। উমাতারা হাইস্কুলের অঙ্ক-শিক্ষককে তোমার কেমন লাগল, এইভাবে লেখোঃ

উমাতারা হাইস্কুলের অঙ্ক শিক্ষকের নাম সূর্যকুমার সেন। সাদাসিধে মানুষটিকে দেখে সবসময়ে বোঝা যেত না তিনি কতখানি বড়ো নেতা। তাঁর ছাত্ররা তাঁকে অন্য নজরে দেখতে। তিনি ভালোবাসতেন রবীন্দ্রনাথের কবিতা। তিনি চেয়েছিলেন ছাত্রদের রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দের আদর্শে গড়তে, এই মানুষটিকে আমার শ্রদ্ধা জানাই।

১৮। উমাতারা হাইস্কুলের অঙ্ক-শিক্ষকটির প্রিয় কবি কে ছিলেন? এ গল্প থেকে তা কেমন করে জানতে পারো?

উত্তরঃ উমাতারা হাইস্কুলের অঙ্ক শিক্ষক মাস্টারদা সূর্যসেনের প্রিয় কবি ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর এতই প্রিয় ছিলেন যে, তিনি বলতেন কবি সম্রাট রবীন্দ্রনাথ। রবীন্দ্রনাথের বহু কবিতা তাঁর মুখস্থ ছিল। জালালাবাদের পাহাড়ে লড়াইয়ের আগেও রবীন্দ্রনাথের কবিতা পড়েছেন, চিঠিতে রবীন্দ্রনাথের কবিতার লাইন উদ্ধৃত করেছেন। তিনি তাঁর সঙ্গীদেরও তাঁর কবিতা পড়তে অনুরোধ করে বলতেন রবীন্দ্রনাথ আমাদের ভারতবর্ষের এক মস্ত বড়ো সম্পদ।

১৯। কোন্‌ কবির কবিতা পড়তে তোমার খুব ভালো লাগে? তাঁর সে কবিতাটি তোমার সবচেয়ে পছন্দ, সেটির দুটি লাইন লিখতে পার?

উত্তরঃ বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা পড়তে আমার খুব ভালো লাগে। 'সাম্যবাদী' কবিতার 'নারী'' অংশটি আমার সবচেয়ে পছন্দ। সেটির দুটি লাইন হল -

"বিশ্বে যা-কিছু মহান সৃষ্টি চির-কল্যাণকর।

অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।"

২০। পাঠ্য অংশটি পড়ে নিজে লেখোঃ

২০.১ 'আগুন লাগিয়েছে টেলিফোন আর টেলিগ্রাফের অফিসেও' - কারা এমন করেছিল? কেন করেছিল?

উত্তরঃ অশোককুমার মুখোপাধ্যায়ের রচিত মস্টারদা রচনাংশ থেকে আমরা জানতে পারি, পরাধীন ভারতের অন্তর্গত চট্টগ্রাম শহরে অল্প বয়সি কিছু ছেলে মাস্টারদা সূর্যসেনের নেতৃত্বে টেলিফোন আর টেলিগ্রাফের অফিসে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল। 

     মাস্টারদার নেতৃত্বে চট্টগ্রামের যুবকদল অত্যাচার আর অপমানের প্রতিশোধ নিতে এবং মাত্র তিনদিনের অন্য হলেও তাদের শহরে স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার জন্য তৎপর হয়েছিল। ইংরেজদের সমস্তরকম যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করে তাদের দুর্বল করে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই টেলিফোন আর টেলিগ্রাফের আফিস তারা আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল।

২০.২ ব্রিটিশ-শাসিত ভারতবর্ষে কোন্‌ পতাকা উড়ত? তার বদলে বিপ্লবীরা কেমন পতাকা ওড়ালেন?

উত্তরঃ ব্রিটিশ-শাসিত ভারতবর্ষে ব্রিটিশ পতাকা ইউনিয়ন জ্যাক উড়ত। বিপ্লবীরা ব্রিটিশ পতাকা পুড়য়ে দিয়ে তার বদলে স্বাধীন ভারতের পতাকা উড়িয়ে দিয়েছিল।

২০.৩ ইংরেজ-আমলে ভারতীয়দের প্রতি ইংরেজরা কেমন আচরণ করত?

