ষষ্ঠ শ্রেণি
ইতিহাস সাজেশন
সপ্তম অধ্যায়
অর্থনীতি ও জীবনযাত্রা
আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে থেকে খ্রিস্টীয় সপ্তম শতকের প্রথম ভাগ
সূচনা :
ইতিহাসের দিকে আমরা দৃষ্টি রাখলে দেখব যে ইতিহাসের প্রতিটি পর্বেই অর্থনীতি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান লাভ করে। ইতিহাস বয়ে নিয়ে চলার পথে এই অর্থনীতির ভূমিকা অনস্বীকার্য। তেমনি ইতিহাসের প্রতি পর্বে সামাজিক জীবন যাত্রার মান ভিন্ন। কালের পরিবর্তনের সাথে সাথে সমাজের যে পরিবর্তন ঘটে তাই জীবন যাত্রার মান পাল্টে দেয়। সাধারণ মানুষকে নিয়ে সমাজ তৈরি হয়। তাদের কাজ কর্মের ফলেই সম্পদ তৈরি হয়, সেই সম্পদ কাদের হাতে জমা হয়? তা জমা হয় রাজাদের হতে, তাই আমরা পড়বো সমাজ অর্থনীতি সাধারণ মানুষের কথা।
৭.১ খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে থেকে খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতক : ষোড়শ মহাজনপদের আমল :
এই সময়কালে জনসাধারণের প্রধান জীবিকা ছিল পশুপালন ও কৃষি। এই সময়ে রাজার জমির পাশাপাশি ব্যক্তিমালিকানায় জমি চাষ করা শুরু হয়। যার কথা আমরা অশোকের শিলালিপিতে পেয়ে থাকি। চাষের কাজে এই যুগে জলসেচ ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল এবং সেই উদ্দেশ্যে বিভিন্ন খাল ও কূপ খনন করা হয়েছিল। অর্থনীতির ক্ষেত্রে এই যুগে কৃষির পাশাপাশি ব্যবসা বাণিজ্য, শিল্পেও অভাবনীয় উন্নতি ঘটে। শিল্পী ও ব্যবসায়ীদের নিগম বা বাণিজ্যিক সংস্থার মাধ্যমে ভারতের শিল্প গড়ে ওঠে। জলপথে ও স্থলপথে অন্তর্দেশীয় বাণিজ্য ও বৈদেশিক বাণিজ্য হত। এই ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে মৌর্য, গুপ্ত, সাতবাহন রাজারা প্রবল উৎসাহ প্রকাশ করেন এবং ব্যবসা-বাণিজ্য লেনদেনের জন্য বিভিন্ন প্রকার সোনা, রুপো ও তামা মুদ্রার প্রচলন ঘটায়।
উত্তর ভারতের কাল চকচকে মাটির পাত্র :
গৌতম বুদ্ধের সময়ে একরকম মাটির পাত্র বানানো শিল্প খুবই উন্নত হয়েছিল। প্রত্নতাত্ত্বিকরা যেগুলিকে উত্তর ভারতের কাল চকচকে মাটির পাত্র বলতেন। এই পাত্রগুলো আগের আমলের ধূসর মাটির পাত্র গুলি থেকে উন্নত। খুব ভালো মানের মাটি দিয়ে এই পাত্রগুলো তৈরি হতো। কুমোরের চাকার ব্যাপক ব্যবহারের ফলে এই পাত্র বানানো সহজ হয়। পাত্র গুলির প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল, সেগুলি আয়নার মত চকচকে। মাটির পাত্র গুলিকে ভালো চুল্লির আছে কুড়িয়ে কালো করা হতো। পোড়ানোর পর পাত্রগুলো পালিশ করা হতো। এই মাটির পাত্রের মজির হিসেবে খালা ও নানা রকমের বাটি পাওয়া গেছে।
৭.২ আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতকের শেষভাগ থেকে খৃষ্টপূর্ব দ্বিতীয় শতকের প্রথম ভাগ : মৌর্য আমল :
