LightBlog
মাধ্যমিক ভৌত বিজ্ঞান সাজেশন ২০২৪ - প্রথম অধ্যায় - পরিবেশের জন্য ভাবনা
Type Here to Get Search Results !

মাধ্যমিক ভৌত বিজ্ঞান সাজেশন ২০২৪ - প্রথম অধ্যায় - পরিবেশের জন্য ভাবনা

মাধ্যমিক ভৌত বিজ্ঞান

প্রথম অধ্যায়

পরিবেশের জন্য ভাবনা

Madhyamik Physical Science Sugestion Chapter 1


'ক' বিভাগ

১.বহু বিকল্পভিত্তিক প্রশ্ন। প্রতিটি প্রশ্নের নীচে চারটি করে বিকল্প উত্তর দেওয়া আছে। যেটি ঠিক সেটি লেখোঃ

(১.১) কোন্‌ স্তরটিকে 'শান্তমন্ডল' বলা হয় - 

(ক) ট্রোপোস্ফিয়ার 

(খ) স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার 

(গ) মেসোস্ফিয়ার 

(ঘ) থার্মোস্ফিয়ার

 উত্তরঃ (খ) স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার 

(১.২) বেতার তরঙ্গকে প্রতিফলিত করে বায়ুমন্ডলের কোন্‌ স্তর - 

(ক) স্ট্র্যাটোপজ 

(খ) ওজোনোস্ফিয়ার 

(গ) আয়ণোস্ফিয়ার 

(ঘ) মেসোস্ফিয়ার

  উত্তরঃ (গ) আয়ণোস্ফিয়ার 

(১.৩)  কোন্‌টি গ্রিনহাউস গ্যাস - 

(ক) O₂

(খ) N₂

(গ) O₃

(ঘ) H₂

 উত্তরঃ (গ) O₃

(১.৪) নীচের কোন্‌টি জীবাশ্ম জ্বালানি - 

(ক) কয়লা 

(খ) খনিজ তেল 

(গ) প্রাকৃতিক গ্যাস 

(ঘ) সবগুলি

 উত্তরঃ সবগুলি

(১.৫) 'স্থিতিশীল উন্নয়ন' বলতে বোঝোয় - 

(ক) বর্তমানের উন্নতি 

(খ) ভবিষ্যতের উন্নতি 

(গ) ভবিষ্যতকে সুরক্ষিত রেখে বর্তমানের উন্নতি 

(ঘ) বর্তমানের উন্নতি রুদ্ধ করে ভবিষ্যতের উন্নতি

 উত্তরঃ (গ) ভবিষ্যতকে সুরক্ষিত রেখে বর্তমানের উন্নতি

(১.৬) জীবাশ্ম জ্বালানিগুলির মধ্যে সবচেয়ে কম দূষণ ঘটায় - 

(ক) ডিজেল 

(খ) কয়লা 

(গ) কেরোসিন 

(ঘ) প্রাকৃতিক গ্যাস

 উত্তরঃ (ঘ) প্রাকৃতিক গ্যাস 

(১.৭) গ্রিনহাউস প্রভাব সৃষ্টিতে CO₂ গ্যাসের অবদান প্রায় - 

(ক) 30% 

(খ) 20% 

(গ) 50% 

(ঘ) 60%

 উত্তরঃ (গ) 50%

(১.৮) অ-পুনর্নবীকরনযোগ্য শক্তির উৎস হল - 

(ক) বায়ুশক্তি 

(খ) পেট্রোলিয়াম শক্তি 

(গ) পারমানবিক শক্তি 

(ঘ) সৌরশক্তি

 উত্তরঃ (খ) পেট্রোলিয়াম শক্তি

(১.৯) নীচের কোন্‌টি পরিবেশ-বান্ধব জ্বালানি - 

(ক) কয়লা 

(খ) ডিজেল 

(গ) বায়োগ্যাস 

(ঘ) কেরোসিন

উত্তরঃ (গ) বায়োগ্যাস

(১.১০) বায়ুশক্তি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় কোন্‌ দেশে - 

(ক) জার্মানি 

(খ) ভারতবর্ষ 

(গ) USA 

(ঘ) ডেনমার্ক

 উত্তরঃ (ক) জার্মানি 

'খ' বিভাগ

২. নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ 

(২.১) বায়ুমন্ডলের কোন্‌ স্তরটি শীতলতম?

 উত্তরঃ মেসোস্ফিয়ার

(২.২) বিশুদ্ধ শুষ্ক বাতাসে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের শতকরা ভাগ কত?

 উত্তরঃ 0.032%

(২.৩) অতিবেগুনি রশ্মি চোখের কী ক্ষতি করে?

 উত্তরঃ কর্নিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং অসময়ে ছানি পড়ে

(২.৪) CFC এর পুরো নাম কী?

 উত্তরঃ ক্লোরোফ্লরোকার্বন 

(২.৫) কোন্‌ জ্বালানির তাপনমূল্য সবচেয়ে বেশি?

