পরিবেশ ও বিজ্ঞান
ষষ্ঠ শ্রেণি
পূর্ণমান - ৫০
১. ঠিক উত্তর নির্বাচন করো :
১.১ সিঙ্কোনা গাছের ছাল থেকেপাওয়া যায় -
(ক) রজন
(খ) কুইনাইন
(গ) রবার
(ঘ) আঠা
উত্তরঃ (খ) কুইনাইন
১.২ কৃষিক্ষেত্রে সার হিসেবে যা ব্যবহৃত হয় তা হলো -
(ক) নুন
(খ) ম্যালাথায়ন
(গ) কার্বারিল
(ঘ) ইউরিয়া
উত্তরঃ (ঘ) ইউরিয়া
১.৩ কার্বন টেট্রোক্লোরাইডের সংকেত হলো -
(ক) CCl
(খ) CCl2
(গ) CCl4
(ঘ) CCl3
উত্তরঃ (গ) CCl4
১.৪ হেমাটাইট যে ধাতুর আকরিক তা হলো -
(ক) সোনা
(খ) তামা
(গ) লোহা
(ঘ) অ্যালুমিনিয়াম
উত্তরঃ (গ) লোহা
১.৫ আয়তন পরিমাপের একক হলো -
(ক) গ্রাম
(খ) সেন্টিমিটার
(গ) বর্গ সেন্টিমিটার
(ঘ) ঘন সেন্টিমিটার
উত্তরঃ (ঘ) ঘন সেন্টিমিটার
১.৬ অবিশুদ্ধ রক্ত হলো -
(ক) যে রক্তে কেবল CO₂ থাকে
(খ) যে রক্তে O₂ এর তুলনায় CO₂ বেশী থাকে
(গ) যে রক্তে কেবল O₂ থাকে
(ঘ) যে রক্তে CO₂ এর তুলনায় O₂ বেশি থাকে
উত্তরঃ (খ) যে রক্তে O₂ এর তুলনায় CO₂ বেশী থাকে
১.৭ যেটি আগ্নেয়শিলা তা হলো -
(ক) চুনাপাথর
(খ) বেলেপাথর
(গ) মার্বেল পাথর
(ঘ) গ্রানাইট।
উত্তরঃ (ঘ) গ্রানাইট।
১.৮ দৈর্ঘ্য পরিমাপের ক্ষুদ্রতম এককটি হলো -
(ক) ডেকামিটার
(খ) ডেসিমিটার
(গ) মিটার
(ঘ) মিলিমিটার।
উত্তরঃ (ঘ) মিলিমিটার।
১.৯ মানুষের বুড়ো আঙুলে যে ধরনের অস্থিসন্ধি দেখা যায় সেটি হলো
(ক) পিভট সন্ধি
(খ) হিপ্প সন্ধি
(গ) স্যাডল সন্ধি
(ঘ) বল এবং সকেট সন্ধি।
উত্তরঃ (গ) স্যাডল সন্ধি
২. শূন্যস্থান পূরণ করো :
২.১ সাগরকুসুম আর _________ মাছের মধ্যে মিথোজীবী সম্পর্ক দেখা যায়।
উত্তরঃ ক্লাউন
২.২ কোনো কঠিন পদার্থের বড়ো টুকরোকে ভেঙে ছোটো করা হলে ছোটো টুকরোগুলোর উপরিতলের মোট ক্ষেত্রফল বড়োটার উপরিতলের ক্ষেত্রফলের তুলনায় _________ যায়।
উত্তরঃ কমে
২.৩ রান্নার বাসনের হাতলে প্লাস্টিকের আস্তরণ দেওয়ার কারণ হলো ধাতুর চেয়ে প্লাস্টিকের তাপ পরিবহণের ক্ষমতা ___________।
উত্তরঃ কম
৩। ঠিক বাক্যের পাশে ✅ আর ভুল বাক্যের পাশে ❌চিহ্ন দাও :
৩.১ কোনো স্প্রিংকে চাপ দিয়ে সংকুচিত করা হলে তার মধ্যে গতিশক্তি সঞ্চিত হয়।
উত্তর: ভুল ।
৩.২ কোনো তরলের প্রবাহিত হওয়ার বেগ বাড়লে সেই তরলের মধ্যের চাপ বেড়ে যায়।
উত্তর: ভুল।
৩.৩ লিগামেন্ট পেশির সঙ্গে হাড়কে যুক্ত করে।
উত্তর: ভুল।
৪. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :
