বাংলা
পঞ্চম শ্রেণি
পূর্ণমান - ৪০
১। একটি বাক্যে উত্তর দাও :
১.১ 'আয়রে ছুটে ছোট্টরা' - ছোটোদের কেন ছুটে আসতে হবে?
উত্তরঃ ছোটোদের ছুটে আসতে হবে কারন গল্পবুড়ো তাঁর ঝুলিতে করে অনেক রকম মন ভরানো গল্প নিয়ে এসেছে।
১.২ '... আমাদের জোয়ানদের একটা ঘাঁটি ছিল।' - জোয়ানদের ঘাঁটিটি কোথায় ছিল?
উত্তরঃ জোয়ানদের ঘাঁটি ছিল লাডাকের একটি বরফের ঢাকা নির্জন জায়গাতে।
১.৩ 'দারোগাবাবু এবং হাবু' কবিতায় মেজদার পোষ্য কারা?
উত্তরঃ 'দারোগাবাবু ও হাবু' কবিতায় মেজদার পোষ্য হল আটটা কুকুর।
১.৪ 'উলগুলান' কাদের লড়াই?
উত্তরঃ সাহেবদের সাথে মুন্ডাদের লড়াই।
১.৫ ‘কেউ করে না মানা।’ – কার কোন্ কাজে কেউ নিষেধ করে না?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর’ কবিতায় সারা আকাশ জুড়ে মেঘ খেলে বেড়ায়। তার এই কাজে কেউ নিষেধ করে না।
১.৬ ‘এবার আমাকে গোড়ার দিক দিতে হবে।’ – কী চাষের সময় কুমির একথা বলেছিল?
উত্তরঃ উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর ‘বোকা কুমিরের কথা’ গল্পে ধান চাষের সময় কুমীর- ‘এবার আমাকে গোড়ার দিক দিতে হবে। ' এই কথা বলেছিল।
১.৭ ‘মাঠ মানে কী অথই খুশির অগাধ লুটোপুটি !’– ‘অথই’ এবং ‘অগাধ’ শব্দ দুটির অর্থ লেখো।
উত্তরঃ
ক. অথই শব্দের অর্থ – যেন তল নেই এমন গভীর
খ. অগাধ শব্দের অর্থ – প্রচুর /অসীম/অনন্ত
১.৮ ‘ঝড়’ কবিতায় উল্লিখিত দুটি গাছের নাম লেখো।
উত্তরঃ মৈত্রেয়ী দেবীর ‘ঝড়’ কবিতায় উল্লিখিত দুটি গাছের নাম হলো – বকুল গাছ ও চাঁপা গাছ।
১.৯ ‘ট্যাক্’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তরঃ শিবশঙ্কর মিত্রের ‘মধু আনতে বাঘের মুখে’ নামক গল্পে ‘ট্যাক্' কথাতি রয়েছে। ত্রিভুজ আকারের জমির মাথাকে ট্যাক বলে। সাধারণত দুটো নদীর মিলন স্থলে এই রকম ভূমিরূপ সৃষ্টি হয়।
১.১০ ‘করুণা করি বাঁচাও মোরে এসে’ – কখন ফণীমনসা একথা বলেছে?
উত্তরঃ বীরু চট্টোপাধ্যায়ের ‘ফণীমনসা ও বনের পরি’ নামক নাটকে ডাকাতেরা সব সোনার পাতা ছিড়ে ফণীমনসা গাছটিকে একে বাড়ে ন্যাড়া করে রেখে যায়। তখন সে প্রশ্নে উদ্ধৃত কথাটি বলেছে।
২। নিজের ভাষায় উত্তর দাওঃ
২.১ 'গল্পবুড়ো' কবিতায় রূপকথার কোন্ কোন্ প্রসঙ্গে উল্লিখিত হয়েছে?
উত্তরঃ সুনির্মল বসুর লেখা 'গল্পবুড়ো' কবিতায় কবি রূপ কথার যে যে প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন সেগুলি হলো - দত্যি, দানব, যক্ষিরাজ, রাজপুত্তুর, পক্ষীরাজ, মনপবনের দাড়খানা প্রভৃতি আজগুবি গল্প ছাড়াও কড়ির পাহাড়, সোনার কাঠি, তেপান্তরের মাঠ, কেশবতী নন্দিনী প্রভৃতির প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন।
২.২ 'এমনি করে সারা শীত দেখতে দেখতে কেটে গেল।' - জোয়ানদের সেই শীতকাল যাপনের কথা কীভাবে 'বুনোহাঁস' গল্পে ফুটে উঠেছে?