 উত্তরঃ হাইড্রোজেন

(২.৬)  'পৃথিবীর ছাতা' (Umbrella of the Earth) বলা হয় বায়ুমন্ডলের কোন্‌ স্তরকে?

 উত্তরঃ  বায়ুমন্ডলের ওজোন স্তরকে। 

(২.৭) শূন্যস্থান পূরন করোঃ

      ট্রোপোস্ফিয়ার ও স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের সীমানা নির্দেশক অঞ্চলটিকে বলা হয়_____________।

 উত্তরঃ ট্রোপোপজ

(২.৮) শূন্যস্থান পূরন করোঃ

      মিথেন হাইড্রেট একপ্রকার কঠিন _____________ যৌগ।

 উত্তরঃ ক্ল্যাথরেট

(২.৯) সত্য না মিথ্যা লেখোঃ

   বিজ্ঞানী জো ফোরম্যান সর্বপ্রথম লক্ষ করেন আন্টার্কটিকার উপরিভাগে ওজোন স্তরটি ক্রমশ পাতলা হয়ে যাচ্ছে।

 উত্তরঃ সত্য

(২.১০) সত্য না মিথ্যা লেখোঃ

    জেট বিমানের বর্জ্য গ্যাসে প্রচুর নাইট্রিক অক্সাইড থাকে।

 উত্তরঃ সত্য 

'গ' বিভাগ

৩. নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ 

প্রশ্নঃ বায়ুমন্ডলে উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে বায়ুচাপ কিরূপ পরিবর্তন হয়?

উত্তরঃ উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে বায়ুচাপ কমে।

প্রশ্নঃ গ্রীন হাউস গ্যাস গুলির মধ্যে প্রধান কোনটি?

উত্তরঃ কার্বন ডাই অক্সাইড।

প্রশ্নঃ বায়ুমণ্ডলের এক্সোস্ফিয়ারে মূলত কোন গ্যাস অবস্থান করে?

উত্তরঃ মূলত হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাস অবস্থান করে।

প্রশ্নঃ কী কী কারণে ওজোন গহ্বর সৃষ্টি হয়?

উত্তরঃ প্রাকৃতিক কারনে ও মনুষ্যসৃষ্টি কারনে ওজোন গহ্বর সৃষ্টি হয়ে থাকে। মনুষ্যসৃষ্ট কারণের মধ্যে ক্লোরোফ্লুরোকার্বন (CFC) যৌগসমূহ, নাইট্রোজেনের অক্সাইডসমূহ (NO, NO₂ NO₃ ইত্যাদি), হ্যালোন যৌগসমূহ যেমন- হ্যালোন 1211 ও হ্যালোন 1301) ওজোন স্তরের বিনাশ ঘটায়।

প্রশ্নঃ বায়ুমণ্ডলের ট্রপোস্ফিয়ারের প্রতি কিলোমিটার উচ্চতা বৃদ্ধিতে উষ্ণতা কত ডিগ্রী সেলসিয়াস কমে?

উত্তরঃ  6.5 ডিগ্রী সেলসিয়াস কমে ।

প্রশ্নঃ বায়ুমন্ডলের কোন স্তরে উল্কাপিণ্ড পুড়ে ছাই হয়ে যায়?

উত্তরঃ বায়ুমণ্ডলের মেসোস্ফিয়ার স্তরে উল্কাপিণ্ড পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

প্রশ্নঃ বায়ুমন্ডলের কোন স্তরে মেরুজ্যোতি দেখা যায়?

উত্তরঃ বায়ুমণ্ডলের আয়োনোস্ফিয়ার স্তরে মেরুজ্যোতি দেখা যায়।

প্রশ্নঃ এক্সোস্ফিয়ার এর প্রধান উপাদান উল্লেখ করো?

উত্তরঃ এক্সোস্ফিয়ার এর প্রধান উপাদান হলো হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাস।

প্রশ্নঃ বায়ুমন্ডলের কোন স্তর থেকে কৃত্রিম উপগ্রহগুলি পৃথিবীকে আবর্তন করে?

উত্তরঃ এক্সোস্ফিয়ার থেকে কৃত্রিম উপগ্রহগুলি পৃথিবীকে আবর্তন করে।

প্রশ্নঃ প্রতি কিলোমিটার উপরে উঠলে বায়ুর উষ্ণতা প্রায় কত ডিগ্রী কমতে থাকে?

উত্তরঃ 6.5 ডিগ্রি সেলসিয়াস করে প্রায় কমতে থাকে।

প্রশ্নঃ বায়ুর প্রধান গ্যাসীয় উপাদান গুলি উল্লেখ করো?

