চন্দ্রগুপ্ত
দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
অষ্টম শ্রেণীর বাংলা
১.১ দ্বিজেন্দ্রলাল রায় কৃষিবিদ্যা শেখার
জন্য কোথায় গিয়েছিলেন?
উত্তর:
দ্বিজেন্দ্রলাল রায় কৃষিবিদ্যা শেখার জন্য বিলেতে গিয়েছিলেন।
১.২ তার রচিত দুটির নাটকের নাম লেখ।
উত্তর:
তার রচিত দুটি নাটক হল মেবার পতন ও চন্দ্রগুপ্ত।
২. নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর একটি বাক্যে লেখ।
২.১ নাট্যাংশটির ঘটনাস্থল ও সময় নির্দেশ
কর।
উত্তর:
নাট্যাংশটির ঘটনাস্থল হল সিন্ধু -নদতটে শিবিরে সম্মুখে ও সময় হলো সন্ধ্যাবেলা।
২.২ নাট্যাংশের উল্লিখিত 'হেলেন' চরিত্রে
দাও।
উত্তর:
নাট্যাংশের উল্লিখিত 'হেলেন' হেলেন গ্রীক সেনাপতি সেলুকসের কন্যা।
২.৩'রাজার প্রতি রাজার আচরণ।'-উদ্ধৃতাংশের
বক্তা কে?
উত্তর:'রাজার
প্রতি আচরণ।'-উদ্ধৃতাংশের বক্তা হলেন চন্দ্রগুপ্ত নাট্যাংশের পরিচিত ভারতবর্ষে রাজা
পুরু ।
২.৪'জগতে একটা কীর্তি রেখে যেতে চাই'-বক্তা
কিভাবে এই কীর্তি দেখে যেতে চান?
উত্তর:
আলোচ্য অংশে বক্তাগ্রিক অধিপতি সেকেন্দার দিগবিজয় করে কীর্তি রেখে যেতে চান।
২.৫'সম্রাট, আমায় বধ না করে বন্দী করতে
পারবে না। বক্তাকে 'বন্দী'করার প্রসঙ্গ এসেছে কেন?
উত্তর:
আলোচ্য অংশের বক্তা মগধ রাজপুত্র চন্দ্রগুপ্ত। গ্রীক বীর আলেকজান্ডার, যিনি সেকেন্দার
হিসেবে কথিত তার সেনাপতি সেলুকসের কাছে গ্রিক রণকৌশল সংগ্রহ করার অপরাধে গুপ্তচর সন্দেহে
মহৎ রাজপুত্র চন্দ্রগুপ্তকে বন্দী করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
৩. নিচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও:
৩.১'কি বিচিত্র এই দেশ!'-বক্তার চোখে
এই দেশের বৈচিত্র কিভাবে ধরা পড়েছে?
উত্তর:
আলোচ্য অংশ অংশটির নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের 'চন্দ্রগুপ্ত' নাট্যাংশ থেকে নেওয়া
হয়েছে।
বক্তা গিরিক অধিপতি সেকেন্দারের চোখে ভারত
বর্ষ বহু বিচিত্র দেশ। এই দেশে যেমন রয়েছে প্রকৃতির বৈচিত্র্য, তেমনি রয়েছে মানুষের
চারিত্রিক বৈচিত্র্য। দিনের বেলায় প্রচন্ড সূর্য, রাত্রিকালে শুভ্র চন্দ্রের জ্যোৎস্না।
এখানে রয়েছে তুষারাবৃত পর্বতশ্রেণী, অসংখ্য নদনদী, মরুভূমির তপ্ত বালুরাশি, তাল বট
প্রভৃতি বৃক্ষের সারি, তেমনি রয়েছে বহু চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের মানুষ।
৩.২'ভাবলাম-এই একটা জাতি বটে!'বক্তা কে?
তার এমন ভাবনার কারণ কি?