৪.১ SI পদ্ধতিতে বলের একক কী?
উত্তরঃ SI পদ্ধতিতে বলের একক নিউটন।
৪.২ জলের গভীরে গেলে তরলের চাপ কীভাবে পরিবর্তিত হয়?
উত্তরঃ জলের গভীরে গেলে তরলের উচ্চতা বাড়ায় তরলের চাপ বৃদ্ধি পায়।
৪.৩ মানবদেহের কোথায় অচল অস্থিসন্ধি দেখা যায়?
উত্তরঃ আমরা জানি, চাপ=বল/ক্ষেত্রফল
=৯০/০৯ নিউটন/বর্গমিটার।
=৯০×১০০/৯ নিউটন/বর্গমিটার
=১০০ নিউটন/বর্গমিটার
অতএব নির্ণেয় চাপের পরিমাণ=১০০ নিউটন/বর্গমিটার।
৫. একটি বা দুটি বাক্যে উত্তর দাও :
৫.১ "বিভিন্ন প্রাণীদের থেকে জামাকাপড় তৈরির উপাদান পাওয়া যায়" - উদাহারণের ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ বিভিন্ন প্রাণীদের কাছ থেকে আমরা জামাকাপড় তৈরীর যে যে উপাদানগুলি পায় তা হলো -
ভেড়া, ছাগল, চমরি গাই থেকে যে পশম পাই তা থেকে শীতকালের জন্য পোশাক তৈরী করা হয়। রেশম মাদার গঁটি বা কোকুন থেকে রেশম সুতো পাওয়া যায়। এই সুতো থেকে শিল্ক পাওয়া যায় যা কাপড় তৈরীর কাজে ব্যবহার করা হয়।
৫.২ জল ও বালির মিশ্রণ থেকে কী কী উপায়ে বালিকে পৃথক করা যায়?
উত্তরঃ জল ও বালির মিশ্রন থেকে যে যে উপায়ে বালিকে পৃথক করা যায়, সেগুলি হল -
(ক) পরিস্রাবন প্রক্রিয়াতে ফিল্টার কাগজের সাহায্যে জল ও বালির দ্রবন থেকে বালিকে ছেঁকে নেওয়া যায়।
(খ) তাপ দিলে বালি আর জল আলাদা হয়ে যাবে। কারণ বালির স্ফূটনাঙ্ক ২২৩০ ডিগ্রী সেলসিয়াস আর জলের স্ফুটনাঙ্ক ১০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস হয়ে থাকে। তাই তাপ দিলে সহজেই জল বাষ্প হয়ে উড়ে যাবে আর পরে থাকবে শুধু বালি।
(গ) বালি ও জলের দ্রবনকে কিছুক্ষণ রেখে দিলে জলের নীচে থিতিয়ে পড়বে। এবার ওপরের পরিষ্কার জল ঢেলে নেওয়া যায়। তবে এক্ষেত্রে বালিকে সম্পূর্ণভাবে পৃথক করা যায় না।
(ঘ) তাপ না দিয়ে আরও একটি সহজ উপায়ে আলাদা করা যায় ত হচ্ছে বাষ্পীভবন প্রক্রিয়া। এর জন্য শুধু জল মেশানো বালি রোদে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য রেখে দিলেই হবে।
(ঙ) সর্বশেষে উপায়টি হল কাপড়ের সাহায্যে ছেঁকে বালিকে জল থেকে আংশিক ভাবে পৃথক করা যায়।
৫.৩ 0.09 বর্গমিটার ক্ষেত্রফলে 90 নিউটন বল প্রযুক্ত হলে যে পরিমাণ চাপ সৃষ্টি হবে তা নির্ণয় করো।
উত্তরঃ আমরা জানি চাপ = বল ÷ ক্ষেত্রফল
অর্থাৎ, চাপ = 90 ÷ 0.09 নিউটন / বর্গমিটার
চাপ = 1000 টন / বর্গমিটার।
৫.৪ রক্তের কাজ কী কী?