উত্তরঃ নাইট্রোজেন ও অক্সিজেন বায়ুর প্রধান গ্যাসীয় উপাদান।

প্রশ্নঃ স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।

উত্তরঃ ট্রপোস্ফিয়ারের ওপর থেকে অর্থাৎ 20 কিমি থেকে 50 কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত বায়ুমণ্ডলের স্তরটি হল স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার। এই স্তরে বাতাসের পরিমাণ কম এবং ধূলিকণা ও জলীয় বাষ্প না থাকায় এই স্তরকে শান্তমণ্ডল বলে। এই স্তরে কোনো বায়বীয় গোলযোগ না ঘটায় এই স্তরে জেট প্লেনগুলি সহজেই চলাচল করে। এই স্তরের ওপরের দিকের উষ্ণতা 0°C।

প্রশ্নঃ  বায়ুমন্ডলে প্রতি কিলোমিটার উপরে উঠলে বায়ুর উষ্ণতা কত ডিগ্রী কমে?

উত্তরঃ  6.5 ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে থেকে।

প্রশ্নঃ বিশ্ব উষ্ণায়ন কাকে বলা হয়?

উত্তরঃ প্রতিবছর পৃথিবীর গড় উষ্ণতা বৃদ্ধি পাওয়ার ঘটনাকে বিশ্ব উষ্ণায়ন বলা হয়ে থাকে।

প্রশ্নঃ কোন পদ্ধতিতে সূর্য থেকে তাপ পৃথিবীতে আসে?

উত্তরঃ বিকিরণ পদ্ধতিতে সূর্য থেকে তাপ পৃথিবীতে আসে।

প্রশ্নঃ নাইট্রোজেনের কোন যৌগ ওজোন স্তর ধ্বংসের জন্য দায়ী?

উত্তরঃ নাইট্রিক অক্সাইড ওজোন স্তর ধ্বংসের জন্য দায়ী।

প্রশ্নঃ গ্রীন হাউজ গ্যাস বায়ুমন্ডলে যাতে হ্রাস পায় তার একটি উপায় উল্লেখ করো?

উত্তরঃ  নতুন বনভূমি সৃষ্টি করতে হবে এবং বনভূমি সংরক্ষণ করতে হবে তবেই গ্রীন হাউজ গ্যাস বায়ুমন্ডলে কমবে।

প্রশ্নঃ মেরুজ্যোতি বায়ুমন্ডলের কোন স্তরে দেখা যায়?

উত্তরঃ বায়ুমণ্ডলের থার্মোস্ফিয়ার স্তরে দেখা যায়।

প্রশ্নঃ ওজোন গ্যাস কি ধরনের গ্যাস?

উত্তরঃ ওজোন গ্যাস নীলাভ গন্ধযুক্ত গ্যাস।

প্রশ্নঃ মিথেন হাইড্রেট কী?

উত্তরঃ মিথেন হাইড্রেট হল এক ধরনের কঠিন ক্ল্যাথরেট যৌগ, যা জল অণু (H₂O) দিয়ে গঠিত বরফের মতো। কেলাসের মধ্যে অধিক পরিমাণে মিথেন (CH₄) আবদ্ধ হয়ে এটি সৃষ্টি হয়। সংকেত  CH₄. 5.7H₂O বা 4CH₄. 23H₂O। এটি সমুদ্রের ভূগর্ভস্থ স্তরে থাকে। মিথেন হাইড্রেটকে চাপ হ্রাস বা উত্তপ্ত করলে মিথেন উৎপন্ন হয়। এক লিটার কঠিন মিথেন হাইড্রেট থেকে STP-তে প্রায় 170 লিটার মিথেন গ্যাস পাওয়া যায়। ভবিষ্যাতে জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় এটি বিশেষ সহায়ক হবে।

প্রশ্নঃ প্রাকৃতিক সৌর পর্দা কোন স্তরকে বলা হয়?

উত্তরঃ ওজোন স্তরকে প্রাকৃতিক সৌর পর্দা বলা হয়।

প্রশ্নঃ বায়ুমন্ডলের কোন স্তরে ঝড় বৃষ্টি হয়ে থাকে?

উত্তরঃ বায়ুমণ্ডলের ট্রপোস্ফিয়ার স্তরে ঝড় বৃষ্টি হয়।

প্রশ্নঃ কোন অঞ্চলে ওজোন গ্যাসের ঘনত্ব কম হয়ে থাকে?

উত্তরঃ নিরক্ষীয় অঞ্চলে ঘনত্ব কম হয়।

প্রশ্নঃ শীতাতাপ যন্ত্র ও রেফ্রিজারেটর এ হিমায়ক হিসেবে কোন যৌগ ব্যবহার করা হয়ে থাকে?

উত্তরঃ CFC গ্যাস ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

প্রশ্নঃ কোন অঞ্চলে ওজোন গ্যাসের ঘনত্ব বেশি হয়ে থাকে?

উত্তরঃ মেরু অঞ্চলে ওজোন গ্যাসের ঘনত্ব বেশি হয়ে থাকে।

প্রশ্নঃ বায়ুমন্ডলের কোন স্তর সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে জীবজগৎ কে রক্ষা করে? 

উত্তরঃ  ওজোনস্ফিয়ার রক্ষা করে।

প্রশ্নঃ মন্ট্রিল প্রটোকল কাকে বলা হয়?

