বাংলা
চতুর্থ শ্রেণি
পূর্ণমান - ৪০
১. একটি বাক্যে উত্তর দাও :
১.১ 'সন্দেহ নাই মাত্র।' - কোন্ বিষয়ে কবির মনে কোনো সন্দেহ নেই?
উত্তরঃ কবি এই পৃথিবীর বিরাট খাতায় পাঠ্য বিষয় থেকে নতুন নতুন জিনিস শিখছেন, তাতে তার সন্দেহ নেই।
১.২ তোত্তো-চান স্কুলে গিয়ে ইয়াসুয়াকি - চানকে কোন্ অবস্থায় দেখতে পেল?
উত্তরঃ তোত্তো-চান স্কুলে গিয়ে ইয়াসুয়াকি-চান কে ফুলগাছগুলোর পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছে।
১.৩ "... সবাই বল্লে -'বেজায় মিঠে'!" - তাদের কাছে কোন্ কোন্ খাবার 'বেজাই মিঠে' লেগেছিল?
উত্তরঃ ধুলো-বালির কোর্মা পোলাও, কাদার পিঠে মিছি মিছি খেয়ে দেগুলি তাদের মিঠে লেগেছিল।
১.৪ 'বক সে চালাক অতি চিকিৎসক - চুঞ্চু।' - 'চুঞ্চু' শব্দের অর্থ কী?
উত্তরঃ এখানে "চুঞ্চু" কথার অর্থ হল "ওস্তাদ"।
১.৫ 'মালগাড়ি' কবিতায় কথক কার কাছে 'মালগাড়ি' হওয়ার বর চাইবে?
উত্তরঃ মালগাড়ি কবিতায় কথক পরির কাছে মালগাড়ি হওয়ার বর চাইবে।
১.৬ 'সে ঘোর বনে মানুষের নামগন্ধ নেই, শুধু জানোয়ারের কিলিবিলি!' - কোন্ জঙ্গলের কথা বলা হয়েছে?
উত্তরঃ এখানে লুশাই পাহাড়ের জঙ্গলের কথা বলা হয়েছে।
১.৭ 'ইচ্ছা করে সেলেট ফেলে দিয়ে/অমনি করে বেড়াই নিয়ে ফেরি।' - কথকের কী কী ফেরি নিয়ে বেড়াতে ইচ্ছে করে?
উত্তরঃ কথকের চুড়ি ও চীনের পুতুল ফেরি করে বেড়াতে ইচ্ছা করে।
১.৮ "বোতোর দেখা পাওয়া নাকি সবসময়ই ভালো" - 'বোতো' র পরিচয় দাও।
উত্তর :- অমরেন্দ্র চক্রবর্তীর লেখা 'আমাজনের জঙ্গলে' গল্পে বোলতা সম্পর্কে আমাজন জঙ্গলে এই বিশ্বাস ছিল যে তিনি আমাজনের দেবতা এবং অঞ্চল টাকে বিপদ থেকে রক্ষা করেন।
১.৯ "ধলেশ্বরী খ্যাপা নদী।" - একথা বলা হয়েছে কেন?
উত্তর :- রানী চন্দ - এর লেখা আমার মা-র বাপের বাড়ি' শীর্ষক গল্পে ধলেশ্বরী নদী কে ক্ষ্যাপা নদী বলা হয়েছে। কারণ নদীটি নিজের চলার তাল ঠিক রাখতে জানে না, নদীটির বেগ ও স্রোত প্রবল, তার বিশাল এলোপাথাড়ি ঢেউ আছড়ে পড়ে নৌকার গায়ে।
১.১০ "মন উন্মন্ গো।" - কার মনের এমন পরিস্থিতি?
উত্তর :- সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের লেখা 'দূরের পাল্লা' কবিতায় নৌকার তিনজন মাঝি মাল্লার মনের এরকম পরিস্থিতি।
২. নিজের ভাষায় উত্তর দাও :
২.১ 'নানান ভাবের নতুন জিনিস/ শিখছি দিবারাত্র।' - 'সবার আমি ছাত্র' কবিতায় কবি কীভাবে প্রকৃতি থেকে দিনরাত নানান ভাবের নতুন জিনিস শেখেন?