উত্তর:
আলোচ্য অংশটির নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের 'চন্দ্রগুপ্ত' নাট্যাংশ থেকে নেয়া হয়েছে।
এখানে বক্তা হলেন গ্রিক সম্রাট সেকেন্দার।
গ্রিক অধিপতি সেকেন্দার ভারতীয় জাতির প্রতি
এই মন্তব্য করেছেন। সেকেন্দার প্রায় অর্ধেক এশিয়া জয় করে ভারতবর্ষীয় রাজাপুরুর
কাছে বাধা প্রাপ্ত হলে যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। পুরো পরাজিত ও বন্দী হলে সেকেন্দারের সম্মুখে
দৃঢ় কন্ঠে ঘোষণা করেন-'রাজার প্রতি রাজার ব্যবহার'করার কথা। বন্দী ভারতীয় রাজা পুরুষ
বক্তব্যের মধ্য দিয়ে যে সাহসিকতা, জাতীয়তাবোধ এবং চারিত্রিক দৃহতা প্রকাশিত হয়েছে
তাতে মুগ্ধ ও বিস্মিত হয়ে সেকেন্দার এই মন্তব্য করেছেন।
৩.৩'এই দিগবিজয় অসম্পূর্ণ রেখে যাচ্ছেন
কেন সম্রাট?'-এই প্রশ্নের উত্তরে সম্রাট কি জানালেন?
উত্তর:
আলোচ্য উক্তিটির বক্তা গ্রিক সেনাপতি সেলুকস গ্রীক অধিপতি সেকেন্দারকে করেছেন।
গ্রিক সম্রাট সেকেন্দার তার উত্তরে জানিয়েছেন,
বহু বিচিত্র বিশাল দেশ ভারত বর্ষকে জয় করতে প্রয়োজন নতুন গ্রিক সৈন্যের। তিনি সুদূর
ম্যাসিডন থেকে প্রায়ই অর্ধেক এশিয়ার ঝড়ের মতো ধ্বংস করেছেন, পায়ের তলায় ঘাসের
মতন দলিত করেছেন। তিনি তার দুর্বার গ্রীক সৈন্য নিয়ে নিষ্ঠুর চিত্রের বিনা বাধায়
অর্ধেক এশিয়ায় রক্তগঙ্গা বহিয়েছেন কিন্তু তাঁর বিজয় সংকট প্রথম বাধা প্রাপ্ত হল
এই ভারতবর্ষের শতদ্রু নদীর তীরে পঞ্জাবরাজ পুরুর কাছে।
৩.৪'ভারতবাসী মিথ্যা কথা বলতে এখন শিখে
নাই।'-বক্তা কে? কোন সত্য সে উচ্চারণ করেছে?
উত্তর:
বক্তা হলেন নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায় রচিত 'চন্দ্রগুপ্ত' নাট্যাংশের প্রধান চরিত্র
স্বয়ং চন্দ্রগুপ্ত।
মগধ রাজপুত্র চন্দ্রগুপ্ত গ্রীক সেনাপতি সেলুকসের
কাছ থেকে গ্রীক রণকৌশল শুনে তা লিপিবদ্ধ করেছেন। কারণ হিসেবে তিনি গ্রিক সম্রাটকে জানিয়েছেন
গ্রীক রাজের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য নয়, কেবলমাত্র তার বই মাত্রই ভাই নন্দ কে দেশ থেকে
নির্বাসন দিয়ে হৃতরাজ্য পুনরুদ্ধায় করার জন্য। এই সত্য চন্দ্রগুপ্ত গ্রিক সম্রাট
সেকেন্দারের সম্মুখে গৃহতার সঙ্গে উচ্চারণ করেছেন।
৩.৫'আমার ইচ্ছা হল যে দেখে আসি.....'-বক্তার মনে কোন ইচ্ছে জেগে উঠেছিল? তার পরিণতিই বাকি হয়েছিল?