উত্তরঃ ওজোন স্তর বিনাশের নিয়ন্ত্রণের জন্য কানাডার মন্ট্রিলে একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় একে মন্ট্রিল প্রটোকল বলা হয়। 1987 খ্রিস্টাব্দে এই মন্ট্রিল চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

প্রশ্নঃ ভূপৃষ্ঠ থেকে ওপরে উঠলে বায়ুর চাপের কী পরিবর্তন হয় তা কারণসহ উল্লেখ করো।

উত্তরঃ ভূপৃষ্ঠে সমুদ্রতল বরাবর বায়ুর চাপ সবচেয়ে বেশি। ভূপৃষ্ঠ থেকে যত ওপরে ওঠা যায় বায়ুর ঘনত্ব তত কমতে থাকে ফলে বায়ুর চাপও কমতে থাকে। ভূপৃষ্ঠা থেকে প্রতি কিমি ওপরে উঠলে বাতাসের চাপ পায় ৪.5 সেমি কমে যায়। সমুদ্র সমতলে চাপ যতটা থাকে পাহাড়ের চূড়ায় বায়ুর চাপ তার চেয়ে অনেক কম হয়।

প্রশ্নঃ ওজন পরিমাপ যন্ত্রের নাম কি?

উত্তরঃ ডবসন স্পেকট্রোমিটার।

প্রশ্নঃ বিদ্যুৎ কিভাবে উৎপন্ন করা হয়?

উত্তরঃ  জোয়ার ভাটার সময় জলস্রোত কে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয়ে থাকে।

প্রশ্নঃ ওজোন গ্যাস কে আবিষ্কার করেন?

উত্তরঃ স্কনবী ওজোন গ্যাস আবিষ্কার করেন।

প্রশ্নঃ কোন এককে ওজোন স্তরের ঘনত্ব পরিমাপ করা হয়ে থাকে?

উত্তরঃ ডবসন একক বা DU এ ওজোন স্তরের ঘনত্ব পরিমাপ করা হয়ে থাকে।

প্রশ্নঃ ওজন গহ্বর কে আবিষ্কার করেন?

উত্তরঃ জে সি ফারম্যান।

প্রশ্নঃ সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে মানুষের সাধারণত কোন রোগ হয়? 

উত্তরঃ সাধারণত ত্বক ক্যান্সার হয়।

প্রশ্নঃ কি কারণে ওজন গহবর সৃষ্টি হয়ে থাকে?

উত্তরঃ ওজোন গ্যাসের ঘনত্ব হ্রাস পেলে ওজন গহবর সৃষ্টি হয়।

প্রশ্নঃ গ্রিনহাউস এফেক্ট কাকে বলে?

উত্তরঃ গ্রিনহাউস প্রভাব বা এফেক্ট হল পরিবেশকে দূষিত করার একটি অন্যতম পদ্ধতি। বায়ুমণ্ডলে মূলত CO₂-এর ঘনত্ব বৃদ্ধির জন্যই পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ঘটনাকে বলে গ্রিনহাউস প্রভাব বা এফেক্ট।

প্রশ্নঃ কোন অঞ্চলে ওজন গহবর সৃষ্টি হয়েছে?

উত্তরঃ আন্টার্টিকা অঞ্চলে ওজন গহবর সৃষ্টি হয়েছে।

প্রশ্নঃ একটি অপ্রচলিত শক্তির উৎস উল্লেখ করো?

উত্তরঃ  একটি অপ্রচলিত শক্তির উৎস হল বায়োগ্যাস।

প্রশ্নঃ ওজোন গ্যাস কি প্রকৃতির গ্যাস?

উত্তরঃ ওজোন গ্যাস হল উষ্ণতা বৃদ্ধিকারী গ্যাস।

প্রশ্নঃ বায়ুমণ্ডলের প্রতিটি স্তরে কোন পদ্ধতিতে তাপ সঞ্চালিত হয়ে থাকে?

উত্তরঃ পরিচলন পদ্ধতিতে তাপ সঞ্চালিত হয়ে থাকে।

প্রশ্নঃ বায়ুমণ্ডলের প্রধান উপাদান কি কি উল্লেখ করো?

উত্তরঃ অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন বায়ুমন্ডলের প্রধান উপাদান।

প্রশ্নঃ তাপ কোন পদ্ধতিতে সূর্য থেকে পৃথিবীতে আসে?

উত্তরঃ বিকিরণ পদ্ধতিতে তাপ সূর্য থেকে পৃথিবীতে আসে।

প্রশ্নঃ রাতের বেলায় কোন বায়ু প্রবাহিত হয়?

উত্তরঃ রাতের বেলায় স্থল বায়ু প্রবাহিত হয়।

প্রশ্নঃ বায়ুমন্ডলের কোন স্তর শীতলতম স্তর নামে পরিচিত?

