বাংলা
সপ্তম শ্রেণি
পূর্ণমান - ৫০
১. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো :
১.১ 'পাগলা গণেশ' গল্পে গণেশের বয়স -
(ক) একশো বছর
(খ) দেড়শো বছর
(গ) একশো পঁচাত্তর বছর
(ঘ) দুশো বছর
উত্তরঃ (ঘ) দুশো বছর
১.২ 'কোকনদ' হলো -
(ক) শ্বেতপদ্ম
(খ) রক্তপদ্ম
(গ) নীলপদ্ম
(ঘ) হলুদ পদ্ম
উত্তরঃ (খ) রক্তপদ্ম
১.৩ 'পাখি সব করে রব রাতি পোহাইল' - কবিতাটির রচয়িতা -
(ক) আশরাফ সিদ্দিকী
(খ) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
(গ) মদনমোহন তর্কালঙ্কার
(ঘ) যোগীন্দ্রনাথ সরকার
উত্তরঃ (গ) মদনমোহন তর্কালঙ্কার
১.৪ শ্রদ্ধেয় রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে রামকিঙ্কর বেইজের পরিচয় হয় -
(ক) মেদিনীপুরে
(খ) বীরভূমে
(গ) বাঁকুড়ায়
(ঘ) কলকাতায়
উত্তরঃ (গ) বাঁকুড়ায়
১.৫ খোকনের বাড়ির সামনেই ছিল একটি -
(ক) বটগাছ
(খ) ইউক্যালিপটাস গাছ
(গ) নারকেল গাছ
(ঘ) বকুল গাছ
উত্তরঃ (খ) ইউক্যালিপটাস গাছ
২. খুব সংক্ষেপে নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
২.১ 'তা আপনার কবিতা শুনছেই বা কে আর পড়ছেই বা কে?' - একথার উত্তরে শ্রোত কী বলেছিল?
উত্তরঃ উপরে উল্লেখিত লাইনটি শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের লেখা পাগলা গনেশ নামক গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে। প্রশ্নে উল্লেখিত প্রশ্নটি পাগলা গণেশ কে করা হয়েছিল।
এই প্রশ্নের উত্তরে শ্রোতা অর্থাৎ পাগলা গনেশ বলেন আকাশ শুনছে, বাতাস শুনছে এবং প্রকৃতি শুনছে। কাগজে লেখা সেই কবিতাগুলি ভাসিয়ে দিচ্ছে বাতাসে যদি কেউ কুড়িয়ে পায় আর সেটা করতে আগ্রহ প্রকাশ করলে তাহলে সে পড়বে।
২.২ 'My Native Land, Good night!' - উদ্ধৃতিটি কার রচনা থেকে নেওয়া হয়েছে?
উত্তরঃ উদ্দীপ্ত লাইনটি মাইকেল মধুসূদন রচিত বঙ্গভূমির প্রতি কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।
My Native Land, Good night!' - উক্তিটি বায়রনের লেখা।
২.৩ 'একুশের কবিতা'য় কোন্ কোন্ গানের সুরের প্রসঙ্গ রয়েছে?
উত্তরঃ আশরাফ সিদ্দিকীর একুশের কবিতা নামক কবিতায় "পাখি সব করে রব" মাতৃভূমি বাংলাদেশ ভাটিয়ালি, জারী সারী এমনকি ছোটবেলায় মায়ের মুখে শোনার নানান গানের কলি প্রভৃতি সুরের প্রসঙ্গ রয়েছে।
২.৪ 'অত বড়ো একজন শিল্পীর কাছে শিক্ষালাভ করেছি, আমার সৌভাগ্য।' - কার স্মৃতিচারণায় কথক একথা বলেছেন?
উত্তরঃ প্রশ্ন উল্লেখিত লাইনটি রামকিঙ্কর বেইজ রচিত আত্মকথা প্রবন্ধ থেকে নেওয়া হয়েছে।
২.৫ 'খোকন অবাক হয়ে গেল।' - কোন্ কথা শুনে খোকন অবাক হলো?
