প্রশ্নঃ হিমবাহের সঞ্চয় কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপের ব্যাখ্যা দাও।
উত্তর ঃ হিমাবাহের সঞ্চয়কার্যের ফলে প্রধান যে ভূমিরূপ গড়ে ওঠে তা নিচে আলোচনা করা হল -
(১) গ্রাবরেখা ঃ
হিমবাহের সঞ্চয়কার্যের ফলে প্রধান ভূমিরূপ গুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল গ্রাবরেখা। পার্বত্য অঞ্চলের হিমবাহের ক্ষয় কার্যের ফলে বয়ে আসা নুড়ি, কাঁকড় প্রভৃতি উপত্যকায় জমে যে ভূমিরূপের সৃষ্টি হয় তাকে গ্রাবিরেখা বলে। অবস্থান অনুসারে গ্রাবরেখাকে প্রধানত তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা -
(ক) প্রান্ত গ্রাবরেখা ঃ হিমবাহ যেখানে এসে গলে যায়, সেই অংশের গঠিত গ্রাবরেখাকে প্রান্ত গ্রাবরেখা বলে।
(খ) মধ্য গ্রাবরেখা ঃ দুই দিক থেকে আসা দুটি হিমবাহ একসঙ্গে মিলিত হলে উভয়ের মধ্যবর্তী অংশে আর একটি গ্রাবরেখার সৃষ্টি হয়, যাকে মধ্য গ্রাবরেখা বলে।
(গ) পার্শ্ব গ্রাবরেখাঃ হিমবাহের প্রবাহপথের দুই পাশে নুড়ি, কাঁকড় জমা হয়ে যে গ্রাবরেখার সৃষ্টি হয় তাকে পার্শ্ব গ্রাবরেখা বলে।
(২) ড্রামলিনঃ
পর্বতের পাদদেশে হিমবাহ বাহিত নুড়ি, কাঁকড়, বালি প্রভৃতি টিলা সঞ্চিত হলে ওল্টানো চামচের বা নৌকার মতো ভূমিরূপ গড়ে ওঠে। একে ড্রামলিন বলে।
বৈশিষ্ট্যঃ ড্রামলিনের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হল -
(i) একসঙ্গে অসংখ্য ড্রামলিন গড়ে উঠলে ডিম ভর্তি ঝুড়ি মতো দেখায়।
(ii) ড্রামলিনের আকৃতি কিছুটা লম্বাটে এবং অক্ষটি হিমবাহ প্রবাহের সমান্তরালে থাকে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
0 মন্তব্যসমূহ