মৌর্য আমল করবে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মানের দিক থেকে নানা পরিবর্তন আসে। পুরুষপ্রধান সমাজ হলেও নারীরাও বিভিন্ন কাজে অংশগ্রহণ করত, এমনকি তারা সেনাবাহিনী ও গুপ্তচর রূপেও কাজ করতো নিদর্শন আমরা অর্থশাস্ত্রে পেয়ে থাকি। খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকের পর যে সকল নগর গড়ে ওঠে সেখানে শাসক ও ব্যবসার কাজে নিযুক্ত মানুষরাই বসবাস করত।
মেগাস্থিনিস এর চোখে ভারতীয় উপমহাদেশের সমাজ :
মেগাস্থিনিস ভারতীয় উপমহাদেশে সমাজের চারটি বর্ণের কথা জানতেন না। তবে পেশাদার বা বৃত্তিজীবী নানা জাতি তিনি দেখেছিলেন। তার মতে ভারতের জনসমাজ সাতটি জাতিতে বিভক্ত ছিল। যেমন - ব্রাহ্মণ বা পণ্ডিত, কৃষক, পশুপালন ও শিকারি, শিল্পী ও ব্যবসায়ী, যোদ্ধা, গুপ্তচর বা পর্যটক এবং সচিব বা মন্ত্রী। মেগাস্থিনিস বলেছেন যে ভারতের দাসপ্রথা ছিল না।
মেগাস্থিনিস এর মতে প্রাচীনকালে ভারতবাসিরা নগরে বাস করত না। তারা কখনও অন্যকোনো জাতিকে আক্রমণ করে না। অপর জাতিরাও ভারতবাসীদের আক্রমন করত না। আলেকজান্ডারই একমাত্র যিনি ভারত বর্ষ আক্রমণ করেন। মেগাস্থিনিস এর মতে ভারতে কখনো দুর্ভিক্ষ হয়নি। তবে মেগাস্থিনিস এর সব কথা গুলি ঠিক নয়।
৭.৩ আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতক থেকে খ্রিস্টীয় চতুর্থ শতকের প্রথম ভাগ পর্যন্ত : কুষাণ আমল :
৫০০ বছরের ভারতীয় উপমহাদেশের অর্থনীতি ও সমাজের নানা পরিবর্তন দেখা যায়। কৃষিকাজ ছাড়াও ব্যবসা-বাণিজ্য সেই সময় উন্নতি লাভ করেছিল। তবেই এই সময় সমাজে বর্ণাশ্রম ও চতুরাশ্রম প্রথা কঠর ছিল। প্রাত্যহিক একগুঁয়েমি কাটিয়ে ওঠার জন্য মানুষ নানা বিনোদনের আয়োজন করত ও তাতে অংশ নিতো। এর মধ্যে ছিল পাশা খেলা, ধনুক চালানো, ঘোড়া দৌড়, কুস্তি, নাচ, গান, অভিনয় প্রভৃতি। এছাড়া বছরের বিভিন্ন সময়ে বড় বড় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হতো যেখানে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিনা পয়সায় খাবার ও পানীয় বিলি করা হতো। অর্থনৈতিক ও সামাজিক জীবন যাত্রার দিক দিয়ে এইভাবে এই পর্বটি ইতিহাসে এক উচ্চ পর্যায়ে দাঁড়িয়েছিল।
প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশের জলসেচ ব্যবস্থা :
কৃষি কাজের অনুমতির জন্য প্রয়োজন ভালো সেচ ব্যবস্থা। প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশে শাসকরা সেদিকে নজর দিতেন। নদীর জল সেচের মাধ্যমে ক্ষেতে পৌঁছে দিতে নানান উদ্যোগ নেওয়া হতো। জলসেচ প্রকল্প গুলি কে সেতু বলা হত। এই সেতু ছিল দুই ধরনের। এক ধরনের সেতু প্রাকৃতিক জলের উৎস কে ভিত্তি করে থাকতো। আবার কৃত্তিম উপায়ে কোন এলাকা থেকে প্রয়োজনীয় জল আনিয়েও সেতু বানানো হতো। সেতুর জল ব্যবহার করার জন্য কৃষকদের জল করও দিতে হতো। ধনী ব্যক্তিরা ও নিজেদের উদ্যোগে জলসেচ প্রকল্প তৈরি করতেন।