উত্তরঃ মেসোস্ফিয়ার স্তর শীতলতম স্তর।

প্রশ্নঃ গ্রিনহাউস গ্যাস কাকে বলে? কয়েকটি গ্রিনহাউস গ্যাসের নাম লেখো।

উত্তরঃ বায়ুমণ্ডলে যে সমস্ত গ্যাসের উপস্থিতির জন্য গ্রিনহাউস ক্রিয়া সংঘটিত হয় তাদের গ্রিনহাউস গ্যাস বলে। যেমন- CO₂ (প্রধান), জলীয় বাষ্প, মিথেন, ক্লোরোফ্লুরোকার্বন, নাইট্রাস অক্সাইড ও নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস প্রভাব সৃষ্টি করে।

প্রশ্নঃ কোন গ্যাসে মিথেন হাইড্রেট পাওয়া যায়?

উত্তরঃ মিথেন গ্যাসে।

প্রশ্নঃ বায়ুকলকে কাজে লাগিয়ে কিভাবে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয়?

উত্তরঃ বায়ু শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বায়ু বলে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয়।

প্রশ্নঃ বায়োগ্যাসের প্রধান উপাদান উল্লেখ করো?

উত্তরঃ 75% মিথেন বায়োগ্যাসের প্রধান উপাদান।

প্রশ্নঃ জ্বালানি কাকে বলে?

উত্তরঃ জ্বালানিঃ যেসব দাহ্যবস্তুর দহনের ফলে প্রচুর তাপশক্তি উৎপন্ন হয় তাকে জ্বালানি বলে। সাধারণ কার্বন ঘটিত জ্বালানির মধ্যে কার্বন কিংবা কার্বন ও হাইড্রোজেন যুক্ত অবস্থায় থাকে। জ্বালানির দহনের সময় জ্বালানির মধ্যে উপস্থিত কার্বন ও হাইড্রোজেনের সঙ্গে বায়ুর অক্সিজেনের তাপ উৎপাদী রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে। ফলে প্রচুর তাপ উৎপন্ন হয়।

প্রশ্নঃ বায়োগ্যাস কোন প্রকার শক্তির উৎস?

উত্তরঃ অপ্রচলিত শক্তির উৎস।

প্রশ্নঃ এলপিজি এর পুরো নাম কি?

উত্তরঃ লিকুইফায়েড পেট্রোলিয়াম গ্যাস।

প্রশ্নঃ গ্যাস সিলিন্ডার অর্থাৎ রান্নার কাজে ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডারে কোন গ্যাস থাকে?

উত্তরঃ গ্যাস সিলিন্ডারে এলপিজি/LPG গ্যাস থাকে।

প্রশ্নঃ জীবাশ্ম জ্বালানি কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ উদ্ভিদ ও জীবজন্তুর দেহবশেষ থেকে উৎপন্ন জ্বালানিকে জীবাশ্ম জ্বালানি বলে। যেমন— কয়লা, পেট্রোলিয়াম এবং প্রাকৃতিক গ্যাস।

প্রশ্নঃ বায়ু কলে কিভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়?

উত্তরঃ বায়ু শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বায়ুকলে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়।

প্রশ্নঃ একটি সোলার হিটার এর ব্যবহার উল্লেখ করো?

উত্তরঃ সোলার হিটার এর একটি ব্যবহার হলো গরম জল করা সম্ভব।

প্রশ্নঃ CNG পুরো অর্থ কি?

উত্তরঃ কমপ্রেস ন্যাচারাল গ্যাস।

প্রশ্নঃ বায়োমাস বা জীবভর বলতে কী বোঝো? এটি কী কাজে ব্যবহার করা হয়?

উত্তরঃ বায়োমাস বা জীবভর বলতে বোঝায় কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলের মোট ভর জীবভরের মধ্যে সৌরশক্তি রাসায়নিক শক্তিরূপে অবস্থান করে। উদ্ভিজ্জ জীবভর, যেমন- কাঠ, পাতা, ডালপালা আগাছা ইত্যাদি এবং প্রাণীজ জীবভর, যেমন মৃত প্রাণীদেহ, প্রাণীর মল-মূত্ৰ ইত্যাদি। উদ্ভিজ্জ জীবভরকে সরাসরি জ্বালিয়ে অথবা কাঠকয়লায় পরিণত করার পর তা জ্বালিয়ে আমরা তাপশক্তি পেয়ে থাকি। এই তাপশক্তির সাহায্যে বাষ্প তৈরি করে টারবাইন ঘুরিয়ে বিদ্যুৎশক্তি উৎপন্ন করা হয়।

প্রশ্নঃ জোয়ার ভাটার সময় জল স্রোতকে কাজে লাগিয়ে কি উৎপন্ন করা হয়?

উত্তরঃ বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয়।

প্রশ্নঃ প্রাকৃতিক গ্যাসের উপাদান গুলি কি কি?

উত্তরঃ মিথেন ইথেন ও প্রোপেন।

প্রশ্নঃ কোন ধাতু কল্প সৌরকোষে ব্যবহার করা হয়ে থাকে?

