LightBlog
WB Class 8 Geography Model Activity Task 1 WBBSE অষ্টম শ্রেণি ভূগোল মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক - ১
Type Here to Get Search Results !

WB Class 8 Geography Model Activity Task 1 WBBSE অষ্টম শ্রেণি ভূগোল মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক - ১

 অষ্টম শ্রেণি

ভূগোল

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক - ১


নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ :

১। বিভিন্ন স্তর ও বিযুক্তি রেখা সহ পৃথিবীর অভ্যন্তরে চিহ্নিত চিত্র অংকন করো।

উত্তর :

 

২। কোন জায়গায় ভূমিকম্প শুরু হলে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া দরকার তা নিজের ভাষায় বুঝিয়ে লেখ।

উত্তর : কোন নির্দিষ্ট স্থানের ভূমি ভাগ হঠাৎ কিছুক্ষণের জন্য আন্দোলিত হলে তাকে ভূমিকম্প বলে। প্রধানত ভূ-অভ্যন্তরের স্থিতিস্থাপকতা বিঘ্নিত হলে ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়। ভূমিকম্প একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ, তবে অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের মত ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া সম্ভব নয়। ফলে ভূমিকম্প হলে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা অনেক বেশি হয়। মানুষের জীবনহানি যেমন হয় তেমন প্রচুর পরিমাণে আর্থিক ক্ষতি হয়ে থাকে।

আর এর থেকে বাঁচার জন্য ভূমিকম্পের সময় যে ব্যবস্থাগুলি করণীয় সেগুলি নিচে আলোচনা করা হলো -

প্রথমত, ভূমিকম্পের শুরু হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাড়ি বা স্কুল বা অফিস থেকে বেরিয়ে কোন খোলা জায়গায় যেতে হবে।

দ্বিতীয়ত, যদি খোলা জায়গায় বেরিয়ে যাওয়া সম্ভব না হয় তাহলে বাড়ির মধ্যে দ্রুত কোন টেবিল অথবা শক্ত আসবাবের তলায় ঢুকে পড়তে হবে।

তৃতীয়ত, ভূমিকম্প চলাকালীন বহুতল বাড়ির ঝুলন্ত বারান্দা, সিড়ি, লিফট ব্যবহার করা চলবে না।

চতুর্থত, ভূমিকম্পের সময় বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে যতটা সম্ভব অতি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে।

পঞ্চমত, ফাঁকা স্থানে দাঁড়ানোর সময় লক্ষ্য রাখতে হবে আশেপাশে কোন বিদ্যুতের খুঁটি বা কোন মিনার যাতে না থাকে।


৩। যেকোনো পাঁচটি ক্ষেত্রে তিন ধরনের শিলা ব্যবহারের উদাহরণ সহযোগে লিপিবদ্ধ করো।

উত্তর : শিলা প্রধানত তিন প্রকার। যেমন - আগ্নেয়শিলা পাললিক শিলা ও রূপান্তরিত শিলা। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন প্রকার শিলা আমরা ব্যবহার করে থাকি। নিচে প্রধান পাঁচটি ক্ষেত্রে এই ধরনের শিলার ব্যবহার আলোচনা করা হলো -

(ক) ব্যাসল্ট শিলা :

     ব্যাসল্ট শিলা সাধারণত রেললাইনের তলায় বা বিভিন্ন ধরনের নির্মাণ কাজে ব্যবহার করা হয়।

(খ) চুনাপাথর ঃ

    চুনাপাথর প্রধানত সিমেন্ট শিল্পে এবং লৌহ ইস্পাত শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

(গ) বেলে পাথর :

      এর ক্ষয় প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি তাই বিভিন্ন রঙের হওয়ায় স্থাপত্য স্মৃতিসৌধে এই পাথরের নির্মাণ করা হয়, যে নির্মাণ গুলি বহু বছর ধরে অক্ষত থাকে।

(ঘ) মার্বেল :