কুষান আমলে সেতুর ক্ষতি করলে শাস্তি দেওয়ার কথাও জানা যায়। কূপ বা জলাশয় বানিয়ে দেওয়া ভাল কাজ বলে ধরা হতো। সেচ কাজে এক ধরনের যন্ত্রের ব্যবহার শুরু হয়। যন্ত্রটি চাকার মত, তার গায়ে ঘটি লাগানো থাকত। বড় কূপ বা জলাশয়ে যন্ত্রটি বসানো হতো। চাকাটি ঘুরিয়ে ঘটি গুলো দিয়ে কুপের জল বাইরে আনা হতো। ওই যন্ত্র বানানো ও সারানোর কারিগরও ছিল।
গুপ্ত আমলে কৃষিকাজ বাড়ার সঙ্গে সেচ ব্যবস্থার উন্নতির যোগাযোগ দেখা যায়। তাম্রলেখগুলিতে গ্রামে পুকুর বা তড়াগ খোঁড়ার কথা পাওয়া যায়। সেচের উন্নতিতে রাজা নজর দিতেন। পাশাপাশি ধনী ব্যক্তিরাও নিজেদের উদ্যোগে জল সেচের ব্যবস্থা করে দিতেন।
সুদর্শন হ্রদ :
প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশে রাজকীয় উদ্যোগকে জলসেচ ব্যবস্থার একটি প্রধান উদাহরণ সুদর্শন হ্রদ। মৌর্য আমলের থেকে গুপ্ত আমল পর্যন্ত ঔ হ্রদের ব্যবহার ছিল। চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের শাসন কালে কাথিয়াওয়াড় অঞ্চলে এই হ্রদ বানানো হয়েছিল। ওয়াড় কথার মানে শহর। এটি একটি নদীভিত্তিক বড় মাপের সেচ প্রকল্প। অশোকের শাসন কালে সেচ প্রকল্পটিতে কয়েকটি সেচ খালও যোগ করা হয়। শক শাসক রুদ্রদামন এই হ্রদটির সংস্কার করেন। বাঁধটিকে আরো বড় ও শক্ত করা হয়। এই পুরো কাজের বর্ণনা রুদ্রদামন জুনাগর একটি শিলালেখতে খোদাই করেছিলেন। গুপ্ত সম্রাট স্কন্দ গুপ্তের শাসনের প্রথম বছরেই আবার হ্রদটি মেরামতির দরকার হয়। খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতক থেকে খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতক পর্যন্ত সুদর্শন হ্রদের টানা ব্যবহার হয়েছিল।
নতুন নতুন নগর :
খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে প্রধানত উত্তর ভারতের নগরায়ন দেখা দিয়েছিল। তক্ষশিলার সিরকাপের প্রত্নতাত্ত্বিকরা মাটি খুঁড়ে একটি নগরীর খোঁজ পেয়েছেন। কুষান আমলে গঙ্গা যমুনা দোয়াবে প্রকার ঘেরা মথুরা ছিল বিখ্যাত নগর। এখানে ভাস্কর্য ও অন্যান্য শিল্প ছিল খুব বিখ্যাত। এছাড়াও মৌর্য আমলের মহাস্থানগড়, বাণগড়, তাম্রলিপ্ত, চন্দ্রকেতুগড় প্রভৃতি নগরের সন্ধান পাওয়া যায়।
সাতবাহন আমলে দক্ষিণ ভারতের গ্রামজীবন :
খ্রিস্টীয় প্রথম বা দ্বিতীয় শতক নাগাদ সাতবাহন রাজা হালের প্রাকৃত ভাষায় সংকলিত সপ্তশতী গল্প থেকে দাক্ষিণাত্যের গ্রাম্য জীবন অর্থাৎ মানুষের জীবিকা, গ্রামের শাসন, বসতির বৈশিষ্ট্য, বিনোদন প্রভৃতি সম্পর্কে জানা যায়। এই বইয়ের সমস্ত চরিত্র হলো সাধারণ মানুষ। মানুষ ছিল কৃষিজীবী। ধান কার্পাস ও শন ছিল প্রধান ফসল। উৎসবের সময় মানুষ নাচ গান ও বাজনায় মেতে উঠত। সূর্য ও আশু প্রভৃতি দেবতার পূজা হত মন্দিরে। গ্রামগুলি শাসন করতো গ্রামণী।
৭.৪ আনুমানিক খ্রিস্টীয় তৃতীয় শতক থেকে সপ্তম শতকের প্রথম ভাগ পর্যন্ত : গুপ্ত গুপ্ত পরবর্তী আমল :
