বাংলা
তৃতীয় শ্রেণি
পূর্ণমান - ৪০
১. নীচের বাঁ দিকের কথাগুলির মধ্যে যেটি ঠিক তার পাশে (✅) চিহ্ন আর যেটা ভুল তার পাশে (❌) চিহ্ন দাও :
১.১ 'সত্যি সোনা' গল্পে বুড়ো চাষির ছেলে ছিল অত্যন্ত নির্লোভ।
উত্তরঃ ❌
১.২ 'আমরা চাষ করি আনন্দে' কবিতাটি লিখেছেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
উত্তরঃ ✅
১.৩ 'আমাকে ক্ষমা করবেন।' - কথাটি বলেছেন কুলি হিসেবে এগিয়ে আসা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।
উত্তরঃ ❌
১.৪ 'দেয়ালের ছবি' গল্পে বাঘকে শিকারি লোটায় করে পুকুরের ঠান্ডা জল এনে দিয়েছিল।
উত্তরঃ ✅
১.৫ সুনির্মল চক্রবর্তীর লেখা একটি বইয়ের নাম 'কুসুমপুরের শালিক'।
উত্তরঃ ✅
১.৬ ফুলপরিরা তাদের দেশ থেকে অনেক ফুল নিয়ে এসেছিল।
উত্তরঃ ❌
২. একটি বাক্যে উত্তর দাও :
২.১ 'সেটা বলব বলেই তো ডেকেছি তোমায়।' - বক্তা কোন্ কথা বলবেন?
উত্তরঃ বুড়ো চাষি তার ছেলেকে বলবেন সোনা কোথায় লুকোনো আছে।
২.২ 'পুলক' শব্দটি দিয়ে একটি বাক্য রচনা করো।
উত্তরঃ আজ আমার মন খুব পুলকিত, কেননা কালকে আমি আমার পরিবারকে নিয়ে বেড়াতে যাবো।
২.৩ 'নিজের হাতে নিজের কাজ' গল্পের ঘটনাটি কোথায় ঘটেছে?
উত্তরঃ নিজের হাতে নিজের কাজ গল্পের ঘটনাটি কারমাটার স্টেশনে ঘটেছে।
২.৪ 'দুজনে রওনা দিল বনের পথে।' - কোন্ দুজনের কথা এখানে বলা হয়েছে?
উত্তরঃ এখানে দুজন বলতে বাঘ ও শিকারের কথা বলা হয়েছে।
২.৫ 'সারাদিন' কবিতায় শিশুটি খাতায় পাতায় কী কী আঁকে?
উত্তরঃ সারাদিন কবিতায় শিশুটি খাতায় হাতি, ঘোড়া, গাছ, পাখি প্রভৃতির ছবি আঁকে।
২.৬ 'জীবনভর' শব্দের অর্থ কী? শব্দের ব্যবহার করে একটি বাক্য রচনা করো।
উত্তরঃ জীবনভর শব্দের অর্থ সারা জীবন ধরে। আমি জীবনভর বাবা-মার সাথে থাকতে চাই ।
২.৭ 'আমি তবে একশোটা দাঁড় আঁটি,
পাল তুলে দিই চারটে পাঁচটা ছটা -' - কেন কথক এমনটি করতে চায়?
উত্তরঃ কথক এমনটি করতে চান কারণ তিনি সাত সমুদ্র তেরো নদী পেরিয়ে নতুন রাজার দেশে যাবেন।
২.৮ 'সেক্সটান্ট' - এর কাজ কী?
উত্তরঃ সেক্সট্যান্ট যন্ত্রের সাহায্যে সূর্য এবং অন্যান্য নক্ষত্রের কৌণিক উচ্চতা মাপা হয়।
২.৯ 'পর্যটন' কবিতায় মহেশ দাসের গন্তব্য কোথায়?
উত্তরঃ 'পর্যটন' কবিতায় মহেশ দাস এর গন্তব্য হলো সান্টাফে।
২.১০ 'শানুর বাবাই বলছিল কথাটা।' - কথাটি?
উত্তরঃ কথাটি হলো মল্লিক বাবুদের বাগানে নাকি এবার আকাশ ছোঁয়া বাড়ি হবে। গাছপালা পুকুর টুকুর কিছু থাকবে না। সব শহর হয়ে যাবে।
৩. নিজের ভাষায় উত্তর দাও :
৩.১ 'আমরা চাষ করি আনন্দে' কবিতায় প্রকৃতির রূপ কীভাবে ফুটে উঠেছে?
উত্তরঃ 'আমরা চাষ করি আনন্দে' কবিতায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গ্রাম্য প্রকৃতির এক অপূর্ব চিত্র তুলে ধরেছেন। গ্রাম বাংলার কৃষক ও প্রকৃতি যেন একে অপরের পরিপূরক । কৃষকেরা রোদ ও বৃষ্টির মধ্যে সারাদিন চাষ করেন। চষা মাটির গন্ধে ছুটে আশা বাতাসে যেন বাঁশ বাগানের পাতায় গান শুনিয়ে যায়। তরুন কবির মনেও নতুন নতুন ছন্দ জেগে ওঠে। অঘ্রানের সোনার রোদ, পূর্ণিমার চাঁদের আলো ও ধানের শিষের পুলকে, যেন সারা পৃথিবী হেসে ওঠে।
৩.২ 'আমি আর কখনও নিজের কাজ নিজের হাতে করতে সঙ্কুচিত হব না।' - ডাক্তারবাবুর এমন প্রতিজ্ঞা করার কারণ কী?