     মার্বেল পাথর সাধারনত চুনাপাথরের রূপান্তরিত রূপ। এগুলি দেখতে খুব সুন্দর মসৃণ এবং চকচকে। বর্তমানে বিভিন্ন রঙের মার্বেল পাথর দিয়ে ঘর বা বাড়ির সৌন্দর্যকে আরো বাড়ানো যায়।

(ঙ) স্লেট :

     সাধারণত কাদা পাথরের রুপান্তরিত রুপ হল স্লেট পাথর। এই পাথরের আকৃতি খুব পাতলা হওয়ার জন্য এটি ঘরের টালি হিসাবে ব্যবহার করা হয়। তাছাড়াও ব্ল্যাকবোর্ড তৈরিতে লেখার কাজে ব্যবহার করা হয়।


৪। প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে ভারতের সম্পর্ক কেন ভালো রাখা প্রয়োজন বলে তুমি মনে করো।

উত্তর : এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণ প্রান্তে একটি বড় দেশ ভারতবর্ষ। ছোট বড় দেশ মিলিয়ে ভারতের চারপাশে মোট নয়টি প্রতিবেশী দেশ রয়েছে। যেমন - নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ, মায়ানমার, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, চীন, শ্রীলংকা এবং মালদ্বীপ। নিচে ভারতের এই প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখার বিভিন্ন প্রয়োজনীয়তা আলোচনা করা হলো -

(ক) বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে :

     বর্তমান যুগে পৃথিবীর প্রত্যেকটি দেশের একে অপরের উপর নির্ভর হয়ে থাকতে হয়। কেননা পৃথিবীর কোন দেশ সমস্ত দ্রব্য উৎপাদন করতে সক্ষম নয়। আর এই অক্ষমতার জন্য একটি দেশকে কোন দেশের উপর নির্ভর করতে হয়। ঠিক তেমনই ভারত ও অন্যান্য প্রতিবেশী দেশের উপর নির্ভরশীল তাই বিভিন্ন বাণিজ্যিক আদান প্রদানের মাধ্যমে এই অক্ষমতাকে পূরণ করা সম্ভব হয়।

(খ) সমুদ্র সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার :

     উপকূলবর্তী দেশগুলোর মধ্যে সমুদ্রসীমা রয়েছে। দেশগুলির মধ্যে সম্পর্ক ভালো না থাকলে মৎস্য অন্যান্য সমুদ্র সম্পদ সংগ্রহের ক্ষেত্রে দেশগুলোর সঙ্গে বিবাদ দেখা যেতে পারে।

(গ) দুর্যোগ মোকাবিলা :

     কোন দেশে যদি দুর্যোগ ও বিপর্যয় হয় তাহলে সর্বপ্রথম সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় তার প্রতিবেশী দেশগুলো। আর এটি তখনই সম্ভব হয় যখন প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে ভাল সম্পর্ক থাকে আর দুর্যোগ মোকাবিলায় সহজ হয়।

(ঘ) অপরাধ দমন :

     কোন দেশে অশান্তি সৃষ্টি করে অপরাধীরা অনেক সময় প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নেয়। সেইসব অপরাধীদের ধরতে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো না থাকলে সম্ভব হয় না।

(ঙ) নদ-নদীর ব্যবহার :

     যেসকল নদী একাধিক দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয় তার জল আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেকটি দেশে থাকে। কারণ প্রত্যেকটি দেশ নদীর জল সেচের কাজে যেমন ব্যবহার করে তেমনি জলবিদ্যুৎ উৎপাদন বা অন্যান্য কাজে ব্যবহার করে। প্রতিবেশী দেশে সঙ্গে যদি সম্পর্ক ভালো না থাকে তাহলে নদীর জল বন্টন নিয়ে বিতর্ক হতে পারে। 


Other Model Activity Task : Model Activity Task 2022

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

4 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

LightBlog

Below Post Ad

LightBlog

AdsG

close