উত্তরঃ লীলা মজুমদারের লেখা 'বুনোহাঁস' গদ্যাংশে, শীতের শুরুতে একঝাঁক বুনোহাঁসকে উত্তর থেকে দক্ষিণের গরমের দেশের দিকে উড়ে যেতে দেখা যায়। তাদের মধ্যে একটি হাঁসের ডানা জখম হওয়ায় সেটি লাডাকে জওয়ানদের ঘাঁটির কাছে নেমে আসে। তাকে আর একটা হাঁসও নীচে নেমে আসে। জখম হাঁসটিকে জওয়ানরা তুলে এনে তাদের মুরগি রাখার খালি জায়গাতে রাখে। সারা শীতকাল হাস দুটি জওয়ানদের সাথে এবং মাছ, জওয়ানদের ফেলে রাখা খাবার ইত্যাদি খায়। ধীরে ধীরে জখম হাঁসটি সুস্থ হয়ে ওঠে এবং উড়তে পারে। এইভাবে হাঁসদুটোকে দেখতে দেখতে জজয়ানদের শীত কালটি কেটে যায়।
২.৩ 'নালিশ আমার মন দিয়ে খুব/শুনুন বড়োবাবু।' - থানায় বড়োবাবুর কাছে হাবু কী কী নালিশ জানিয়েছিল?
উত্তরঃ ভবানীপ্রসাদ মজুমদারের লেখা 'দারোগাবাবু এবং হাবু' কবিতায় হাবু বড়োবাবুর কাছে যে নালিশ জানিয়েছিল তা হলো - তার বড়দা ঘরে সাতটি বেড়াল, বারন করা সত্ত্বেও মেজদা আটটা কুকুর এবং সেজদা পোষান দশটা ছাগল যেগুলো সে তার ঘরেই বেঁধে রাখেন। যার জন্য তার গন্ধে প্রান যায় যায় অবস্থা। এইসব হাবু নালিশ করে ছিল।
২.৪ 'এতোয়াকে দেখলে মনে হয় দুরন্ত এক বাচ্চা ঘোড়া।' - উদ্ধৃতটির আলোকে এতোয়ার কাজকর্মের পরিচয় দাও।
উত্তরঃ মহাশ্বেতা দেবীর 'এতোয়া মুন্ডার কাহিনী' - এর মূল চরিত্র এতোয়া সব সময় ব্যস্ত থাকে গরু ছাগল মেষ চরাত। বাগানে গরু চরাতে চরাতে টক আম, শুকনো কাঠ, মোট আলু, পুকুর পাড় থেকে তোলা শাক সবাই সে বস্তায় ভরে নেয়। তারপর ডুলং নদী পেরিয়ে ঘন সবুজ ঘাস বলে গোরু-মোষ ছেড়ে দেয়। এবার ও সুবর্ণরেখা নদীতে বাঁশে বোনা জালটাকে পেতে নিজেকে রাজা ভাবতে থাকে।
২.৫ 'বিমলার অভিমান' কবিতা অনুসরণে বিমলার অভিমানের কারণ বিশ্লেষণ করো।
উত্তরঃ বিমলা বাড়ির ছোট মেয়ে। তাকে দিয়ে সারাদিন অনেক কাজ করিয়ে নেওয়া হয়, যেমন - ফুলতোলা। পূজা করা, বাচ্চাদের সামলানো, ছাগলে তাড়ানো, নুন আনায় পানের জন্য চুন আনা ইত্যাদি। আর খাওয়ার সময় দাদা আর অবনীকে তার চেয়ে বেশী ক্ষীর দেওয়ায় বিমলার অভিমান হয়।
২.৬ 'ছাদটা ছিল আমার কোতাবে - পড়া মরুভূমি...' - ছেলেবেলা রচনাংশে ছাদের প্রসঙ্গটি লেখক কীভাবে স্মরণ করেছেন?
উত্তরঃ 'ছেলেবেলা' রচনাংশে বালক রবীন্দ্রনাথের কাছে বাইরের খোলা ছিল প্রধান ছুটির দেশ। ছোটো থেকে বড় বয়স পর্যন্ত নানান স্মৃতি ওই ছাদে নানাভাবে বয়ে চলেছে। রবীন্দ্রনাথের পিতার জায়গা ছিল তেতলার ঘরে। মাঝে মাঝেই তিনি পাহাড়ে পর্বতে বেড়াতে চলে যেতেন তখন ওই ছাদে যাওয়া উঠতেন। এই দুপুর বেলাটা তার মনে হত রাত্তির। সকলে যখন পেট ভরে খেয়ে ঘুম দিচ্ছে তখন সে চুপিসারে পাড়ি দিত ছাদে। ছাদটা ছিল তার কাছে কেতাবে মরুভূমি যেন চারিদিক ধূ ধূ করছে, গরম বাতাস ধূলো উড়িয়ে হু হু করে ছুটে যাচ্ছে। আর এই ছাদের মরুভূমিতে তখন একটা ওয়েসিসি দেখা দেয়। লেখক ছুটে চলে যেত তেতলার স্নানের ঘরে। ধরাজলে স্নান সেরে সহজ মানুষ হয়ে বতস।
২.৭ 'তারি সঙ্গে মনে পড়ে ছেলেবেলায় গান' - কেমন দিনে কথকের ছেলেবেলার কোন্ গানটি মনে পড়ে?