উত্তর: আলোচ্য অংশে বক্তা হলেন নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের 'চন্দ্রগুপ্ত' নাট্যাংশের প্রধান চরিত্র মগধ রাজপুত্র চন্দ্রগুপ্ত।
মগৎ রাজপুত্র চন্দ্রগুপ্ত গিরিকরাজ সেকেন্দারের অদ্ভুত বিজয় কাহিনী শুনে মুগ্ধ হয়েছিলেন। শুনেছিলেন অর্ধেক এশিয়া জয় করে ভারতবর্ষীয় রাজা আর্যকুলরবি পুরুকে পরাজিত করেছেন। বক্তা চন্দ্রগুপ্তের মনে ইচ্ছা হয়েছিল সে দুর্বার শক্তির রহস্য জেনে তার হিচিত্ররাজ্যকে পুনরুদ্ধার করবেন।
কিন্তু এই ইচ্ছার পরিণতি সুখের না হলেও গৌরবের হয়ে উঠেছিল। সমস্ত জেনে সেকেন্দার চন্দ্রগুপ্তকে বন্দী করতে চাইলেন চন্দ্রগুপ্ত জানান তাকে বধ না করে বন্দী করতে পারবেন না। চন্দ্রগুপ্ত কে সাহস, দৃঢ়তা দেখে সেকেন্দার তাকে মুক্তি দেন।
৪. নিচের উদ্ধৃত অংশগুলির প্রসঙ্গ ও তাৎপর্য আলোচনা কর:
৪.১'এ শৌর্যপরাজয় করে আনন্দ আছে।'
৪.১'এ শৌর্যপরাজয় করে আনন্দ আছে।'
উত্তর: আলোচ্য অংশ অংশটির নাট্যকার দ্বিজেন্দ্র ও লাল রায় রচিত 'চন্দ্রগুপ্ত' নাটকের অন্ত গর্ত 'চন্দ্রগুপ্ত' নাট্যাংশ থেকে গৃহীত ।
গ্রীকবীর সেকেন্দার ভারতবর্ষে বহু বিচিত্র প্রকৃতি অনুষঙ্গ এবং ভারতীয়দের সরলতা, সাহসিকতা ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের প্রশংসা প্রসঙ্গে আলোচ্য উক্তিটি করেছেন।
গ্রীক বীর সেকেন্দার প্রায় অর্ধেক এশিয়া মহাদেশ জয় করে ভারতবর্ষের শতদ্রু নদীর তীরে রাজা পুরুর কাছে বাধাপ্রাপ্ত হন। আর্যকুলরবি ভারতীয় রাজা পুরু পরাজিত হলেও তার চারিত্রিক দৃঢ়তা, বীরত্ব ও সাহসিকতার জন্য গীত সম্রাট শ্রদ্ধাশীল ও মুগ্ধ হয়েছেন। তাই দ্বিধাহীন কন্ঠে জানিয়েছেন 'এ শৌর্য পরাজয় করে আনন্দ আছে'।
৪.২ 'সম্রাট মহানুভব'।
উত্তর: আলোচ্য অংশ অংশটির নাট্যকার দ্বিজেন্দ্র লাল রায় রচিত 'চন্দ্রগুপ্ত' নাটকের অন্তর্গত 'চন্দ্রগুপ্ত' নাট্যাংশ থেকে গৃহীত।
গ্রিক সেনাপতি সেলুকস গ্রিক সম্রাট সেকেন্দারকে এই উক্তি করেছেন, যখন সেকেন্দার প্রায় অর্ধেক এশিয়া জয় করে ভারতবর্ষে শতদ্রু নদীর তীরে আর্যকুলরবি ভারতীয় রাজা পুরুর কাছে বাধা প্রাপ্ত হন। পরাজিত পুরুর সাহস ও দৃহ তাই অভিভূত হয়ে তিনি পুরুকে তার রাজ্য ফিরিয়ে দিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে সেনাপতি সেলুকস এই মন্তব্য করেছেন।