উত্তরঃ আসেনিক ধাতুকল্প সৌরকোষে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

প্রশ্নঃ কোনো স্থানের বায়ুর উয়তার তারতম্যের কারণ হিসাবে উচ্চতার প্রভাব ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ সূর্য থেকে আগত তাপ বায়ুমণ্ডলকে উত্তপ্ত না করে সরাসরি পৃথিবীকে অর্থাৎ ভূপৃষ্ঠকে উত্তপ্ত করে। প্রথমে ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন বায়ুস্তর পরিচলন পদ্ধতিতে উত্তপ্ত হয়, ভূপৃষ্ঠ থেকে যত ওপরে ওঠা যায়, ততই বায়ুর উন্নতা ক্রমশ কমতে থাকে। প্রতি কিমি উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য বায়ুর উয়তা প্রায় 6.5°C হারে কমে। তাই 3048 মিটার ওপরে বায়ুর উয়তা প্রায় 0°Cহয়। এভারেস্ট, কাঞ্চনজঙ্ঘা প্রভৃতি পর্বতশৃঙ্গে উন্নতা 0°C এর কম হয়। উয়তা কমতে কমতে ট্রোপোস্ফিয়ারের সর্বোচ্চ অংশে এসে -56° হয়। স্ট্রাটোস্ফিয়ারে উয়তা প্রায় স্থির থাকে। আয়নোস্ফিয়ারে উয়ত ক্রমশ বেড়ে প্রায় 2000°C হয়।

প্রশ্নঃ বায়ুমন্ডলের কোন স্তর কে শান্ত মন্ডল বলা হয়?

উত্তরঃ স্ট্রাটোস্ফিয়ার কে শান্ত মন্ডল বলা হয়।

প্রশ্নঃ কোন জীবাশ্ম জ্বালানির তাপন মূল্য সব থেকে বেশি হয়ে থাকে?

উত্তরঃ পেট্রোল সবথেকে বেশি।

প্রশ্নঃ বায়োফুয়েলের ব্যবহার উল্লেখ করো?

উত্তরঃ বায়োফুয়েল জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

প্রশ্নঃ গ্রিনহাউস গ্যাস ও গ্লোবালওয়ার্মিং-এর সম্পর্ক লেখো।

উত্তরঃ বায়ুমণ্ডলে অবস্থিত যে সকল গ্যাস দীর্ঘতরঙ্গ যুক্ত অবলোহিত আলো শোষণ করে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ঘটায়, তাদের গ্রিনহাউস গ্যাস বলা হয়। যেমন–CO₂, CH₄, CFC ইত্যাদি।

      প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট কারণে গ্রিনহাউস গ্যাসগুলির বৃদ্ধির ফলে পৃথিবীর গড় উয়তা মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাচ্ছে যাকে গ্লোবাল ওয়ার্মিং বলা হয়। অর্থাৎ গ্রিনহাউস গ্যাসগুলির মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর কারণ।

প্রশ্নঃ গোবর গ্যাস বা বায়োগ্যাসের উপাদান গুলি কি কি?

উত্তরঃ মিথেন এবং কার্বন ডাই অক্সাইড গোবর গ্যাসের উপাদান।

প্রশ্নঃ ওজোন স্তরের প্রধান ভূমিকা উল্লেখ করো?

উত্তরঃ ওজোন স্তরের প্রধান ভূমিকা হল সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মিকে শোষণ করা। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি খুবই ক্ষতিকারক জীবজগতের পক্ষে।

প্রশ্নঃ মন্ট্রিল চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার কারণ উল্লেখ করো?

উত্তরঃ CFC গ্যাসের উৎপাদন ও ব্যবহার বন্ধ করার উদ্দেশ্যে মন্ট্রিল চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

প্রশ্নঃ জ্বালানির তাপমূল্য বলতে কী বোঝো? LPG-এর তাপমূল্য কত?

উত্তরঃ একক ভর বিশিষ্ট কোনো জ্বালানির সম্পূর্ণ দহনে যে পরিমাণ তাপশক্তি উৎপন্ন হয়, তাকে ওই জ্বালানির তপনমূল্য বলে।

      LPG-এর তাপনমূল্য হল – 50 Kg/g।

প্রশ্নঃ দার্জিলিং এবং কলকাতার মধ্যে কোন জায়গাতে বায়ুচাপ কম?

উত্তরঃ দার্জিলিং এ কলকাতা তুলনায় কম।

প্রশ্নঃ ওজোন স্তরের প্রধান ভূমিকা উল্লেখ করো?

উত্তরঃ ওজোন স্তরের প্রধান ভূমিকা হল সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মিকে শোষণ করা। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি খুবই ক্ষতিকারক জীবজগতের পক্ষে।

প্রশ্নঃ কয়লার তাপন মূল্য উল্লেখ করো?

উত্তরঃ কয়লা তাপন মূল্য হল 25-30kg/g

প্রশ্নঃ বিশ্ব উয়ায়ন নিয়ন্ত্রণের দুটি উপায় লেখো।

উত্তরঃ কয়লা, পেট্রোল, ডিজেল ইত্যাদি জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে অপ্রচলিত শক্তির উৎসের ব্যবহার বাড়াতে হবে।

(১) CFC-এর ব্যবহার কমাতে হবে।

(২) বিশ্ব উন্নয়ন সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে।

প্রশ্নঃ জীবাশ্ম জ্বালানির ফলে উৎপন্ন হয় এমন কয়েকটি বায়ু দূষক গ্যাসের নাম উল্লেখ করো?