উত্তরঃ লাইনটি বনফুল রচিত খোকনের প্রথম ছবি গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে।
খোকনের বাবার একজন বন্ধুও বিখ্যাত চিত্রকর, তিনি লখনৌ শহরের থাকতেন। একদিন তিনি খোকন দের বাড়িতে এসেছিলেন এবং খোকনের ড্রইং খাতা গুলো দেখে বললেন খোকনের নিজের আঁকা ছবি তো নেই। সব নকল করা ছবি সে যদি ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলে তবে তা আরও নিখুঁত হবে। এই কথাগুলো শুনে খোকন অবাক হয়ে গেল নিজের আঁকা ছবি সে কি করে আঁকবে তা ভেবে।
২.৬ ‘আপনি আমার সঙ্গে ঠাট্টা করছেন’। কোন কথার অবতারণাকে বক্তার ‘ঠাট্টা’ মনে হয়েছে?
উত্তরঃ এই বিশাল হ্রদের জল যদি মেঘ হয়ে যায়, সেই মেঘ থেকে অন্য জায়গায় বৃষ্টি হবে। একসঙ্গে হঠাৎ বৃষ্টি বেড়ে গেলে পৃথিবীর দারুণ কোনো ক্ষতি হয়ে যাবে না!’ কী আর হবে! সাইবেরিয়ায় বড়জোর এক ইঞ্চি বেশি বরফ জমবে! তখন অসীমা হেসে ফেলে বলল, ‘আপনি আমার সঙ্গে ঠাট্টা করছেন।’
২.৭ জেমস এইচ. কাজিস কে ছিলেন?
উত্তরঃ ১৯১১ খ্রিস্টাব্দের পরবর্তী সময় অর্থাৎ ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি দক্ষিণ ভারত পরিক্রমা বেরিয়েছিলেন। সেখানে “থিয়সফিক্যাল কলেজ” এর অধ্যক্ষ এবং রবীন্দ্রনাথের বন্ধু ছিলেন জেমস এইচ. কাজিনস।
২.৮ ‘এ ছবি আমি পরেও দেখেছি’। -কোন্ দৃশ্যবর্ণনা প্রসঙ্গে একথা এসেছে?
উত্তরঃ মুখ ভর্তি পান নিয়ে গলায় বাঁধা হারমোনিয়াম বাজাতে বাজাতে কাজী নজরুল গাইলে- এখানে এই দৃশ্যপটের কথা বলা হয়েছে।
২.৯ ‘তাদের রাজত্ব হের অক্ষুণ্ণ কেমন’ -কাদের রাজত্ব কেন অক্ষুণ্ণ রয়েছে বলে কবি মনে করেন?
উত্তরঃ বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা কবি কামিনী রায় প্রণীত স্মৃতিচিহ্ন নামাঙ্কিত কবিতায় যারা মনে করে বিশাল অট্টালিকা তৈরীর মধ্যে দিয়ে নিজেদের নাম এই ধরণীর বুকে রেখে যাবেন, তারা ভুল করেছেন। কেননা আর্থিক সমৃদ্ধির কারণে কোন মানুষ পৃথিবীতে নিজের নাম স্থায়ী করে রাখবেন এটা আদৌ সম্ভব নয়। তাই তাদের রাজত্ব অক্ষুন্ন থাকবে না ।
২.১০ ‘নীরব এখানে অমর কিষাণপাড়া’। – কিষাণপাড়াকে ‘অমর’ বলা হয়েছে কেন?
উত্তরঃ উদ্ধৃত কবিতাংশটি গৃহীত হয়েছে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য প্রণীত চিরদিনের কিষাণপাড়ার প্রকৃতি এবং মানুষের জীবন শান্ত। কোনোরকম ব্যস্ততা সেখানে নেই,নেই কোন কোলাহল। দুর্ভিক্ষের পরেও কিষাণপাড়ায় মানুষ আবার কাজের মধ্য দিয়ে জেগে ওঠে। নিজ নিজ পেশায় কাজ করে চলে। কোনোরকম ব্যস্ততা সেখানে নেই,নেই কোন কোলাহল। দুর্ভিক্ষের পরেও কিষাণপাড়ায় মানুষ আবার কাজের মধ্য দিয়ে জেগে ওঠে। নিজ নিজ পেশায় কাজ করে চলে। দুর্ভিক্ষের হতাশা বা বিপন্নতা এখানে জীবনকে থামিয়ে দিতে পারে না। তাই কিষাণপাড়াকে কবি অমর বলেছেন।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
৩.১ 'জীবন হবে পদ্যময়' - জীবন কীভাবে পদ্যময় হয়ে উঠবে বলে কবি মনে করেন?