যে ব্যক্তির অনুভব মহান বা উচ্চ তিনি মহানুভব। গ্রীক বীর সেকেন্দার যেমন বীর তেমন মহানুভব। তিনি পরাজিত পুরুকে বন্দী করেও সাহস ও বীরত্বের জন্য তা রাজ্য ফিরিয়ে দিয়ে বীরের প্রতি ভিড়ের মহানুভ তার পরিচয় দিয়েছেন।
৪.৩'বাধা পেলাম প্রথম-এই শতদ্রু তীরে।'
উত্তর: আলোচক অংশটি নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায় রচিত
'চন্দ্রগুপ্ত' নাটকের অন্তর্গত 'চন্দ্রগুপ্ত' নাট্যাংশ থেকে গৃহীত।
বক্তা গ্রিক সম্রাট সেকেন্দার তার সেনাপতি সেলুকসের কাছে এই উক্তি করেছেন। গ্রিক বীর এশিয়া মহাদেশের প্রায় অর্ধেক জয় করে ভারতবর্ষের শতদ্রু নদীর তীরে আর্যকুলরবি পুরুর কাছে বাধা প্রাপ্ত হন। এই প্রসঙ্গে উক্তিটি করা হয়েছে।
গ্রীক সম্রাট সেকেন্দার অর্ধেক এশিয়া জয় করেও আর্যকুলরবি পুরুর কাছে বাধা পান। পুরু পরাজিত হলেও তার বীরত্ব ও সাহসের পরিচয় পেয়ে সেকেন্দার মুগ্ধ হয়েছেন এবং দেশে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
৪.৪'আমি প্রতিশোধ নিতে বেরিয়েছি।'
উত্তর: আলোচক অংশটি নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায় রচিত'চন্দ্রগুপ্ত' নাটকের অন্তর্গত 'চন্দ্রগুপ্ত' নাট্যাংশ থেকে গৃহীত।
নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায় রচিত চন্দ্রগুপ্ত নাট্যংসের প্রধান চরিত্র চন্দ্রগুপ্ত গীতবির সেকেন্ড দারকে আলোচ্য উক্তিটি করেছেন।
অ্যান্টিগোনস যখন চন্দ্রগুপ্ত কে গুপ্তচর সন্দেহে বন্দী করে সেলুকসের কাছে নিয়ে আসেন তখন চন্দ্রগুপ্ত গ্রিকবীর সেকেন্দার কে জানান যে, গ্রিক রণকৌশল শিখে তাঁর বৈমাত্রেয় ভাইকে সিংহাসনচ্যুত করার জন্য প্রতিশোধ নিতে বেরিয়েছি।
৪.৫ 'যাও বীর! মুক্ত তুমি।'
উত্তর: আলোচক অংশটি নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায় রচিত
'চন্দ্রগুপ্ত' নাটকের অন্তর্গত 'চন্দ্রগুপ্ত' নাট্যাংশ থেকে গৃহীত।
মোগোত রাজ চন্দ্রগুপ্তের শৌর্য, বীর্য, চারিত্রিক দৃঢ়তা ও সত্যবাদী তার পরিচয় পেয়ে মুগ্ধ হয়ে গ্রীক বীর সেকেন্দার এই কথা বলেছেন।
চন্দ্রগুপ্ত কে বন্দি করার নির্দেশ দেওয়া মাত্র তিনি যুদ্ধের কথা জানালেন গ্রীকবীর মুগ্ধ হন; অর্থাৎ চন্দ্রগুপ্তের সাহসিকতায় গৃগবির মুগ্ধ হন। আসলে সেকেন্দার চন্দ্রগুপ্তের সাহসিকতায় পরিচয় নিচ্ছিলেন। চন্দ্রগুপ্তের সাহস ও বিরক্ত দেখে মুগ্ধ হয়ে গীতবির সেকেন্ডার তাকে মুক্তি দিলেন।
বাংলা উত্তর নেই
উত্তরমুছুনQuestion koi
মুছুন