উত্তরঃ কার্বন ডাই অক্সাইড ও কার্বন মনো অক্সাইড।

প্রশ্নঃ কোন দিক থেকে কোন দিকে স্থল বায়ু প্রবাহিত হয়?

উত্তরঃ স্থল ভাগ থেকে সমুদ্রের দিকে স্থল বায়ু প্রবাহিত হয়।

প্রশ্নঃ বায়ুমণ্ডলের স্তর ধ্বংসকারী প্রধান গ্যাস গুলির নাম উল্লেখ করো?

উত্তরঃ ক্লোরোফ্লোরো কার্বন ও নাইট্রিক অক্সাইড বায়ুমণ্ডলের স্তর ধ্বংসকারী গ্যাস।

প্রশ্নঃ জীবাশ্ম জ্বালানি সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তাগুলি উল্লেখ করো।

উত্তরঃ জীবাশ্ম জ্বালানি সংরক্ষণ করা বিশেষ প্রয়োজন, কারণ -

(১) জীবাশ্ম জ্বালানির যথেচ্ছ ব্যবহারের ফলে এর ভাণ্ডার ক্রমেই ফুরিয়ে আসছে। জীবাশ্ম জ্বালানি তৈরি হতে ভূ-গর্ভে কোটি কোটি বছর সময় লাগে তাই যথেচ্ছভাবে। ব্যবহার করলে অদূরভবিষ্যতে পৃথিবীর সমস্ত জীবাশ্ম জ্বালানি (যেমন - কয়লা, পেট্রোলিয়াম, প্রাকৃতিক গ্যাস ইত্যাদি) নিঃশেষিত হবে। যেহেতু মানব সভ্যতার উন্নয়নের প্রতিটি পদক্ষেপ এই শক্তি উৎস ব্যতিরেকে সম্ভব নয়, তাই জীবাশ্ম জ্বালানির সংরক্ষণ অতি প্রয়োজন।

(২) জীবাশ্ম জ্বালানির অতিরিক্ত ব্যবহার কমালে তার দহনে উৎপন্ন কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাসের পরিমাণও বাতাসে কম হবে ফলে বায়ুদূষণ কম ঘটবে।

(৩) জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার নিয়ন্ত্রিত করলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ হ্রাস পাবে, ফলে বিশ্বউন্নয়নের মাত্রা কমবে।

প্রশ্নঃ অপুনর্ভব দুটি শক্তির উৎসের নাম উল্লেখ করো?

উত্তরঃ বায়ু শক্তি ও সৌরশক্তি অপুনর্ভব দুটি শক্তির উৎস।

প্রশ্নঃ সমুদ্র বায়ু কখন বা কোন সময় প্রবাহিত হয়?

উত্তরঃ দিনের বেলায় সমুদ্র বায়ু প্রবাহিত হয়।

প্রশ্নঃ সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি শোষিত হয় বায়ুমন্ডলের কোন স্তরে?

উত্তরঃ ওজোন স্তরে সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি শোষিত হয়।

প্রশ্নঃ সৌরশক্তি ব্যবহারের সুবিধা কী কী?

উত্তরঃ সৌরশক্তি ব্যবহারের সুবিধাগুলি নিম্নরূপ -

(১) সৌরশক্তি প্রবহমান ও অফুরন্ত, নিঃশেষ হবার সম্ভাবনা নেই, তাই ইচ্ছেমতো ব্যবহার করা যেতে পারে। বৈজ্ঞানিকদের মতে পৃথিবীর ক্রমবর্ধমান শক্তির চাহিদা সৌরশক্তির সাহায্যে পূরণ করা সম্ভব হবে।

(২) সৌরশক্তি ব্যবহারে পরিবেশ দূষিত হয় না। জীবাশ্ম জ্বালানিগুলি থেকে শক্তি উৎপাদনের সময় কার্বন-ডাই-অক্সাইড, কার্বন-মনো-অক্সাইড ইত্যাদি নির্গত হয় যা বিশ্বব্যাপী উয়ায়নের মূল কারণ। তাই সৌরশক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির সাথে সাথে পরিবেশের সংরক্ষণ ও ভারসাম্য বজায় রাখা সম্ভব হবে।

(৩) সৌরপ্যানেল ও ব্যাটারির সাহায্যে অতি সাধারণ পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়, ফলে ব্যবহার করতে সুবিধা হয়।

প্রশ্নঃ অপুনর্ভব দুটি শক্তির উৎসের নাম উল্লেখ করো?

উত্তরঃ বায়ু শক্তি ও সৌরশক্তি অপুনর্ভব দুটি শক্তির উৎস।

প্রশ্নঃ বায়ুমন্ডলের সর্বনিম্ন স্তর টির নাম উল্লেখ কর?