উত্তরঃ দিনের আলো নিভে এসেছে। সূর্য ডুবতে চলেছে। চাঁদকে ঘিরে আকাশে মেঘ জমেছে। নানা রঙের মেঘ। মন্দিরে কাঁসর-ঘন্টা বাজছে। নদীর ওপারে বৃষ্টি নেমেছে, গাছপালা সব ঝাপসা লাগছে। এপারেতে বিদ্যুতের আলোয় মেঘের মাথায় একশো মানিক জ্বলছে। বাদলা হওয়ার এই রকম দিনে কথকের মনে পড়েছে ছেলেবেলার গান - "বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদেয় এল বান।"
২.৮ ‘ব্যাঙ স্বেচ্ছায় বৃষ্টি আনার কাজে যুক্ত বলো।’ – বৃষ্টি আনার কাজে যুক্ত হয়ে ব্যাঙ কী করেছিল?
উত্তরঃ 'পাহাড়িয়া বর্ষার সুরে' রচনাংশে ব্যাঙ বৃষ্টি এনে পৃথিবীকে বাঁচাতে চেয়েছিল। এই জন্য সে একদিন সকালে রওনা দিয়েছিল ভগবানের প্রাসাদের উদ্দেশ্যে। চলার পথে মৌমাছি, মোরগ ও বাঘকে সঙ্গে নিয়ে দীর্ঘ যাত্রা শেষে ভগবানের প্রাসাদে পোঁছে ভগবানের কাছে নালিশ জানিয়েছিল।
২.৯ ‘ভেবে পাই নে নিজে’ – কবি কী ভেবে পান না?
উত্তরঃ কবি অশোকবিজয় রাহা ‘মায়াতরু' কবিতায় একটি আজব গাছের বণর্না দিয়েছেন। সকাল, সন্ধ্যা রাত, বৃষ্টি ও পূণির্মার আলোয় কবি গাছটিকে দেখেছেন। প্রত্যেক বারই গাছটি তার ভিন্ন ভিন্ন মায়াবী রূপ নিয়ে হাজির হয়েছে। কিন্তু ভোরবেলায় গাছটির প্রকৃত রূপ যে কেমন, তা কবি কখনও ভেবে পান না।
২.১০ ‘ফণীমনসা ও বনের পরি’ নাটকে সূত্রধরের ভূমিকা আলোচনা করো।
উত্তরঃ বীরু চট্টোপাধ্যায়ের 'ফনিমনসা ও বনের পারি’ নাটকে সূত্রধার প্রতিমুহূর্তে দর্শক পাঠককে সক্রিয় রেখেছে। নাটকটি যাতে পাঠক বা দর্শক ভালোভাবে বুঝতে পারে তার সমস্তরকম তথ্য সে দিয়েছে। ফলে দর্শক নাটকটির সম্পূর্ণ রসাস্বাদন করতে পেরেছে।
৩। নির্দেশ অনুসারে নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
৩.১ সন্ধি করো :
৩.১.১ মিশি + কালো = মিশ্কালো
৩.১.২ এত + দিন = এদ্দিন
৩.১.৩ বড়ো + ঠাকুর = বট্ঠাকুর
৩.১.৪ সৎ + গ্রন্থ = সদ্গ্রন্থ
৩.১.৫ দিক্ + নির্ণয় = দিঙ্নির্ণয়
৩.২ নীচের পদগুলি ব্যঞ্জন সন্ধির কোন্ কোন্ নিয়ম মেনে বদ্ধ হয়েছে, লেখো :
৩.২.১ প্রচ্ছদ = প্র + ছদ (অ্ + ছ্ = অচ্ছ)
৩.২.২ প্রাগৈতিহাসিক = প্রাক + ঐতিহাসিক ( ক + অ = গ)
৩.২.৩ সদিচ্ছা = সৎ + ইচ্ছা ( ত + ই = দি)
৩.২.৪ বিদ্যুদ্বেগ = বিদ্যুৎ + বেগ ( ত + ব = দ)
৩.২.৫ পদ্ধতি = পদ + হতি ( দ + হ = দ্ধ)
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
0 মন্তব্যসমূহ