উত্তরঃ উদ্ধৃতি অংশটি সুনির্মল বসুর 'সবার আমি ছাত্র' নামক কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। কবি প্রকৃতির কাছ থেকে দিন রাত কিছু না কিছু শিখে চলেছে। যেমন - আকাশের কাছে তিনি উদার হতে শিখেছেন, পাহাড়ের কাছে তিনি মৌন হতে শিখেছেন, চাঁদের কাছে মধুর কথা বলার শিক্ষা পেয়েছেন। এছাড়াও মাটির কাছে সহিষ্ণুতা, পাষানের কাছে কঠোর হওয়ার এবং ঝড়নার কাছ থেকে কবি গান গাওয়ার শিক্ষা পান। এইভাবে প্রতিনিয়ত প্রকৃতির কাছে কবি নতুন নতুন জিনিস শিখে থাকেন।
২.২ 'গাছে ওঠা ব্যাপারটা তাহলে এইরকম!' - বক্তার অভিজ্ঞতার নিরিখে গাছে ওঠা ব্যাপারটা কীরকম?
উত্তরঃ তোত্তো-চানের অ্যাডভেনঞার গল্পে গাছে ওঠার ব্যাপারটা বড়ো অদ্ভুত। পরিকল্পনা মতো, একটি মই এনে গাছে লাগানো হল। ইয়াসুয়াকি-চান নিজে উঠতে পারল না। তোত্তো-চান তাকে নীচে থেকে ঠেলে তোলার চেষ্টা করেও ব্যথ হল। এরপর একটা সিঁড়ির মতন মই এনে লাগালো গাছের গোড়ায়। অনেক কষ্ট করে ইয়াসুয়াকি চান মই-এর মাথায় পৌঁছাল। ভাগ হওয়া ডালে দাঁড়িয়ে তোত্তো-চান, মইয়ের মাথায় পেটের উপর ভর দিয়ে শোওয়া, ইয়াসুয়াকি-চানের টানতে থাকে। অবশেষে দুজনে গাছের ডালে মুখোমুখি দাঁড়াতে পারল। তোত্তো-চান ইয়াসুয়াকি-চানকে আমন্ত্রণ জানালো স্বাগত। ইয়াসুয়াকি-চান গাছের গায়ে পিঠ ঠেকিয়ে লাজুক ভাবে হেসে বলল 'আসতে পারি ভিতরে?'
২.৩ 'আম-বাগিচার তলায় যেন তারা হেসেছে।' - একথা বলা হয়েছে কেন?
উত্তরঃ 'বনভোজন' কবিতায় নুরু, পবি, আয়েশা, সোফি এই ছেলেমেয়েরা দুপুরে না ঘুমিয়ে আম বাগিচাতে এসেছে বনভোজন করবে বলে। নিষ্পাপ শিশুদের এই খেলার কথাই বলা হয়েছে।
২.৪ 'মালগাড়ি কবিতায় কথকের 'মালগাড়ি' হতে চাওয়ার তিনটি কারণ নির্দেশ করো।
উত্তরঃ কথকের "মালগাড়ি" হতে চাওয়ার তিনটি কারণ হল -
(ক) মালগাড়ির চলার বেগ অত্যান্ত কম।
(খ) দেরি হওয়া বা যাত্রী ওঠানো নামানো নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা নেই।
(গ) মালগাড়িকে অনেক পথ অতিক্রম করতে হয়।
২.৫ 'উবা আমার চোখের দৃষ্টি দেখে বুঝতে চায়...' - উবা কী বুঝতে চায়?
উত্তরঃ অমরেন্দ্র চক্রবর্তীর লেখা 'আমাজনের জঙ্গলে' গল্পে উবা লেখক - এর চোখের দিকে তাকিয়ে বুঝতে চায়।
২.৬ 'বর্শা দিয়ে বিঁধবে তারা, রাজ্যে আমার এলে।' - কারা এমনটি করবে?