উত্তরঃ বিখ্যাত কবি অজিত দত্তের ছন্দে শুধু কান রাখো কবিতার কবি সমগ্র কবিতাতেই ছন্দের প্রতি মনোযোগ দেওয়ার কথা বলেছেন।
কোভিদ মতে পরিবেশ অহরহই ঘটে চলেছে কোনো না কোনো ঘটনা। কোন টি প্রাকৃতিক আবার কোনোটি যান্ত্রিক। কিন্তু প্রতিটি ঘটনারই রয়েছে নির্দিষ্ট ছন্দ। সঠিকভাবে আমরা মনোনিবেশ করতে পারি না তাই আমাদের জীবনে প্রকৃত আনন্দ থাকে না। একাগ্রচিত্তে কান পেতে পরিবেশের ছন্দ বুঝতে পারলে কোভিদ মতে আমাদের জীবনটা আনন্দে পরিপূর্ণ অর্থাৎ পদ্যময় হয়ে উঠবে।
৩.২ 'কুতুব মিনারের কথা' রচনাংশ অনুসরণে কুতুব মিনারের নির্মাণ শৈলীর বিশিষ্টতা আলোচনা করো।
উত্তরঃ কুতুবমিনার এর পূর্ববর্তী কালীন অন্য কোন মিনারে নিদর্শন শুধুই এদেশের নয় ইরান তুরানেও নেই। এটি সম্রাট কুতুবউদ্দিন আইবেক নির্মিত এক বিজয় স্তম্ভ। কুতুব পাঁচতলার নির্মাণ। প্রথম তলায় আছে বাঁশি ও কোণ এর নকশা। কুতুবে দ্বিতীয় তলায় আছে শুধু বাঁশি আর তৃতীয় তলায় শুধু কোনের নকশা। চতুর্থ ও পঞ্চম তলা তে কি ছিল তা জানা সম্ভব নয় কারণ তা বজ্রাঘাতে ভেঙে গিয়েছিল। মিনারটির গায়ে কারুকার্য অতি অদ্ভুত। সমস্ত মিনার থেকে কোমর বন্ধন এর মতো ঘিরে রয়েছে সারি সারি লতাপাতা ফুলের মালা এবং চক্রে নকশা আর দেয়ালে আরবি লেখার সারি। গোটা মিনারটির পরিকল্পনা মুসলমানদের আর যাবতীয় কারুকার্য রয়েছে হিন্দুদের। তাছাড়া কুতুব মিনারের মিনার এর গুলি অপ্রতিদ্বন্দ্বী।
৪. নির্দেশ অনুসারে উত্তর দাও :
৪.১ 'খাটি দেশি শব্দ' বলতে কী বোঝ?
উত্তরঃবাংলা ভাষাভাষীদের ভূখন্ডে অনেক আদিকাল থেকে যারা বাস করতো, সেইসব আদিবাসীদের ভাষায় যে সব শব্দ বাংলা ভাষায় গৃহীত হয়েছে, সে সব শব্দকে বলা হয় খাঁটি দেশি শব্দ।
৪.২ 'তদ্ভব শব্দ' কীভাবে গড়ে উঠেছে?