উত্তরঃ রক্তের কাজ গুলি হল:-
(১) জীবাণুদের বিরুদ্ধে দেহে রোগ প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
(২) দেহের তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখা
(৩) খাবার হজমের পর দরকারই খাদ্য কোনগুলি শরীরের আনাচে কানাচে পৌঁছে দেওয়া।
৫.৫ 'ভোতা ছুরিতে সবজি কাটা শক্ত' – চাপের ধারণা প্রয়োগ করে কারণ ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: ভোঁতা চুরির ভোঁতা প্রান্তের ক্ষেত্রফল ধারালো ছুরির ধারালো প্রান্তের চেয়ে বেশি।
আমরা জানি , চাপ= বল ÷ ক্ষেত্রফল ।
অর্থাৎ, চাপ , ক্ষেত্রফলের সাথে ব্যস্তানুপাতিক । তাই ভোঁতা চুরিতে একই বল প্রয়োগ করলেও কম চাপ প্রযুক্ত হয়। ফলে, ভোতা ছুরিতে সবজি কাটা শক্ত।
৫.৬ মানবদেহে কীভাবে ফুসফুস থেকে বিশুদ্ধ রক্ত বাম নিলয়ে পৌঁছোয়?
উত্তর: বাম অলিন্দ ও ডান অলিন্দ রক্ত দ্বারা পূর্ণ হলে সংকুচিত হতে শুরু করে। তখন বাম নিলয় ও ডান নিলয় প্রসারিত হতে শুরু করে । তখন ডান অলিন্দের রক্ত ত্রিপত্র কপাটিকার (ট্রাইকাসপিড ভালভ) মধ্য দিয়ে ডান নিলয়ে এবং বাম অলিন্দের রক্ত দ্বিপত্রক কপাটিকার মধ্য দিয়ে বাম নিলয়ে পৌছায়।
৫.৭ জলে গোলার পরে চিনিতে আর চোখে দেখা যাচ্ছে না। কী পরীক্ষা করলে তুমি বলতে পারবে যে চিনি হারিয়ে যায়নি, ঐ দ্রবণেই আছে।
উত্তরঃ উর্ধ্বপাতন বা কেলাসন পরীক্ষা দ্বারা প্রমাণ করা যাবে যে জল ও চিনির দ্রবণে চিনি দ্রবণের মধ্যে আছে , হারিয়ে যায়নি।
৬. তিন-চারটি বাক্যে উত্তর দাও :
৬.১ "স্ট্রেপ্টোমাইসেস হলো উপকারী ব্যাকটেরিয়া" - বক্তব্যটির যথার্থতা ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ ঠিক যে যে কারণে স্ট্রেপ্টোমাইসেসকে উপকারী ব্যাকটেরিয়া হলা হয় তা হলো -
প্রথমত, যে রোগী বিভিন্ন রকমের ত্বকের রোগে ভোগেন তাদের চিকিৎসা করার জন্য স্ট্রেপ্টোমাইসিস ব্যাকটেরিয়ার ব্যবহার করা হয়।
দ্বিতীয়ত, স্ট্রেপ্টোমাইসিস ব্যাকটেরিয়া দিয়ে বিভিন্ন জীবানুনাশক ঔষধ তৈরী করা হয়।
তৃতীয়ত, ফল, শাকসবজি, বীজ এবং ফসলের ব্যাকটেরিয়ায় রোগ নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত হয়।
৬.২ জলে দ্রবীভূত হওয়ার পরে নুনকে সেই দ্রবণ থেকে ফিরে পেতা হবে। এই কাজে কোন্ পদ্ধতিটি - পরিস্রাবণ, না পাতন - অনুপযুক্ত এবং কেন?