এই সময়কৃষি যথেষ্ট উন্নত ছিল। তাম্রলিপ্ত লেখতে সে যুগে জমি বেচা কেনার কথা জানা যায়। ধর্মীয় উদ্দেশ্যে জমিদান করা, যাকে অগ্রহার বলা হতো, যা কৃষির উন্নতির পক্ষে সহায়ক ছিল। শুধু কৃষি নয় লোহার তৈরি শিল্পের কথাও জানা যায়। তবে এই সময় হূন আক্রমণের ফলে এশিয়া মহাদেশের বিভিন্ন অংশ ছাড়া বৈদেশিক বাণিজ্যের ঘাটতি দেখা যায়। এসময় সোনা ও রুপার মুদ্রার প্রচলন ছিল। সমাজে বর্ণাশ্রম চালু হলেও তেমন কঠোর ছিল না।
প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশে কারিগর :
প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশে নানা রকম কারিগরি শিল্পের প্রমাণ পাওয়া যায়। খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে থেকে খ্রিস্টীয় সপ্তম শতকে পর্যন্ত বিভিন্ন কারিগরি শিল্পের বিকাশ হয়েছিল। কারিগর অনেক সময় এক একটার অঞ্চলে জমায়েত হয়ে বাস করতেন। কুষাণ আমলে কারিগরি শিল্পের বৈচিত্র বেড়েছিল। কুমোর, কামার, ছুতোর ও তাঁতির কথা জানা যায়। পাশাপাশি অন্যান্য কারিগরেরা ছিল। যেমন সোনার গয়না বানানো সুবর্ণকার। হাতির দাঁতের জিনিসপত্র বানানো দন্তকার। তাঁতিরা কাপড় বুনতো। কাপড় রং কত রঙ্গকার। পোশাকে সূচীশিল্পের কাজ করতো সূচিকার।
কারিগর ও ব্যবসায়ীদের সংঘ :
খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে গড়ে ওঠা ব্যবসায়ী ও কারিগরি সংঘ ব্যবসা বাণিজ্য সংক্রান্ত বিবাদে মেটাতো, পেশাগত নিরাপত্তা দেখতো, জিনিসের গুণমান ও দাম ঠিক রাখা প্রভৃতির দায়িত্ব পালন করত। গুপ্ত ও তার পরবর্তী কালে এগুলি গুরুত্ব আরো বৃদ্ধি পায়।
প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশের খাবার-দাবার :
প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশে চাল, গম, যব ও শাকসবজি ছিল প্রধান খাবার। ধনীদের মধ্যে মাংস খাওয়ার প্রচলন ছিল বেশি। মধ্যবিত্ত সমাজের দুধ ও দুধের তৈরি নানা রকম খাবারের ব্যবহার ছিল। গরিব মানুষেরা ঘি এর বদলে তেল ব্যবহার করত। তাছাড়া মোটর, তিল ,মধু গুর প্রভৃতি খাবারের উল্লেখ পাওয়া যায়। অনেকক্ষেত্রে নিরামিষ খাওয়া দাওয়াকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হতো। এমনকি সব রকম মাছ খাওয়ার ওপরেও বিধি নিষেধ ছিল। দুধ ও নানা রকম ফলের রস থেকে তৈরি পানীয়ের ব্যবহার ছিল।
ফাসিয়ান এর লেখা ভারতীয় উপমহাদেশের সমাজ :
গুপ্ত সম্রাট দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের আমলে ফাসিয়ান চীন থেকে ভারতীয় উপমহাদেশে এসেছিলেন। তার লেখায় উপমহাদেশের মানুষ ও সমাজ বিষয়ে নানা কথা পাওয়া যায়। আরো জানা যায় যে উপমহাদেশে অনেকগুলি নগর ছিল। মধ্য দেশের নগরগুলি ছিল উন্নত। সেখানে জনগণ সুখে বাস করত। তবে চন্দননগরের বাইরে থাকতে বলে তিনি জানিয়েছেন। যারা দুষ্টু প্রকৃতির লোক তাদেরকেই চন্ডাল বলা হত। এ দেশের লোকেরা অতিথিদের যত্ন করতো।বিদেশিদের যাতে কোন কষ্ট না হয় তার দিকে তারা খেয়াল রাখতো। পাটলিপুত্র ছিল দেশের সেরা নগর। সেখানকার লোকেরা ছিল সুখী ও সম্পদশালী। ধ্বনি ঐশ্বরা নগরের বিভিন্ন স্থানে বিনামূল্যে দাতব্য চিকিৎসা ব্যবস্থা করে দিতেন।