উত্তরঃ বাংলা ভাষা গঠনের সময় প্রাকৃত বা অপভ্রংশ থেকে যে সব শব্দ পরিবর্তিত হয়ে বাংলা ভাষায় গৃহীত হয়েছিল, সেগুলোকেই বলা হয় তদ্ভব শব্দের মূল অবশ্যই সংস্কৃত ভাষায় থাকতে হবে। অর্থাৎ যে সব শব্দ সংস্কৃত থেকে পরিবর্তিত হয়ে প্রাকৃত বা অপভ্রংশে ব্যবহৃত হয়েছিলো, পরে আবার প্রাকৃত থেকে পরিবর্তিত হয়ে বাংলায় গৃহীত হয়েছে, সেগুলোকেই বলা হয় তদ্ভব শব্দ। এভাবেই তদ্ভব শব্দ গোরে উঠেছে।
৪.৩ অর্ধ-তৎসম বা ভগ্ন-তৎসম শব্দের দুটি উচ্চারণে দাও।
উত্তরঃ কুৎসিত > কুচ্ছিত
গৃহিণী > গিন্নী
৪.৪ 'বাঙালি পদবির ইংরেজ ধরনের উচ্চারণে হ্রস্বস্বরচিহ্ন হবে।' - উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ গাঙ্গুলি (গাঙ্গুলী দীর্ঘকার হবে না)
চ্যাটার্জি ( চ্যাটার্জী দীর্ঘকার হবে না)
৪.৫ তদ্ভব ও অর্ধ-তৎসম শব্দের পার্থক্য একটি উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দাও।
উত্তরঃ
৫. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
৫.১ ‘ঋ, র, য এই তিন বর্ণের পরের শব্দের মধ্যে ন>ণ হয়”। প্রতিক্ষেত্রে একটি করে উদাহরণ দাও।
উত্তর- ঋণ, বর্ণ, স্মরণ, বরণ, তৃণ, 1 রণ, বরণ, তৃণ, শীর্ণ , ঘৃণা ইত্যাদি |
৫.২ ‘পিতৃ ও মাতৃ শব্দের সঙ্গে স্বসৃ শব্দের যোগ হলে স্বসৃ শব্দের প্রথম স্ হয় যাঁ। উদাহরণ দাও।
উত্তর- মাতুঃষ্বাসা বা মাতৃষ্বাসা [ মাতুঃ + স্বস্, মাতৃ + স্বস্ ] – এর বাংলা অর্থ হলো
– মায়ের ভগিনি , মাসি |
পিতৃম্বাসা( পিতৃ + স্বস্)- এর বাংলা অর্থ হলো- বাবার ভাই- কাকু, জেঠু।
৫.৩ ভাবপ্রকাশক ধ্বন্যাত্মক শব্দের প্রয়োগে একটি বাক্য রচনা করো।
উত্তর- কনকনে শীত আমি একদম পছন্দ করি না। (এখানে কনকনে হলো ভাবপ্রকাশ ধন্যাত্মক শব্দ)।
৫.৪ শূণ্যস্থান পূরণ করো : ___________ > তিত > তেতো।
উত্তরঃ
৫.৫ বানান সংশোধন করো : পূরষ্কার
উত্তরঃ পুরষ্কার
৬. পত্র রচনা করো :
তোমাদের অঞ্চলে একটি পাঠাগার স্থাপনের অনুরোধ জানিয়ে ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকের কাছে একটি আবেদনপত্র লেখো।
উত্তরঃ
মাননীয় / মাননীয়া
গ্রামঃ
পোস্টঃ
জেলাঃ
বিষয়ঃ ******* পাড়ায় একটি পাঠাগার স্থাপনের জন্য আবেদন।
মহাশয় / মহাশয়া,
আপনার নিকট সম্মানপূর্বক বনীত নিবেদন এই যে, আমাদের ******** পাড়ায় উচ্চবিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীসহ জনসংখ্যা প্রায় দশ হাজারের ওপরে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হচ্ছে, এখানে কোনো পাঠাগার নেই। শিক্ষার্থীদের জ্ঞানচর্চা, মানসগঠন ও সৃজনশীল চেতনা বিকাশে একটি পাঠাগার খুবই প্রয়োজন। তাছাড়া এলাকায় দৈনিক পত্রিকা ও সাময়িক পত্র-পত্রিকা পড়ারও কোনো ব্যবস্থা নেই। এখানে একটি পাঠাগার হলে তরুণরাও তাদের অলস সময়কেই জ্ঞানচর্চা, মানসগঠন ও সৃজনশীল চেতনা বিকাশে একটি পাঠাগার খুবই প্রয়োজন। তাছাড়া এলাকায় দৈনিক পত্রিকা ও সাময়িক পত্র-পত্রিকা পড়ারও কোনো ব্যবস্থা নেই। এখানে একটি পাঠাগার হলে তরুণরাও তাদের অলস সয়ককে জ্ঞানচর্চার মতো প্রয়োজনীয় কাজে ব্যয় করতে পারবে।
অতএব, ********** পাড়ায় সকল বয়সের জনসাধারনের উপকারের কথা বিবেচনা করে অতিসত্ত্বর এখানে একটি পাঠাগার স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আপনাকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।
ধন্যবাদান্তে
গ্রামের অধিবাসীদের পক্ষ থেকে
স্থানঃ
তারিখঃ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
0 মন্তব্যসমূহ