'বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্ন : পরিচিতি ও অনুশীলন' সংক্রান্ত সাধারণ নির্দেশিকা
১. বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নের সম্ভারটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে এই জাতীয় বিভিন্ন নতুন ধরনের প্রশ্নের সঙ্গে শিক্ষার্থীরা পরিচিত হয়।
২. শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন পরীক্ষায় যে যে ধরনের বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে পারে, এই অনুশীলনের মাধ্যমে সেগুলির সঙ্গে তারা অভ্যস্ত হয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
৩. বিদ্যালয় খুললে 'বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্ন : পরিচিতি ও অনুশীলন' - এর উত্তরগুলি অভিভাবক - অভিভাবকদের মাধ্যমে শিক্ষিকা-শিক্ষকদের কাছে জমা দিতে হবে।
৪. প্রয়োজনে বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা-শিক্ষকদের সহায়তা নেওয়া যেতে পারে।
৫. ঘরে বসে খাতায় 'বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্ন : পরিচিতি ও অনুশীলন' - এর উত্তর তৈরি করতে হবে।
ছাত্রছাত্রীরা বাড়িতে নিজের বিষয়ভিত্তিক খাতায় 'বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্ন : পরিচিতি ও অনুশীলন' - এর উত্তর করে অভিভাবক-অভিভাবিকাদের মাধ্যমে শিক্ষিকা-শিক্ষকদের কাছে জমা দেবে। কোনো অবস্থাতেই তারা বাড়ির বাইরে বেরোবে না।
বহুবকল্পভিত্তিক প্রশ্ন : পরিচিতি ও অনুশীলন
বাংলা
অষ্টম শ্রেণি
ভাগ ১ - নীচে দেওয়া অংশটি পড়ো :
কুসুমকুমারী জীবনানন্দের মধ্যে জায়িয়ে তুলেছিলেন কাব্যবোধ, দিয়েছিলেন কবিতা রচনায় প্রেরণা। জীবনানন্দের কাছে মা কুসুমকুমারী ছিলেন 'সেই পল্লবঘন স্নিগ্ধ ছায়াচ্ছন্ন তরুশাখা যাতে লগ্ন হয়ে, একটি কোমল কাতর লতিকা বেড়ে ওঠে, ফুলসম্ভারে বিকশিত হয়।' জীবনানন্দের ছোটো বোন সুচরিতা লিখেছেন, তাঁর (জীবনানন্দের) পাখির পালকের চাইতেও নরম অনুভবের মেদুরতা, বলা যায় মা'র কাছ থেকেই প্রাপ্ত। বাবা যদি দিয়ে থাকেন তাঁকে সৌরতেজ, প্রাণবহ্নি, তবে মা তাঁর জন্যে সঞ্চয় করে রেখেছেন, স্নেহ-মমতার বনচ্ছায়া, মৃত্তিকাময়ী সান্ত্বনা।'
জীবনানন্দের কাব্যপ্রীতি ও কাব্য রচনার আড়ালে রয়েছে মা কুসুমকুমারীর অপরিসীম অনুপ্রেরণা-উৎসাহ। তাই প্রথম দিকে কবিতা লিখেই তিনি মাকে দেখাতেন, মায়ের মতামত নিতেন। চিত্তরঞ্জন দাশ প্রয়াত হওয়ার পর দেশবন্ধুকে নিয়ে যে কবিতাটি জীবনানন্দ লিখেছিলেন, তা ছাপা হওয়ার পর মায়ের কাছে এক কপি পত্রিকাও পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। মা কুসুমকুমারী ফেরত ডাকে পুত্রের উদ্দেশে পাঠিয়েছিলেন সুপরামর্শ, 'চিত্তরঞ্জন সম্বন্ধে লিখেছ, ভালোই করেছ, কিন্তু রামমোহনের ওপর লিখতে বলছি তোমাকে, মহর্ষির ওপরেও।' কুসুমকুমারী দেবী মূলত প্রবাসী, ব্রহ্মবাদী ও মুকুল পত্রিকায় লিখতেন। তাঁর কবিতায় বিষয়-ভাবনার যথেষ্ট বৈচিত্র্য ছিল। পরাধীন ভারতবাসীকে স্বাদেশিকতার মন্ত্রে কবিতার মধ্য দিয়ে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন তিনি। মনীষীজনের উদ্দেশে কবিতায় শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেছেন। এমনকি অনেক সমসাময়িক ঘটনাও তাঁর কবিতার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে। পরবর্তীকালে দেশভাগের কুফল, আর্তমানুষের দুর্দশার কথাও কবিতায় এসেছে। আশাবাদে উজ্বল কুসুমকুমারীর অধিকাংশ কবিতা।
নীচের দেওয়া প্রশ্নগুলির ঠিক উত্তরটিতে গোল দাগ দাও।
1. মহর্ষি নামে খ্যাত
A) রামমোহন রায়
B) চিত্তরঞ্জন দাশ
C) দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
D) জীবনানন্দ দাশ
উত্তরঃ C) দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
2. চিত্তরঞ্জন দাশকে নিয়ে লেখা কবিতাটি জীবনানন্দ তার মাকে পাঠিয়েছিলেন, কারণ
A) তাঁর মা কবিতাটি পড়তে চেয়েছিলেন
B) চিত্তরঞ্জন দাশ ছিলেন তাঁদের আত্মীয়
C) মায়ের আদেশেই তিনি কবিতাটি লিখেছিলেন
D) তিনি তাঁর মায়ের মতামত নিতে চেয়েছিলেন
উত্তরঃ D) তিনি তাঁর মায়ের মতামত নিতে চেয়েছিলেন
3. 'তাঁর কবিতার বিষয়-ভাবনার যথেষ্ট বৈচিত্র্য ছিল।' উদ্ধৃতাংশে যাঁর কথা বলা হয়েছে, তিনি হলেন
A) সুচরিতা দেবী
B) কুসুমকুমারী দেবী
C) বাসন্তী দেবী
D) সারদা দেবী
উত্তরঃ B) কুসুমকুমারী দেবী
4. কাব্যবোধ। - অনুরূপ সমাসবদ্ধ পদের উদাহরণ হলো
A) সুপরামর্শ
B) বনচ্ছায়া
C) স্নেহ-মমতা
D) শ্রদ্ধাঞ্জলি
উত্তরঃ D) শ্রদ্ধাঞ্জলি
5. দেশবন্ধু - দেশের বন্ধু - এটি যে সমাসের উদাহরণ
A) দ্বন্দ্ব সমাস
B) অব্যয়ীভাব সমাস
C) কর্মধারয় সমাস
D) তৎপুরুষ সমাস
উত্তরঃ D) তৎপুরুষ সমাস
Bengali part all
উত্তরমুছুন