উত্তরঃ জলের দ্রবীভূত হওয়ার পর নুনকে সেই দ্রবণ থেকে ফিরে পেতে হবে। এই কাজে পরিস্রাবন পদ্ধতিটি অনুপযুক্ত। কারণ, নুন জলে গোলার পর নুনের কণার মাপ এতটাই ছোটো হয়ে যায় যে, সেই কণাগুলি খুব সহজে ফিল্টার কাগজের ছিদ্রের মধ্য দিয়ে বেরিয়ে যায়। এর ফলে ফিল্টার কাজজের সাহায্যে নুনের কণাকে জল থেকে আলাদা করা যায়না। সেজন্য পরিস্রাবণ প্রক্রিয়া এক্ষেত্রে অনুপযুক্ত।
৬.৩ বল বলতে কী বোঝায় ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ কোন একটি বস্তুকে গতিশীল করতে বা গতিশীল বস্তুর বেগ বাড়াতে, কমাতে বা শূন্য করে দিতে বা গতির দিক বদল করতে বাইরে থেকে যা প্রয়োগ করা হয় তাই হল বল। যেমন ড্রয়ার টেনে খোলা ও ঠেলে বন্ধ করা, গড়িয়ে আসা ফুটবলকে পা দিয়ে আটকানো, স্থির থাকা টেবিল কে টেনে সরানো। এই রকম নানা কাজে আমাদের কখনো জিনিস টানতে বা কখনো ঠলতে হয়। এই টানা বা ঠেলা এক প্রকার বল।
৬.৪ মানবদেহে প্রশ্বাস আর নিশ্বাস প্রক্রিয়া কীভাবে ঘটে?
উত্তরঃ মানবদেহে পাঁজরের ফাকে পাঁজর পেশী এবং বুক আর পেটের মাঝখানে ভেতরে আছে মধ্যচ্ছদা। এগুলি সাহায্যে একবার আমাদের বুকের খাচা ফুলিয়ে তোলা হয় তখন বাতাস ভেতরে ঢুকে। একে বলে প্রশ্বাস আবার এপিসি ভুলে গিলে হয়ে গেলে বুকের খাচা চুপসে যায়। আর বাতাস ভেতর থেকে বেরিয়ে যায়। একে বলে নিঃশ্বাস।
৬.৫ "সমস্ত জীবাশ্ম জ্বালানির মূলেই আছে সূর্যের শক্তি" – ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: সূর্যের সৌরশক্তি খাদ্যের মধ্যে বা উদ্ভিদ দেহে রাসায়নিক শক্তি বা স্থিতি শক্তি রূপে জমা থাকে। বহু কোটি বছর আগের গাছপালার অবশেষ মাটির নিচে চাপা পড়ে ধীরে ধীরে গরমে আর চাপে কয়লায় পরিণত হয়। আবার উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহাবশেষ পাললিক শিলার নিচে থাকতে থাকতে বহু কোটি বছর ধরে পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাসে পরিণত হয়। পেট্রোলিয়াম থেকেই আমরা ডিজেল-পেট্রোল বা কেরোসিন ইত্যাদি জ্বালানি পাই। তাহলে কয়লা বা পেট্রোলিয়ামে জড়ো হওয়া শক্তির উৎস হল সূর্য।
৬.৬ তোমার বন্ধুর ওজন 60 কেজি আর উচ্চতা 4.5 ফুট। তোমার ঐ বন্ধুর দেহভর সূচক নির্ণয় করো। তোমার বন্ধুর দেহভর সূচক সম্বন্ধে তোমার মতামত লেখো।
উত্তর: আমরা জানি , দেহভর সূচক (BMI) = দেহের ওজন ( কেজি এককে) ÷ দেহের উচ্চতার বর্গ ( বর্গ মিটার এককে)
4.5 ফুট = 4.5 × 0.3048 মিটার = 1.37 মিটার
আমার বন্ধুর দেহভর সূচক
= 60 ÷ (1.37)2
= 60 ÷ 1.88
= 31.91
দেহভর সূচক 30 - 40 বা তার বেশি হলে তা মোটা হয়ে যাওয়া বা স্থূলত্বের নির্দেশ করে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
0 মন্তব্যসমূহ