উত্তরঃ 'নিজের হাতে নিজের কাজ' গল্পে ডাক্তার বাবু কুলিকে পারিশ্রমিক দিতে গিয়ে জানতে পারলেন যে তিনি কুলি নন। তার নাম ঈশ্বর চন্দ্র শর্মা। নাম শুনে ডাক্তার বাবু চমকে উঠলেন এবং লজ্জিত হলেন। এই ভাবে তিনি উপযুক্ত শিক্ষা পেয়ে নিজের হাতে নিজের কাজ করার কথা ভাবলেন।
৩.৩ 'তোমার কী? মানুষ না পিশাচ?' - সোনার একথা বলার কারণ কী?
উত্তরঃ সোনা একথা বলেছিল কারণ যে নদী মানুষের বিভিন্নভাবে উপকার করে চলেছে সেই নদীকেই মানুষ বিভিন্নভাবে দুষিত করেছে।
৩.৪ 'আমরা শুধু যাব মা', তিনজনে' - 'তিনজন' কে কে? তারা কোথায় যেতে চায়?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের "নৌকাযাত্রা" কবিতায় তিনজন বলতে কবি নিজে, আশু এবং শামকে বোঝানো হয়েছে। কবি আশু এবং শ্যামকে সঙ্গে নিয়ে সাত সমুদ্র তেরো নদীর পাড়ে যেতে চান।
৩.৫ 'সংস্কৃতের দিদিমণি নাম রেখেছেন নদীমাতৃকা।' - কেন তিনি এমন নাম রেখেছেন?
উত্তরঃ নদীমাতৃকা কথাটির অর্থ নদী যার মায়ের মত। এখানে দিদিমণি সোনাকে নদীমাতৃকা নামে ডাকেন । কারণ নদী তার মায়ের মত। নদীকে কেউ নোংরা ও অপরিষ্কার করলে বাঘিনীর মত ছুটে এসে নদীকে রক্ষা করে।
৩.৬ 'ভালো তো নয় বাঁকা / সোজা সহজ পথের থেকে।' - কথাটির তাৎপর্য কী?
উত্তরঃ আমরা যদি আমাদের লক্ষ্যে স্থির থাকি তাহলে একদিন ঠিক লক্ষ্যে পৌঁছানো যাবে। কিন্তু তা না করে যদি আমরা অন্য পথে চলে যাই তাহলে কখনোই লক্ষ্যে পৌঁছানো যাবে না। তাই কবি পথ থেকে বাঁকতে মানা করেছেন । সোজা পথে চলার নির্দেশ দিয়েছেন। এই লাইনটির তাৎপর্য এখানেই।
৩.৭ 'তখন পৃথিবী ছিল অনেক সবুজ, অনেক সুন্দর।' - সেই সময়ের কথা 'গাছেরা কেন চলাফেরা করে না' গল্পে কীভাবে ফুটে উঠেছে?
উত্তরঃ আগেকার দিনে ছিল না কোনো যানবাহন। তখন মানুষকে হেঁটে হেঁটে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে হতো। তখন মানুষ নিজেদের বাক্স, পুটলি গাছের ডালে ঝুলিয়ে দিলে গাছ গন্তব্যস্থলে সেসব জিনিস পৌঁছে দিত। এছাড়া বুড়োলোকেরা চলতে না পারলে তাদেরও গাছের ডালে বসিয়ে নিয়ে যেত। তখন গাছ আর মানুষ ছিল একে অপরের বন্ধু। তখন পৃথিবী ছিল অনেক সুন্দর।
৪. শূন্যস্থানে ঠিক বর্ণ বসিয়ে শব্দ তৈরি করো :
৪.৩ প্রতি __________
উত্তরঃ জ্ঞা
৪.২ __________ ঙ্গল
উত্তরঃ জ
৫. নীচের বাক্যগুলোর শব্দ কীভাবে তৈরি লেখো :
৫.১ ধানের শিষে পুলক ছোটে।
৫.২ ছোটো দাওয়া পেরিয়ে তারা ঘরে ঢুকল।
৬. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
৬.১ বাংলা ভাষায় স্বরবর্ণকী কী?
উত্তরঃ অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ, ঋ, এ, ঐ, ও, ঔ
৬.২ দ্বিস্বর কাদের বলা হয়?
উত্তরঃ একসঙ্গে উচ্চারিত দুটি মিলিত স্বরধ্বনিকে দ্বিস্বর বলা হয়। যেমন - আ + ই = আই (যাই, খাই), আ + উ = আউ (লাউ)
আ + ও = আও (যাও,খাও)
৭. বর্ণবিশ্লেষণ করো -
৭.১ আকাঙ্ক্ষা = আ + ক্ + আ + ঙ্ + ক্ + ষ্ + আ
৭.২ স্বাধীমতা = স্ + ব্ + আ + ধ্ + ন্ + অ + ত্ + আ
৮. নীচের শব্দগুলো কী কী বর্ণ দিয়ে তৈরি?
৮.১ আসাবধানি = অ + স্ + আ + ব + ধ্ + ন + ই
৮.২ বিপর্যস্ত = ব্ + ই + প্ + অ + স্ + থ্ + আ + ন্
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
0 মন্তব্যসমূহ