উত্তরঃ কবি কাজী নজরুল ইসলাম - এর লেখা 'আমি সাগর পাড়ি দেবো' কবিতায় নৌসেনা, সিন্ধু গাজি, মোল্লা মাঝি, জেলেরা জলদস্যু এবং সমুদ্রের হিংস্র জন্তুদের বর্শা দিয়ে বিঁধবে যদি তারা তার রাজ্যে আক্রমণ করে।
২.৭ 'যাত্রা শুরু হলো সেই নির্দিষ্ট দেশের দিকে।' - 'দক্ষিণমেরু অভিযান' রচনাংশ অনুসরণে সেই অভিজ্ঞতার বিবরণ দাও।
উত্তরঃ গল্পাকার নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায়ের লেখা 'দক্ষিণ মেরু অভিযান' গল্পে স্কট তার সহযাত্রীদের নিয়ে ১৯০২ সালের নভেম্বর মাসে ১৯টি কুকুর সঙ্গে নিয়ে স্লেজ গাড়িতে চেপে দক্ষিণ মেরুর দিকে যাত্রা শুরু করেন। পথে স্কট ও তার সাথীদের তীব্র তুষারঝড়ের মুখোমুখি হতে হয় এবং কোনওরকমে প্রাণ হাতে নিয়ে তারা কিং এডওয়ার্ড দ্বীপে ফিরে আসেন।
২.৮ 'আলো' নাটকে বাদুড়দের গানের বক্তব্যটি কী?
উত্তরঃ নাট্যকার লীলা মজুমদারের লেখা 'আলো' নাটকে বাঁদুরদের গানের বক্তব্যটি হল তাদের গুহাতে সোঁদা গন্ধ এবং সেই গুহা বন্ধ। সেখানে অন্ধকারে তারা সাদা দাঁত বের করে আর কালো ডানা মেলে বসে আছে এবং তারা আলো সহ্য করতে পারে না।
২.৯ 'নৌকা পাড়ে লাগে।' - তখন ভাইবোনেরা কী করে?
উত্তরঃ রানী চন্দের লেখা 'আমার মা-র বাপের বাড়ি' গল্পে যখন নৌকা পাড়ে লাগে তখন ভাইবোনেরা নৌকা থেকে লাফিয়ে পড়ে। এরপর তারা নলখাগড়ার বনে এবং বালির চরে ছোটাছুটি করে। এছাড়াও তারা গতরাতে রান্না করা লুচি, আলুর দম, হালুয়া ইত্যাদি জলের ধারে বসে খেয়ে হাত মুখ ধুয়ে আবার নৌকায় উঠে পড়ে।
২.১০ 'দূরের পাল্লা' কবিতায় নৌকা থেকে কোন্ দৃশ্য চোখে পড়ে?
উত্তরঃ কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের 'দূরের পাল্লা' কবিতায় দূরে যাত্রা করতে তিনজন মাল্লা নৌকা চালানো শুরু করে। সারারাত দিন ধরে তারা নৌকা বায়। দিনের বেলা তাদের চোখে পরে নদীর পাড়ে জমে থাকা জঞ্জাল, গজিয়ে ওঠা ঝোপঝাড়। নদীর জল শৈবালে পরিপূর্ণ, চরে জেগে থাকা কঞ্চির বন, বন হাঁসের তার নিজের ডিম শেওলায় ঢেকে ফেলার দৃশ্যের দেখা মেলে। পানকৌড়ি জলে ডুব দেয়, নদীর পাড়ে দ্রুত স্নান সারে ঘোমটা পরা বউ।
৩. নির্দেশ অনুসারে নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
৩.১ নীচের বাক্যগুলি থেকে সন্ধিবদ্ধ পদ খুঁজে নিয়ে বিচ্ছেদ করো :
৩.১.১ সমুদ্রের একটি নাম রত্নাকর।
উত্তরঃ রত্নাকর = রত্ন + আকার
৩.১.২ আমাদের বিদ্যালয় আমাদের গর্ব।
উত্তরঃ বিদ্যালয় = বিদ্যা + আলয়
৩.১.৩ তোমার দায়িত্ব সকলকে স্বাগত জানানো।
উত্তরঃ স্বাগত = সু + আগত
৩.১.৪ 'রমেশ' শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের একটি বিখ্যাত চরিত্র।
উত্তরঃ রমেশ = রমা + ঈশ
৩.১.৫ সকলের মতৈক্য হওয়া সম্ভব নয়।
উত্তরঃ মতৈক্য = মত + ঐক্য
৩.২ সন্ধি করো :
৩.২.১ সুধী + ইন্দ্র = সুধীন্দ্র
৩.২.২ দাম + উদর = দামোদর
৩.২.৩ পূর্ণ + ইন্দু = পূর্ণেন্দু
৩.২.৪ দিবস + অন্ত = দিবসান্ত
৩.২.৫ বন + ওষধি = বনৌষধি
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
0 মন্তব্যসমূহ