সুয়ান জাং এর লেখায় ভারতীয় উপমহাদেশের সমাজ :
সুয়ান জাং এর লেখায় ভারতবর্ষ ইন তু নামে পরিচিত হয়েছে। তার মতে ইনতুর লোকেরা নিজেদের দেশকে বিভিন্ন নামে ডাকে। দেশটির পাঁচটি ভাগ উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম ও মধ্য। ইন তুতে ৮০ টি রাজ্য আছে। প্রতিটি রাজ্যের নিজস্ব রাজা থাকলেও তারা বড় সম্রাটের অনুগত ছিল।
সুয়ান জাং ইন তুকে মূলত গরমের দেশ বলেছেন। সেখানে নিয়মিত বৃষ্টি হয়। উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের মাটি উর্বর। দক্ষিণ অঞ্চল বনে ঢাকা। পশ্চিম অঞ্চলের মাটি পাথরেও অনুর্বর। ধান ও গম প্রধান কৃষিজ ফসল। জনগণের মধ্যে জাতিভেদ ছিল।
শহরের বাড়িগুলি ইট ও টালি দিয়ে তৈরি হতো। বাড়ির বারান্দা তৈরি করা হতো কাঠ দিয়ে। গ্রামের বাড়িগুলির দেওয়াল ও মেজে ছিল মাটির। নানারকম দামি ধাতু ও পাথরের ব্যবসা চলত। শাসকরা জনগণের সুযোগ সুবিধার কথা মাথায় রাখবেন।
অনুশীলনী
প্রশ্ন : জনপদ ও মহাজনপদ বলতে কী বোঝো?
প্রশ্ন : প্রথম নগরায়ণ (হরপ্পা) এবং দ্বিতীয় নগরায়ন (মহাজনপদ) এর মধ্যে কোন ধরনের পার্থক্য তোমার চোখে পড়ে?
প্রশ্ন : খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে বেশিরভাগ মহাজনপদ গঙ্গা উপত্যকায় গড়ে ওঠার কারণ কি ছিল বলে মনে হয়?
প্রশ্ন : মৌর্য আমলের নারী পুরুষের পোশাক পরিচ্ছদ সম্পর্কে যা জানো লেখ।
প্রশ্ন : প্রাচীন ভারতের জলসেচ ব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল কেন? সে যুগের জলসেচ ব্যবস্থার সঙ্গে আজকের দিনের জলসেচ ব্যবস্থার কোন পার্থক্য তোমার চোখে পড়ে কি?
প্রশ্ন : অগ্রহার ব্যবস্থা বলতে কী বোঝো?
প্রশ্ন : খৃষ্টপূর্ব দ্বিতীয় শতক থেকে খ্রিস্টীয় চতুর্থ শতক পর্যন্ত ভারতীয় উপমহাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের বিষয়ে যা জানো লেখ।
প্রশ্ন : গুপ্ত যুগে মেয়েদের অবস্থা কেমন ছিল?
প্রশ্ন : খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে থেকে খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ শতক পর্যন্ত সময়ে ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তর ও দক্ষিণ অংশে কৃষির পদ্ধতি ও উৎপাদিত ফসলের মধ্যে কি কি তফাৎ দেখা যায়?
প্রশ্ন : ফাসিয়ান তাঁর রচনায় কিভাবে ভারতীয় সমাজের কথা বর্ণনা করেছেন?
প্রশ্ন : সুয়ান জাং তাঁর রচনায় ভারতীয় উপমহাদেশকে কিভাবে বর্ণনা করেছেন তা লেখ।
সম্পূর্ণ সাজেশনটি পেতেঃ এইখানে ক্লিক করুন
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
0 মন্তব্যসমূহ