উত্তরঃ উপনিবেশ স্থাপনের পর ক্রমশই শাসকদল ইংরেজদের শাসন অপশাসনে পরিণত হয়। ভারতীয়দের প্রতি তাদের অত্যাচারের মাত্রা ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকে। ভারতবাসী দিনের পর দিন পরিশ্রম করেছে, আর তার ফল ভোগ করেছে ইংরেজরা। প্রতিবাদ করতে গেলেই এদেশের মানুষের কপালে জুটেছে অত্যাচার, কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে সাদা চামড়ার লোক ছাড়া অন্য কারও ঢোকার অনুমতি ছিল না। রেস্তোরাঁর গায়ে তারা নোটিশ ঝুলিয়েছিল - কালো চামড়ার লোক এবং কুকুরের প্রবেশ নিষেধ। ইংরেজ-আমলে ভারতীয়দের প্রতি ইংরেজরা এইরকম অমানবিক আচরণ করত।

২০.৪ ইংরেজদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে মানুষ কীভাবে মাস্টারদার নেতৃত্বে রুখে দাঁড়িয়েছিল?

উত্তরঃ ইংরেজদের অত্যাচারের সম্মুখীন হয়ে একসময়ে ভারতবাসীর ধৈর্য ও সহিষ্ণুতার বাঁধ ভেঙে যায়। চট্টগ্রামের যুবকরা মাস্টারদা সূর্যসেনের নেতৃত্বে ইংরেজ পুলিশদের সঙ্গে লড়াই করে তাদের গোলাবারুদের ভান্ডার লুঠ করে নেয়। আগুন লাগিয়ে দেয় অস্ত্রাগারে। তারা টেলিফোন আর টেলিগ্রাফের অফিসেও আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল। দু'জায়গায় রেলের লাইন ভেঙে দিয়ে ট্রেনে করে ইংরেজদের শহরে আসার পথও বন্ধ করে দিয়েছিল। সেখানে মালগাড়ি উলটে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল। এইভাবে তারা মাস্টারদার নেতৃত্বে রুখে দাঁড়িয়েছিল।

২০.৫ মহান বিপ্লবীদের ছবি সংগ্রহ করো, খাতায় লাগাও, সেখানে তাঁদের জীবন-কথা জেনে নিয়ে সংক্ষেপে লিখে রাখো।

উত্তরঃ 

khudiram bose

ক্ষুদিরাম বসুঃ মেদিনীপুরের এক কিশোর বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসু। ১৯০৮ সালে অত্যাচারী বিচারক কিংসফোর্ডকে মারার জন্য তাঁর গাড়িতে বোমা ছুঁড়েছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে কিংসফোর্ড গাড়িতে ছিলেন না, ছিলেন দু'জন ইউরোপিয়ান মহিলা, তারা মারা গিয়েছিলেন। শেষে ক্ষুদিরাম ধরা পড়েন। মাত্র ১৯ বছর বয়সে তার ফাঁসি হয়। ফাঁসির মঞ্চে প্রথম শহিদ হলেন ক্ষুদিরাম।

rash behari bose

রাসবিহারি বসুঃ ভারতের মুক্তি সংগ্রামে যারা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তাদের মধ্যে রাসবিহারী বসু অন্যতম। তিনি ছিলেন নেতাজির দীক্ষা-গুরু। সরকারি চাকুরে হয়েও তিনি বিপ্লবীদের সঙ্গে যোগ দেন। ঢাকা এবং চন্দননগরের বিপ্লবীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেন। তিনি ১৯৪২ সালের ১লা সেপ্টেম্বর আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করেন।

netaji subhashchandra bose

সুভাষচন্দ্র বসুঃ সুভাষচন্দ্র বসু ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দের ২৩ জানুয়ারি ওড়িশার কটক শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম জানকীনাথ বসু ও মাতার নাম প্রভাবতী দেবী। সুভাষচন্দ্র সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় পাশ করে দেশে ফিরে আসেন, কিন্তু ইংরেজ সরকারের অধীনে চাকরি গ্রহণ করলেন না। বরং ইংরেজদের কবল থেকে দেশকে মুক্ত করবার জন্যে স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগ দিলেন। ইংরেজ সরকার যখন তাঁকে তাঁর বাড়িতে নজরবন্দি করে রাখেন তখন তিনি ছদ্মবেশে (১৯৪১ খ্রিঃ) প্রথমে জার্মানিতে পরে জাপান চলে যান। জাপানে রাসবিহারী বসুর সঙ্গে যোগ দিয়ে আজাদ হিন্দ ফৌজের সর্বাধিনায়ক হয়ে তিনি সকলের কাছে নেতাজি হয়ে ওঠেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

2 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.
  1. আপনি কোথা থেকে জানলেন নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু ভারতের জন্য প্রাণ দিয়েছিল

    উত্তরমুছুন
  2. খুবই সুন্দর ছিল।

    উত্তরমুছুন

Top Post Ad

Below Post Ad

LightBlog

AdsG

close