উত্তরঃ বায়ুমণ্ডলের সর্বনিম্ন স্তরটি হল ট্রপোস্ফিয়ার।

প্রশ্নঃ স্থল বায়ুর গতি উল্লেখ করো?

উত্তরঃ স্থল বায়ু স্থল ভাগ থেকে সমুদ্র দিকে প্রবাহিত হয়ে থাকে।

প্রশ্নঃ বায়ুমন্ডলের কোন স্তরে কৃত্রিম উপগ্রহ ও মহাকাশ স্টেশন গুলি অবস্থান করে থাকে?

উত্তরঃ বায়ুমণ্ডলের এক্সোস্ফিয়ার স্তরে কৃত্রিম উপগ্রহ ও মহাকাশ স্টেশন গুলি অবস্থান করে।

প্রশ্নঃ বায়োফুয়েল কয় প্রকার ও কী কী? প্রত্যেক প্রকারের উদাহরণ ও ব্যবহার উল্লেখ করো।

উত্তরঃ বায়োমাস থেকে উৎপন্ন জ্বালানিকে বায়োফুয়েল বলা হয়। বায়োফুয়েল তিন প্রকার, যথা - (১) কঠিন বায়োফুয়েল, (২) তরল বায়োফুয়েল এবং (৩) গ্যাসীয় বায়োফুয়েল।

(১) কঠিন বায়াোফুয়েলঃ কাঠ, বাঁশ, খড়, গৃহস্থালির আবর্জনা প্রভৃতি কঠিন। বায়োফুয়েলের উদাহরণ। এগুলি মূলত গ্রামীণ এলাকায় রান্নার কাজে জ্বালানি। হিসাবে ব্যবহৃত হয়।

(২) তরল বায়োফুয়েলঃ বায়োইথানল (ভুট্টা ও আখের ছিবড়ার সন্ধান প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন) বায়োডিজেল (উদ্ভিজ্জ তেল ও ফ্যাটের ট্রান্স-এস্টারিফিকেশনে উৎপন্ন) প্রভৃতি তরল বায়োফুয়েলের উদাহরণ। বায়োইথানল সরাসরি গাড়ির জ্বালানিরূপে

(৩) গ্যাসীয় বায়োফুয়েলঃ গোবর গ্যাস গ্যাসীয় বায়োফুয়েলের উদাহরণ। এটি মূলত জ্বালানিরূপে ও আলো উৎপাদনের কাজে ব্যবহার করা হয়। বায়োগ্যাসের সাহায্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।

প্রশ্নঃ তাপন মূল্যের একক এর নাম উল্লেখ করো?

উত্তরঃ কিলোজুল/গ্রাম।

প্রশ্নঃ বায়ুমন্ডলের কোন স্তরে বেতার তরঙ্গ প্রতিফলিত হয়?

উত্তরঃ বায়ুমণ্ডলের আয়োনোস্ফিয়ারে বেতার তরঙ্গ প্রতিফলিত হয়।

প্রশ্নঃ বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য দায়ী প্রধান গ্যাস এর নাম উল্লেখ করো?

উত্তরঃ কার্বন ডাই অক্সাইড।

প্রশ্নঃ ভূতাপশক্তি ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধাগুলি উল্লেখ করো।

উত্তরঃ ভূ-তাপশক্তি ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধাগুলি নিম্নরূপ -

ভূতাপশক্তির সুবিধাঃ  

(১) ভূ-তাপশক্তির জোগান অফুরন্ত।    

(২) এই শক্তির জোগান অবাধ ও নিরবচ্ছিন্ন অর্থাৎ এই শক্তি 24 ঘন্টা ধরে সরবরাহ করা সম্ভব।    

(৩) এই শক্তি সরাসরি ব্যবহার করলে গ্রিনহাউস গ্যাসগুলি পরিবেশে মুক্ত হয় না বলে পরিবেশ দূষিত হয় না।    

ভূতাপশক্তির অসুবিধাঃ

(১) ভূ-তাপশক্তি উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণ করা অত্যন্ত ব্যয়বহুল।

(২) ভূগর্ভ থেকে উয়জলের সঙ্গে বিভিন্ রাসায়নিক পদার্থ ভূপৃষ্ঠে চলে আসে,যা প্রযুক্তি, নিরন্তর গবেষণা দরকার, তা বেশিরভাগ দেশেই সহজলভ্য নয়।

(৩) উৎপাদন ক্ষমতা কম বলে সীমিত ক্ষেত্রে ব্যবহারযোগ্য।

প্রশ্নঃ বায়ুমন্ডলের কোন স্তরে বিমান চলাচল করে থাকে?

উত্তরঃ বায়ুমণ্ডলের ট্রপোস্ফিয়ারের স্তরে বিমান চলাচল করে থাকে।

প্রশ্নঃ বায়ুমন্ডলের কোন স্তরকে প্রাকৃতিক সৌর পর্দা বলা হয়?

উত্তরঃ ওজোন স্তরকে প্রাকৃতিক সৌর পর্দা বলা হয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

3 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

LightBlog

AdsG

close